বোরো আবাদে ব্যস্ত ময়মনসিংহের কৃষক
মাঘের শীত ও ঘন কুয়াশাকে উপেক্ষা করে ময়মনসিংহের কৃষকরা বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ধানের দাম বেশি ও কৃষি বিভাগের প্রনোদনায় এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা বলছেন কৃষি বিভাগ।
চলতি মৌসুমে জেলায় দুই লাখ ৬০ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তর। জানুয়ারির শুরুতে থেকে বোরো চারা রোপণ শুরু হয়েছে। গত সোমবার পর্যন্ত জেলায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে। এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
কৃষি বিভাগ থেকে ধান, বীজ পেয়ে দুই মাস আগে বীজলা তৈরি করেছেন ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কৈয়ারচালা গ্রামের আব্দুস সালাম। এখন জমি চাষ করে সেচ দিয়ে চারা রোপণ শুরু করেছেন। চারা রোপণে ১০ জন শ্রমিক লাগবে। বর্তমানে প্রতিজন শ্রমিকের মজুরি ৫০০ টাকা। চারা রোপণের পর প্রয়োজনমতো ইউরিয়া, টিএসপি, ফসফরাস ও সালফার সার ব্যবহার করতে হবে।
তিনি আরও জানান, চারা রোপণের সাত দিনের মাথায় আগাছা দমনের জন্য এক ধরনের লিকুইড কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। এরপর বোরো আবাদের পরিচর্যা শুরু। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবং ভালো ফলন হলে বোরো আবাদ থেকে তার জমি থেকে ৫০/৬০ মণ ধান ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মাসুদ।
ময়মনসিংহ সদরের গোপালনগর গ্রামের কৃষক আব্দুল বারী জানান, জানুয়ারীর শুরু থেকে বোরো রোপণে কৃষকরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। একসঙ্গে বোরো আবাদ শুরু করায় শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে শ্রমিকের মজুরি অনেকটাই বেশি। তবে লাভবান হওয়ায় বোরো আবাদে অধিকাংশ কৃষক আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
মুক্তাগাছা উপজেলার মনতলা গ্রামের ইদ্রিস আলী জানান, বোরো আবাদের সময় কৃষি বিভাগ মাঠ তদারকি বাড়ালে কৃষকরা সহজেই পরামর্শ পান বোরো আবাদে বেশি লাভবান হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মতিউজ্জামান বলেন, 'চলতি মৌসুমে জেলায় দুই লাখ ৬০ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত সোমবার পর্যন্ত জেলায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে। সরকার বোরো আবাদের জন্য জেলায় ২৫ হাজার কৃষককে সার ও বীজ এবং ৫২ হাজার কৃষককে বীজ দিয়ে সহায়তা করছে উল্লেখ করেন তিনি।
কেএফ/