শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-৩২     

আলেক্সান্দ্রিয়া থেকে কায়রোর দূরত্ব ২৩০ কিলোমিটারের বেশি নয়। তবে শহর থেকে বেরোবার মুখেই সৌরভ জানাল, আমরা যে পথে এসেছিলাম সেই পথে না ফিরে একটু ঘুরে এগ্রিকালচার রোড ধরে ফিরব। ডেজার্ট রোডের দুপাশে বেশিরভাগ সময় মরুভূমি আর সে তুলনায় এই পথে দুপাশেই সবুজের দেখা মিলবে। সত্যিই শহর ছাড়তেই মাঝে মাঝে ছোট ছোট শহর আর দুই একটা বড় শহর ছাড়া প্রায় সারা রাস্তায় দুপাশে কৃষি জমি। শহরগুলোতে যথারীতি দোকান বাজার আর মসজিদের ছড়াছড়ি। অধিকাংশ বেহাল দশা আবাসিক ভবনের মাঝে কারুকাজ করা দীর্ঘ মিনার এবং সুদৃশ্য গম্বুজওয়ালা রঙিন মসজিদ বেমানান লাগে। তবে ঝাঁ চকচকে বাড়িঘর বা বিশাল বিপনীবিতানও যে পথে পড়েনি তা নয়।

এগ্রিকালচার রোড

গাড়ির গতি একবার একটু কমে এলে দেখলাম ওয়েল্ডিংশপ, গ্রোসারি ও দরজির দোকানের পাশাপাশি এক সারি গরু কিংবা ভেড়ার ঠ্যাং ঝুলছে একটা কসাইখানায়। এইসব ঘন বসতি ও লোকালয় ছেড়ে একটা গ্যাস স্টেশনে গাড়ি থামাল সৌরভ। গ্যাস স্টেশনের সঙ্গেই রেস্টুরেন্ট ও টয়লেট। এগ্রিকালচার রোডের কৃষি ক্ষেতের মাঝখানে বেশ পরিচ্ছন্ন আধুনিক ব্যবস্থাপনা দেখে বোঝা যায় অন্তত হাইওয়েতে যাত্রীদের খাদ্য পানীয় প্রক্ষালণ জাতীয় পরিসেবার ক্ষেত্রে ওরা আমাদের চেয়ে এগিয়ে আছে। হালকা খাবার, ঠান্ডা পানীয় চা-কফি মিলিয়ে আমাদের যাত্রা বিরতির সংক্ষিপ্ত মধ্যাহ্নভোজ শেষ করে বিল দেওয়ার সময় আমি ইচ্ছে করে ক্রেডিট কার্ড এগিয়ে দিলাম। ধারণা ছিল ওরা হয়তো কার্ডে পেমেন্ট নিতে চাইবে না। কিন্তু বিনা বাক্য ব্যয়ে কার্ডে বিল পরিশোধ করে বেরিয়ে এসে কিছুক্ষণ হাইওয়েতে গাড়ির চলাচল দেখলাম।

এগ্রিকালচার রোডে খেজুর গাছের সারি

এ পথে কন্টেইনার বোঝাই ভারী যানবাহন এবং লরিসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল পরিবহনের গাড়ির সংখ্যা যথেষ্ট বেশি। সেই তুলানায় ট্যাক্সি, মাইক্রোবাস জাতীয় হালকা বাহনের সংখ্যা অনেক কম। ডেজার্ট রোডের মসৃণ রাস্তা ছেড়ে কেই বা ভাঙাচোরা রাস্তায় আসতে চায়! মরুভূমির পাড়ি দিয়ে যেতেও কারো আপত্তি নেই। তানতা শহরের কাছাকাছি হাইওয়ের সমান্তরালে চলতে থাকা রেললাইন ধরে বেশ কয়েকবার দীর্ঘ ইন্টারসিটি ট্রেন উত্তরে আলেক্সান্দ্রিয়া আবার কখনো কায়রোর দিকে চলে গেল। কায়রো আলেক্সান্দ্রিয়া রেলপথে সময় লাগে চার ঘণ্টা। রানা ভাইকে বললাম, ‘একবার ট্রেনে কায়রো থেকে আলেক্সান্দ্রিয়া যেতে পারলে ভালো হতো।’ রানা ভাই বললেন, ‘ভালো হতো, তবে সঙ্গে গাড়ি থাকার বাড়তি সুবিধাটা পাওয়া যেত না।’ সুবিধা যেহেতু বেশি এবং সেটা আমরা খুব ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছি, অতএব এ ব্যাপার আর কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। 

লেভেল ক্রসিং-এ সূর্যাস্ত

মাইলের পর মাইল এই পথে চলার সময় দু পাশে চষা জমি, কোথাও সবুজ ফসলের ক্ষেত এবং মাঝে মাঝে খেজুর গাছের সারি দেখে বোঝার উপায় নেই নীল নদের দু পাড়ের সামান্য অংশ বাদ দিলে এ দেশের ভূভাগের প্রায় সবটাই মরুভূমি। ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নেমে আসছিল। ঠিক সূর্যাস্তের সময় আমরা একটা দীর্ঘ খেজুর বাগান পার হচ্ছিলাম। গাছের আড়ালে পাতার ফাঁকে রক্তিম সূর্য খানিক উঁকি দিয়েই আড়ালে চলে যাচ্ছিল। একটা লেভেল ক্রসিং-এ এস দাঁড়াবার পরে দেখতে দেখতে আলোর বিচ্ছুরণ থেমে গেল, দিগন্তে মিলিয়ে গেল লাল টুকটুকে সূর্য।   

রাতে খাবার কথা ছিল অভিজাত মাদি এলাকার রোড নম্বর নাইনের ভিলা কারাক্কাসে। দূরত্ব সামান্য বেশি হলেও এগ্রিকালচার রোডে ট্রাফিক জ্যাম কম, সাড়ে তিন ঘণ্টায় কায়রো পৌঁছে যাবার কথা। কিন্তু দেরিতে বেরিয়ে পথে কিছু সময় লাঞ্চ বিরতি দিয়ে ধীরে সুস্থে চালিয়ে আমরা যখন কায়রো শহরে ঢুকেছি তখন পথে পথে সড়কবাতি জ্বলে উঠেছে, দূরে থেকে ঝলমলে কায়রো টাওয়ার দেখে বুঝতে বাকি থাকে না গন্তব্যের কাছাকাছি এসে গেছি। পথে যানজট না থাকলেও শহরের ভেতরে কয়েক কিলোমিটার পথ পার হতে অনেকটা সময় লেগে গেল। সেই কারণে সিদ্ধান্ত হলো বাসায় না ফিলে সরাসরি রেস্টুরেন্টে চলে যাব। আমরা ভিলা কারাক্কাসে ঢুকলাম সোয়া আটটার দিকে।

ভিলা ক্যারাক্কাস বাইরে থেকে 

সন্ধ্যাবেলা রেস্টুরেন্ট পাড়ায় একটু ঘুরে এলে মিশরে লেবানিজ খাবারের জনপ্রিয়তা এবং একই সঙ্গে সচ্ছল পরিবারের নারী পুরুষ শিশুদের নিয়ে বাইরে খেতে যাওয়ার প্রবণতা সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়। আমাদের দেশেও সাধ ও সাধ্য অনুসারে রেস্টুরেন্টগুলোতে ভিড় বেড়েছে, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আড্ডা বা অন্তরঙ্গ পরিবেশে কথোপকথনের চেয়ে উদরপূর্তিই এখনো মুখ্য। কায়রোর মানুষ স্বভাবগতভাবেই আড্ডা প্রিয়, চা কিংবা কফি কাপ হাতে এরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্পগুজব করে কাটিয়ে দেয়। কাজেই রেস্টুরেন্টে দীর্ঘ সময় বসে অনেক রাত পর্যন্ত চলতে থাকে জমজমাট আড্ডা।

ভিলা কারাকাক্কাসের ভেতরে বাইরে দেখে বোঝা যায় পুরোনো বড় একটা বাড়ি রেস্তোঁরায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। সামনে পেছনে ছোট বড় কক্ষগুলো ছাড়াও বিস্তৃত প্রাঙ্গণের কোথাও কোনো ঠায় নেই। সৌরভ আগে থেকেই টেবিল বুক করে রেখেছিল বলে আমরা সহজেই জায়গা পেয়ে যাই। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে চলে এলেন সৈয়দ আজিজ ও মাননি ভাবি। লেবানিজ খাবার শুধু যে খেতেই ভালো তা নয় পরিবেশনের বৈচিত্র্যের কারণে মনে হলো কিছু ‘অস্বাদু’ খাবারও সুস্বাদু হয়ে গেছে। আমরাও কায়রোনিবাসীদের মতো দীর্ঘ সময় ধরে এইসব চর্ব- চোষ্য-লেহ্য-পেয় শেষ করে যখন ঘরে ফিরলাম তখন গভীর রাত।   

ভিলা ক্যারাক্কাস ভেতরে        

পরদিন সকালে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা না থাকায় রোড নম্বর নাইনে কিছু সময় সুভ্যেনিয়ার শপে আর বাকি সময় অকারণে ঘোরাঘুরি করে কাটানোর উদ্দেশ্যে বের হলাম। খানিকটা পথ যাবার পরে টিপটিপ করে বৃষ্টি শুরু হলো। এই বৃষ্টি আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি, শ্রাবণের ঘন বর্ষণ বা ভাদ্রমাসের ঝিরঝিরে এক পশলা বৃষ্টির মতো নয়। বৃষ্টি বিরল কায়রো শহরে হয়তো গত ছয়মাস বা বছরে একদিনও বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু আশেপাশে মানুষের মুখ দেখে বোঝার উপায় নেই এই আকস্মিক বারিপাতে তারা কী আনন্দিত না দুঃখিত! আমি নিশ্চিত আমাদের কোনো শহরে ছ-মাস ন-মাসে একদিক বৃষ্টি নামলে কিশোর কিশোরীরা রাস্তায়, গৃহবধূরা বাড়ির ছাদে বৃষ্টিতে ভিজতে নেমে যেত, কবিরা কবিতার খাতা খুলে বসতেন, রান্নাঘর থেকে খিচুড়ির ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ত পাড়ায় মহল্লায় এবং ‘ওয়েদার ডিমান্ডস’ বলে কে যে কী করতেন আল্লা মালুম। কায়রোর মানুষের উচ্ছ্বাসহীন বৃষ্টির চরিত্র নির্ধারণ করে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগেই বৃষ্টি যেমন এসেছিল তেমনি মিলিয়ে গেল।  রাস্তা ভেজার আগে বৃষ্টি ছেড়ে যাওয়ায় আমরা রাস্তায় নেমে কোনো কিছু কেনার ইচ্ছে না থাকলেও এ দোকান সে দোকান ঘুরে প্যাপিরাসের পাতা, পাথরের তৈরি পিরামিডের ছোট্ট রেপ্লিকা, হাইরোগ্লিফিক লিপি আঁকা টি-শার্টসহ টুকটাক স্যুভেনিয়ার কিনে কিছু ইজিপশিয়ান পাউন্ড কায়রোতে রেখে গেলাম।

লামিয়া ইব্রাহিম

বাসায় ফিরে দেখলাম সৌরভের মিশরী ‘বুয়া’ আপন মনে তার কাজ করে যাচ্ছে। আগেই জেনেছি মেয়েটি কায়রোর একটি সরকারি হাসপাতালের নার্স। কিন্তু সরকার বাহাদুর সপ্তাহে ছয়দিন কাজের বিনিময়ে তাকে যে বেতন দেয় তাতে তার নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। মিশরে নুন থাকলেও পান্তার প্রচলন আছে কিনা জানি না, তবে শ্রমজীবী ও বেতন কাঠামোর নিচের দিকের পেশাজীবী মানুষের আর্থিক অবস্থা যে খুব ভালো নয় তা সহজেই বোঝা যায়। ফলে প্রয়োজনের তাগিদেই সে সপ্তাহের একটা ছুটির দিনে একবেলা সৌরভের বাসার যাবতীয় কাজ যথেষ্ট নৈপুন্য, বিশ্বস্ততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে করে রেখে যায়।

ওর কাছে বাসার এক সেট চাবি আছে, কাজেই কেউ না থাকলেও সে তার কাজ ঠিকঠাক মতো করে সব গুছিয়ে রেখে যায়। গৃহকর্মে নিপুণা মেয়েটির গৃহ এবং সংসারের কথা জানি না মনে হয়েছে দারিদ্র্য এবং পরিশ্রম তার মুখের হাসিটুকু কেড়ে নিতে পারেনি। হেনা ওর সঙ্গে দুই একটা কথা বলার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সে একেবারেই ইংরেজি না জানায় আলাপটা জমেনি।  সন্ধ্যায় আমার ‘মিছছরররের’ বন্ধু লামিয়ার আসার কথা। কায়রো এসেই যোগযোগ করেছিলাম, কিন্তু বেশিরভাগ দিন তো আসোয়ান লুক্সর আলেক্সান্দ্রিয়ায় কেটে গেল। ফলে ইচ্ছে থাকলেও আমি দেখা করতে যেতে পারিনি এবং লামিয়াও আসতে পারেনি। লামিয়ার সঙ্গে দেখা হয়েছিল সউলে কোরিয়ান ব্রডকাস্টিং সিস্টেমের ডকুমেন্টারি ওয়ার্কশপে দুই দশকের বেশি সময় আগে।

লামিয়ার দেওয়া উপহার

ঊনিশ দেশের ঊনিশজন টেলিভিশন প্রযোজক এবং ডকুমেন্টারি ফিল্মমেকারের সেই অন্তরঙ্গ কর্মযজ্ঞে নাইল নিউজের প্রযোজক লামিয়া ইব্রাহিম ছিল সবচেয়ে উজ্জ্বল উচ্ছল প্রাণবন্ত তরুণী। প্রশিক্ষণ কোর্সের ঊনিশজনের মধ্যে যে পাঁচ-সাতজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তাদের অন্যতম লামিয়ার সঙ্গে দুই দশকের বেশি সময়েও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি। ঈদে পরবে, নববর্ষে ও জন্মদিনে শুভেচ্ছা বিনিময় ছাড়াও মাঝে মধ্যে মেইলে যোগাযোগ আছে এখনো। 

লামিয়া বাসার নিচে এসে গাড়ি পার্কিংয়ে রেখে তার আসার খবর দিয়েছে। আমি লম্বা করিডোর পেরিয়ে লিফটের কাছে পৌঁছাতেই লিফটের দরজার খুলে বেরিয়ে এল লামিয়া। বলল, ‘ইটস লং টুয়েন্টি টু ইয়ার্স! মনে হচ্ছে যেন এই তো সেদিন।’

বয়সের সঙ্গে লামিয়ার উচ্ছলতা হয়তো কমেছে, তবে হাসিটা আগের মতোই আছে। নাইল নিউজের ডিরেক্টর হিসেবে ব্যস্ততা ও দায়িত্ব বেড়েছে। সউল থেকে ফিরেই লামিয়ে জানিয়েছিল সে বিয়ে করতে যাচ্ছে। বিয়ে করেছিল কিন্তু সংসারটা বেশি দিন টেকেনি। ছেলে মেয়ে নেই, এখন মায়ের সঙ্গে থাকে। শারীরিকভাবেও পুরোপুরি সুস্থ নয়, খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারেও বেশ কড়াকড়ি রকমের নিষেধাজ্ঞা আছে, চা কফি সবই নিষেধ। তাই রানা ভাইয়ের পরামর্শে ফ্রেশ মিন্টসহ এক কাপ গরম জল ছাড়া লামিয়ার জন্যে কোনো আপ্যায়নের ব্যবস্থা করতে পারলাম না।

লামিয়ার সঙ্গে

আমরা কেবিএস-এর সেই আনন্দঘন পুরোনো দিনগুলোর কথা, সতীর্থ গ্রাজিনা, এদোয়ার্দো, আলা, কিবারার, জিনা ও জোকে নিয়ে কথা বলে কেমন করে যেন প্রায় দুই ঘণ্টা সময় কাটিয়ে দিলাম। লামিয়া সঙ্গে করে এনেছিল একটা বৃত্তাকার মিষ্টান্ন, ঠিক কেক নয় তবে কেক-এর মতো কিছু একটা আর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের মতো ফারাও সম্রাজ্ঞীর চেহারা ঊৎকীর্ণ মগ। কেক-এর নামটা ভুলে গেছি, তবে সেটা যে ইজিপশিয়ান ডেলিকেসির উৎকৃষ্ট উদাহরণ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

বিদায় নেওয়ার সময় লামিয়া বলল, ‘আর হয়তো কখনো দেখা হবে না, তবে যোগাযোগ রেখ।’ বললাম, ‘আমি তো একবার হলেও কায়রো ঘুরে গেলাম, সম্ভব হলে তুমি একবার ঢাকায় এস, তাহলেই দেখা হবে।’ 

নিচে নেমে গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসে লামিয়া একবার হাত নেড়ে বিদায় জানাল। তারপর সাবলীলভাবে স্টিয়ারিং ঘুরিয়ে রাস্তায় উঠে গেলে চলমান যান বাহনের স্রোতে মিশে গেল লামিয়ার বাহন। 

চলবে...         

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-৩১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-৩০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৭ 

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৪    

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-২০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা: পর্ব-১৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১১

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১০

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৯

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৮

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

এসএন 

Header Ad

বুবলীর পর একই থানায় অপু বিশ্বাসের জিডি!

চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত

চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর পর এবার অরুচিকর, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচারের অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ঢালিউডের অপু বিশ্বাস।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর ভাটারা থানায় তিনি একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত

জিডিতে অপু বিশ্বাস উল্লেখ করেছেন, ‘বেশ কিছুদিন যাবৎ ৩৪ ব্যক্তি ও ব্লগার তাদের নিজস্ব ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে আমার নামে বিভিন্ন অরুচিকর, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করছে। এমন অবস্থায় বিষয়টি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে রাখার প্রয়োজন বলে মনে করেছি।’

শুক্রবার (১০ মে) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির গুলশান বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা। তিনি বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পুলিশ সূত্রে খবর, ‘বুবলী ফ্যান, সীমান্ত, ভাইরাল নিউজ বাই তোমা, ফাইভ টিভি বাংলা ও রাইদ রবিসহ ৩৪টি ফেসবুক পেজ-ইউটিউব চ্যানেলের নাম জিডিতে উল্লেখ করেছেন অপু। এ বিষয়ে মোবাইলে অপুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এর আগে একই ধরনের অভিযোগে একই থানায় (ভাটারা) জিডি করেন শবনম বুবলী। গত ২৪ এপ্রিল তিনি জিডি-টি করেন। ১৫ দিন পর গত বুধবার সে খবর প্রকাশ্যে আসে। জিডিতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ফেসবুক পেজসহ অন্তত ৩০টি ফেসবুক একাউন্ট, পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলের নাম উল্লেখ করেন বুবলী।

জিডিতে বুবলী লেখেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে কিছু ব্যক্তি, অনলাইন পোর্টাল ও টেলিভিশন চ্যানেল তাদের নিজস্ব ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে আমাকে নিয়ে বিভিন্ন অরুচিকর, মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করছে। এ অবস্থায় বিষয়টি সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে রাখা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করছি।’

চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের পারিবারিক একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন, কিং খানের প্রাক্তন দুই স্ত্রী অপু বিশ্বাস এবং বুবলী নাকি শাকিব সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা বলেন। এতে বিরক্ত শাকিব ও তার পরিবার।

আরও বলা হয়, দুই ছেলে আব্রাম খান জয় এবং শেহজাদ খান বীরকে দেখানোর অজুহাতে প্রায়ই শাকিব খানের অফিস ও বাসায় গিয়ে হাজির হন অপু বিশ্বাস ও বুবলী। এটাও শাকিব ও তার পরিবারের পছন্দ নয়। সে কারণে এই দুই নায়িকার নাকি শাকিবের অফিস ও বাসায় ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

পাশাপাশি, শাকিবের পরিবার তার তৃতীয় বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছে- তাও জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি। যা নিয়ে গত কয়েকদিন গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাপক চর্চা হচ্ছে। কটাক্ষ করা হচ্ছে অপু-বুবলীকে। সে কারণেই ‍দুই নায়িকার এই আইনি পদক্ষেপ।

বিমান ঘাঁটিতে পাইলট আসিমের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত

বিমান ঘাঁটিতে পাইলট আসিমের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের মরদেহ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে নিয়ে আসা হয়েছে।

শুক্রবার (১০ মে) সকাল ৮টায় বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে আসিম জাওয়াদের মরদেহটি ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এরপর দ্বিতীয় জানাজা ও ফিউনারেল প্যারেডের জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বাশারের প্যারেড গ্রাউন্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।

সকাল ১০টা ২০ মিনিটে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। সেখান থেকে মরদেহ তার নিজ গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে নিয়ে তৃতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমান ঘাঁটি থেকে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়নের পরই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর বিমানটি কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত হয়ে গুরুতর আহত হন উইং কমান্ডার সোহান ও স্কোয়াড্রন লিডার আসিম। পতেঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মারা যান স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ।

আসিম জাওয়াদ মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার গোপালপুর গ্রামের ড. আমান উল্লাহ ও নীলুফা আক্তারের ছেলে।

ইউরোপা লিগ: অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়ে ফাইনালে লেভারকুসেন

অজেয় থাকার রেকর্ড গড়ে ফাইনালে লেভারকুসেন। ছবি: সংগৃহীত

হার এড়াতে পারলেই ইউরোপের ফুটবলে লেখা হবে নতুন ইতিহাস। এটি আগেই জানা ছিল বেয়ার লেভারকুসেনের। তবে মাঠে নেমে সেই ইতিহাস গড়তে একটু দেরি হলেও শেষমেশ তা করেই ছাড়লো জার্মান বুন্দেসলিগার ক্লাবটি। ইউরোপীয় ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে টানা বেশি ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড করলো লেভারকুসেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে ইউরোপা লিগে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রোমার বিপক্ষে নাটকীয়ভাবে ড্র করে ফাইনালের টিকিট কাটে জাবি আলোনসোর দল।

সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রোমার সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে তারা। প্রথম লেগে ২-০ গোলে জয় পাওয়ায় দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ গোলে রোমাকে হারিয়ে ইতিহাসের দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপা লিগের ফাইনালে উঠল লেভারকুসেন।

চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত সকল প্রতিযোগিতায় অপরাজিত রয়েছে লেভারকুসেন। বুন্দেসলিগায় বায়ার্ন মিউনিখের ১১ বছরের আধিপত্য কেড়ে নিয়েছে তারা।

তার পাশাপাশি লিগ কাপেও ফাইনালে উঠেছে আলোনসোর দল। আর এবার ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতা ইউরোপা লিগে কোন ম্যাচ না হেরে ফাইনালে উঠেছে লেভারকুসেন।

এতে চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৪৯ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়েছে লেভারকুসেন। তারা ভেঙেছে ইউরোপের ফুটবল ইতিহাসের ৫৯ বছর আগের রেকর্ড।

১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ সালে টানা ৪৮ ম্যাচ অপরাজিত থেকে ইউরোপের ফুটবল ইতিহাসে সর্বোচ্চ অপরাজিত থাকার রেকর্ডটি এতদিন দখলে রেখেছিল বেনফিকার।

আগামী ২৫ মে জার্মানির দ্বিতীয় সারির দল এফসি কাইজারস্লটার্নের বিপক্ষে লিগ কাপ ফাইনালে মুখোমুখি হবে লেভারকুসেন। আর তার আগে ২২ মে ইউরোপা লিগের ফাইনালে আতালান্তার মুখোমুখি হবে আলোনসোর দল।

এই দুই ম্যাচে জয় পেলে আর লিগে শেষ দুই ম্যাচে জিততে পারলেই অপরাজিত এক মৌসুম পার করবে লেভারকুসেন। যা আগে অন্য কোন জার্মান ক্লাব করতে পারেনি।

সর্বশেষ সংবাদ

বুবলীর পর একই থানায় অপু বিশ্বাসের জিডি!
বিমান ঘাঁটিতে পাইলট আসিমের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত
ইউরোপা লিগ: অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়ে ফাইনালে লেভারকুসেন
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
প্রেমিক যুগলকে মারধরের পর গলায় জুতার মালা, ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
বিদায় নিচ্ছেন পিটার হাস, নতুন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ডেভিড মিল
চুক্তি ছাড়াই শেষ যুদ্ধবিরতি আলোচনা, রাফায় চলছে ইসরায়েল-হামাস লড়াই
কর্ণফুলী নদীর তলদেশ থেকে বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমান উদ্ধার
রাফায় বড় অভিযান হলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ: বাইডেন
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন এলাকায় লোডশেডিংয়ের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৩ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল
ভবিষ্যতে শতভাগ কানেক্টিভিটি তার ভূগর্ভে স্থাপন করা হবে: পলক
নয়া সরকারের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম বাজেট ঘোষণা ৬ জুন
প্রকল্প-স্থাপনায় ‘শেখ হাসিনা’ নাম না রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট পড়েছে ৩৬.১ শতাংশ
৪৬তম বিসিএসের প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১০৬৩৮
ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ
নওগাঁয় বজ্রপাতে ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু
ভারত-কানাডা দ্বন্দ্ব চরমে, পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি