মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ব্রাজিলের কিংবদন্তি কোচ ও ফুটবলার মারিও জাগালো মারা গেছেন

মারিও জাগালো। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার মারিও জাগালো মারা গেছেন। খেলোয়াড় এবং কোচ হিসেবে ৪টি বিশ্বকাপ জিতেছেন এই কিংবদন্তি ফুটবলার। ২০২২ সালে পেলের মৃত্যুর পর তিনিই ছিলেন ৫৮ সালের বিশ্বকাপ জেতা দলের একমাত্র সদস্য।

অবশেষে ৯২ বছর বয়সে পরপারে পাড়ি জমালেন জাগলো। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তার মৃত্যুতে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) ৭ দিনের শোক ঘোষণা করেছে।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) জাগালোর অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রামে তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “অনেক দুঃখের সঙ্গে আমরা চারবার বিশ্বকাপজয়ী মারিও হোর্হে লোবো জাগালোর মৃত্যুর খবর জানাচ্ছি।”

পেলের সঙ্গে ১৯৫৮ সালে ব্রাজিলের প্রথম বিশ্বকাপ জেতা দলটির সদস্য ছিলেন জাগালো। ছিলেন লেফট উইঙ্গার হিসেবে। ১৯৬২ সালে শিরোপা ধরে রাখার অভিযানেও দলে ছিলেন তিনি। তার পর ব্রাজিলের সর্বকালের কিংবদন্তি পেলে, জর্জিনিয়ো, রিভেলিনো এবং তোস্তাওদের নিয়ে গড়া দলটির কোচও হয়েছিলেন। যাদের নিয়ে ১৯৭০ সালে কোচ হয়ে জেতেন ব্রাজিলের তৃতীয় বিশ্বকাপ। ১৯৯৪ সালে ব্রাজিলের জেতা চতুর্থ বিশ্বকাপের সময় দলটির সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মারিও জাগালো

ব্রাজিল দলে জাগালোর অভিষেক হয় ২৬ বছর বয়সে। ১৯৫৮ বিশ্বকাপ শুরুর কিছুদিন আগে জাতীয় দলে অভিষেক হয়। এরপর থেকেই জাতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছিলেন। ব্রাজিলের হয়ে খেলেছেন মাত্র ৩৭ ম্যাচ। আর তাতেই নাম লিখিয়েছেন কিংবদন্তিদের তালিকায়।

Header Ad

৩ দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করতে তিন দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট। আজ (মঙ্গলবার) বিচারপতি ফাতেমা নজীব এবং বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।

বর্তমানে রাজধানীতে প্রায় ১২ লাখ রিকশা চলাচল করে, যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ব্যাটারিচালিত। পুরোনো প্যাডেলচালিত রিকশাগুলোকেও অনেক ক্ষেত্রে ব্যাটারি সংযোজন করে যান্ত্রিক করা হচ্ছে। এসব রিকশা মূলত রাজধানীর অলিগলিতে বেশি দেখা গেলেও সুযোগ পেলে বড় সড়কগুলোতেও চলাচল করে।

ঢাকার খিলগাঁও, মান্ডা, বাসাবো, মানিকনগর, রামপুরা, বাড্ডা, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, সবুজবাগ, শ্যামপুর, ডেমরা, মোহাম্মদপুর, বছিলা, উত্তরা, ভাটারা, দক্ষিণখান, উত্তরখান, ময়নারটেক, মিরপুর এবং পল্লবী এলাকাগুলোতে ব্যাটারিচালিত রিকশার আধিক্য লক্ষ্য করা যায়।

ব্যাটারিচালিত রিকশা যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ানোর পাশাপাশি পরিবেশগত সমস্যার কারণ হয়ে উঠছে। এসব কারণে হাইকোর্ট এই পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন। নির্দেশ কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

হাইকোর্টের এই আদেশ কার্যকর হলে ঢাকার রাস্তায় যানজট কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এই নির্দেশ বাস্তবায়নে চালকদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে, কারণ তাদের অনেকের জীবিকা নির্ভর করে এই ব্যাটারিচালিত রিকশার ওপর।

Header Ad

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা তিতুমীরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা তিতুমীরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ছবি: সংগৃহীত

সৈয়দ মীর নিসার আলী তিতুমীর (১৭৮২-১৮৩১) ছিলেন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের এক কিংবদন্তি নেতা। জমিদার ও ব্রিটিশ শাসকদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে তার সংগ্রাম আজও বাংলার ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। বাঁশের কেল্লার নির্মাতা হিসেবে তিনি বাঙালির স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। ১৮৩১ সালের ১৯ নভেম্বর ব্রিটিশ সেনাদের আক্রমণে নারকেলবাড়িয়ার সেই ঐতিহাসিক বাঁশের কেল্লায় যুদ্ধরত অবস্থায় শহীদ হন তিনি।

তিতুমীরের জন্ম ১১৮৮ বঙ্গাব্দের ১৪ মাঘ (১৭৮২ খ্রিস্টাব্দ) পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বশিরহাট মহকুমার চাঁদপুর গ্রামে। তার পরিবার নিজেদের হজরত আলীর (রা.) বংশধর হিসেবে পরিচয় দিতেন। তিনি বাংলা, আরবি ও ফার্সি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন এবং ইসলামি ধর্মশাস্ত্র, আইন, দর্শন ও তাসাওয়াফসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।

