শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রংপুরে অহিমায়িত ঘর নিয়ে আশাবাদী আলুচাষিরা

রংপুরে আলুর বহুমুখী ব্যবহার, সংরক্ষণ ও বিপণনে অহিমায়িত মডেল ঘরে আশার আলো দেখছেন চাষিরা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বলছে, মডেল এই ঘরে ২৫-৩০ টন আলু সংরক্ষণে কৃষকের বছরে সাশ্রয় হবে প্রায় দেড় লাখ টাকা। একেকটি অহিমায়িত মডেল ঘর ১২-১৫ বছর ব্যবহার করা গেলে দেড় কোটি টাকার বেশি কোল্ড স্টোরেজ খরচ বাঁচবে। সঙ্গে কমবে আলু সংরক্ষণের বিড়ম্বনা।

রংপুর কৃষি বিপণন অধিদপ্তর জানায়, আলুর বহুমুখী ব্যবহার, সংরক্ষণ ও বিপণন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রংপুর বিভাগসহ দেশের ১৬টি জেলায় ৪৫০টি অহিমায়িত মডেল ঘরে আলু সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে রংপুর বিভাগের আট জেলায় হবে ২৮৩টি অহিমায়িত মডেল ঘর। চলতি অর্থ বছরে রংপুর জেলায় ৭৫টি অহিমায়িত মডেল ঘরের মধ্যে ৪৫টিতে আলু সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরে ২৫-৩০ টন আলু ৪-৬ মাস ধরে সংরক্ষণ করা যাবে। সরকারি অর্থায়নে নির্মিত এসব অহিমায়িত মডেল ঘরে আলু সংরক্ষণে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বর্তমানে এটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর সুফল মিললে সারা দেশে এই প্রকল্প ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপহার পাওয়া মডেল ঘর পেয়ে আনন্দিত স্বচাষ গ্রামের স্থানীয় কৃষক বিপণন দলের সভাপতি আলুচাষি তৈয়বুর রহমান জানান, আমরা আলুচাষিরা ন্যায্য মূল্য পাই না। প্রতিবছর আমরা অর্থনৈতিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছি। সার, বীজ, শ্রমিক, উৎপাদন খরচ ছাড়াও কোল্ড স্টোরেজে আলু সংরক্ষণ খরচের কারণে নুমাফা নিয়ে হিশমিশ খেতে হয়। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের দেওয়া অহিমায়িত মডেল ঘরে আমরা এখন ২৫-৩০ টনের বেশি আলু রাখতে পারব। এটি একটি বিজ্ঞানসম্মত মিনি কোল্ড স্টোরেজ। এতে আমাদের এই ঘর থেকে হিমাগারের তুলনায় দেড় লাখ টাকা সাশ্রয় হবে। বিশেষ করে আলুর দাম বাড়লে চাহিদা অনুযায়ী আমাদের ইচ্ছে মতো আলু বিক্রি করতে পারব।

রংপুর জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সিনিয়র বিপণন কর্মকর্তা রবিউল হাসান বলেন, চাষিদের আলু সংরক্ষণের খরচ লাঘবে আমরা অহিমায়িত এই মডেল ঘরের পাইলট প্রোগ্রাম গত বছর থেকে হাতে নিয়েছি। প্রোগ্রামের আজ বাস্তব রূপ পেতে শুরু করেছে। আমাদের এই একেকটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয় দেড় লাখ টাকা। কৃষকরা ১২ থেকে ১৫ বছর ধরে নিশ্চিন্তে আলু সংরক্ষণ করতে পারবে। একেকটি ঘরে প্রায় ২৫-৩০ টন আলু ৪-৬ মাস সংরক্ষণ করা যাবে। প্রতি বছরে একেকজন আলুচাষিদের দেড় থেকে পৌনে দুই লাখ টাকা হিমাগার খরচ সাশ্রয় হবে।

আলুর বহুমুখী ব্যবহার, সংরক্ষণ ও বিপণন উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আনোয়ারুল হক বলেন, সাধারণ কোল্ড স্টোরেজে আলু রাখতে প্রতি কেজিতে ৬ টাকা এবং অন্যান্য খরচ মিলে কেজিতে ১০ টাকা দাঁড়াবে। কিন্তু অহিমায়িত মডেল ঘরে আলু সংরক্ষণে কোনো খরচ নেই। কৃষকের যদি হিমাগারের খরচ বেচে যায়, তাহলে তারা ১৫-১৬ কেজিতে আলু বিক্রি করলে অনেক বেশি লাভবান হবে। এই মিনি অহিমায়িত মডেল ঘরে জুন পর্যন্ত আলু রাখতে পারলেও দাম নিয়ে চাষিদের চিন্তা করতে হবে না। কারণ তারা নিজেদের ইচ্ছে মতো আলু বিক্রি করতে পাবে।

কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, রংপুর অঞ্চলে চাহিদার তুলনায় আলুর উৎপাদন অনেক বেশি। আমি নিজেই বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছি বাড়ি এবং খেতে আলু, উপচে পড়ে আছে। সংরক্ষণের জায়গা নেই, আবার কেউ চাইলেও সহজে কোল্ড স্টোরেজে আলু রাখতে পারছেন না। কোল্ড স্টোরেজে একটা সীমাবদ্ধতা আছে। এ পরিস্থিতিতে অহিমায়িত মডেল ঘর আলু সংরক্ষণে একটি উত্তম ব্যবস্থাপনা।

এর আগে রবিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে রংপুর জেলার পীরগাছার কল্যাণী ইউনিয়নের স্বচাষ গ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে অহিমায়িত মডেল ঘরে আলু সংরক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উদ্বোধনী কার্যক্রমে নতুন এই ঘরে আলু সংরক্ষণ পদ্ধতি তুলে কৃষকদের আশার কথা শোনান কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ কৃষি কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (ফাও)এর রিপ্রেজেন্টিভ ইন বাংলাদেশ রবার্ট ডি সিস্পাসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ বাদল বিশ্বাস চন্দ্র, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ওমর মো. ইমরুল মহসিন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করর্পোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আফতাব হোসেন, রংপুর কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপপরিচালক আনোয়ারুল হক, রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল।

এসএন

 

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক