ভোরে মুখোমুখি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা
ছবি: সংগৃহীত
আগামীকাল বুধবার ভোর সাড়ে ছয়টায় মারাকানায় স্বাগতিক ব্রাজিলের বিপক্ষে মাঠে নামছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে সেলেসাওদের মুখোমুখি হচ্ছে আলবিসেলেস্তেরা। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি এবার একে অন্যের মুখোমুখি। ম্যাচের ভেন্যু ব্রাজিলের ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামে মিশে আছে আলবিসেলেস্তেদের সুখস্মৃতি। এই মাঠেই ২০২১ কোপা আমেরিকার ফাইনাল জয় করে নিজেদের ২৮ বছরের শিরোপাখরা কাটিয়েছিল আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনার স্বপ্নযাত্রার শুরুটাও হয়েছিল সেখান থেকেই। মারাকানার মাঠে তাই আরও একবার ফিরতে পেরে খুশিই হবেন মেসি এন্ড কোং। দুই দলই অবশ্য নিজেদের খেলা শেষ ম্যাচটায় হেরেছে। সে হিসেবে চাপ থাকবে দুজনের উপরেই।
ব্রাজিলের উপর চাপটা অবশ্য বেশিই থাকবে। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ লুইস দিনিজের ট্যাকটিক্স প্রতিনিয়ত সমালোচনার মুখে পড়ছে। ফ্লুমিনেন্সের কোচ দিনিজ যতটা উজ্জ্বল, ব্রাজিলের কোচ দিনিজ যেন ততটাই নিষ্প্রভ। বাছাই পর্বের ৫ ম্যাচ থেকে সেলেসাওদের অর্জন মোটে ৭ পয়েন্ট। শেষ দুই ম্যাচে আবার জুটেছে হার। এর মাঝে দলের বড় দুই তারকা নেইমার জুনিয়র এবং ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে পাওয়া হচ্ছেনা তাদের। মারাকানার পূর্ণ স্টেডিয়ামের সামনে তাই কপালের ভাঁজ একটু চওড়া হওয়ার কথা দিনিজের।
পক্ষান্তরে আর্জেন্টিনার বাঁধা নেই কিছুই। লিসান্দ্রো মার্টিনেজ ছাড়া পুরো স্কোয়াডই ফিট। শেষ ম্যাচের হারটাই হয়ত খানিক দুশ্চিন্তার কারণ স্কালোনির জন্য। তবে পরিপূর্ণ ছন্দে থাকা মেসি ব্যবধান গড়ে দেওয়ার কারিগর হতে পারেন, এটাই বড় স্বস্তির খবর। মেসি অবশ্য এখন পর্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ব্রাজিলের বিপক্ষে কোন গোল বা অ্যাসিস্ট পাননি সেটাও আছে আলোচনায়।
দুই দলের মুখোমুখি লড়াইটা অবশ্য সঙ্গ দিচ্ছে ব্রাজিলকে। মুখোমুখি ১০৯ ম্যাচে আর্জেন্টিনার ৪০ জয়ের বিপরীতে তাদের জয় ৪৩ ম্যাচে। ২৬ ম্যাচ হয়েছে ড্র। ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার জয় ২ ম্যাচে। আর ব্রাজিলের জয় ৪ ম্যাচে। অবশ্য প্রতিযোগিতামূলক ৫১ ম্যাচে ব্রাজিলের ১৮ জয়ের বিপরীতে ২ ম্যাচ বেশি জিতেছে আর্জেন্টিনা।