৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১০ হাজার ৬৩৮ জন প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অনুষ্ঠিত বিশেষ সভা শেষে এ ফলাফল প্রকাশিত হয়।
গত ২৬ এপ্রিল ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন কেন্দ্রে চাকরিপ্রার্থীরা অংশ নেন। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২০০ নম্বরের এ পরীক্ষা হয়।
পিএসসি সূত্র জানায়, ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারিতে দুই লাখ ৫৪ হাজার ৫৬১ প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। পরীক্ষা দেননি ৮৩ হাজার ৪২৫ জন। উপস্থিতির হার ৭৫।
এ বিসিএসে তিন হাজার ১৪০টি পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এছাড়া সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন নেওয়া হবে ১৬ জন। এরপর সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। বিভিন্ন বিষয়ে এ ক্যাডার থেকে বিসিএস শিক্ষায় ৫২০ জন নেওয়া হবে।
নওগাঁয় ডিবির অভিযানে দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
নওগাঁয় ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৪শ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে সদর উপজেলার কুমুরিয়া গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটকৃতরা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানার ছোটখাটামারী এলাকার হানিফ আলীর ছেলে মাহাবুব রহমান (৩৩) ও নওগাঁ জেলার সদর থানার কৃত্তিপুর এলাকার বাবু হোসেনের ছেলে সম্রাট হোসেন (২৮)।
পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় ডিবির ওসির নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালনা করেন এসআই মামনুর রশিদ ও এসআই আলী আকবর হাসানসহ সঙ্গীয়ফোর্স।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ হাশমত আলী।
ওসি হাশমত বলেন, সদর উপজেলার কুমুরিয়া এলাকায় মাদকের একটি চালান এসে হাত বদল হবে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান ও সম্রাট হোসেনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে উক্ত পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মাদক আইনে মামলা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
দলীয় সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন কেজরিওয়াল। ছবি: সংগৃহীত
আকস্মিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের দিল্লি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কারাগার থেকে ছয় মাস পর জামিনে বেরিয়ে এই ঘোষণা দিলেন তিনি।
রোববার (১৫ সেপ্টেস্বর) দুপুরে দলীয় সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় দিল্লিতে আগাম নির্বাচনেরও দাবি জানান আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান কেজরিওয়াল। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
কেজরিওয়াল বলেন, ‘দুই দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে চলেছি। মানুষ রায় না দেওয়া পর্যন্ত আমি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসব না। আইনি আদালত থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছি, এখন জনতার আদালত থেকে ন্যায়বিচার পেতে চাই।’
‘মানুষ রায় না দেওয়া পর্যন্ত আমি চেয়ারে বসব না। প্রত্যেক বাড়িতে যাব, দরজায় দরজায় পৌঁছব। মানুষের রায় না পাওয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসব না।’
কেজরিওয়াল আরো বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করার পর আম আদমি পার্টির কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।’
পদত্যাগের কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে কেজরিওয়াল বলেন, ‘আদালত জামিন দিয়েছে। এই মামলা চলবে। আইনজীবীদের বললাম, আদালত থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসব না। যে আইনে জামিন হয় না, সেই আইনে আদালত থেকে জামিন পেয়েছি। কিন্তু আজ আমি জনতার আদালতে এসেছি। আপনারা বলুন, আপনারা আমাকে দোষী মনে করেন না নির্দোষ? কেজরিওয়াল সৎ না অসৎ? দু'দিন পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ছাড়ছি আমি। মানুষকে রায় না শোনানো পর্যন্ত ওই চেয়ারে বসব না আমি’।
দিল্লির আবগারি নীতি কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের মামলায় শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জামিন দেয় কেজরিওয়ালকে। জামিন আদেশের কয়েক ঘণ্টা পর তিহার জেল থেকে বেরিয়ে আসেন আম আদমি পার্টি।
মাঝখানে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দলের হয়ে প্রচারের জন্য আম আদমি পার্টির নেতাকে কয়েক দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। পরে আবার তিহার জেলে পুনরায় আত্মসমর্পণ করেন। অবশেষে ছয় মাস পর শুক্রবার জেল থেকে মুক্তি পান কেজরিওয়াল।
কেজরিওয়ালকে জামিনের শর্তে বলা হয়, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে যেতে পারবেন না; সরকারী নথিতে স্বাক্ষরও করতে পারবেন না।
এছাড়া শুক্রবার শীর্ষ আদালত আদেশ দেয়, কেজরিওয়ালকে মামাল অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত সমস্ত বিচারের শুনানিতে উপস্থিত থাকতে হবে। দ্রুত বিচারের বিচারের সমাপ্তি নিশ্চিত করতে আদালতকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে।
কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় ৪ আসামি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
কুড়িগ্রামে আলোচিত সব ঘটনাগুলোর মধ্যে অন্যতম অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও বিচার না পেয়ে ভুক্তভোগীর আত্মহত্যার ঘটনা। এ ঘটনার পর সাড়া পড়ে যায় সকল সচেতন মহলে। দাবি তোলা হয় অভিযুক্তদের বিচারের।
এদিকে এ ঘটনায় চার আসামির মধ্যে ৩ আসামিকে গ্রেফতার করা গেলেও মামলার ৩ মাস ১৫ দিন পার হলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে মামলার অন্যতম আসামি শুকুর আলী (৫০)।
এর আগে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে রাজিবপুর পুলিশ। গত শনিবার (১ জুন) দুপুরে অভিযান পরিচালনা করে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রধান আসামি মো. জয়নাল আবেদীন (৪৮) ও আরেক আসামি মো. আলম হোসেন (৪০)।
পরে এ ঘটনায় অন্যতম প্রধান পলাতক আসামি মো. সোলায়মান (২৯) কে যৌথ অভিযানে ১৫ জুন শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১, সিপিএসসি, গাজীপুর এবং র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর।
সোলায়মানকে গ্রেপ্তারের পর সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, আমরা বিষয়টিকে খুবই গুরুত্বসহকারে দেখেছি। র্যাবের যৌথ অভিযানে পলাতক আসামি মো. সোলায়মান (২৯) গ্রেপ্তার হয়েছে। এছাড়াও পলাতক আসামি শুক্কুর আলীকে (৫০) ধরতে তৎপর রয়েছে র্যাব।
পলাতক আসামী শুকুর আলীর বিষয়ে রাজিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সেলিমুর রহমান বলেন, আমি যেহেতু তৎকালীন সময়ে রাজিবপুর থানার দায়িত্বে ছিলাম না। থানার আয়ুর কাছে তথ্য নিয়ে জানাতে পারবো।
গার্মেন্টস শ্রমিকের ধর্ষণ চেষ্টাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মোমবাতি প্রজ্জালন ও মানববন্ধন করে শ্রমিক বৃন্দ, কুড়িগ্রাম।
এছাড়াও গ্রেফতার না হলে বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছিল তারা। পরে গত ১২ জুন ২০২৪ মামলা রেকর্ডভুক্ত করা হয়।
একটি সূত্রে জানা যায়, একটি অডিও কল রেকর্ড নিয়ে আলোচনায় আসার পর কুড়িগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম নির্দেশেই রাজিবপুর থানা মামলাটি গ্রহণ করে।
ভুক্তভোগী কোহিনুর আক্তার বলেন, মামলা নিতেও সময় ক্ষেপন করা হয়েছে। মামলা হওয়ার পরেও কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের বিষয়ে রাজিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সেলিমুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারে তৎপর রয়েছে পুলিশ।
এদিকে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার অন্যতম আসামি আব্দুল্লাহ ও কেসমত এর বিরুদ্ধে মিয়াপাড়া ওসিমন নেসা মাদরাসার সেক্রেটারী আজিজুর রহমান ক্বারীকে মারধর, হত্যাচেষ্টা ও হুমকি দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী আজিজুর রহমান বলেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর আসরের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় আব্দুল্লাহ ও কেসমত আলী আমার উপর অতর্কিত হামলা করে। তাদের হাতে থাকা রড দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মেরে জখম করে। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে। পরে আমি রাজিবপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে জামালপুরে একটি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করলে সেখান থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করি। ঘটনার পরে থানায় অবহিত করি এবং একটি অভিযোগ প্রদান করি।
আজিজুর রহমান ক্বারীকে মারধর, হত্যাচেষ্টা ও হুমকি বিষয়ে রাজিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সেলিমুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে একটি মামলা প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আনতে তৎপর রয়েছে পুলিশ।