এইচএসসি ও সমমানের ফল যেভাবে জানবেন
এইচএসসির ফল প্রকাশ আজ। ফাইল ছবি
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আজ রোববার (২৬ নভেম্বর) প্রকাশ হচ্ছে। এ নিয়ে দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও বোর্ড চেয়ারম্যানরা রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী ফল প্রকাশ করবেন। প্রধানমন্ত্রীর ফল প্রকাশ কার্যক্রম উদ্বোধনের পর বেলা ১১টা থেকে শিক্ষাবোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে এবং এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানা যাবে। ফল জানা যাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বোর্ডগুলোর সমন্বিত ওয়েবসাইটে (www.educationboardresults.gov.bd) ঢুকে পরীক্ষার্থীর রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর টাইপ করতে হবে। এরপর পরীক্ষার্থীর ফল পাওয়া যাবে।
শিক্ষার্থীরা রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবেন এই ওয়েবসাইট থেকে। তা করতে চাইলে সমন্বিত ওয়েবসাইটের রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে থেকে ফলাফল ডাউনলোড করা যাবে।
এসএমএস-এর মাধ্যমে যেভাবে জানা যাবে:
মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। এইচএসসির ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে আসবে ফল।
একইভাবে আলিমের ফল পেতে ALIM লিখে স্পেস দিয়ে Mad লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
আর কারিগরি বোর্ডের ক্ষেত্রে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফলাফল জানানো হবে।
চলতি বছর আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয় ১৭ আগস্ট, শেষ হয় ২৫ সেপ্টেম্বর। আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা ১০দিন পিছিয়ে ২৭ আগস্ট থেকে শুরু হয়।
সবগুলো বোর্ডে একই দিনে পরীক্ষা শুরু না হলেও ১১টি শিক্ষা বোর্ডে একযোগে ফল প্রকাশ করা হবে। এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মোট ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেয়।
করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর এবার পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে আইসিটিতে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।