ছেলের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্ত্রীকে নিয়ে কানাডায় ছুটে গেলেন কুমার বিশ্বজিৎ
কানাডার টরোন্টোতে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমার দে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কানাডিয়ান সময় রাত সাড়ে ১১টায় টরোন্টোর ৪২৭ সাউথ বাউন্ড হাইওয়ে ডানডাস এক্সিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ছেলের দুর্ঘটনার খবর শুনে ছেলেকে দেখতে কানাডায় ছুটে গেলেন কুমার বিশ্বজিত। মঙ্গলবার রাত ১১টায় কানাডার উদ্দেশে রওয়ানা হন কুমার বিশ্বজিৎ ও তার স্ত্রী নাইমা সুলতানা।
দুর্ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিওতে কানাডিয়ান পুলিশ বলেছে, চারজন যাত্রী নিয়ে একটি গাড়ি দক্ষিণ দিকে যাচ্ছিল যখন এটি র্যাম্প ছেড়ে একটি কংক্রিটের প্রাচীরের উপর দিয়ে খাদে গিয়ে পড়ে অন্য কংক্রিটের দেওয়ালে বিধ্বস্ত হয়।
তিনি বলেছেন, সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলেই পেছনের সিটে থাকা দুজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সামনের যাত্রী আসনের একজন নারীকে দ্রুত একটি ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু পরে তাকেও মৃত ঘোষণা করা হয়। একজন ২০ বছর বয়সী পুরুষ, একজন ২০ বছর বয়সী নারী ও ১৭ বছর বয়সী একটি ছেলে। গাড়িটি খুব দ্রুত গতিতে চলছিল। গাড়ির চালক এক হাইওয়ে থেকে আরেক হাইওয়েতে উঠার সময় টার্ন নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। সেখানে একটু কার্ভ ছিল। হাইওয়ের রেলিংয়ে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটি ৩ বার উল্টে যায়। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে আগুন ধরে যায়।
জানা গেছে কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। বর্তমানে টরোন্টর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ইতোমধ্যেই নিবিড়ের শরীরে তিনটি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা জানাতে ডাক্তাররা ৬/১৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
এএম/এমএমএ/