রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

অযৌক্তিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা অনুচিত

আমি মনে করি শেয়ার বাজার ভালো হবে। তবে এটি নির্ভর করছে মূলত আমাদের ম্যাক্রো ইকোনোমিকে ফান্ডামেন্টাল নিয়ন্ত্রণে থাকার মধ্য দিয়ে। এক্সচেঞ্জ রেট যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে আমাদের সমস্যা হবে। নানা কারণে কিছু অস্থিরতা অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় থাকবে। কিন্তু অযৌক্তিকভাবে অস্থিরতা বৃদ্ধি করা অনুচিত বলে আমি মনে করি।

তা ছাড়া, এই সময়ে শিল্প কারখানাগুলো বড় ধরনের কোনো বিনিয়োগে যাবে না। তা ছাড়া, বিদেশি বিনিয়োগও আমরা খুব বেশি আশা করতে পারছি না। কারণ, বিনিয়োগকারীরা গত ছয় মাসে শেয়ার বাজার থেকে বহু টাকা নিয়ে গেছে। সেটি যে ফেরত আসবে এটি আশা করা যায় না। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ এখনো চলমান। পৃথিবী কখন শান্তিময় হয় সেটি অনিশ্চিত। এর মধ্য দিয়েই আমাদের এগোতে হবে।

সরকারের নানা খাতে দুর্নীতি হচ্ছে, অপচয় হচ্ছে, তার মূল্য জনগণকেই দিতে হচ্ছে। আইএমএফের প্রধান এসেছেন। তাদের সবকিছু যে সাধারণ জনগণের পক্ষে যাচ্ছে তা নয়, কিছু শর্ত হয়ত দরকারও আছে। আমরা নিজেরা কিছু বলি না বলে এরা সেগুলো দিচ্ছে। কিন্তু ভর্তুকির ক্ষেত্রে যেসকল শর্ত আইএমএফ দেয় সেগুলো হজম করা আমাদের জন্যও কঠিন বটে।

আমাদের কথা, যেসকল খাতে ভর্তুকি দেওয়া উচিতই না, সরকার এগুলোই দিয়ে যাচ্ছে। সেগুলো সরকারের বিবেচনা করা উচিত। যেমন ক্ষতি গুণছে এ রকম কিছু কারখানা আছে সরকারের। এগুলোতে বছরের পর বছর ভর্তুকি চালানো কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

আমার মতে শেয়ায় বাজারে উত্থান পতনের মতো টানাপোড়েন থাকবে। শেয়ার বাজার অর্থনীতিকে যেমন টেনে উপরে তোলে, আবার শেয়ার বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলে তখন হতাশাকে চারিদিকে ছড়িয়ে দেয়। শেয়ার বাজার ২০২২ এর শেষ অংশে ভালো যায়নি। বেচাকেনা না হলে শেয়ার বাজারে প্রাণ সঞ্চালিত হবে না। শেয়ার বাজারে আসা সহজ কিন্তু এখান থেকে বের হওয়া কঠিন। অস্থিরতা অর্থনীতিতে থাকবে।

এখন আসলে সবকিছু নির্ভর করছে, আমরা যদি একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দিকে যেতে পারি। সেখানে সমস্যা হলে সেটি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। অর্থ সহজলভ্য কিছু লোকের জন্য, তারাই পাচার করছে। কিছু ব্যবসায়ী সরকারের আনুকূল্যে থেকে, যে ব্যবসাতে অতিরিক্ত লাভ করেছে। অর্থ পাচারও তারাই করেছে। এ ছাড়া, সাধারণ মধ্যবিত্তরা কেউ অর্থ পাচার করতে পারেও না। এরা যদি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকত তাহলে এসব হত না। সরকারের যদি মদদ না থাকে, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের মাধ্যমে যে কণ্ঠরোধ, মতামত দেওয়া এগুলো যে সীমিত হয়ে গেছে, এটি হয়েছে যেখানে গণতন্ত্র অনুপস্থিত, যদি গণতন্ত্র থাকত তাহলে এতসব কিছু দরকার হত না।

কাজেই আমাদের আশা যেমন আছে, হতাশাও আছে। খুব বেশি আশা করাও ঠিক না আমাদের। সামাজিক অস্থিরতা থাকবেই। সেটি নিবারণ করতে হলে একটি ভালো নির্বাচনের দিকে আমাদের যেতে হবে। এদেশে ভালো একটি নির্বাচন কীভাবে করা যায়, সরকার সেটি ভেবে দেখতে পারে।

বিদেশিদের সঙ্গে কথা বলতে পারে। বাংলাদেশের যারা বন্ধু রাষ্ট্র তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারে তাদের মতামত উপদেশ শুনতে পারে। সবশেষে দেশটির যেন মংগল হয়, দেশের অর্থনীতির ভিত্তিটুকু যেন মজবুত হয় সেদিকটি সবার আগে সবাইকে ভাবতে হবে।

আবু আহমেদ: অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

 

Header Ad
Header Ad

আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা

ছবি: সংগৃহীত

মুসলিম বিশ্বের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ ভেঙে সেখানে ইহুদি মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করছে দখলদার ইসরায়েলের অবৈধ বসতিস্থাপনকারীরা। হিব্রু ভাষার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এ নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করছে তারা। বিষয়টি সামনে আসতেই ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র ও প্রবাসী মন্ত্রণালয় এ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক্স প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে ফিলিস্তিনি মন্ত্রণালয় জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার আহ্বান জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, এ পরিকল্পনাকে তারা ইসলামিক এবং খ্রিস্টান পবিত্র স্থানগুলোর বিরুদ্ধে এক ধরনের ‘পদ্ধতিগত উসকানি’ হিসেবে দেখছে।

জেরুজালেমের ‘স্ট্যাটাস কু’ অনুযায়ী, আল-আকসা প্রাঙ্গণে অমুসলিমদের প্রার্থনা নিষিদ্ধ হলেও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেখানে ইহুদিদের প্রবেশ এবং ধর্মীয় কার্যক্রম বেড়েছে। এখন তারা সেখানে থার্ড টেম্পল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে, যা অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা ছড়াতে পারে।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে অন্তত ৬৪ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের অধিকাংশই গাজা সিটি ও উত্তর গাজার বাসিন্দা। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) বর্তমানে রাফা শহরের কাছে ঘাঁটি গেড়ে সামরিক তৎপরতা চালাচ্ছে।

হামাস জানিয়ে দিয়েছে, তারা আর কোনও অন্তর্বর্তী যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয়। সংগঠনের সিনিয়র নেতা খলিল আল-হায়া শুক্রবার এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, তারা একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তির ভিত্তিতেই আলোচনা করতে চায়, যার আওতায় গাজা যুদ্ধের অবসান, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি এবং গাজার পুনর্গঠন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েলি সরকার নিজেদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে আংশিক চুক্তিগুলো ব্যবহার করছে এবং সব জিম্মিকে বলি দিতে প্রস্তুত।

ইতোমধ্যে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত দেড় বছরে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫১ হাজার এবং আহতের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজারে পৌঁছেছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে, কারণ অনেকেই এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।

এই অব্যাহত মানবিক সংকটে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ বাড়ছে, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনও সম্ভাবনা এখনো দেখা যাচ্ছে না।

সূত্র: রয়টার্স, আলজাজিরা

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে—এমন অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

রোববার (২০ এপ্রিল) ট্রাইব্যুনালে চলমান শুনানিতে তিনি এসব তথ্য উপস্থাপন করেন। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয় প্রসিকিউশন টিমকে।

ব্রিফ করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

চিফ প্রসিকিউটর জানান, তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, পরিকল্পিত সহিংসতা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের নির্ভরযোগ্য সাক্ষ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, "তথ্য-প্রমাণে এটা পরিষ্কার, অভিযুক্তরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা অপব্যবহার করে জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালিয়েছেন।"

এর আগে সকালেই প্রিজনভ্যানে করে সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৯ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানিকালে উপস্থিত ছিলেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন– আনিসুল হক, ডা. দীপু মনি, ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান, কামাল আহমেদ মজুমদার, জুনায়েদ আহমেদ পলক, সোলাইমান সেলিম, বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, জাহাংগীর আলম, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান।

Header Ad
Header Ad

স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে চীন ১৩৮.২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য দেবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। রোববার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ইউনান শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জানান, ঢাকার ধামরাইয়ে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের জন্য একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণে সম্মত হয়েছে চীন। এছাড়া, একটি ১,০০০ শয্যার আধুনিক হাসপাতাল স্থাপন নিয়েও আলোচনা চলছে।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ চীনের জন্য স্বাস্থ্য খাতে একটি ভালো বাজার হতে পারে।” একইসঙ্গে উল্লেখ করেন, “চীনা রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, ড. ইউনূসের সাম্প্রতিক চীন সফর সফল হয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মানুষ সহজেই চিকিৎসার জন্য চীনে যেতে পারবে।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ট্রাইব্যুনালে সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
হাতিরঝিলে যুবদল নেতার ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে
আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা
বিয়ের আসরে কনের বেশে শাশুড়ি, থানায় হাজির বর
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, রাস্তায় হাজারো মানুষ
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রাও
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত
গাজায় আরও ৫২ জন নিহত, হামলা জোরদারের নির্দেশ নেতানিয়াহুর