সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মুকুলে ভরে গেছে আম বাগান

 

মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে আম বাগানগুলো। হলুদ বর্ণের মুকুলে ঢাকা পড়েছে গাছের সবুজ পাতা। আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনববগঞ্জ জেলা জুড়েই এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। এরই মধ্যে মুকুল থেকে গুটি আসতেও শুরু হয়েছে, বাগান মালিকরা আমের সেই গুটি টিকিয়ে রাখতে নিয়মিত বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা বলছেন এ বছর আমের বাম্পার উৎপাদন হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, শিবগঞ্জ ও ভোলাহাট উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আম বাগানগুলোতে শ্রমিকদের কর্ম ব্যস্ততা। শিবগঞ্জের কানসাট এলাকার আমচাষি মতিন মাস্টারের বাগানে গিয়ে দেওয়া যায়, বাগানে ওষুধ স্প্রে করছেন শ্রমিকরা।

আমচাষি মতিন মাস্টার জানান, এ বছর আমের মুকুল এসেছে বেশ ভালোই, প্রায় সব গাছেই শতভাগ মুকুল এসেছে। সেজন্য বাগানে শ্রমও দিতে হচ্ছে বেশি। বৃষ্টিপাত নেই বাগানে মুকুল টিকিয়ে রাখতে সেচ দিতে হচ্ছে। তবে এ বছর আম শ্রমিকদের মজুরিসহ অনান্য খরচ বেশি, তারপরও আশা করছি যে মুকুল এসেছে তা থেকে যে ফলন হবে তাতে আমরা লাভবান হতে পারব।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম মানিক বলেন, আমের উৎপাদন বৃদ্ধি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে, তাহলেই লাভবান হবেন আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা। তিনি আমকেন্দ্রিক শিল্প গড়ে তোলার দাবি জানান।

এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের পক্ষ থেকে আম বোর্ড গঠনের দাবি জানানো হয়েছে। চেম্বারের বার্ষিক সাধারণ সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। পরে এ দাবি তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ। তিনি বলেন, আম উৎপাদন, বাজারজাত, রপ্তানিসহ আমকেন্দ্রিক কার্যক্রমকে একত্রিত করতে আম বোর্ড গঠন জরুরি।

এবার রেকর্ড পরিমাণ মুকুল ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমের ফলন বেশি হবে বলে আশা করছেন ফল বিজ্ঞানীরা। তারা নিয়মিত বাগান পরিচর্যার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। আঞ্চলিক উদ্যোনতত্ব গবেষণা কেন্দ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোখলেসুর রহমান বলেন, এবছর প্রায় ৯৫ ভাগ গাছে মুকুল এসেছে। আমরা আম বাগান মালিক ও চাষিদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়ে আসছি। আশা করি এবার ভালোই ফল হবে এ জেলায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৭ হাজার ৮৫৫ হেক্টর আম বাগানে গেল বছর ফলন এসেছিল ৩ লাখ মেট্রিকটনের কিছুটা বেশি। এবার রেকর্ড পরিমাণ মুকুল ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গেলবারের চেয়ে হেক্টর প্রতি ২ থেকে আড়াই মেট্রিকটন আমের ফলন বেশি হবে বলে আশা করেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার।

এসএন

Header Ad
Header Ad

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন দুই হাজার কোটি ৪২ লাখ ৮০ হাজার ডলার। একই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ৪৯৯ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হোসনে আরা শিখা।

গত ১১ নভেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে আমদানি পণ্যের বিল বাবদ ১৫০ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। ফলে আইএমএফের হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ১৮ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে। দেড় মাসে বৈদেশিক মুদ্রার এই সঞ্চয় বাড়তে বাড়তে আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল।

রিজার্ভের তিনটি হিসাব সংরক্ষণ করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রথমটি হলো বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভ। দ্বিতীয়টি হলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি। এতে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল বা ঋণের অর্থ বাদ রাখা হয়।

তৃতীয়টি হলো ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ, বর্তমানে যা ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা নিচে। দেশে ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন প্রায় চার মাসের আমদানি মূল্য মেটানোর অবস্থায় রয়েছে।

করোনা পরবর্তী সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে শেষ নাগাদ নিট রিজার্ভ নামে ২৪ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলারে। এ সময় বৈশ্বিক উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে আমদানি ব্যয় বাড়তে থাকে। অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রার আহরণের ক্ষেত্রটা সংকুচিত হতে থাকে।

এ অবস্থায় জ্বালানি ও জরুরি খাদ্যপণ্য আমদানিতে ডলারের চাহিদা বাড়তে থাকে। উল্টোদিকে ডলার বিক্রি করার কারণে কমে যায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এরপর বৈদেশিক ঋণ ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কেনার মাধ্যমে আবার রিজার্ভ বাড়ানো হয়।

বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন উৎস থেকে ডলার যোগ হচ্ছে প্রতিদিনই। এর ধারাবাহিকতায় ক্রমেই বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

Header Ad
Header Ad

শিক্ষার্থীদের গ্রাফিতিতে লেখা জয় বাংলা মুছে দিলো ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল

‘জয় বাংলা’ লিখাটি স্প্রে করে মূছা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্রজনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগষ্টে স্বৈরাচার সরকারের পতন ও স্বৈরাচার পতনের মধ্য দিয়ে অসংখ্য হতাহতের ঘটনা ঘটে। আর এসব হতাহতের ঘটনার স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে রং-তুলি দিয়ে নওগাঁ শহরের বিভিন্ন স্থাপনার দেয়ালে ছবি, গ্রাফিতি ও লেখনিতে তুলে ধরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতারা।

সম্প্রতি ‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

কিন্তু হঠাৎ করে গত দুইদিন থেকে নওগাঁ শহরের কেডির মোড় ও মুক্তির মোড় সহ বিভিন্ন মোড়ের দেয়ালে যেখানে ছাত্রদের গ্রাফিতি অঙ্কন করা ছিল সেখানে ‘জয় বাংলা’ লিখা হয়েছে। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই স্লোগানটি লিখে। এরপর ফেসবুকে তা ছড়িয়ে পড়ে। এতে শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ‘জয় বাংলা’ লিখাটি স্প্রে পেইন্ট ব্যবহার করে মুছে দেন নওগাঁ জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও জিয়া সাইবার ফোর্স।

এসময় নওগাঁ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ রুহুল আমিন মুক্তার, জিয়া সাইবার ফোর্স নওগাঁ জেলা শাখার আহবায়ক মোঃ এমরান হোসেন, সদস্য সচিব সামিউল ইসলাম পারভেজ, শ্রমিক দল নওগাঁ সদর থানার সভাপতি আরিফুল হক রানা সহ যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও জিয়া সাইবার ফোর্স এর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নওগাঁ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ রুহুল আমিন মুক্তার বলেন, ছাত্রজতার গ্রাফিতির ওপর রাতের অন্ধকারে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগরা জয় বাংলা লিখেছে। জয় বাংলা যারা কায়েম করার চেষ্টা করছে তাদেরকে হুশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগরা আর কখনোই তারা বাংলার মাটিতে দাঁড়াতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫টি বছর বাংলাদেশ কে গুজবে পরিণত করেছে। উন্নয়নের নামে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। গত ৫ আগষ্টে স্বৈরাচার সরকার পতনের পর ছাত্রলীগের কাঁধে ভর করে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। বাংলার মাটিতে তা কখনো বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের কাছে ত্রিপুরা ২০০ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে: মুখ্যমন্ত্রী

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিল বাবদ ত্রিপুরা ২০০ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

বিদ্যুতের বকেয়া জমে গেলেও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেও জানিয়েছেন মানিক সাহা। ভারতের বিদ্যুৎ করপোরেশন লিমিটেডের মাধ্যমে এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যবসা নিগম লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিবেশী বাংলাদেশে ৬০-৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ত্রিপুরা।

পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মানিক সাহা বলেছেন, ‌‌‌বাংলাদেশ আমাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ প্রায় ২০০ কোটি রুপি দেয়নি। বকেয়ার পরিমাণ প্রতিদিন বাড়ছে। আমরা আশা করছি, তারা বকেয়া পরিশোধ করবে; যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত না হয়।

বকেয়া পরিশোধে ঢাকা ব্যর্থ হলে ত্রিপুরার রাজ্য সরকার বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ করে দেবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

মানিক সাহা বলেন, ত্রিপুরায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কিছু যন্ত্রপাতি বাংলাদেশের ভূখণ্ড অথবা চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আনা হয়েছে। সেজন্য কৃতজ্ঞতা হিসেবে ত্রিপুরা সরকার একটি চুক্তি মেনে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে।

কিন্তু আমি জানি না, বকেয়া পরিশোধ না করলে আমরা বাংলাদেশে কতদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে পারব।

ত্রিপুরা ২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে। দক্ষিণ ত্রিপুরার পালাটানায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ওএনজিসি ত্রিপুরা পাওয়ার কোম্পানির (ওটিপিসি) গ্যাস-ভিত্তিক ৭২৬ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির আরেক রাজ্য ঝাড়খণ্ডের এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট গড্ডা প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করে ভারতীয় ব্যবসায়ী গৌতম আদানির মালিকানাধীন কোম্পানি আদানি পাওয়ার। বাংলাদেশের কাছে আদানি পাওয়ারের বকেয়ার পরিমাণ ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হওয়ায় গত আগস্টে ১৪০০-১৫০০ মেগাওয়াট থেকে সরবরাহ কমিয়ে ৫২০ মেগাওয়াট করে কোম্পানিটি।

বাংলাদেশে কথিত হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ত্রিপুরায় প্রভাব ফেলছে কি না, জানতে চাইলে মানিক সাহা বলেন, প্রতিবেশী দেশটি থেকে এখনও ত্রিপুরা রাজ্যে বড় ধরনের কোনও অনুপ্রবেশ ঘটেনি। তবে আমরা সীমান্ত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। কারণ সীমান্তের অনেক এলাকা উন্মুক্ত। সেখানে অনেক ফাঁকা জায়গা রয়েছে। তবে আগস্টে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা শুরু হওয়ার পর দেশটি থেকে বড় আকারে কোনও অনুপ্রবেশ ঘটেনি।

উত্তর, দক্ষিণ এবং পশ্চিম দিক থেকে বাংলাদেশ বেষ্টিত ত্রিপুরা। রাজ্যটির সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে ৮৫৬ কিলোমিটার; যা রাজ্যের মোট সীমান্তের প্রায় ৮৪ শতাংশ।

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে সাম্প্রতিক নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে মানিক সাহা বলেন, তিনি এই ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন। আমরা এর সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছি। আমরা সহকারী হাইকমিশন চত্বরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ত্রিপুরায় বাংলাদেশি পণ্য আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। ত্রিপুরার এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় যেসব পণ্য আসে তার মধ্যে রয়েছে সিমেন্ট, পাথর ও ইলিশ মাছ। সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। এটা তাদের ক্ষতি।

বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আগরতলা ও ঢাকার মধ্যে রেললাইন চালু হলে তা উভয় দেশের জন্যই অত্যন্ত লাভজনক হবে। চট্টগ্রাম বন্দরকে কোনও বাধা ছাড়াই ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হলে সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে উপকৃত হবে।’’

সড়কপথে আগরতলা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের সরাসরি দূরত্ব প্রায় ১৭৫ কিলোমিটার। গত বছরের ১ নভেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আখাউড়ার সঙ্গে আগরতলার সংযোগকারী একটি রেললাইন উদ্বোধন করেছিলেন। প্রকল্পটির দৈর্ঘ্য ভারতে ৫ দশমিক ৪৬ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার।

এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ভারতীয় অংশের ব্যয় ছিল ৭০৮ দশমিক ৭৩ কোটি রুপি। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকল্পে অর্থায়ন করে। বাংলাদেশ অংশের ব্যয় ছিল ৩৯২ দশমিক ৫২ কোটি রুপি। প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অর্থায়ন করে এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে সেটি বাস্তবায়ন করে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল
শিক্ষার্থীদের গ্রাফিতিতে লেখা জয় বাংলা মুছে দিলো ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল
বাংলাদেশের কাছে ত্রিপুরা ২০০ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে: মুখ্যমন্ত্রী
হাসিনা বাংলাদেশে আসবে কেবল ফাঁসিতে ঝোলার জন্য: নাহিদ
চাঁদপুরে জাহাজ থেকে ৫ মরদেহ উদ্ধার: চিকিৎসাধীন আরও ২ জনের মৃত্যু  
সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি এস আলমের
রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় ৯৩ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
বাংলাদেশে রফতানি বন্ধ: ময়ূখ রঞ্জনের বাড়ি ঘেরাও করলেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা
সাদা পোশাকে সেঞ্চুরিতে জ্যোতির ইতিহাস
টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল ও সিএনজি দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ীসহ ৩ জন নিহত
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে দিল্লিকে কূটনৈতিক চিঠি
বছরখানেক সময় পেলে সংস্কার কাজগুলো করে যাব: আসিফ নজরুল
পপ তারকা ম্যাডোনার সঙ্গে পোপ ফ্রান্সিসের ডিপফেক ছবি ভাইরাল
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা
দেশে ১৯ লাখ ৪০ হাজার তরুণ বেকার- বিবিএস’র জরিপ
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা, ভিডিও ভাইরাল
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