মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২০ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পার্থর দুর্নীতি ও শিক্ষা খাতের বেহাল দশা

ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো স্লোগান তুলেছে-চোর ধর, জেল ভরো। এই স্লোগানে পশ্চিমবঙ্গের আকাশ বাতাস মুখরিত। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাহাড়সম দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই গোটা ভারতে তোলপাড় হয়ে গিয়েছে।

শিক্ষাক্ষেত্রে বেআইনি কার্যকলাপ চালাতে গিয়ে একজন শিক্ষামন্ত্রী কতটা নিচে নামতে পারেন তা নিয়ে নিরলস চলছে জলসা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার সঙ্গীনিকে গ্রেপ্তার করে গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে এনাফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই তদন্তে রোজ উঠে আসছে একের পর এক নতুন নতুন কেলেঙ্কারির কথা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় যদি সেই কেলেঙ্কারির অক্টোপাস হন, তাহলে তার শুড় পৌঁছেছে প্রতিবেশী বাংলাদেশেও।

সরকারি শিক্ষা বাবস্থার বরোটা তো তিনি নিজের দায়িত্বে বাজিয়েছেন। পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকেও তিনি কোটি কোটি টাকার কাটমানি খেয়েছেন। এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে। এসএসসি নিয়োগ মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইতিমধোই গ্রেপ্তার করেছে ইডি। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী যে দুর্নীতির পাহাড়ে বসেছিলেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত ইডির গোয়েন্দারা ।' ইডি আধিকারিকরা মনে করছেন, এ ক্ষেত্রেও কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।

২০১৪ থেকে ২০২১-একটানা সাত বছর রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই সময়কালে বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমোদন দেওয়া হয়। অনেক ক্ষেত্রেই এই অনুমোদনের জন্য কোটি কোটি টাকার হাতবদল হয়েছে বলে ইডি খবর পেয়েছে। এমনই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন ইডির গোয়েন্দারা। তারা জানিয়েছেন, এমনই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাবিকাঠি হলেন বাংলাদেশের এক প্রাক্তন মেজর। তিন প্রায়ই কলকাতায় আসেন এবং বাংলাদেশ থেকে পড়ুয়াদের এপারের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর দায়িত্ব পালন করে থাকেন। প্রাক্তন আমলে অনুমোদনপ্রাপ্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চালুর ক্ষেত্রে গাইডলাইন অনুযায়ী যথেষ্ট পরিকাঠামো ছিল না। কিন্তু কাগজ-কলমে তা দেখিয়ে দেওয়া হয় কোটি কোটি টাকার । এমনকি কোর্স চালুর ক্ষেত্রেও কাটমানি নেওয়া হয়েছে বলে ইডির দাবি। এই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ই এখন ইডির ব্যানারে।

এখানেই শেষ নয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বছরের বিভিন্ন সময় প্রশ্নপত্র, মার্কশিট মিট কার্ড, বুলেট, ম্যাগাজিন, ইত্যাদি ছাপতে হয়। সাধারণত সরকারি প্রেস থেকে এগুলো ছাপা হত। কিন্তু করোনাকালে এই বিপুল সামগ্রী ছাপার বরাত পায় একাধিক বেসরকারি প্রেস। এখানেও কমিশনের বিনিময়ে

টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নথি সামনে এসেছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ কোটি টাকার একটি নথিও হাতে পেয়েছে ইডি। এক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ আধিকারিক ও লোকজনের নাম উঠে আসছে। কমিশনের নিয়মে অভিযান করে। তার ঘি অপি মুখোখোপাধ্যারের বাড়িতে টাকার পাহাড়ের খোঁজে । আপাতত দু'জনেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। এখন প্রশ্ন, এই দুর্নীতির শিকড় ঠিক কতটা গভীরে? কীভাবে হয়েছে এই গোটা দুর্নীতি? অঙ্কটা ঠিক কত এবং দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতেই কীভাবে তা ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেতে এবং হিমশৈলের চুড়ার খোঁজে অন্তর্তদাস্তে উঠে এসেছে চোখ কপালে তোলার মতো সব তথ্য।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের দ্বারা নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুীতির অভিযোগ উঠে। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডিতেও নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মূলত ওয়েটিং লিস্ট নিয়েই অভিযোগ ঘণীভূত হয়েছে। চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ। ওয়েটিং লিস্টে আগে নাম থাকা ব্যক্তি চাকরি পাননি। বরং পেছনের দিক থেকে অনেকেই চাকরি পেয়েছেন।

এমনকি বাইরে থেকেও নাকি চাকরি হয়েছে। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে চাকরি প্রার্থীরা তথ্য-প্রমাণও জমা দেন। ১৯ হাজার থেকে ১২ হাজার পদে বেআইনিভাবে নিয়োগের অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযোগ ফাঁস হতেই নড়েচড়ে বসে। বঞ্চিতদের ক্ষোভের আগুন প্রশমিত করতে জরুরি ভিন্তিতে অতিরিক্ত পদ গঠন করা হয়। যে পদগুলোর নাম দেওয়া হয় ‘ডাইং ক্যাডার পোস্ট’।

কী এই ‘ডাইং ক্যাডার পোস্ট’?

স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, কেবলমাত্র বঞ্চিতদের নিয়োগের জনাই এই বিশেষ পদটি তৈরি হবে। ওই চাকরি প্রার্থীরা অবসরের সঙ্গে সঙ্গে ‘ডাইং ক্যাডার পোস্ট’ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। অতিরিক্ত ওই পদে আর কোনোদিন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে না। কত অতিরিক্ত পদ? নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে ১৯৩২ অতিরিক্ত পদ এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে ২৮৭ অতিরিক্ত পদ, গ্রুপ সি’র নিয়োগে ১১০২ অতিরিক্ত পদ, গ্রুপ ডি’র নিয়োগে ১৯৮০ অতিরিক্ত পদ।

চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতি জেলা থেকে টাকা তোলা হয়। প্রচুর অযোগ্য ব্যাক্তি চাকরি পেয়েছেন। প্রাথীপিছু ১০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যস্ত ঘুষ নেওয়া হয়েছে। টাকা দিয়েও অনেকে চাকরি পাননি। তব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় রোজই বলে চলেছেন, তিনি কিছুই জানতেন না। সোশাল মিডিয়ায় একের পর এক বিদ্রুপাত্মক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তিনি যখন কিছুই জানতেন না, তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে কী করছিলেন?

তিনি চিটফান্ড কেলেঙ্কারির কথা জানতেন না। তিনি নন্দী গ্রামে শিশির ও শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না, কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়া মাত্র তিনি সব বুঝতে পেরেছিলেন।

রাজীব ব্যানার্জীর দপ্তরের গরমিল প্রসঙ্গেও তিনি কিছু জানতেন না. রাজীব বিজেপিতে যোগ দেওয়া অবধি। তারপর রাভীব ফিরে এলেন, মমতাও এখন আবার কিছুই জানেন না। অর্জুন সিং যে গুণ্ডা তাও তিনি অর্জুন বিজেপিতে যোগ দেওয়া অবধি জানতেন না। যেই অর্জুন বিজেপিতে গেলেন, মমতা সমস্ত শুণ্ডামি আর অন্যায়গুলো জেনে ফেললেন। এখন আবার অর্জুন তৃণমূলে চলে আদার গর উনি আর কিছুই জানেন না। ভাদু শেখের দুর্নীতি নিয়েও মমতা কিছুই জানতেন না। দশটা লোক পুড়ে মরে যাওয়ার পরে জানতে পারলেন। টেট কেলেঙ্কারির কথাও মমতা জানতেন না, এদিকে ওরই পুলিশ প্রতিবাদীদের মেরে ঠাণ্ডা করে দিতে চেয়েছিল । মইদুল মিদ্দা মারা যায় সেই ঘটনায়। মমতারই মন্ত্রিসভার সদসা পরেশ অধিকারীর মেয়ে বিনা ইন্টারভিউতেই চাকরি পেয়ে যায়। এসএসসি কেলেঙ্কারির কথাও মমতা জানতেন না। ৫০০ দিন ধরে চলতে থাকা আন্দোলনের পরেও । এখানেও মমতারই পুলিশ বহুবার আন্দোলনকারীদের ওপরে হামলা করেছে। মমতা জানতেন না।

চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে কুণাল ঘোষের জড়িত থাকা সম্পর্কেও মমতা কিছুই জানতেন না। না জেনেই কুণালের জন্যে মিছিল টিছিল করে ফেলেছিলেন। তারপর কুণালের দুর্নীতির কথা জানতে পেরে সাসপেন্ড করলেন। আবার কুণালকে ফিরিয়ে এনে মুখপাত্র আর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক করে দিলেন। এখন আবার মমতা কিছুই জানেন না কুণাল সম্পর্কে।

পার্থ চ্যাটাজীর ঘটনা সামনে আসার পর তিনি বলছেন যে উনি এসবের কিছুই জানতেন না। অথচ পার্থ তৃণমূলের জন্ম থেকে মমতার সঙ্গে রয়েছেন, দলের মহাসচিব-রাষ্ট্রসংঘ ছাড়া যে পদ আর কারও নেই।

রাজোর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া শিক্ষা দফতরের নানা নথি এবং দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ইডি সূত্রের দাবি, শিক্ষায় সরকারি নিয়োগে দুর্নীতির শুরুটা অস্ত ১০ বছর আগে। ২০১২-র প্রাথমিক টেট (টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট) থেকেই ওই দুর্নীতির শুরু বলে দাবি তদন্তকারী একটি সৃত্রের। সূত্রের আরও দাবি, চাকরি বিক্রির জন্য অতিরিক্ত পদও না কি সৃষ্টি করা হয়েছিল বলে তাদের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।

তদন্তকারীদের দাবি, ২০১২-তে প্রাথমিক. টেট হয়েছিল। পরবর্তী কালে ২০১৪-র টেট ২০১৫-তে হয় এবং ২০১৭-র পরীক্ষা ২০২১-এ হয়। ২০১৪-র উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষাও সময় অনুযায়ী হয়নি এবং ওই পরীক্ষার মূল্যায়নের ভিত্তিতে এখনো পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়নি। তদন্তকারীদের দাবি, স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি), প্রাথমিক টেট এবং উচ্চ প্রাথমিকের সব নিয়োগ পরীক্ষা পদ্ধতি ধোঁয়াশায় ভরা। ইডি সূত্রের দাবি অনুযায়ী, তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে পার্থ নাকি জানিয়েছেন, ২০১২-ত তিনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন না। তাই ওই বিষয়ে তার জানা নেই।

তদন্তকারীদের সূত্রের দাবি, তদন্ত যত এগোচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও 'প্রভাবশালীর নাম উঠে আসছে। রাজা জুড়ে শাসক দলের মন্ত্রী বিধায়ক, সাংসদ, পুরসভার কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত কর্তাদের সুপারিশে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। টাকার লেনদেনও হয়েছে বলে দাবি তদস্তকারীদের। তদন্তকারীদের দাবি, মূলত শাসক দলের কর্মীদেরই বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে এবং তা সব ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমেই করা হয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। ইডির এক কর্তা বলেন, ‘তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে একাধিক প্রভাবশালী এবং শিক্ষা দপ্তরের একাধিক কর্তা-কর্মীদের যোগসাজশের তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সচিব সুকান্ত আচার্য ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যসহ একাধিক আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দুর্নীতি কাণ্ডের লভ্যাংশের টাকা কোথায় পৌঁছেছে এবং সম্পন্তিসহ কোথায় বিনিয়োগ করা হয়েছে তার একাধিক সূত্র হাতে এসেছে।

লেখক: ভারতের সিনিয়র সাংবাদিক

 

Header Ad

যেভাবে নির্বাচিত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আজ। এই নির্বাচনকে ঘিরে দুই প্রার্থী বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয়ই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন।

মার্কিন নির্বাচনের পদ্ধতি অন্য অনেক দেশের চেয়ে আলাদা। এ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট নয়, বরং মার্কিন প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা নির্ধারণ করে ‘ইলেকটোরাল কলেজ’। ‘ইলেকটোরাল কলেজ’ নামের এই ব্যবস্থায় ৫৩৮ জন ইলেকটর নির্বাচিত হন। তারাই নির্ধারণ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন।

ইলেকটোরাল কলেজে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের নির্দিষ্টসংখ্যক প্রতিনিধি থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উভয় কক্ষ মিলিয়ে রাজ্যটির যত প্রতিনিধি, সেটাই হলো তার ইলেকটরদের সংখ্যা।

হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে (কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ) একটি রাজ্যের প্রতিনিধি সংখ্যা নির্ভর করে রাজ্যটির জনসংখ্যার ওপর। অপরদিকে সিনেটে প্রতি রাজ্যের দুটি করে আসন থাকে। সব মিলিয়ে ৫০টি রাজ্যের ৪৩৫ জন রিপ্রেজেন্টেটেটিভ এবং সেই সঙ্গে ১০০ জন সিনেটর। এ ছাড়া ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার তিনজন ইলেকটর। সব মিলিয়ে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট সংখ্যা ৫৩৮টি।

জনসংখ্যার দিক থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় সবচেয়ে বেশি ৫৪টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। অপরদিকে ভারমন্টের সর্বসাকুল্য তিনটি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে।

নির্বাচনে জিততে হলে কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে সংখ্যাগরিষ্ঠ বা অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হবে।

মেইন আর নেব্রাস্কা ছাড়া বাকি অঙ্গরাজ্যগুলোতে ‘উইনার টেকস অল’ ভিত্তিতে ইলেকটোরাল ভোট নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী যে রাজ্যে এগিয়ে থাকবেন, তিনি সেই রাজ্যের সব কজন ইলেকটরের সমর্থন পাবেন।

প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা:

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে সংবিধান অনুযায়ী তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রার্থীকে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে হয়, বয়স হতে হয় অন্তত ৩৫ বছর এবং ১৪ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে হয়। তবে মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য শেষ শর্তটির ব্যতিক্রম রয়েছে।

প্রাপ্তবয়স্ক যেকোনো নাগরিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারেন। এমনকি অপরাধী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিরও প্রার্থী হতে বাধা নেই৷ রাজনৈতিক বন্দীরা যাতে প্রার্থী হওয়া থেকে বঞ্চিত না হন সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে আলাদা বিধান রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীতে রাজনৈতিক পদে থাকা ব্যক্তি দেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে যুক্ত হলে বা শত্রুদের সহায়তা করলে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারবেন না।

প্রাইমারি ও ককাস কী?

নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দান উন্মুক্ত থাকলেও প্রাইমারি ও ককাসের মাধ্যমে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীর সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়। এই দুই পদ্ধতির মাধ্যমে দলগুলো তাদের প্রার্থী বাছাই করে। নির্বাচনী বছরের বসন্তের শুরুর দিকে অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। স্বাধীনভাবে কেউ প্রার্থী না হলে কোনো একটি রাজনৈতিক দলের অধীনে তাকে নিজ অঙ্গরাজ্যে নিবন্ধন করতে হয়।

প্রাইমারিতে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে দলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ককাস প্রক্রিয়াটি আরও জটিল। এ জন্য অঙ্গরাজ্যগুলোতে রাজনৈতিক দলের সদস্যরা একত্রিত হন। সেখানে তারা ভোটাভুটির মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থী বাছাই করেন।

অঙ্গরাজ্য ও দলভেদে প্রাইমারি ও ককাসের ভিন্নতা থাকলেও মূল লক্ষ্য একই। প্রার্থীর সমর্থন নির্ধারণ ও সাধারণ নির্বাচনের জন্য একজন প্রার্থী বাছাই করা।

জাতীয় কনভেনশনের ভূমিকা:

অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে প্রাইমারি ও ককাস শেষ হলে রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় কনভেনশনের (সম্মেলন) মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও তার রানিংমেট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাই করে।

কনভেনশনে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্য থেকে আসা ডেলিগেটরা (প্রতিনিধি) প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাইয়ে ভোট দেন। একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন পেতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেতে হয়।

ডেলিগেটদের মধ্যেও দুটি ভাগ রয়েছে। ডেমোক্র্যাটদের ক্ষেত্রে বলা হয় প্লেজড বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আনপ্লেজড বা অপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রিপাবলিকানদের ক্ষেত্রে বাউন্ড বা বাধ্যতামূলক এবং আনবাউন্ড বা বাধ্যতামূলক নন। প্রতিশ্রুতিবদ্ধ/বাধ্যতামূলক ডেলিগেটরা অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে প্রাইমারিতে জিতে আসা প্রার্থীদেরই শুধু ভোট দিতে পারেন।

অন্যদিকে অপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ/বাধ্যতামূলক নন এমন ডেলিগেটরা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। ডেমোক্র্যাট কনভেনশনে অপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ ডেলিগেটরা দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই শুধু ভোট দিতে পারেন৷

নির্বাচনে কী হয়?

জাতীয় কনভেনশনের পরই নির্বাচনের উত্তাপ শুরু হয়। নির্বাচনের দিনে দেশজুড়ে কয়েক হাজার শহরে ভোটগ্রহণ চলে। নিবন্ধিত যেকোনো মার্কিন নাগরিক এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন।

Header Ad

এলপি গ্যাসের দাম বাড়বে না কমবে, জানা যাবে আজ

ছবি: সংগৃহীত

নভেম্বর মাসের জন্য ভোক্তাপর্যায়ে বেসরকারি তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) নতুন দাম আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) নির্ধারণ করা হবে। আজ জানা যাবে এলপিজির মূল্য বাড়ছে নাকি কমছে।

সোমবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি আরামকো ঘোষিত নভেম্বর (২০২৪) মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী এই মাসের জন্য ভোক্তাপর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয় সম্পর্কে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের নির্দেশনা মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটায় ঘোষণা করা হবে।

এর আগে সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় অক্টোবর মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৩৫ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৫৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

Header Ad

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন সুচরিতা-নাঈম

সুচরিতা ও নাঈম। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২৩ এর জুরি বোর্ডে যুক্ত হয়েছেন নতুন চারজন সদস্য। তাদের মধ্যে দুজন ঢাকাই চলচ্চিত্রের সোনালী দিনের দুই তারকা সুচরিতা ও নাঈম।

সোমবার (৪ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

জুরি বোর্ডের নতুন সদস্যরা হলেন চলচ্চিত্র পরিচালক সাঈদুর রহমান সাঈদ, সংগীত পরিচালক মাকসুদ জামিল মিন্টু, অভিনেতা খাজা নাঈম মুরাদ ও অভিনেত্রী সুচরিতা।

২০২৩ পঞ্জিকা বছরে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোর মূল্যায়ন ও পুরস্কারের জন্য নাম সুপারিশ করতে এই জুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর গঠিত জুরি বোর্ডে গতকাল এই চার নতুন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এ ছাড়া বোর্ডে রয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, বিএফডিসির পরিচালক, ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক, চলচ্চিত্র অধিশাখার প্রধান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান এস এম ইমরান হোসেন, চিত্রগ্রাহক বরকত হোসেন পলাশ, সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি, সাংবাদিক ওয়াহিদ সুজন ও চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের চেয়ারম্যান।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যেভাবে নির্বাচিত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
এলপি গ্যাসের দাম বাড়বে না কমবে, জানা যাবে আজ
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন সুচরিতা-নাঈম
টাঙ্গাইলে নিজ ঘরে স্কুল শিক্ষকের আত্মহত্যা
ইসলামি মহাসম্মেলন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলেম-ওলামা ও জনতার ঢল
সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালাল গ্রেপ্তার
গাজায় থামছেই না ইসরায়েলি আগ্রাসন, নিহত আরও ৩৩
মোহাম্মদপুরে ডাস্টবিনে মিলল মানুষের খণ্ডিত পা
আজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
বদলগাছিতে মাইক্রোবাস থেকে ককটেল নিক্ষেপ, ৬টি উদ্ধার
বিএনপির সঙ্গে ঐক্যে আগ্রহী আওয়ামী লীগ: ড. হাছান মাহমুদ
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ বন্ধ, বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে সরকারের ৪০ হাজার কোটি ঋণ পরিশোধ
টাঙ্গাইলে ৩৫০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
গণপিটুনিতে সাবেক প্রতিমন্ত্রীর ভাগ্নে নিহত
মেগা চুরির জন্য আওয়ামী লীগকে আরেকবার দরকার: নির্মাতা ফারুকী
বিরামপুরে ট্রাকের ধাক্কায় দুই যুবক নিহত
পদে পুনর্বহালের দাবিতে ১০ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের একক কণ্ঠে আন্দোলন
ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনায় হামলার নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল, সদস্য সচিব মোস্তফা জামান
এস আলমের সম্পত্তি নিলামে তুললো জনতা ব্যাংক, ১৮৫০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ে কঠোর পদক্ষেপ