বৃহস্পতিবারের বাজারদর
কমেছে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে গরু মাংসের
![](https://admin.dhakaprokash24.com/logo/placeholder.jpg)
সপ্তাহের ব্যবধানে চাল, ডাল, আলু, বেগুণ, মাছ, ডিম, মুরগি ও খাসি মাংসের দাম বাড়েনি। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে পেঁয়াজের দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা কমেছে। আর গরুর মাংসের দাম ২০ টাকা বেড়ে ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এমনই চিত্র পাওয়া গেছে।
স্থিতিশীল চালের বাজার:
গত সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় এ সপ্তাহেও চালের দাম বাড়েনি-কমেনিও। আগের দামেই চাল বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারের মেসার্স কুমিল্লা রাইস এজেন্সির মো. আবুল কাসেম ঢাকাপ্রকাশকে জানান, এ সপ্তাহে কোনো চালের দাম বাড়েনি। আগের দামেই মিনিকেট ৬০ থেকে ৬১ টাকা, বিআর-২৮ কেজি ৪৭ থেকে ৪৯ টাকা, পারিজা ৪৪ তেকে ৪৬ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। একই কথা জানান চাটখিল রাইস এজেন্সির বেলাল হোসেন। তিনি বলেন, আগের দামেই মিনিকেট ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, আটাশ ৪৮ থেকে ৪৯, নাজির চাল ৬৪ থেকে ৬৮ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। তবে একই চাল বিভিন্ন বাজারে পাইকারির চেয়ে চার থেকে পাঁচ টাকা বেশি দামে খুচরা বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।
আগের দামেই ডাল চিনি আটা তেল:
গত সপ্তাহের মতোই পাঁচ লিটার ভোজ্যতেল ৭২০ টাকা, যা গায়ের মূল্য ৭৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর এক লিটার ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান কারওয়ান বাজারের নিউ সোনারগাঁও জেনারেল স্টোরের রিপন। ইউসুফ জেনারেল স্টোরের সুজনও ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, কোনো জিনিসের দাম বাড়েনি কমেওনি। সব পণ্যই আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। চিনি ৭৫ টাকা কেজি, দুই কেজি আটা ৮০ টাকা, ডাল ৯০ থেকে ১১০, ছোলা ৭০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। ক্রেতারাও বলছেন, আগের দামেই প্রায় পণ্য বিক্রি হচ্ছে। তবে কোনো্ কোনো ভোজ্যতেল দোকানে ৫ লিটার তেল ৫৫০ টাকা ও এক লিটার ১৬৫ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে।
খাসির মাংসের দাম বাড়েনি:
গত সপ্তাহের মতো খাসির মাংসের দাম এ সপ্তাহে স্থিতিশীল। কারওয়ান বাজারের জনপ্রিয় খাসির মাংসের দোকানের নুরুল ইসলাম ঢাকা প্রকাশকে বলেন, আগের সপ্তাহের মতোই এ সপ্তাহে ৯৩০ থেকে ৯৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বেশি কিনলে কিছুটা কম দামে বিক্রির কথা জানান।’
তবে সপ্তাহের ব্যবধানে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে ২০ টাকা বলে ব্যবসায়ীরা জানান। কারওয়ান বাজারের মেসার্স খোকন এন্টারপ্রাইজের জালাল বলেন, ‘ আগের সপ্তাহে ৫৮০ টাকা গরুর মাংস কেজি, বেশি নিলে ৫৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু আজ তা সম্ভব নয়। গাবতলীতে গরু কমে গেছে। তাই দামও বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। ৬০০ টাকার কম বিক্রি করা সম্ভব নয়।’
ডিম মুরগি মাছের দাম স্থিতিশীল:
আগের মতোই ডিমের ডজন সর্বোচ্চ ১০৫ টাকা বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। জননী মুরগীর আড়তের আব্দুল ওহাব ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘দেশি মুরগি আগের দামেই ৪৫০ টাকা কেজি, ব্রয়লার ১৫০ থেকে ১৬০ কেজি এবং পাকিস্তানী কর্ক ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। করোনার বিধিনিষেধে বর্তমানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান কমে যাওয়ায় চাহিদাও কমে গেছে। তাই দামও কমেছে।’
এদিকে আগের সপ্তাহের মতোই মাছের বাজার স্থিতিশীল বলে বিক্রেতারা জানান। কারওয়ান বাজারের মাছ ব্যবসায়ী রতন বলেন, আকার ভেদে রুই ও কাতল ২০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি, চিংড়ি আকার ভেদে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, চাষের সিং মাছ ৩০০, দেশি সিং ৭০০ টাকা, চাষের কই ৩০০ টাকা, দেশিটা ৫০০ টাকা, দেশি শৈল ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, সিং ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা এবং আইড় মাছ আকারভেদে ৪০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা যায়। এছাড়া ইলিশ মাছ ৭০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান।
স্থিতিশীল আলুসহ সবজির দাম :
শীতের ভরা মৌসুম হওয়ায় প্রতি সপ্তাহে কোনো না কোনো পণ্যের দাম কমছে। তবে পাইকারি পর্যায়ে যেভাবে কমছে খুচরা ব্যবসায়ীরা সেভাবে কমছে না দাম। বিশেষ করে আলু পাইকারি বাজারে ১২ থেকে ১৪ টাকা কেজি বিক্রি করা হলেও তিা পাইকারি বাজারে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। টমেটোরও একই দশা। পাইকারিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি হলেও খুচরা পর্যায়ে তা ২৫ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।
তবে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে দুই ধেকে তিন টাকা। রমজান ট্রেডার্সের আলি হোসেন বলেন, গত সপ্তাহে প্রতি পাল্লা পেঁয়াজ ২৮ টাকা কেজি বিক্রি করা হলেও বৃহস্পতিবার তা ১৩০ টাকা পাল্লা বা কেজি ২৬ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। সেই পেঁয়াজ বিভিন্ন খুচরা বাজারে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
তবে আগের মতোই দেশি রসুন কেজি ৫০ টাকা ও চায়না রসুন ১২০ টাকা, দেশি আদা কমে ৯০ টাকা, চায়না আদা ১২০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, বেগুণ ৪০ থেকে ৫০, প্রতি পিস ফুল ও পাত কপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, গাজর কেজি ৪০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, মরিচ ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, সাকের আটি ৮ থেকে ১০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ থেকে ৬০ টাকা পিস বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা।
জেডএ/
![Header Ad](https://admin.dhakaprokash24.com/images/single-post-anniversary.jpeg)