রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পহেলা বৈশাখের বাংলা নববর্ষ পালন করেছে। বাংলাদেশের আমের রাজধানী বিশ্ববিদ্যালয়টির চারুকলা অনুষদ তার ভবনটিকে বিশেষভাবে তাদের ছাত্র, ছাত্রী ও শিক্ষকদের মাধ্যমে রং, তুলির আঁচড়ে বাঙালির ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের প্রামাণ্যচিত্রগুলোতে সাজিয়েছে বহু কষ্ট করে। এই আয়োজনের শুরু হয়েছে বেশ আগে থেকে। চিত্রমালাগুলো, দেওয়ালগুলো দেখতে রাজশাহীর ক্যাম্পাসটি মানুষের মিলনমেলা ও বিস্ময়ের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশের ফসলের ভূমির এবারের প্রতিপাদ্য ছিল বৈশাখের-‘খেরোখাতায় আঁকবো রে আজ শিল্পী মনের কথা, রং দিয়ে রাঙাবো রে আজ আমাদের হালখাতা।’
অন্যান্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সকালে মঙ্গলশোভা করেছেন তারা। এরপর আলোচনা বৈশাখের। তাতে সভাপতি ছিলেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী। অংশ নিয়েছেন দুই উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া ও অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম।
ছাত্র ও সাংবাদিক আসিফ আহমেদকে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানমালার পেছনের গল্প করেছেন চারুকলার ডিন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়ভাবে পহেলা বৈশাখের কোনো আয়োজন করেনি। আমরাই করেছি। এক অর্থে বৃহৎ অনুষ্ঠান করেছে আমাদের চারুকলা অনুষদ। প্রথম অংশ হলো, পূর্ণাঙ্গ দেওয়ালচিত্রে আমরা বাংলার ঐতিহ্যকে ফুটিয়েছি। আরেক ভাগে মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা আছে।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আশপাশের ও দূরের মানুষের পহেলা বৈশাখে ঢল নেমেছে। পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন ফাহমিদা আক্তার। বলেছেন, ‘আবারো আমরা পহেলা বৈশাখের আনন্দ করতে পারছি। বাংলা নববর্ষে খুব ভালো লাগছে।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তারিকুল ইসলাম তৌফিকও খুব খুশি পহেলা বৈশাখে, ‘বাঙালির হাজার বছরের লোক সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করে প্রতি বছরের মতো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বাঙালির মনন, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে চলেছে।’ তারা সবার ছবি আঁকার আয়োজন করেছেন।
ওএস/