‘ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে শেখ রাসেলের আত্মদান তুলে ধরতে হবে আমাদেরই’
বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিশু পুত্র ১০ বছরের শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন আজ।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে স্মারক বৃক্ষরোপণ, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে কেক কাটা, আলোচনা সভার মাধ্যমে ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ভাই শেখ রাসেলের জন্মদিনে দুপুর ২টায় স্মারক বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে গাছ লাগিয়ে দিনের কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন।
প্রক্টর, ট্রেজারার, ডিন, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক সমিতি সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আবাসিক হলগুলোর প্রাধ্যক্ষ, আবাসিক শিক্ষক, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তা, কমচারী এবং ছাত্র সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও শিশুদের সাথে নিয়ে কেক কাটেন উপাচার্য।
দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কীর্তনখোলা অডিটোরিয়ামে বিকাল ৩টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র পরিচালক জ্যোতির্ময় বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা।
রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হালিমা বেগম সঞ্চালনা করেছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে শেখ রাসেল সম্পর্কে জানতে হবে। দিবস উদযাপনের প্রাসঙ্গিকতাই হচ্ছে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে শেখ রাসেলের আত্মদান তুলে ধরা, ধরতে হবে আমাদেরই। কত নৃশংস, অমানবিক ও চূড়ান্ত মানবাধিকারহীন হলে ১০ বছরের ছোট শিশুকেও নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়। বাঙালী হিসেবেও বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা এবং তৎপরবর্তী সঠিক ইতিহাস তরুণ প্রজন্মকে জানানোর দায়িত্ব আমাদের। তাহলেই শেখ রাসেল দিবস উদযাপন করা হবে।’
বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আব্দুল কাইউম, ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শ কেন্দ্র পরিচালক ড. তারেক মাহমুদ আবীর সভায় বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্য দেন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক আবু হাচান, গ্রেড ১১-১৬ কল্যাণ পরিষদ সভাপতি শাহাজাদা খান ও গ্রেড ১৭-২০ কল্যাণ পরিষদ সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং ছাত্র, ছাত্রীরা তখন উপস্থিত ছিলেন ৷
লেখা ও ছবি : শিফা নূর ইবাদি।
ওএফএস।