টিয়ার শেল নিক্ষেপ করতে গিয়ে বিস্ফোরণে আহত ৩ পুলিশ সদস্য
ফাইল ছবি
গাজীপুর মেট্রো এলাকায় টিয়ার শেল নিক্ষেপের সময় বিস্ফোরণে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন। আহতরা হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) প্রবীর (৪০), নায়েক খোরশেদ (৩৫) ও পুলিশ কনস্টেবল সুয়াদ হাসান (২৭)।
গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকায় আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংষর্ঘ হয়েছে। এ সময় পুলিশের এপিসি কারে বিস্ফোরণে কয়েকজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের হাতের কব্জি প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। বুধবার (৮ নভেম্বর) সাড়ে ৩টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো নাওজোড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
জানা গেছে, কারখানা শ্রমিকদের নূন্যতম বেতন ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের কোনাবাড়ি, কাশিমপুর, সফিপুর ও মৌচাকসহ আশপাশের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছে। এর পরিপ্রেক্ষিত্রে বুধবার সকালে আন্দোলন করে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এ সময় এক নারী শ্রমিক নিহত হয়। এরপর পরিস্থিতি পুরোই স্বাভাবিক ছিল। দুপুরের পর কোনাবাড়ি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় শ্রমিকরা। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় শ্রমিকরা। এ সময় সংঘর্ষে পুলিশের পাঁচ সদস্য গুরুতর আহত হয়। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠে। পরে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, র্যাবের সমন্বয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে শ্রমিকরা পিছু হটে যায়। পরে তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ভাওয়াল বদলে আলম সরকারি কলেজের সামনের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করছে তারা।
এডিসি নন্দিতা মালাকার ও অ্যাডিশনাল এসপি ফরিদা পারভিনের নেতৃত্বে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে একটি প্রতিনিধিদল আহতদের খোঁজ-খবর নিতে আসে। ফরিদা পারভিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা পুলিশ সদস্যদের আহত হওয়ার খবর শুনে এসেছি। আহত তিনজন ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন।’
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, বুধবার শ্রমিকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে মোট আট জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এর মধ্যে সকালে সংঘর্ষের ঘটনায় তিন ও বিকেলে নাওজোড় এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা পাঁচজন আহত হয়েছে। বিকেলে যে পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে, এদের শ্রমিকদের সাথে সংঘর্ষ ও এপিসি কারে বিস্ফোরণেও আহত হওয়া ঘটনা আছে। এখন শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যাচ্ছে, পরিস্থিতি ক্রমেই স্বাভাবিক হচ্ছে।