সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২০ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সরকারি সেচের পানি না পেয়ে বিপাকে কৃষক

চলতি বোরো মৌসুমের ধান লাগিয়ে পানি না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক লিটন আলী। বিগত বছরগুলোতে পানি পেলেও এবার মৌসুমে তিনি পানি পাচ্ছেন না। নিজের জমির চারপাশে ধানি জমিতে পানি থৈ থৈ করলেও তার জমিতে পানির অভাবে মাটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। পানি না পাওয়ায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বিএডিসির স্থানীয় সেচ ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে।

মাগুরা জেলার শালিখার আড়পাড়া ইউনিয়নের আনন্দ নগরের কৃষক লিটন আলী। চলতি বোরো মৌসুমে নিজের জমিতে কম টাকায় পানি না পেয়ে তার মনে নেই কোন আনন্দ। প্রতিদিন নিজের লাগানো ধান দেখতে যান আনন্দ গ্রামের উত্তর মাঠে। বিএডিসির অত্র এলাকায় দুটি শক্তিশালী মটরের সাহায্য খাল থেকে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা আছে।

একটি মোটর থেকে অত্র এলাকার আনন্দ নগর, পুকুরিয়া, ফুলবাড়ী ও কুমুরকোটার চারটি গ্রামের ৩১ একর ২১ শতক জমিতে পানি দেওয়া হয়। ১৫ টাকা শতক প্রতি পানি নেয়ার সুবিধা পেতে কৃষক লিটন মোল্লাও চেষ্টা করেছেন পানি পাবার। কিন্তু অদৃশ্য কারনে তিনি দুই মাস কেটে গেছে পানি নিতে পারছেন না অত্র ঐলাকার বিএডিসির ব্যবস্থাপক থেকে। পানি না পেয়ে তিনি বাধ্য হয়ে ঐ ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ ও দায়ের করেছেন।

কৃষক লিটন আলী জানান,তার ৪৭ শতক জমি থেকে মাত্র ১৬ ফিট দূরত্বে বিএডিসির সেচ দেয়ার মুখ আছে। সেখানে থেকে পানি যাচ্ছে আশেপাশের কৃষকদের জমিতে। একই আইলে নিজের জমিতে পানি নেই। অথচ পাশেরটাই ঠিকই পানি থৈ থৈ করছে। আমি এ নিয়ে এখানকার সেচ ম্যানেজার রুস্তম মোল্লা কে বললে তিনি বলেন তোকে পানি দেওয়া হবে না।

আমি বিএডিসি থেকে এর সাথে যারা জড়িত সবার নিকট ঘুরেছি। পানি দেবে দেবে করে দেয়নি কেউ। এরপর টের পেলাম প্রশাসন চাইলেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকারে আমি পানি পাচ্ছি না। তাই ঐ সেচ ব্যবস্থাকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করে দিয়েছি এক মাস হলো। এরপর সে আমাকে শারীরিকভাবে হামলা করলে তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও করা আছে।

সরেজিমন মঙ্গলবার কৃষক লিটর আলীর পানি না পাওয়া জমিতে গিয়ে দেখা যায় বিএডিসির সেচ প্রকল্পের অধীনে লিটন আলীর জমি থেকে ১৬ ফিট দূরত্বে রয়েছে সেচের মুখ। সেখান থেকে পানি যাচ্ছে অন্য কৃষকদের জমিতে। কিন্তু ভুক্তভোগী এ কৃষকের জমিতে পানির পথ মাটি দিয়ে ভরাট করে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিএনডিসির ঐ অঞ্চলের ব্যবস্থাপক রোস্তম মোল্লা জানান, বিএনডিসির সেচ নেয়ার জন্য লিটন আলী উপযুক্ত হয়নি। সে আমার আওতাধীন নয়। তাই সে পানি পাচ্ছে না।

পানি পেতে বিএনডিসির নিয়ম কি জানতে চাইলে শালিখা উপজেলার বিএনডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, সেচ যন্ত্র থেকে ১৪ একর জমিতে পানি দেওয়ার নিয়ম আছে। কিন্তু শালিখার বেশিরভাগ এলাকায় ধারনক্ষমতার বেশি এলাকায় পানি সরবরাহ করা হয়। ভুক্তভোগী কৃষকের জমির পাশে যদি বিএনডিসির পানির পাইপ থাকে তবে তো পাওয়া কথা। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।

একজন কৃষক কেন পানি পাবে না এ বিষয়ে শালিখা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিএডিসির সেচ কমিটির সভাপতি ইয়াসমিন মনিরা বলেন, ঐ কৃষক আমার কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছিল যে সে পানি পাচ্ছে না। আমরা বিষয়টি দেখছি। তাকে পানি দেয়ার বিএনডিসির যে নিয়ম আছে তা খতিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। আশা করি তিনি খুব শীঘ্রই পানি পাবেন।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনার নামে একটা পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া দরকার: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে একটা পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া দরকার। কারণ, বায়তুল মোকাররমের খতিবের যদি পালিয়ে যাওয়া লাগে, তাহলে বুঝতে হবে কী পরিমাণ ধ্বংস করা হয়েছে সব খাত। হেন কোনো প্রতিষ্ঠান ছিল না, যা ধ্বংস করা হয়নি। সব অপরাধীর মধ্যে একটা জোট তৈরি হয়েছিল।’

রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে গতকাল রোববার আয়োজিত খাদ্যপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণবিষয়ক এক নীতিসংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সারা দেশে এক কোটি মানুষের জন্য পরিবার কার্ড চালু করে টিসিবি। পরিবার কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে বলে মন্তব্য করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সাধারণ কিছু তথ্য–উপাত্ত চেক করার পর পরিবার কার্ডের সংখ্যা ৫৭ লাখে নেমে আসে। আরেকবার চেক করলে সেটি আরও ২৫ লাখ কমে যাবে। একই বাড়িতে একাধিক কার্ড গেছে। যাঁরা দালানবাড়িতে থাকেন, তাঁদের হাতেও কার্ড আছে। এগুলো সংশোধন করা হবে।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘এক মাস ধরে আমার পরিবার বাজার থেকে খোলা সয়াবিন তেল কিনে খাচ্ছে। কারণ, খোলা ও বোতলজাত সয়াবিনের কোয়ালিটি (মান) একই। শুধু দামেই তফাত।’

তিনি জানান, সুপারশপ স্বপ্নকে খোলা তেল বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সয়াবিন তেলে ভিটামিন এ মিশ্রণ বাধ্যতামূলক। তবে সেটিকে ঐচ্ছিক করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপণ্যের কোনো সংকট হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘ভোগ্যপণ্য আমদানিতে বড় প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছিল এস আলম গ্রুপ। তাদের অনুপস্থিতিতে অংশীজনদের নিয়ে ব্যবস্থাপনা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে বড় কোনো বিপত্তি এখনো হয়নি। আশাকরি রমজানে কোনো সমস্যা হবে না। আমি নিশ্চিত করতে চাই, বাজারে কোনো পণ্যের সংকট নেই।’

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় স্কুলছাত্রীকে ‘হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ’, রিকশায় করে লাশ ফেলা হয় হাতিরঝিলে

এই দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

কিশোরীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় এই দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হাতিরঝিল থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

মেয়েটি রাজধানীর দক্ষিণখানের একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। মা–বাবার কাছে কেনাকাটার কথা বলে বাইরে বেরিয়েছিল সে। পরে আর বাসায় ফেরেনি। গতকাল রোববার হাতিরঝিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন, হাত–পা বেঁধে পাঁচজন মিলে ধর্ষণের পর ওই কিশোরীকে হত্যা করেন তাঁরা।

ওই কিশোরী নিখোঁজ হয় গত ১৬ জানুয়ারি। পরে ১৯ জানুয়ারি দক্ষিণখান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ তারিখে একটি মামলা করেন তিনি। এরপর কিশোরীটির মুঠোফোন নম্বরের সূত্র ধরে ৩০ জানুয়ারি রবিন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রাব্বি মৃধা নামের আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।

দুজনকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত। এরপর রবিন ও রাব্বিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাঁরা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, পাঁচজন মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এতে তাঁর মৃত্যু হলে মরদেহ হাতিরঝিলে ফেলে দেওয়া হয়।

রাব্বি ও রবিনের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে আজ হাতিরঝিল থেকে ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মেয়েটিকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন রবিন ও রাব্বি মৃধা।পরে সন্ধ্যায় তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

হাতিরঝিল থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

হত্যাকাণ্ডের শিকার কিশোরীর বাবা ও মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ওই কিশোরীর বাবা একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। পরিবার নিয়ে থাকেন রাজধানীর দক্ষিণখানে। ১৬ জানুয়ারি বেলা দুইটার দিকে সে মা–বাবাকে বলেছিল, জরুরি কেনাকাটা করে দ্রুত বাসায় ফিরবে। কিন্তু সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও ফেরেনি।

কিশোরীটির বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে সেদিন দুপুরে বেরিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাসায় ফেরেনি। তখন আমি আত্মীয়স্বজনসহ সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু মেয়ের খোঁজ না পেয়ে তিন দিন পর দক্ষিণখান থানায় একটি জিডি করি।’

মেয়েটির বাবা আরও বলেন, ‘আমার যে মেয়েটি স্কুলে যেত, বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করত, আজ সে লাশ হয়ে বাসায় ফিরেছে। যারা আমার মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

পুলিশ কর্মকর্তাদের বলছেন, কিশোরীটিকে হত্যা করার পর মরদেহ বস্তাবন্দী করা হয়। এরপর ১৬ জানুয়ারি ঘটনার দিন মধ্যরাতেই মহাখালী থেকে রিকশায় করে মরদেহ হাতিরঝিলের পুলিশ প্লাজার সামনের সেতুতে নিয়ে আসেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের সহকারী কমিশনার (দক্ষিণখান জোন) মো. নাসিম এ-গুলশান বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে রবিনের পরিচয় হয়। পরে তাকে মহাখালীর একটা বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে হত্যা করেন রবিনসহ পাঁচজন। ধর্ষণের সময় কিশোরীটির হাত-পা বাঁধা এবং মুখে কাপড় গোঁজা ছিল। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর তিনজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাইফুর রহমান মির্জা বলেন, ‘মেয়েটির বাবা থানায় জিডি করার পর গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করি। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে মেয়েটির সন্ধান না পেয়ে তার মুঠোফোনের সিডিআর (ফোনকলের বিস্তারিত তথ্য) জোগাড় করি। সেখানে একটি সন্দেহজনক নম্বর পাই। সেটিই ছিল রবিনের মুঠোফোন নম্বর।’

রবিনের মুঠোফোনের সূত্র ধরে কীভাবে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটিত হলো, সে বিষয়ে তদন্ত তদারক কর্মকর্তা মো. নাসিম এ-গুলশান বলেন, রবিনের মুঠোফোন নম্বরের সিডিআর পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কিশোরীটির সঙ্গে ঘটনার দিনই (১৬ জানুয়ারি) তাঁর প্রথম কথা হয়েছিল। রবিনের মুঠোফোনের সূত্র ধরে মহাখালীর একটি বাসার সন্ধানও পাওয়া যায়। এর মধ্যে গাজীপুর থেকে রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রাব্বিকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রথমে দুজনের কেউই কিশোরীর বিষয়ে তথ্য দিচ্ছিলেন না। পরে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান।

সহকারী কমিশনার নাসিম এ-গুলশান আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রবিন স্বীকার করেন, কিশোরীটিকে ‘ফাঁদে ফেলে’ সেদিন দুপুরে মহাখালীর একটি বাসায় নিয়ে যান তাঁরা। এরপর তার হাত–পা বেঁধে ফেলেন। মুখে গুঁজে দেন কাপড়। তারপর পাঁচজন মিলে তাকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে কিশোরীটি অচেতন হয়ে পড়ে। পরে সে মারা গেলে লাশ গুম করার পরিকল্পনা করা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, কিশোরীটিকে হত্যা করার পর মরদেহ বস্তাবন্দী করা হয়। এরপর ১৬ জানুয়ারি ঘটনার দিন মধ্যরাতেই মহাখালী থেকে রিকশায় করে মরদেহ হাতিরঝিলের পুলিশ প্লাজার সামনের সেতুতে নিয়ে আসেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। মরদেহটি সেতু থেকে হাতিরঝিলে ফেলে দেন রবিন। এরপর যে যার বাসায় চলে যান।

সহকারী কমিশনার (দক্ষিণখান জোন) মো. নাসিম এ-গুলশান জানান, আসামিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিন পেশায় একজন গাড়িচালক। রাব্বি মৃধারও নির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। অভিযুক্ত অন্য তিনজনও রবিনের পূর্বপরিচিত।

Header Ad
Header Ad

টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশ-আওয়ামী লীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত ৮  

ছবিঃ সংগৃহীত

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মাসব্যাপীর কর্মসূচীর অংশ হিসাবে আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ করার সময় সাফায়েত নামে এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করার পর তাকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার খান সাবেশ শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে আহত পুলিশ সদস্যদের নাম জানাতে পারেননি ওসি।

টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. খোরশেদ আলম জানান, আওয়ামী লীগের কর্মসূচির অংশ হিসাবে লিফলেট বিতরণ করছিল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাফায়েত নামে এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় অন্যান্য নেতাকর্মীরা সাফায়েতকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশকে ঘোরাও করে রাখে। পরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ৫ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৮ জন আহত হন।

তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষের এক পর্যায়ে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশের একটি গাড়ি ভাংচুর করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক বলেন, ঘটনার খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় এক পুলিশ সদস্যকে স্থানীয়রা ধরে রাখে। পরে তাদেরকে বুঝিয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে ওসির কাছে বুঝিয়ে দিয়ে আসি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনার নামে একটা পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া দরকার: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ঢাকায় স্কুলছাত্রীকে ‘হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ’, রিকশায় করে লাশ ফেলা হয় হাতিরঝিলে
টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশ-আওয়ামী লীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত ৮  
সড়ক ছেড়ে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা, পরবর্তী কর্মসূচি রাত ১১টায়  
যশোর সীমান্তে মালিকবিহীন ২৩ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য আটক
জুলাই আহতদের আন্দোলনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, বৃদ্ধকে গণপিটুনি    
জানা গেল বাংলাদেশে রোজা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ    
বিএনপির পক্ষ থেকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠানো অযৌক্তিক : তথ্য উপদেষ্টা  
প্রেস সচিবের পর শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ডাস্টবিনে ময়লা ফেললেন উপদেষ্টা আসিফ  
বছরের প্রথম মাসেই এলো সাড়ে ২৬ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স    
নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি শুরুর দাবিতে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন
বিখ্যাত লালনগীতি শিল্পী ফরিদা পারভিন আইসিইউতে
খাল খননের উদ্বোধনে লাল গালিচা! ব্যাখ্যা দিল সিটি করপোরেশন  
আবারও বাড়লো এলপি গ্যাসের দাম    
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ বাবার প্রতিনিধিত্ব করবেন জাইমা  
তিতুমীরকে নয় রাজশাহী কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা উচিত : শিক্ষা উপদেষ্টা  
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও ইনকিলাব মঞ্চের
চার দাবিতে প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কুবি শিক্ষার্থীদের
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন : টাঙ্গাইলে ৮টি আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা