কৃষিবিদ দিবসে সিলেটের সেরা কৃষিবিদদের সম্মাননা প্রদান
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সিলেট বিভাগের ‘কৃষিবিদ দিবস-২০২২’ পালন ও উদযাপন করা হয়েছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার ক্যাম্পাসে বিভাগীয় আয়োজনটি হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনন্দ র্যালি বের হয়েছে। ব্যানারে লেখা-‘বঙ্গবন্ধুর মহান দান, কৃষিবিদ ক্লাস ওয়ান’। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্যও তাই। প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে র্যালিটি পুরো ক্যাম্পাস ঘুরেছে। বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে শেষ হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: মতিয়ার রহমান হাওলাদার র্যালিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সিলেটাঞ্চলে কর্মরত কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, হাওড়, বাওড় ও বিলে কাজ করা কৃষি কর্মকর্তা, কর্মচারীরা সবাই অংশ নিয়েছেন। তার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, কর্মকর্তা, গবেষক ও ছাত্র, ছাত্রীরা ছিলেন। তারা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্মারকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ও তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ অর্জনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রযারি শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি কমকতাদের প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসারের মর্যাদা প্রদান করেছেন।
ভেটেরিনারি, অ্যানিম্যাল অ্যান্ড বায়ো-মেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের সম্মেলন কক্ষে দিবসের আলোচনা সভাটি হয়েছে। বাংলাদেশের অন্যতম বড় পেশাজীবি সংগঠন-কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি)’ সিলেট চ্যাপ্টারের সহ-সাধারণ সম্পাদক ড. সালাহ উদ্দীন আহমদ উপস্থাপনা করেছেন। চ্যাপ্টারের চেয়ার কৃষিবিদ মো. সাজিদুল ইসলাম সভাপতি ছিলেন।
কৃষিবিদ দিবস, সিলেটের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কৃষি শিক্ষক এবং গবেষক অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার প্রধান অতিথি ছিলেন। সিলেট বিভাগ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. অমলেন্দু ঘোষ, কেআইবি সিলেটের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন ভূঁঞা, সাউরেস (সিলেট এগ্রিকালচার ইউনির্ভাসিটি রিসার্চ সিস্টেম)’র পরিচালক অধ্যাপক ড. সায়েম উদ্দিন আহম্মদ, অতিরিক্ত পরিচালক দেবাশীষ সাহা, কৃষি অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিংয়ের অধ্যাপক ড. জীবনকৃষ্ণ সাহা, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুণ্ডু, সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহাব উদ্দিন, প্রধান প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রুস্তম আলী, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহমুদুল ইসলাম নজরুল, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের যুগ্ম পরিচালক সুপ্রিয় পাল প্রমুখ আলোচনা করেছেন।
তারা বলেছেন, বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়কে প্রান্তিক কৃষকদের উন্নয়নে সবসময় খুব জোরেসোরে কাজ করতে হবে। সবাইকে গবেষণা ও কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সমন্বিত, আন্তরিক ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে করতে হবে। কৃষিযান্ত্রিকীকরণে তারা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে সিলেটের জ্যেষ্ঠ কৃষিবিদদের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। তারা হলেন-প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, সিলেটের অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. কাজী তওহীদ আলী, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির অবসরপ্রাপ্ত আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার মোহাম্মদ আবু নাসের, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক বিভাগীয় উপ-পরিচালক এস এম ইলিয়াস ও বিএডিসির সাবেক যুগ্ম পরিচালক রবীন্দ্রকুমার সিংহ।
খবর প্রদান : জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
ওএস।