শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৮৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ গোলাম কুদ্দুস ও তার পরিবারের

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস। -ফাইল ছবি

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও তার পরিবারের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির অন্তত ১৮৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

বিমা কোম্পানির নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) একটি অডিট রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে।

কোম্পানিটির বরখাস্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদ বিন আমানের অভিযোগের ভিত্তিতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) অডিটটি পরিচালনা করে।

দেশের শীর্ষস্থানীয় পোশাক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস অবশ্য কোনো ধরনের দুর্নীতি বা অনিয়মের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন।

২০২৩ সালে গোলাম কুদ্দুসকে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগসহ ১৭টি অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের জন্য আইডিআরএ গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর অডিট ফার্ম হোদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানিকে নিয়োগ দেয়।

সোনালী লাইফ পরবর্তীতে রাশেদকে বরখাস্ত করে। গোলাম কুদ্দুসের বড় মেয়ের সাবেক স্বামী রাশেদ। কোম্পানির টাকা আত্মসাতের মামলায় বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।

অডিট শুরু হওয়ার পর ১৮ জানুয়ারি পদত্যাগ করেন গোলাম কুদ্দুস।

অডিট প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আইডিআরএ কোম্পানিটি পরিচালনায় প্রশাসক নিয়োগের কথা ভাবছে।

আইডিআরএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমরা কোম্পানি ও পলিসি হোল্ডারদের স্বার্থে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।'

অডিটে দেখা গেছে, গোলাম কুদ্দুস ও তার পরিবারের ছয় সদস্য পরিচালক হিসেবে নিজেদের জন্য শেয়ার ইস্যু, গোলাম কুদ্দুসের মালিকানাধীন কোম্পানিকে অবৈধ অর্থ প্রদান এবং তার পরিবারের সদস্য পরিচালকদের বেতন পরিশোধসহ বিভিন্ন উপায়ে তহবিল আত্মসাৎ করেছেন।

অবৈধভাবে বিলাসবহুল গাড়ি কেনা এবং গোলাম কুদ্দুসের পরিবারের সদস্য পরিচালকদের অতিরিক্ত লাভ দেওয়ার পাশাপাশি বিদেশ ভ্রমণ ও চিকিৎসার বিলের মাধ্যমে তারা বিপুল অর্থ পকেটে ভরেছে।

তারা গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স পলিসি থেকে অবৈধ কমিশনের মাধ্যমেও মোটা অঙ্কের টাকা আয় করেছে, বলা হয়েছে ওই অডিট রিপোর্টে।

ড্রাগন ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড কমিউনিকেশন লিমিটেড, ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেড এবং ইম্পেরিয়াল সোয়েটার লিমিটেড অস্থাবর সম্পদ কেনার জন্য সোনালী লাইফ থেকে বিভিন্ন সময়ে ১৪১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা পেয়েছে, যার অনুমোদন দিয়েছেন গোলাম কুদ্দুস।

অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ধরনের অর্থপ্রদানের জন্য আইডিআরএর অনুমতি প্রয়োজন হলেও কোম্পানিটি তা নেয়নি, যা অবৈধ।

২০১৮ সালে সোনালী লাইফ প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে এক কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করে নিজের পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে চেয়েছিল এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এর অনুমোদন দেয়।

কিন্তু পরিবারের চার সদস্য পরিচালক নূর-ই-হাফজা, ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া, এস সোবহান চৌধুরী ও শেখ মোহাম্মদ ড্যানিয়েলের কাছ থেকে কোনো টাকা না নিয়েই অভিহিত মূল্যে তাদেরকে নয় কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার দেওয়া হয়। এটি করা হয় ২০১৮ সালের ১৪ জুন।

একই দিনে অন্য তিনজন পরিচালক মায়া রানী রায়, এ রাজীব সামদানী ও হোদা আলী সেলিমও শেয়ার পেয়েছেন কোনো টাকা না দিয়েই। তবে, তাদের শেয়ারের অভিহিত মূল্য ছিল দ্বিগুণ। এই তিন পরিচালক গোলাম কুদ্দুসের পরিবারের সদস্য নয়।

অডিট প্রতিবেদনে বলা হয়, গোলাম কুদ্দুস তার স্ত্রী ফজলুতুন নেসার কাছ থেকে ছয় লাখ ২৫ হাজার, ছেলে মোস্তফা কামরুস সোবহান ও মেয়ে ফৌজিয়া কামরুন তানিয়ার কাছ থেকে ২৬ দশমিক আট লাখ, সোবহানের স্ত্রী এস সোবহান চৌধুরীর কাছ থেকে তিন লাখ এবং মেয়ের স্বামী ড্যানিয়েলের কাছ থেকে ১২ লাখ শেয়ার পেয়েছেন।

পরে গোলাম কুদ্দুস তার এক মেয়ের কাছে ১৪ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার, স্ত্রীর কাছে দুই লাখ ৩০ হাজার শেয়ার এবং ছেলে ও পুত্রবধূর কাছে ছয় লাখ ৫০ হাজার শেয়ার হস্তান্তর করেন।

এর মাধ্যমে একই পরিবারের সাত সদস্য কোম্পানি বোর্ডে পারিবারিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে অনিয়মের সুযোগ সৃষ্টি করেছে বলে অডিট প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বর্তমানে, সোনালী লাইফের ২০ জন পরিচালক রয়েছেন, যাদের মধ্যে সাতজন একটি পরিবারের সদস্য।

কোম্পানির একটি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কোম্পানিটির সাত লাখ ৮৮ হাজার বিমা গ্রাহক রয়েছেন এবং এর পরিশোধিত মূলধন ৪৭ কোটি টাকা। গত বছর কোম্পানিটি বিমার প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে ৮৩২ কোটি টাকা।

অডিট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোনালী লাইফ আর্থিক আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে কয়েকজন পরিচালকের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, ফলে বিপুল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে। এতে বিমাকারী ও গ্রাহকদের ক্ষতি করছে।

উদাহরণস্বরূপ, ২০২৩ সালের জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির অ্যাকাউন্ট থেকে ১৮ কোটি টাকা অবৈধভাবে বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই গোলাম কুদ্দুসের ব্যক্তিগত ব্যবসা ড্রাগন সোয়েটারের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছিল, যা অবৈধ।

এ ছাড়া, ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিমা কোম্পানিটি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে ১৯৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছে। এর মধ্যে ৮৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট হয়ে গোলাম কুদ্দুসের মালিকানাধীন একটি কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে।

অডিট প্রতিবেদনে এটিকে 'জালিয়াতি, অর্থ পাচার ও আত্মসাৎ' বলে অভিহিত করা হয়েছে।

অডিটে আরও দেখা গেছে, বছরে গড়ে ২২ কোটি টাকা বা মাসে প্রায় দুই কোটি টাকা নগদ ব্যয় করা হয়েছে এবং নগদ চেকের মাধ্যমে বেশকিছু এককালীন বড় লেনদেন করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অর্থ তছরুপের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

কোম্পানিটির সিনিয়র এক্সিকিউটিভসহ প্রায় সব স্বাক্ষরকারীই গোলাম কুদ্দুসের পরিবারের সদস্য এবং এর ফলে এসব লেনদেনে তারা কোনো প্রশ্ন তোলেননি।

সীমাবদ্ধতা থাকায় কোম্পানিতে হওয়া অন্যান্য দুর্নীতি এই অডিট প্রতিবেদনে উঠে আসেনি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোম্পানির সার্বিক পরিস্থিতি বোঝার জন্য একটি বিশদ অডিট প্রয়োজন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অসম্পূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ বা তথ্য গোপন করা, অস্বচ্ছ অ্যাকাউন্টিং পদ্ধতি এবং অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অনুপস্থিতি কোম্পানির অর্থ আত্মসাতের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করেছে।

এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে গোলাম কুদ্দুস বলেন, এই অডিট প্রতিবেদনের ফলাফল 'অসত্য' এবং তিনি শিগগিরই তার অবস্থান স্পষ্ট করে আইডিআরএকে চিঠি দেওয়ার 'প্রস্তুতি' নিচ্ছেন।

আইডিআরএর তথ্য অনুসারে, ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত সোনালী লাইফের সারা দেশে ২৬ হাজার ৬৯৩ জন বিমা এজেন্টসহ ২০৪টি শাখা রয়েছে। এটি ২০২০ সালে মোট বিমা দাবির ৯৯ দশমিক নয় শতাংশ, ২০২১ সালে ৯৯ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং ২০২২ সালে ৯৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ নিষ্পত্তি করেছে। ২০২৩ সালে কোম্পানিটি ১২২ কোটি ২৬ লাখ টাকার প্রায় সব বিমা দাবি নিষ্পত্তি করেছে।

 

সংবাদ সূত্র: ডেইলি স্টার

Header Ad
Header Ad

খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল

ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলা মার্কেটের পাশের একটি স’মিলে শুক্রবার রাত ৭টা ৩০ মিনিটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ৯টা ৩৫ মিনিটে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। আগুনে প্রায় ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল পুড়ে গেছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরণে স’মিলে লাগা আগুন চারদিক ছড়িয়ে পড়ে।

তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘খিলগাঁওয়ের আগুনে আনুমানিক ২০টি দোকান এবং দুটি স মিল পুড়েছে। আগুনে হয়তো কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরিত হয়েছে; যার ফলে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের নয়টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে আরো চারটি ইউনিট ছিল, তবে সেগুলোকে কাজ করতে হয়নি।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আগুনে কেউ নিখোঁজ রয়েছে এমন কোনো সংবাদ আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত আসেনি। এ ছাড়া আমরা এখন পর্যন্ত আহত ও নিহতের কোনো সংবাদ পাইনি।’

আগুনের উৎসটি কি ছিল প্রাথমিকভাবে জানা গেছে কিনা প্রশ্ন করা হলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ বিষয়ে বলা যাবে না তদন্ত ছাড়া। সিগারেটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে নাকি স্যাবোটেজ হয়েছে— এই প্রত্যেকটা বিষয়ে আমাদের তদন্ত করে দেখতে হবে।

অনেকগুলো সোর্স থেকে আগুনের সৃষ্টি হতে পারে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেও আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তাই তদন্ত ছাড়া এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’
এদিকে, দুই ঘণ্টা ধরে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেখানে আগুন লাগার খবর পাই।

প্রথমে আমাদের দুটি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আরো সাতটি ইউনিট যোগ দেয়। এরপর রাত ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার পরে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করতে ছুটে আসেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা।’

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স মিল থেকে আগুন গাড়ির গ্যারেজে ছড়িয়ে পড়ে। পরে গ্যারেজে থাকা বিভিন্ন গাড়িতে আগুন লেগে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এ সময় আশপাশের মানুষ ছোটাছুটি করতে থাকে। উৎসুক জনতার ভিড়ে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, ওই এলাকায় একটি গাড়ির গ্যারেজ ও রাবারের কাঁচামালের গোডাউন রয়েছে। কিছু গাড়ি বের করা সম্ভব হলেও অনেক গাড়ি পুড়ে গেছে।

খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন বলেন, ‘ওই স মিল খিলগাঁও থানার কাছেই। পাশের একটি গাড়ির গ্যারেজেও আগুন ছড়িয়েছে। ক্রাউডের কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল।

 

Header Ad
Header Ad

পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  

ব্যবসায়ী আবুল বাসার ওরফে মিন্টু। ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহী নগরীর পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো একটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে নগরীর লালন শাহ মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন এলাকার কাশবন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, হত্যা করে কাশবনে ফেলে দেওয়া হয়েছে লাশটি।

নিহত ব্যক্তির নাম আবুল বাসার ওরফে মিন্টু (৩৫)। পেশায় ব্যবসায়ী মিন্টু নগরীর মির্জাপুর পূর্বপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। বিনোদপুর বাজারে তার ইলেকট্রিক ব্যবসার দোকান আছে।

নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম জানান, কাশবনে ঘুরতে আসা কয়েকজন লাশটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। ঘুরতে আসা অনেকে লাশের ছবিটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে শেয়ার করে। জানাজানির পর নিহতের পরিবার ঘটনাস্থলে এসে লাশটি শনাক্ত করে।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে মিন্টুর খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। কাশবনে তার মুখ পলিথিন দিয়ে ঢাকা ছিল। পলিথিনের ওপর স্কচটেপ প্যাঁচানো ছিল।

ওসি আরও বলেন, ‘আলামত দেখে মনে হয়েছে এটি হত্যাকাণ্ড। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা হবে।’

Header Ad
Header Ad

সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত

ওমানের মাসকটে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যকার উক্ত বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।

তিনি বলেন, মাস্কাটে ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে কোন দেশ ও তার কী ধরনের কর্মকাণ্ড সার্ককে কোণঠাসা করে রেখেছে। তৌহিদ হোসেনকে জয়শঙ্কর এ কথাও বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের স্বাভাবিকীকরণ করাটা বাংলাদেশের উচিত নয়।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের কোনো কোনো উপদেষ্টার কিছু কিছু মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। জবাবে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ভারত এসব মন্তব্য নজরে রেখেছে। ওই ধরনের মন্তব্য ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজকর্মে তার প্রভাব–প্রতিক্রিয়ার বিষয়ও ভারতের গোচরে রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের মন্তব্য অবশ্যই সহায়ক নয়। এর প্রতিক্রিয়া কী, তা তাদেরই ভেবে দেখা দরকার।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালকদের বৈঠক সদ্য শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পালাবদলের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগগুলো অতিরঞ্জিত, মিডিয়ার সৃষ্টি।

এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে জয়সোয়াল বলেন, গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কী হয়েছে, সে বিষয়ে সবাই অবগত। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বারবার প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রকেও এ বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল
পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  
সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত
জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম