শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

রিজার্ভ কমলে বড় চাপ অবশ্যম্ভাবী

গত এক সপ্তাহে ইউরো এবং ডলারের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। কারণ, দেশে ভালো রেটে ডলার-ইউরোর বিপরীতে টাকা পাওয়া যাচ্ছে, সঙ্গে বাড়তি শতকরা ২ দশমিক ৫ ভাগ প্রণোদনা তো আছেই। যার ফলে জুলাই মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। কিন্তু তার বিপরীতে কেন রিজার্ভ কমছে? বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনীতি মন্দায়, অনেক উন্নত দেশ অর্থনৈতিক বিপর্যের মুখে রাষ্ট্রীয় ভাণ্ডারকে সংকুচিত করে ফেলেছেন।

ঋণ নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও আবারও ঋণ নিচ্ছেন। অনেক দেশ সময় মতো ঋণ পরিশোধ না করার কারণে করোনার মধ্যেও বিশ্ব ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক বিশ্ব আর্থিক সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের চাপের মুখে আছে। গত দুই বছরের করোনার ধাক্কায় সমগ্র বিশ্ব ছিল অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সম্মুখে। আজ থেকে প্রায় ৪৩ বছর আগে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মহামন্দার পর থেকে অর্থনীতিতে এত বড় আঘাত আর আসেনি। তবে আর্থিক মন্দার নেতিবাচক প্রভাব বেশি পরিলক্ষিত হয় প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা উন্নত দেশগুলোতে। উন্নয়নশীল ও অনুন্নত অনেক দেশ, যাদের আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক তুলনামূলকভাবে কম, আর্থিক মন্দার কবল থেকে নিজেদের অনেকটাই সুরক্ষিত রাখতে পেরেছিল। কিন্তু বিশ্বজুড়ে করোনার প্রভাব ছিল সমান্তরাল ও অভাবনীয়।

ডলার টাকার হিসাবে অনেক আগে থেকেই দাম বাড়ছে। রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। রিজার্ভ কমে গেলে একটি চাপ আসবে অবশ্যম্ভাবীভাবেই। আগামীতে হয়তো রপ্তানি বাড়তে পারে। রপ্তানিকারকরাও বিনিময়ে বেশি টাকা পাবে। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে এবং বেড়ে গেছেও। সরকারের রাজস্ব আয় ভালো বলা যাবে না। এখনো ১৪ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশের মতো গ্রোথ হয়। নমিনাল জিডিপির হার আনুপাতিক হারে বাড়ছে না। এই সমস্যাগুলোর সমাধান জরুরি। খাদ্যমূল্য অন্তর্জাতিক বাজারে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বেড়ে যাওয়াতে আমাদের উপর অন্যরকম চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। দেশে মূল্যস্ফীতির কারণ হচ্ছে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো। এর ফলে অনেক ক্ষেত্রেই উৎপাদন ব্যাহত হবে। একদিকে যেভাবেই হোক সম্ভব মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা এবং অন্যদিকে যারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অর্থাৎ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ তাদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় রাখা লাগবে।

করোনার এ নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে বিশ্ব যখন উম্মুখ ঠিক তখনই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সেই পুনরুদ্ধারের গতিকে শ্লথ করে দিয়েছে অনেকটাই। বিশেষ করে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে সারা বিশ্বে মূল্যস্ফীতি নামক এক অর্থনৈতিক খড়গ আরোপ করেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোতে সবার উপরে রয়েছে ‘মূল্যস্ফীতি কেন হয় এবং কীভাবে এর নেতিবাচক প্রভাব থেকে অর্থনীতিকে রক্ষা করা যায়, এ নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট ধোঁয়াশা। বিশ্বের সিংহভাগ বৈদেশিক বাণিজ্য বা আমদানি-রপ্তানি হয় ডলারের বিনিময়ে। ফলে বাংলাদেশ, তুরস্ক, মিসর ও ভারতের মতো যেসব দেশ কাঁচামাল আমদানি করে তারা বর্তমান ডলারের ঊর্ধ্বগতির কারণে কোণঠাসা হয়ে গেছে। এতে অধিকাংশ আমদানি করা পণ্যের দাম স্থানীয় বাজারে রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে, যার একমাত্র কারণ মুদ্রাস্ফীতি-মূল্যস্ফীতি। মুদ্রাস্ফীতি বলতে অর্থনীতিতে মুদ্রার সরবরাহ বৃদ্ধি কী বোঝানো হয়। অর্থনীতিতে মুদ্রার সরবরাহ বেড়ে গেলে এবং পণ্য ও সেবার সরবরাহ অপরিবর্তিত থাকলে মূল্যস্ফীতি ঘটে। কারণ, অনেক বেশি টাকা সীমিত পণ্য ও সেবার পেছনে ধাওয়া করে। এতে চাহিদা ও মূল্যস্তর দুটিই বেড়ে যায়।

রপ্তানি এবং রেমিট্যান্স প্রবাহের তুলনায় আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় কয়েক মাস ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলারের মজুদ চাপ বাড়ছিল।সর্বশেষ কয়েকদিন আগে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলারের আমদানি দায় শোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে এবং সে কারণে রিজার্ভ এ কিছুটা ঘাটতি দেখা দিয়েছে।বিশ্বের যেসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্য বা আমদানি-রপ্তানি বেশি হয়, টাকার অংকে সেই তালিকার শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে নেই রাশিয়া বা ইউক্রেন। কিন্তু দুইটি দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের বাণিজ্য রয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে ইউরোপসহ বিশ্বের অনেক দেশেই জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব পড়েছে। বৈশ্বায়নের এই যুগে পৃথিবীর যে কোনো দেশের মধ্যে সংঘাতের প্রভাব অন্য দেশগুলোর উপরেও ছড়িয়ে পড়ে, যদিও গত দু'সপ্তাহ যাবৎ বিশেষ বাজারে তেলের দাম অনেকটা কমতির দিকে। সেখানে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম যখন কমছে তখন বাংলাদেশ সরকার কেন তেলের দাম বাড়াল। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও বাড়বে, তখন দেশের বাজারে মূল্য সমন্বয়ের চেষ্টা করতে হবে বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে তার প্রভাবে পরিবহনের ভাড়া বাড়বে। পণ্য পরিবহনে খরচ বেশি হলে সেগুলোর দাম বাড়বে, যাত্রীদের বেশি ভাড়া গুণতে হবে, এমনকি কৃষি উৎপাদনেও খরচ বেড়ে যাবে।

অর্থনীতিরও একটি গতি আছে। একটি নিয়ম কানুন আছে। সামঞ্জস্যের একটি প্রশ্ন আছে। আইন করে কি করা যাবে আমি জানি না। আমার মনে হয় না যে, আইন করে যেটি হয়, মাঝেমধ্যে এটি আরও সমস্যা উদ্রেক করে। সরকার চেষ্টা করছে, টিসিবির মাধ্যমে বিভিন্ন কার্ড দিয়ে কিছুটা হলেও জনদুর্ভোগ এড়াতে চেষ্টা করছে। খুবই দুক্ষজনক। এটি থেকে মানুষের পরিত্রাণ পাওয়া উচিত।

লেখক: অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় ফের ঝটিকা মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ১৮ নম্বর আসন এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে এই মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিলটি ঢাকার উত্তরা এলাকায় সংগঠিত হয়, যেখানে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। উপস্থিত নেতাকর্মীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দিতে থাকেন এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবি জানান।

মিছিলে তারা ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’, ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা’, ‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’, ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ এবং ‘শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার’—এই ধরনের স্লোগানে রাজপথ কাঁপান।

জানা গেছে, এই ঝটিকা মিছিলে নেতৃত্ব দেন উত্তরখান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মিলন।

আওয়ামী লীগের সাবেক ছাত্রনেতা নুর হোসেন তার ফেসবুকে মিছিলের একটি ভিডিও পোস্ট করে জানান, “আজ ১৮/০৪/২৫ ইং তারিখ সকালে উত্তরা ঢাকা-১৮ আসনের আওয়ামী লীগ ও এর সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।”

এর আগেও গত ১৫ এপ্রিল রাজধানীর বাড্ডা, ভাটারা ও রামপুরা প্রধান সড়কে আওয়ামী লীগ একটি হঠাৎ ঝটিকা মিছিল করেছিল।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ও তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দলটির নেতাকর্মীরা রাজপথে সক্রিয় রয়েছে। বিভিন্ন সময় তারা হঠাৎ বিক্ষোভ ও মিছিল করে বর্তমান সরকারবিরোধী অবস্থান প্রকাশ করে চলেছেন।

Header Ad
Header Ad

২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো

লিওনেল মেসি। ছবি: সংগৃহীত

কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে—লিওনেল মেসি কি খেলবেন ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে? বারবারই আশাব্যঞ্জক ইঙ্গিত দিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এবারও তার কথায় সেই সম্ভাবনার ইঙ্গিত মিলেছে।

সম্প্রতি ‘সিম্পিলিমেন্টে ফুটবল’ নামক এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, তিনি ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছেন এবং দলে থাকতে চান। তবে সিদ্ধান্ত নেবেন নিজের শারীরিক ও মানসিক ফিটনেস বিবেচনা করে।

“নিজের প্রতি সৎ থাকতে হবে আমাকে। আমি যদি দেখি যে বিশ্বকাপে খেলার মতো ফিট আছি, দলকে সাহায্য করতে পারব—তবেই সিদ্ধান্ত নেব। আমি কোনোভাবেই দলের বোঝা হতে চাই না।” — বললেন মেসি।

আগামী জুনে ৩৮ বছরে পা রাখবেন তিনি, আর ২০২৬ বিশ্বকাপে বয়স হবে ৩৯। এমন বয়সে বিশ্বকাপ খেলাটা সহজ নয়। তাই মেসি বলছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে যাচাই করে এগোচ্ছেন।

সাক্ষাৎকারে তিনি ফিরেছেন ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের কথায়ও, যেখানে আর্জেন্টিনা হেরে গিয়েছিল জার্মানির কাছে। এ প্রসঙ্গে কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে নিজের একটি তুলনা টেনেছেন তিনি।

“এমবাপ্পে ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালে চার গোল করেও জিততে পারেনি। এটা অনেকটা আমার ২০১৪ সালের অনুভূতির মতো। যদিও তার কাছে ২০১৮ সালের একটি বিশ্বকাপ শিরোপা আছে, সেটা একটা সান্ত্বনা। কিন্তু ওই হার আমার জন্য মানসিকভাবে খুবই কষ্টদায়ক ছিল। এখনো ভাবলে মনে হয়, আমারও দুটি বিশ্বকাপ থাকতে পারত।”

তবে কাতারে বিশ্বকাপ জয়ের পর মেসি নিজেকে পরিপূর্ণ মনে করছেন। তিনি বলেন, “আমার আর কিছু চাওয়ার নেই। ফুটবলে যা কিছু অর্জন করা সম্ভব, আমি তা পেয়েছি। বিশ্বকাপটাই শুধু ছিল না, সেটাও এখন আছে। ঈশ্বরের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ—তিনি আমাকে সব দিয়েছেন।”

Header Ad
Header Ad

পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে মন্তব্য এসেছে, তা ভিত্তিহীন এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যে নিপীড়ন চলে আসছে, তার প্রতি ভারতের দীর্ঘদিনের উদ্বেগের সঙ্গে এই বিষয়টির তুলনা টানার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা একেবারেই অসৎ প্রচেষ্টা। এমনকি যেসব অপরাধী ওইসব ঘটনায় জড়িত, তারা আজও বিচার এড়িয়ে চলেছে।”

এর আগে ৮ এপ্রিল, ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আমরা ভারতের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

এই মন্তব্যকেই ‘হস্তক্ষেপমূলক’ ও ‘অযৌক্তিক’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশকে দায়ী করেছেন। গত ১৬ এপ্রিল নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এক সভায় তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি ছড়িয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, নতুন ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলায় ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আগুন লাগানো, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সড়ক অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এই ইস্যু শুধু পশ্চিমবঙ্গেই সীমাবদ্ধ নয়—উত্তর প্রদেশসহ ভারতের আরও কিছু রাজ্যেও সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের মধ্যে অসন্তোষ এবং নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা