শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পার্থর দুর্নীতি ও শিক্ষা খাতের বেহাল দশা

ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো স্লোগান তুলেছে-চোর ধর, জেল ভরো। এই স্লোগানে পশ্চিমবঙ্গের আকাশ বাতাস মুখরিত। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাহাড়সম দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই গোটা ভারতে তোলপাড় হয়ে গিয়েছে।

শিক্ষাক্ষেত্রে বেআইনি কার্যকলাপ চালাতে গিয়ে একজন শিক্ষামন্ত্রী কতটা নিচে নামতে পারেন তা নিয়ে নিরলস চলছে জলসা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার সঙ্গীনিকে গ্রেপ্তার করে গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে এনাফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই তদন্তে রোজ উঠে আসছে একের পর এক নতুন নতুন কেলেঙ্কারির কথা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় যদি সেই কেলেঙ্কারির অক্টোপাস হন, তাহলে তার শুড় পৌঁছেছে প্রতিবেশী বাংলাদেশেও।

সরকারি শিক্ষা বাবস্থার বরোটা তো তিনি নিজের দায়িত্বে বাজিয়েছেন। পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকেও তিনি কোটি কোটি টাকার কাটমানি খেয়েছেন। এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে। এসএসসি নিয়োগ মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইতিমধোই গ্রেপ্তার করেছে ইডি। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী যে দুর্নীতির পাহাড়ে বসেছিলেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত ইডির গোয়েন্দারা ।' ইডি আধিকারিকরা মনে করছেন, এ ক্ষেত্রেও কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।

২০১৪ থেকে ২০২১-একটানা সাত বছর রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই সময়কালে বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমোদন দেওয়া হয়। অনেক ক্ষেত্রেই এই অনুমোদনের জন্য কোটি কোটি টাকার হাতবদল হয়েছে বলে ইডি খবর পেয়েছে। এমনই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন ইডির গোয়েন্দারা। তারা জানিয়েছেন, এমনই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাবিকাঠি হলেন বাংলাদেশের এক প্রাক্তন মেজর। তিন প্রায়ই কলকাতায় আসেন এবং বাংলাদেশ থেকে পড়ুয়াদের এপারের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর দায়িত্ব পালন করে থাকেন। প্রাক্তন আমলে অনুমোদনপ্রাপ্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চালুর ক্ষেত্রে গাইডলাইন অনুযায়ী যথেষ্ট পরিকাঠামো ছিল না। কিন্তু কাগজ-কলমে তা দেখিয়ে দেওয়া হয় কোটি কোটি টাকার । এমনকি কোর্স চালুর ক্ষেত্রেও কাটমানি নেওয়া হয়েছে বলে ইডির দাবি। এই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ই এখন ইডির ব্যানারে।

এখানেই শেষ নয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বছরের বিভিন্ন সময় প্রশ্নপত্র, মার্কশিট মিট কার্ড, বুলেট, ম্যাগাজিন, ইত্যাদি ছাপতে হয়। সাধারণত সরকারি প্রেস থেকে এগুলো ছাপা হত। কিন্তু করোনাকালে এই বিপুল সামগ্রী ছাপার বরাত পায় একাধিক বেসরকারি প্রেস। এখানেও কমিশনের বিনিময়ে

টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নথি সামনে এসেছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ কোটি টাকার একটি নথিও হাতে পেয়েছে ইডি। এক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ আধিকারিক ও লোকজনের নাম উঠে আসছে। কমিশনের নিয়মে অভিযান করে। তার ঘি অপি মুখোখোপাধ্যারের বাড়িতে টাকার পাহাড়ের খোঁজে । আপাতত দু'জনেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। এখন প্রশ্ন, এই দুর্নীতির শিকড় ঠিক কতটা গভীরে? কীভাবে হয়েছে এই গোটা দুর্নীতি? অঙ্কটা ঠিক কত এবং দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতেই কীভাবে তা ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেতে এবং হিমশৈলের চুড়ার খোঁজে অন্তর্তদাস্তে উঠে এসেছে চোখ কপালে তোলার মতো সব তথ্য।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের দ্বারা নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুীতির অভিযোগ উঠে। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডিতেও নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মূলত ওয়েটিং লিস্ট নিয়েই অভিযোগ ঘণীভূত হয়েছে। চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ। ওয়েটিং লিস্টে আগে নাম থাকা ব্যক্তি চাকরি পাননি। বরং পেছনের দিক থেকে অনেকেই চাকরি পেয়েছেন।

এমনকি বাইরে থেকেও নাকি চাকরি হয়েছে। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে চাকরি প্রার্থীরা তথ্য-প্রমাণও জমা দেন। ১৯ হাজার থেকে ১২ হাজার পদে বেআইনিভাবে নিয়োগের অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযোগ ফাঁস হতেই নড়েচড়ে বসে। বঞ্চিতদের ক্ষোভের আগুন প্রশমিত করতে জরুরি ভিন্তিতে অতিরিক্ত পদ গঠন করা হয়। যে পদগুলোর নাম দেওয়া হয় ‘ডাইং ক্যাডার পোস্ট’।

কী এই ‘ডাইং ক্যাডার পোস্ট’?

স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, কেবলমাত্র বঞ্চিতদের নিয়োগের জনাই এই বিশেষ পদটি তৈরি হবে। ওই চাকরি প্রার্থীরা অবসরের সঙ্গে সঙ্গে ‘ডাইং ক্যাডার পোস্ট’ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। অতিরিক্ত ওই পদে আর কোনোদিন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে না। কত অতিরিক্ত পদ? নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে ১৯৩২ অতিরিক্ত পদ এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে ২৮৭ অতিরিক্ত পদ, গ্রুপ সি’র নিয়োগে ১১০২ অতিরিক্ত পদ, গ্রুপ ডি’র নিয়োগে ১৯৮০ অতিরিক্ত পদ।

চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতি জেলা থেকে টাকা তোলা হয়। প্রচুর অযোগ্য ব্যাক্তি চাকরি পেয়েছেন। প্রাথীপিছু ১০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যস্ত ঘুষ নেওয়া হয়েছে। টাকা দিয়েও অনেকে চাকরি পাননি। তব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় রোজই বলে চলেছেন, তিনি কিছুই জানতেন না। সোশাল মিডিয়ায় একের পর এক বিদ্রুপাত্মক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তিনি যখন কিছুই জানতেন না, তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে কী করছিলেন?

তিনি চিটফান্ড কেলেঙ্কারির কথা জানতেন না। তিনি নন্দী গ্রামে শিশির ও শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না, কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়া মাত্র তিনি সব বুঝতে পেরেছিলেন।

রাজীব ব্যানার্জীর দপ্তরের গরমিল প্রসঙ্গেও তিনি কিছু জানতেন না. রাজীব বিজেপিতে যোগ দেওয়া অবধি। তারপর রাভীব ফিরে এলেন, মমতাও এখন আবার কিছুই জানেন না। অর্জুন সিং যে গুণ্ডা তাও তিনি অর্জুন বিজেপিতে যোগ দেওয়া অবধি জানতেন না। যেই অর্জুন বিজেপিতে গেলেন, মমতা সমস্ত শুণ্ডামি আর অন্যায়গুলো জেনে ফেললেন। এখন আবার অর্জুন তৃণমূলে চলে আদার গর উনি আর কিছুই জানেন না। ভাদু শেখের দুর্নীতি নিয়েও মমতা কিছুই জানতেন না। দশটা লোক পুড়ে মরে যাওয়ার পরে জানতে পারলেন। টেট কেলেঙ্কারির কথাও মমতা জানতেন না, এদিকে ওরই পুলিশ প্রতিবাদীদের মেরে ঠাণ্ডা করে দিতে চেয়েছিল । মইদুল মিদ্দা মারা যায় সেই ঘটনায়। মমতারই মন্ত্রিসভার সদসা পরেশ অধিকারীর মেয়ে বিনা ইন্টারভিউতেই চাকরি পেয়ে যায়। এসএসসি কেলেঙ্কারির কথাও মমতা জানতেন না। ৫০০ দিন ধরে চলতে থাকা আন্দোলনের পরেও । এখানেও মমতারই পুলিশ বহুবার আন্দোলনকারীদের ওপরে হামলা করেছে। মমতা জানতেন না।

চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে কুণাল ঘোষের জড়িত থাকা সম্পর্কেও মমতা কিছুই জানতেন না। না জেনেই কুণালের জন্যে মিছিল টিছিল করে ফেলেছিলেন। তারপর কুণালের দুর্নীতির কথা জানতে পেরে সাসপেন্ড করলেন। আবার কুণালকে ফিরিয়ে এনে মুখপাত্র আর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক করে দিলেন। এখন আবার মমতা কিছুই জানেন না কুণাল সম্পর্কে।

পার্থ চ্যাটাজীর ঘটনা সামনে আসার পর তিনি বলছেন যে উনি এসবের কিছুই জানতেন না। অথচ পার্থ তৃণমূলের জন্ম থেকে মমতার সঙ্গে রয়েছেন, দলের মহাসচিব-রাষ্ট্রসংঘ ছাড়া যে পদ আর কারও নেই।

রাজোর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া শিক্ষা দফতরের নানা নথি এবং দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ইডি সূত্রের দাবি, শিক্ষায় সরকারি নিয়োগে দুর্নীতির শুরুটা অস্ত ১০ বছর আগে। ২০১২-র প্রাথমিক টেট (টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট) থেকেই ওই দুর্নীতির শুরু বলে দাবি তদন্তকারী একটি সৃত্রের। সূত্রের আরও দাবি, চাকরি বিক্রির জন্য অতিরিক্ত পদও না কি সৃষ্টি করা হয়েছিল বলে তাদের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।

তদন্তকারীদের দাবি, ২০১২-তে প্রাথমিক. টেট হয়েছিল। পরবর্তী কালে ২০১৪-র টেট ২০১৫-তে হয় এবং ২০১৭-র পরীক্ষা ২০২১-এ হয়। ২০১৪-র উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষাও সময় অনুযায়ী হয়নি এবং ওই পরীক্ষার মূল্যায়নের ভিত্তিতে এখনো পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়নি। তদন্তকারীদের দাবি, স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি), প্রাথমিক টেট এবং উচ্চ প্রাথমিকের সব নিয়োগ পরীক্ষা পদ্ধতি ধোঁয়াশায় ভরা। ইডি সূত্রের দাবি অনুযায়ী, তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে পার্থ নাকি জানিয়েছেন, ২০১২-ত তিনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন না। তাই ওই বিষয়ে তার জানা নেই।

তদন্তকারীদের সূত্রের দাবি, তদন্ত যত এগোচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও 'প্রভাবশালীর নাম উঠে আসছে। রাজা জুড়ে শাসক দলের মন্ত্রী বিধায়ক, সাংসদ, পুরসভার কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত কর্তাদের সুপারিশে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। টাকার লেনদেনও হয়েছে বলে দাবি তদস্তকারীদের। তদন্তকারীদের দাবি, মূলত শাসক দলের কর্মীদেরই বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে এবং তা সব ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমেই করা হয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। ইডির এক কর্তা বলেন, ‘তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে একাধিক প্রভাবশালী এবং শিক্ষা দপ্তরের একাধিক কর্তা-কর্মীদের যোগসাজশের তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সচিব সুকান্ত আচার্য ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যসহ একাধিক আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দুর্নীতি কাণ্ডের লভ্যাংশের টাকা কোথায় পৌঁছেছে এবং সম্পন্তিসহ কোথায় বিনিয়োগ করা হয়েছে তার একাধিক সূত্র হাতে এসেছে।

লেখক: ভারতের সিনিয়র সাংবাদিক

 

Header Ad
Header Ad

সূর্যের সবচেয়ে কাছে মানুষের তৈরি যান

ছবি: সংগৃহীত

নাসার পার্কার সোলার প্রোভ মহাকাশযান সূর্যের সবচেয়ে কাছে পৌঁছে সক্রিয় অবস্থায় থেকে ইতিহাস গড়েছে। সূর্যের চরম তাপ ও বিকিরণ সহ্য করে মহাকাশযানটি তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময়) এটি সূর্যের কাছাকাছি অবস্থান থেকে সংকেত পাঠিয়েছে।

সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৩৮ লাখ মাইল দূরত্বে পৌঁছেছে পার্কার সোলার প্রোভ। তুলনামূলকভাবে পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব প্রায় ৯ কোটি ৩০ লাখ মাইল। নাসা জানিয়েছে, এই মহাকাশযানটি সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করেছে এবং এটি নিরাপদ রয়েছে।

সূর্যের কার্যপদ্ধতি, সৌরঝড়, এবং সূর্যের শক্তিকণা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করাই এই অভিযানের মূল লক্ষ্য। সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডল ‘করোনা’ কেন এত উত্তপ্ত, তা জানার জন্য বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালাচ্ছেন।

মহাকাশযানটি ১,৮০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৯৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপমাত্রা সহ্য করেছে। এটি বিশেষ কার্বন ঢাল (১১.৫ সেন্টিমিটার) এবং তাপ সহনশীল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি। দ্রুত গতির জন্য এটি মহাকর্ষ বলকে কাজে লাগিয়ে তার গতি বাড়ায়। পার্কার সোলার প্রোভ এত দ্রুত চলে যে লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক যেতে এর সময় লাগবে মাত্র ৩০ সেকেন্ড।

নাসার বিজ্ঞান গবেষণার প্রধান ড. নিকোল ফক্স বলেন, “সূর্যের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ না করলে এর প্রকৃতি ও কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে পুরোপুরি বোঝা সম্ভব নয়।” মহাকাশযানটি ইতিমধ্যেই সূর্যকে ২১ বার প্রদক্ষিণ করেছে এবং প্রতিবার আরও কাছে পৌঁছাচ্ছে।

বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য মহাকাশযানটিকে সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডল ‘করোনা’-তে পাঠানো। করোনার উচ্চ তাপমাত্রার কারণ এবং সূর্যঝড়ের বিষয়ে নতুন তথ্য উদঘাটন করার প্রত্যাশা করছেন তারা।

ড. জেনিফার মিলার্ড বলেন, “করোনা এত উত্তপ্ত কেন তা আমরা এখনও পুরোপুরি জানি না। আশা করি, এই মিশন রহস্যের জট খুলে দেবে।”

সূর্য এবং তার কার্যক্রম সম্পর্কে নতুন তথ্য সংগ্রহে পার্কার সোলার প্রোভ যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করছে। এটি বিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিনের গবেষণাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

Header Ad
Header Ad

বর্তমান সরকার রিজার্ভ বাড়িয়েছে, ব্যাংক সেক্টর সচল করছে: জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‌‘বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়িয়েছে। একইসাথে ব্যাংক সেক্টরও আস্তে আস্তে সচল করছে। কিন্তু জাতির প্রত্যাশা আরও অনেক বেশি।’ তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির চাকাকে আরও গতিশীল করতে সরকারকে আরও বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’

আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় যশোর ঈদগাহ ময়দানে যশোর জেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসুলের সভাপতিত্বে কর্মীসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক ও মাওলানা আজীজুর রহমান, জামায়াতের ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও নড়াইল জেলা শাখার আমিরসহ যশোর জেলা জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘দেশকে নাকি তারা উন্নয়নের মহাসড়কে উঠিয়ে রোল মডেল বানিয়েছিল। অথচ এখন চারদিকে হাহাকার। মিল, ফ্যাক্টরি, ইন্ডাস্ট্রির মালিকরা তাদের কর্মচারিদের বেতন দিতে পারছে না। সরকারি ইন্ডাস্ট্রি সব লেআউট হয়ে পড়ে আছে। সৎ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা লাটে ওঠার উপক্রম। ব্যাংকগুলো ব্যবসায়ীদের পুঁজি দিতে পারছে না। সমস্ত ব্যাংক ফোকলা করে পেট খালি করে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে।’

প্রধান অতিথি বর্তমান সরকারের রিজার্ভ বাড়ানো ও ব্যাংক সেক্টরকে সচল করার প্রশংসা করলেও নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্য ও সিন্ডিকেট বিদ্যমান থাকার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘বাজারে এখন আগুন, মানুষ পেট ভরছে আগুন দিয়ে’। তিনি অভিযোগ করেন, ‘আগের সিন্ডিকেটগুলো এখনও ভাঙতে পারেনি সরকার। ক্ষেত্রবিশেষে সিন্ডিকেটের হাত বদল হয়েছে। একজন চাঁদাবাজি করে পেট ভরে পালিয়ে গেছে। আবার কেউ এসে চাঁদাবাজিতে লেগে যাক সেটা আমরা চাই না। কিন্তু দেশ এখনও চাঁদাবাজমুক্ত, দখলদারমুক্ত, জুলুমমুক্ত হয়নি।’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘নাগরিকদের মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান নয়, সমতা নয়, ভারসাম্যপূর্ণ রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে জামায়াত।’ তিনি বলেন, ‘অধিকারের জন্য কাউকে হাহাকার করতে হবে না। বিচার বিভাগের মেরুদণ্ড সোজা করে দেওয়া হবে। রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকেও দ্বিতীয় কোন চোখে দেখবে না সেই বিচারবিভাগ। ইনসাফ কায়েম করতে পারলে কাউকে অধিকার চাইতে হবে না। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হবে খুঁজে খুঁজে যার যার দায়িত্ব তার তার কাছে পৌঁছে দেওয়া।’

দেশের ভেঙে পড়া শিক্ষা ব্যবস্থার বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে শিক্ষা ব্যবস্থার। মাস্টার্স পাশের সার্টিফিকেট নিয়ে যুবক-যুবতীরা দ্বারে দ্বারে চাকরির জন্য ঘুরছে, কিন্তু চাকরি পাচ্ছে না। শিক্ষার যে নৈতিক মান হওয়া, তা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে একেবারে বিদায় নিয়েছে।’

স্বৈরাচার হটানো আন্দোলনে সকল দলের শহীদ, পঙ্গু হয়ে যাওয়া, জেল খাটা ও মামলার শিকার হওয়া সকলের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের দুই হাজারেরও বেশি সন্তান বুকের তাজা রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে আমাদের উন্মুক্ত পরিবেশ দিয়ে গেছে। তাদের রক্তের সাথে যেন আমরা বেইমানী, বিশ্বাসঘাতকতা, গাদ্দারি না করি। তারা বৈষম্য, দুঃশাসন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ দিয়েছে। এখন যদি একই কাজ কেউ করেন, নিঃসন্দেহে তারা ঘৃণিত ও নিন্দিত হবে।’

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ জটিল রাজনৈতিক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে : মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ বর্তমানে এক জটিল রাজনৈতিক সময় পার করছে। এই সময়ে বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণে রাজনৈতিক কাঠামো এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে গণতন্ত্রের উপযোগী করতে হবে।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষি ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘ঐক্য, সংস্কার, নির্বাচন, জাতীয় সংলাপ ২০২৪’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় আমাদের বারবার বলতে হচ্ছে, ‘এটা করতে হবে, ওটা করতে হবে।’ কারণ, গণতন্ত্র চর্চা ছাড়া গড়ে ওঠে না। ১৯৭১ সালের সংগ্রাম এবং পরবর্তী গণতান্ত্রিক লড়াইগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের এগোতে হবে।”

তিনি অভিযোগ করেন, “২০১২ সাল থেকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রামে বিএনপি সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। আমাদের হাজারো নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছেন, গুম হয়েছেন এবং হত্যা করা হয়েছে। তবুও আমরা থেমে নেই। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আমরা এখনও সোচ্চার।”

সংস্কার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই সংস্কারের পক্ষে। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয় যে ‘বিএনপি সংস্কার চায় না,’ তা সম্পূর্ণ ভুল। আমরা দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার চাই এবং একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাই।”

তিনি আরও বলেন, “গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনই হচ্ছে মূল দরজা। ১৯৯৬ সালের কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত তিনটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন তারই উদাহরণ।”

তৃণমূল থেকে রাজনীতিতে উঠে আসার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমি কোনো রাজনৈতিক তাত্ত্বিক নই। আমি মাঠ পর্যায়ে কাজ করে তৃণমূলের মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করেছি। জনগণকে বাদ দিয়ে কোনো উন্নয়ন বা পরিবর্তন সম্ভব নয়।”

অতীতের সংগ্রামের গুরুত্ব তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং তারপরে গণতান্ত্রিক লড়াইগুলোর আত্মত্যাগের কথা ভুলে গেলে চলবে না। সেই ঐতিহাসিক আন্দোলনের চেতনা ধারণ করেই আমাদের ভবিষ্যতের পথ রচনা করতে হবে।”

তিনি জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের সঙ্গেই সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। জনগণই সব পরিবর্তনের মূল শক্তি।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সূর্যের সবচেয়ে কাছে মানুষের তৈরি যান
বর্তমান সরকার রিজার্ভ বাড়িয়েছে, ব্যাংক সেক্টর সচল করছে: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জটিল রাজনৈতিক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে : মির্জা ফখরুল
সংবিধান সংস্কারে রাজনৈতিক দলের সংকল্প জরুরি: অধ্যাপক আলী রীয়াজ
চলতি বছরের বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক হচ্ছে না
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত সবাই একই পরিবারের
ইউসুফ (আঃ)- এর সমাধিতে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা
ইন্টারপোলের রেড নোটিশে ৬৩ বাংলাদেশি: অপরাধীদের ধরতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমীর বরখাস্তের আদেশ বাতিল
মাহফিলে আজহারী উঠবেন রাতে, দুপুরেই ভরে গেছে ময়দান
ইসরায়েলি হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ডব্লিউএইচও প্রধান
থাইল্যান্ডে নিখোঁজ হওয়া বাংলাদেশিকে পাওয়া গেল থাই নারীর সঙ্গে হোটেলে  
হাসিনার দোসররা সচিবালয়ে পরিকল্পিতভাবে অগ্নিকাণ্ড করেছে: শাকিল উজ্জামান
ভারতে ইসকন মন্দিরে চিন্ময়ের আইনজীবীর বৈঠক
ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত: ড. মুহাম্মদ ইউনূস  
নির্বাচনে অংশ নিতে খালেদা জিয়ার আইনগত কোনো বাধা নাই
বাসের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে গেল প্রাইভেটকার, নিহত ৫  
পাঁচ সাংবাদিক বরখাস্তের জন্য সরকার দায়ী নয়: প্রেস সচিব শফিকুল আলম
জাহাজে ছেলে খুন, পুত্রশোকে বাবার মৃত্যু
ক্রীড়া উপদেষ্টা আপাতত ক্রীড়া পরিষদে অস্থায়ী অফিস করবেন