১৮২২ সালে তিনি পবিত্র হজব্রত পালনের জন্য মক্কায় গমন করেন। সেখানে তিনি বিখ্যাত ইসলামি সংস্কারক ও বিপ্লবী নেতা সাইয়িদ আহমদ বেরলভির সান্নিধ্যে আসেন। সাইয়িদ আহমদ তাকে বাংলার মুসলমানদের অনৈসলামিক রীতি এবং বিদেশি শাসনের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।

দেশে ফিরে ১৮২৭ সালে তিনি সাধারণ কৃষক ও তাঁতিদের মধ্যে বিপ্লবী চেতনা ছড়িয়ে দিতে কাজ শুরু করেন। তার প্রচার-প্রচারণার ফলে জমিদারদের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। জমিদারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে তিনি ১৮৩১ সালের অক্টোবরে নারকেলবাড়িয়ায় বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেন। বাঁশ ও মাটির সমন্বয়ে তৈরি এই দুর্গ ছিল প্রতিরক্ষা ও স্বাধীনতার প্রতীক।

১৮৩১ সালের ১৪ নভেম্বর ব্রিটিশরা গোলন্দাজ বাহিনী নিয়ে বাঁশের কেল্লায় আক্রমণ চালায়। অসীম সাহসিকতার সঙ্গে তিতুমীর ও তার অনুসারীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তবে শত্রুপক্ষের অত্যাধুনিক অস্ত্রের সামনে এই প্রতিরোধ টিকতে পারেনি। অবশেষে ১৯ নভেম্বর সংঘর্ষে তিতুমীরসহ তার বহু অনুগামী শহীদ হন।

তিতুমীরের আত্মত্যাগ ও সংগ্রাম আজও বাঙালির স্বাধীনতার ইতিহাসে গৌরবময় অধ্যায় হিসেবে চিরস্মরণীয়। তার জীবন কেবল একটি বিপ্লবের গল্প নয়, এটি নিপীড়িত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার এক অনন্য অনুপ্রেরণা।

Header Ad

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণে আপত্তি নেই: ড. মুহাম্মদ ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো আপত্তি নেই। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু-কে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা-এমন প্রশ্নের উত্তরে ড. ইউনূস বলেন, “আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাই না। বিএনপি ইতোমধ্যেই বলেছে, সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। দেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের মতামত আমরা উপেক্ষা করতে পারি না।”

নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে ড. ইউনূস আরও বলেন, “আমি রাজনীতিবিদ নই, বরং রাজনীতিবিদদের ইচ্ছা বাস্তবায়নে সহায়তা করছি। আমার কোনো দলকে পছন্দ বা অপছন্দের প্রশ্ন নেই।”

বাংলাদেশে উগ্রপন্থার উত্থান ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এসব খবর অনেকাংশেই প্রোপাগান্ডা। বাংলাদেশে ধর্মীয় সহাবস্থান ও সহনশীলতা রয়েছে। তবে এগুলো নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা তৈরি করে আন্তর্জাতিক মহলে দেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চলছে।”

দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, “ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা অগ্রাধিকার পেতে হবে। দুই দেশের সুসম্পর্ক বজায় থাকলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সহজ হবে।”

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, “তাকে দেশে ফেরানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাংলাদেশে প্রভাব ফেলছে এবং এটিই সমস্যার মূল কারণ।”

ড. ইউনূস আরও দাবি করেন, “হাসিনা একটি অডিও ক্লিপে জনগণকে রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা।”

শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারত-বাংলাদেশ বন্দিবিনিময় চুক্তি নিয়ে তিনি জানান, “আইনি প্রক্রিয়া চলছে, তবে আমরা এখনো সেই পর্যায়ে পৌঁছাইনি। ভারত যদি চুক্তি লঙ্ঘন করে, তাহলে তা দুই দেশের মধ্যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করবে।”

ড. ইউনূসের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে সচেষ্ট। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আন্তর্জাতিক প্রভাব মোকাবিলায় সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৩ দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা তিতুমীরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণে আপত্তি নেই: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
কুবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি-সেক্রেটারির আত্মপ্রকাশ
কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি অযৌক্তিক: আইন উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ব্যাংক বন্ধ করবে না: অর্থ উপদেষ্টা
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করে অধ্যাদেশ জারি
বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদন ফি ২০০ টাকা
শেখ হাসিনা রাজনৈতিক দলগুলোর দুর্বলতার সুযোগে ফ্যাসিষ্ট হয়েছিলেন: মির্জা ফখরুল
ভারতে পালানোর সময় গাজীপুরের সাবেক প্যানেল মেয়র কিরণ আটক
বিদ্যুৎ নিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি পুনর্মূল্যায়নে কমিটি গঠনের নির্দেশ
আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস, প্রিয় পুরুষকে দিতে পারেন উপহার
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষ মুহূর্তের গোলে সুইজারল্যান্ডকে হারালো স্পেন
প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনের সড়কে সাদপন্থীদের অবস্থান
নবীনদের বরণ করে নিবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
তিতুমীর কলেজে জড়ো হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা, কঠোর অবস্থানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ
সংসদ সচিবালয় পরিচালনায় অতিরিক্ত ক্ষমতা পেলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে
যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হিজবুল্লাহ
শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর গ্রেপ্তার