‘বাংলাদেশের মুক্তির জন্য বহু বছর জেল খেটেছেন’
লেখা : রবিউল ইসলাম রাকিব
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মেহেরপুর মহকুমার আম্রকাননের বৈদ্যনাথ তলায় শপথ নিয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধে নামা অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীসভা। রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারগারে বন্দী থাকায় এই সরকারের রাষ্ট্রপতি হিসেবে মন্ত্রীদের নিয়ে শপথ নিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
ঢাকার একমাত্র কৃষি ও গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় ‘শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’ গতকাল ১৭ এপ্রিল ‘মুজিবনগর দিবস’ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পালন করেছে। সকাল ১০টায় স্বাধীনতা চত্বরে জাতীয় পতাকা ওড়ানো হয়েছে। প্রশাসন ভবনের বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিফলকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার ফুলের তোড়া উপহার দিয়েছেন এবং তার ও তার পরিবারের সদস্যদের শান্তি কামনা করে মোনাজাত এবং দোয়া করেছেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ছাত্রী শিক্ষকরা। এরপর তাদের ‘ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল’ বা ‘আইকিউএসি’ প্রশাসন ভবনের সেমিনার রুমে বিকেল ৩টায় আলোচনা করেছে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও মুজিবনগর সরকারের। প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচায অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভুঁইয়া। বিশেষ অতিথি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম। অন্যতম অধ্যাপক ও আইকিউএসি’র পরিচালক ড. মো. আসাদুজ্জামান খান সভাপতি ছিলেন। সেলের অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মীর্জা হাসানুজ্জামান উপস্থাপনা করেছেন।
অধ্যাপকদের মধ্যে মুজিবনগর দিবসের আলোচনায় অংশ নিয়েছেন প্রক্টর ড. মো. হারুন-উর-রশিদ, কৃষি অনুষদ ডিন অধ্যাপক ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস, এ.এস.ভি.এম. (অ্যানিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন) অনুষদ ডিন অধ্যাপক ড. লাম-ইয়া আসাদ, এগ্রি-বিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদ ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ, ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া গবেষণা কেন্দ্র পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী, গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন সেন্টার (আইসিসি) পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মোফাজ্জল হোসাইন, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বহিরাঙ্গন কার্যক্রম পরিচালক ড. শরমিন চৌধুরী, রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম। হলগুলোর প্রভোস্ট, সিনিয়র শিক্ষকরা, কর্মকর্তারা ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি এস. এম. মাসুদুর রহমান মিঠু, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, তাদের নেতা, কমীরাসহ কর্মচারীরা উপস্থিত হয়েছেন।
প্রধান অতিথি ভিসি স্যার বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবনে রাজনীতি সাধারণ, নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য শুরু করেছেন। সারাজীবন তাদের জন্য তিনি আন্দোলন ও সংগ্রাম করে গিয়েছেন। বাংলাদেশের মুক্তির জন্য বহু বছর জেল খেটেছেন। মহৎ মানুষটি নিপীড়িত, বঞ্চিত এই মানুষদের ভাগ্য বদলে ভাবতেন। দেশকে অন্যদের সাহায্যে স্বাধীনতার দিকে নিয়ে গিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা শেখ মুজিবের আজীবন আন্দোলনের ফসল। যে বাঙালিরা ব্রিটিশ ও পাকিস্তানীদের আদেশ পালনে ব্যস্ত থাকতেন, তাদের তিনি বিদ্রোহী করেছেন। অধিকারের মন্ত্রে উজ্জীবিত করে স্বাধীনতায় প্রস্তুত করেছেন।’
ওএস।