শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

পার্থর দুর্নীতি ও শিক্ষা খাতের বেহাল দশা

ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো স্লোগান তুলেছে-চোর ধর, জেল ভরো। এই স্লোগানে পশ্চিমবঙ্গের আকাশ বাতাস মুখরিত। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাহাড়সম দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই গোটা ভারতে তোলপাড় হয়ে গিয়েছে।

শিক্ষাক্ষেত্রে বেআইনি কার্যকলাপ চালাতে গিয়ে একজন শিক্ষামন্ত্রী কতটা নিচে নামতে পারেন তা নিয়ে নিরলস চলছে জলসা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার সঙ্গীনিকে গ্রেপ্তার করে গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে এনাফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই তদন্তে রোজ উঠে আসছে একের পর এক নতুন নতুন কেলেঙ্কারির কথা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় যদি সেই কেলেঙ্কারির অক্টোপাস হন, তাহলে তার শুড় পৌঁছেছে প্রতিবেশী বাংলাদেশেও।

সরকারি শিক্ষা বাবস্থার বরোটা তো তিনি নিজের দায়িত্বে বাজিয়েছেন। পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকেও তিনি কোটি কোটি টাকার কাটমানি খেয়েছেন। এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে। এসএসসি নিয়োগ মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইতিমধোই গ্রেপ্তার করেছে ইডি। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী যে দুর্নীতির পাহাড়ে বসেছিলেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত ইডির গোয়েন্দারা ।' ইডি আধিকারিকরা মনে করছেন, এ ক্ষেত্রেও কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।

২০১৪ থেকে ২০২১-একটানা সাত বছর রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই সময়কালে বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমোদন দেওয়া হয়। অনেক ক্ষেত্রেই এই অনুমোদনের জন্য কোটি কোটি টাকার হাতবদল হয়েছে বলে ইডি খবর পেয়েছে। এমনই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন ইডির গোয়েন্দারা। তারা জানিয়েছেন, এমনই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাবিকাঠি হলেন বাংলাদেশের এক প্রাক্তন মেজর। তিন প্রায়ই কলকাতায় আসেন এবং বাংলাদেশ থেকে পড়ুয়াদের এপারের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর দায়িত্ব পালন করে থাকেন। প্রাক্তন আমলে অনুমোদনপ্রাপ্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চালুর ক্ষেত্রে গাইডলাইন অনুযায়ী যথেষ্ট পরিকাঠামো ছিল না। কিন্তু কাগজ-কলমে তা দেখিয়ে দেওয়া হয় কোটি কোটি টাকার । এমনকি কোর্স চালুর ক্ষেত্রেও কাটমানি নেওয়া হয়েছে বলে ইডির দাবি। এই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ই এখন ইডির ব্যানারে।

এখানেই শেষ নয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বছরের বিভিন্ন সময় প্রশ্নপত্র, মার্কশিট মিট কার্ড, বুলেট, ম্যাগাজিন, ইত্যাদি ছাপতে হয়। সাধারণত সরকারি প্রেস থেকে এগুলো ছাপা হত। কিন্তু করোনাকালে এই বিপুল সামগ্রী ছাপার বরাত পায় একাধিক বেসরকারি প্রেস। এখানেও কমিশনের বিনিময়ে

টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নথি সামনে এসেছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ কোটি টাকার একটি নথিও হাতে পেয়েছে ইডি। এক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ আধিকারিক ও লোকজনের নাম উঠে আসছে। কমিশনের নিয়মে অভিযান করে। তার ঘি অপি মুখোখোপাধ্যারের বাড়িতে টাকার পাহাড়ের খোঁজে । আপাতত দু'জনেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। এখন প্রশ্ন, এই দুর্নীতির শিকড় ঠিক কতটা গভীরে? কীভাবে হয়েছে এই গোটা দুর্নীতি? অঙ্কটা ঠিক কত এবং দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতেই কীভাবে তা ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেতে এবং হিমশৈলের চুড়ার খোঁজে অন্তর্তদাস্তে উঠে এসেছে চোখ কপালে তোলার মতো সব তথ্য।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের দ্বারা নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুীতির অভিযোগ উঠে। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডিতেও নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মূলত ওয়েটিং লিস্ট নিয়েই অভিযোগ ঘণীভূত হয়েছে। চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ। ওয়েটিং লিস্টে আগে নাম থাকা ব্যক্তি চাকরি পাননি। বরং পেছনের দিক থেকে অনেকেই চাকরি পেয়েছেন।

এমনকি বাইরে থেকেও নাকি চাকরি হয়েছে। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে চাকরি প্রার্থীরা তথ্য-প্রমাণও জমা দেন। ১৯ হাজার থেকে ১২ হাজার পদে বেআইনিভাবে নিয়োগের অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযোগ ফাঁস হতেই নড়েচড়ে বসে। বঞ্চিতদের ক্ষোভের আগুন প্রশমিত করতে জরুরি ভিন্তিতে অতিরিক্ত পদ গঠন করা হয়। যে পদগুলোর নাম দেওয়া হয় ‘ডাইং ক্যাডার পোস্ট’।

কী এই ‘ডাইং ক্যাডার পোস্ট’?

স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, কেবলমাত্র বঞ্চিতদের নিয়োগের জনাই এই বিশেষ পদটি তৈরি হবে। ওই চাকরি প্রার্থীরা অবসরের সঙ্গে সঙ্গে ‘ডাইং ক্যাডার পোস্ট’ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। অতিরিক্ত ওই পদে আর কোনোদিন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে না। কত অতিরিক্ত পদ? নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে ১৯৩২ অতিরিক্ত পদ এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে ২৮৭ অতিরিক্ত পদ, গ্রুপ সি’র নিয়োগে ১১০২ অতিরিক্ত পদ, গ্রুপ ডি’র নিয়োগে ১৯৮০ অতিরিক্ত পদ।

চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতি জেলা থেকে টাকা তোলা হয়। প্রচুর অযোগ্য ব্যাক্তি চাকরি পেয়েছেন। প্রাথীপিছু ১০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যস্ত ঘুষ নেওয়া হয়েছে। টাকা দিয়েও অনেকে চাকরি পাননি। তব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় রোজই বলে চলেছেন, তিনি কিছুই জানতেন না। সোশাল মিডিয়ায় একের পর এক বিদ্রুপাত্মক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তিনি যখন কিছুই জানতেন না, তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে কী করছিলেন?

তিনি চিটফান্ড কেলেঙ্কারির কথা জানতেন না। তিনি নন্দী গ্রামে শিশির ও শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না, কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়া মাত্র তিনি সব বুঝতে পেরেছিলেন।

রাজীব ব্যানার্জীর দপ্তরের গরমিল প্রসঙ্গেও তিনি কিছু জানতেন না. রাজীব বিজেপিতে যোগ দেওয়া অবধি। তারপর রাভীব ফিরে এলেন, মমতাও এখন আবার কিছুই জানেন না। অর্জুন সিং যে গুণ্ডা তাও তিনি অর্জুন বিজেপিতে যোগ দেওয়া অবধি জানতেন না। যেই অর্জুন বিজেপিতে গেলেন, মমতা সমস্ত শুণ্ডামি আর অন্যায়গুলো জেনে ফেললেন। এখন আবার অর্জুন তৃণমূলে চলে আদার গর উনি আর কিছুই জানেন না। ভাদু শেখের দুর্নীতি নিয়েও মমতা কিছুই জানতেন না। দশটা লোক পুড়ে মরে যাওয়ার পরে জানতে পারলেন। টেট কেলেঙ্কারির কথাও মমতা জানতেন না, এদিকে ওরই পুলিশ প্রতিবাদীদের মেরে ঠাণ্ডা করে দিতে চেয়েছিল । মইদুল মিদ্দা মারা যায় সেই ঘটনায়। মমতারই মন্ত্রিসভার সদসা পরেশ অধিকারীর মেয়ে বিনা ইন্টারভিউতেই চাকরি পেয়ে যায়। এসএসসি কেলেঙ্কারির কথাও মমতা জানতেন না। ৫০০ দিন ধরে চলতে থাকা আন্দোলনের পরেও । এখানেও মমতারই পুলিশ বহুবার আন্দোলনকারীদের ওপরে হামলা করেছে। মমতা জানতেন না।

চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে কুণাল ঘোষের জড়িত থাকা সম্পর্কেও মমতা কিছুই জানতেন না। না জেনেই কুণালের জন্যে মিছিল টিছিল করে ফেলেছিলেন। তারপর কুণালের দুর্নীতির কথা জানতে পেরে সাসপেন্ড করলেন। আবার কুণালকে ফিরিয়ে এনে মুখপাত্র আর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক করে দিলেন। এখন আবার মমতা কিছুই জানেন না কুণাল সম্পর্কে।

পার্থ চ্যাটাজীর ঘটনা সামনে আসার পর তিনি বলছেন যে উনি এসবের কিছুই জানতেন না। অথচ পার্থ তৃণমূলের জন্ম থেকে মমতার সঙ্গে রয়েছেন, দলের মহাসচিব-রাষ্ট্রসংঘ ছাড়া যে পদ আর কারও নেই।

রাজোর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া শিক্ষা দফতরের নানা নথি এবং দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ইডি সূত্রের দাবি, শিক্ষায় সরকারি নিয়োগে দুর্নীতির শুরুটা অস্ত ১০ বছর আগে। ২০১২-র প্রাথমিক টেট (টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট) থেকেই ওই দুর্নীতির শুরু বলে দাবি তদন্তকারী একটি সৃত্রের। সূত্রের আরও দাবি, চাকরি বিক্রির জন্য অতিরিক্ত পদও না কি সৃষ্টি করা হয়েছিল বলে তাদের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।

তদন্তকারীদের দাবি, ২০১২-তে প্রাথমিক. টেট হয়েছিল। পরবর্তী কালে ২০১৪-র টেট ২০১৫-তে হয় এবং ২০১৭-র পরীক্ষা ২০২১-এ হয়। ২০১৪-র উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষাও সময় অনুযায়ী হয়নি এবং ওই পরীক্ষার মূল্যায়নের ভিত্তিতে এখনো পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়নি। তদন্তকারীদের দাবি, স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি), প্রাথমিক টেট এবং উচ্চ প্রাথমিকের সব নিয়োগ পরীক্ষা পদ্ধতি ধোঁয়াশায় ভরা। ইডি সূত্রের দাবি অনুযায়ী, তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে পার্থ নাকি জানিয়েছেন, ২০১২-ত তিনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন না। তাই ওই বিষয়ে তার জানা নেই।

তদন্তকারীদের সূত্রের দাবি, তদন্ত যত এগোচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও 'প্রভাবশালীর নাম উঠে আসছে। রাজা জুড়ে শাসক দলের মন্ত্রী বিধায়ক, সাংসদ, পুরসভার কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত কর্তাদের সুপারিশে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। টাকার লেনদেনও হয়েছে বলে দাবি তদস্তকারীদের। তদন্তকারীদের দাবি, মূলত শাসক দলের কর্মীদেরই বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে এবং তা সব ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমেই করা হয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। ইডির এক কর্তা বলেন, ‘তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে একাধিক প্রভাবশালী এবং শিক্ষা দপ্তরের একাধিক কর্তা-কর্মীদের যোগসাজশের তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সচিব সুকান্ত আচার্য ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যসহ একাধিক আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দুর্নীতি কাণ্ডের লভ্যাংশের টাকা কোথায় পৌঁছেছে এবং সম্পন্তিসহ কোথায় বিনিয়োগ করা হয়েছে তার একাধিক সূত্র হাতে এসেছে।

লেখক: ভারতের সিনিয়র সাংবাদিক

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় ফের ঝটিকা মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ১৮ নম্বর আসন এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে এই মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিলটি ঢাকার উত্তরা এলাকায় সংগঠিত হয়, যেখানে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। উপস্থিত নেতাকর্মীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দিতে থাকেন এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবি জানান।

মিছিলে তারা ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’, ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা’, ‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’, ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ এবং ‘শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার’—এই ধরনের স্লোগানে রাজপথ কাঁপান।

জানা গেছে, এই ঝটিকা মিছিলে নেতৃত্ব দেন উত্তরখান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মিলন।

আওয়ামী লীগের সাবেক ছাত্রনেতা নুর হোসেন তার ফেসবুকে মিছিলের একটি ভিডিও পোস্ট করে জানান, “আজ ১৮/০৪/২৫ ইং তারিখ সকালে উত্তরা ঢাকা-১৮ আসনের আওয়ামী লীগ ও এর সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।”

এর আগেও গত ১৫ এপ্রিল রাজধানীর বাড্ডা, ভাটারা ও রামপুরা প্রধান সড়কে আওয়ামী লীগ একটি হঠাৎ ঝটিকা মিছিল করেছিল।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ও তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দলটির নেতাকর্মীরা রাজপথে সক্রিয় রয়েছে। বিভিন্ন সময় তারা হঠাৎ বিক্ষোভ ও মিছিল করে বর্তমান সরকারবিরোধী অবস্থান প্রকাশ করে চলেছেন।

Header Ad
Header Ad

২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো

লিওনেল মেসি। ছবি: সংগৃহীত

কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে—লিওনেল মেসি কি খেলবেন ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে? বারবারই আশাব্যঞ্জক ইঙ্গিত দিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এবারও তার কথায় সেই সম্ভাবনার ইঙ্গিত মিলেছে।

সম্প্রতি ‘সিম্পিলিমেন্টে ফুটবল’ নামক এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, তিনি ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছেন এবং দলে থাকতে চান। তবে সিদ্ধান্ত নেবেন নিজের শারীরিক ও মানসিক ফিটনেস বিবেচনা করে।

“নিজের প্রতি সৎ থাকতে হবে আমাকে। আমি যদি দেখি যে বিশ্বকাপে খেলার মতো ফিট আছি, দলকে সাহায্য করতে পারব—তবেই সিদ্ধান্ত নেব। আমি কোনোভাবেই দলের বোঝা হতে চাই না।” — বললেন মেসি।

আগামী জুনে ৩৮ বছরে পা রাখবেন তিনি, আর ২০২৬ বিশ্বকাপে বয়স হবে ৩৯। এমন বয়সে বিশ্বকাপ খেলাটা সহজ নয়। তাই মেসি বলছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে যাচাই করে এগোচ্ছেন।

সাক্ষাৎকারে তিনি ফিরেছেন ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের কথায়ও, যেখানে আর্জেন্টিনা হেরে গিয়েছিল জার্মানির কাছে। এ প্রসঙ্গে কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে নিজের একটি তুলনা টেনেছেন তিনি।

“এমবাপ্পে ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালে চার গোল করেও জিততে পারেনি। এটা অনেকটা আমার ২০১৪ সালের অনুভূতির মতো। যদিও তার কাছে ২০১৮ সালের একটি বিশ্বকাপ শিরোপা আছে, সেটা একটা সান্ত্বনা। কিন্তু ওই হার আমার জন্য মানসিকভাবে খুবই কষ্টদায়ক ছিল। এখনো ভাবলে মনে হয়, আমারও দুটি বিশ্বকাপ থাকতে পারত।”

তবে কাতারে বিশ্বকাপ জয়ের পর মেসি নিজেকে পরিপূর্ণ মনে করছেন। তিনি বলেন, “আমার আর কিছু চাওয়ার নেই। ফুটবলে যা কিছু অর্জন করা সম্ভব, আমি তা পেয়েছি। বিশ্বকাপটাই শুধু ছিল না, সেটাও এখন আছে। ঈশ্বরের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ—তিনি আমাকে সব দিয়েছেন।”

Header Ad
Header Ad

পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লি থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে মন্তব্য এসেছে, তা ভিত্তিহীন এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যে নিপীড়ন চলে আসছে, তার প্রতি ভারতের দীর্ঘদিনের উদ্বেগের সঙ্গে এই বিষয়টির তুলনা টানার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা একেবারেই অসৎ প্রচেষ্টা। এমনকি যেসব অপরাধী ওইসব ঘটনায় জড়িত, তারা আজও বিচার এড়িয়ে চলেছে।”

এর আগে ৮ এপ্রিল, ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আমরা ভারতের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

এই মন্তব্যকেই ‘হস্তক্ষেপমূলক’ ও ‘অযৌক্তিক’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশকে দায়ী করেছেন। গত ১৬ এপ্রিল নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এক সভায় তিনি বলেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি ছড়িয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, নতুন ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলায় ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আগুন লাগানো, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সড়ক অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এই ইস্যু শুধু পশ্চিমবঙ্গেই সীমাবদ্ধ নয়—উত্তর প্রদেশসহ ভারতের আরও কিছু রাজ্যেও সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের মধ্যে অসন্তোষ এবং নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা