চট্টগ্রামকে বিদায় করে সিলেট ফিরল স্বরূপে

অপ্রতিরোধ্য সিলেট স্ট্রাইকার্স এক ম্যাচ পরই ফিরে এসেছে স্বরূপে। রংপুর রাইডার্সের কাছে বাজেভাবে হারের পর সমর্থকদের মনে যে হতাশার চাদর বিরাজ করেছিল আজ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সেই চাদর সরিয়ে সবার মুখে হাসি ছড়িয়ে দিয়েছে। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম ৬ উইকেটে ১৭৪ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল সিলেটকে।চট্টগ্রামের সেই চ্যালেঞ্জ সিলেট গ্রহণ করে রান টপকে যায় ১৮ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে। ৯ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শেষ চারের পথে নিজেদের রাস্তা অনেকটা পরিষ্কার করে তুলল। এই হারে চট্টগ্রামের বেজে গেলে বিদায় ঘণ্টা। সুরমা পারে বিলীন হয়ে গেছে তাদের শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা। ৯ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪। বাকি ৩ ম্যাচ তারা খেলবে শুধুই নিয়ম রক্ষার জন্য।
সিলেট পর্বের প্রথম দিন রংপুরের বিপক্ষে সিলেটের ব্যাটসম্যানরা চলতি আসরে নিজেদের সবচেয়ে বাজে ব্যাটিং করেছিল। সেই ব্যর্থতার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই জন্য তারা ছিল সাবধানী। ব্যাটিং অর্ডারে আনে পরিবর্তন। উদ্বোধনী জুটিতে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে পাঠানো হয় তৌহিদ হৃদয়কে। প্রথমবারের মতো খেলতে নামেন মারমুখী ব্যাটসম্যান জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্ল। আর এতেই সিলেটের সামনে চট্টগ্রামের বড় সংগ্রহ কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারনি।
নাজমুল ও তৌহিদ হৃদয়ের উদ্বোধনী জুটিতে ৬৩ রান আসে ৮.১ ওভারে। তৌহিদ ১৫ রান করে বিজয়াকান্তের বলে তারই হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেও তাদের এই সূচনা সিলেটের শক্ত ভীত গড়ে দেয়। সিলেটের সহজ জয়ের কারিগর ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম ও রায়ান বার্ল। ম্যাচ সেরা নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ৪৪ বলে ২ ছক্কা ও ৬ চারে ৬০ রান, তার চেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে মুশফিকুর রহিমের ২৬ বলে ১ ছক্কা ও ৫ চারে অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংস। মুশফিকের চেয়েও বেশি কার্যকরি ছিলেন রায়ান বার্ল। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩ ছক্কা ও ৪ চারে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন। তাকে আউট করেন বিজয়াকান্তে। এমনকি জয় নিশ্চিত হওয়ার পরও জাকির খেলতে এসে ৫ বলে খেলেন ১টি করে চার ও ছয় মেরে করেন অপরাজিত ১২ রান।
মূলত প্রথম চার ব্যাটনম্যানের তিন জুটির রানই সিলেটের জয়ের পথ রচনা করে দেয়। উদ্বোধনী জুটিতে তৌহিদ ও নাজমুল ৮.১ ওভারে ৬৩ রান এনে দেওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে নাজমুল ও মুশফিক করেন ৪.৪ ওভারে যোগ করেন ৪৭ রান। মুশফিক ও রায়ান বার্লের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৪৮ রান আসে আরও কম ৩.৩ ওভারে। এই ৪৮ রানের ৪১ রানই ছিল আবার রায়ানের ব্যাট থেকে।
নাজমুল ৩৬ বলে চলতি বিপিএলে তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি করার পর ৬০ রানে আউট হন নাহিদুজ্জামানের বলে ইরফান শুক্কুরের হাতে স্ট্যাম্পিং হয়ে।
চট্টগ্রামের হয়ে বিজয়াকান্তে ২৭ রানে নেন ২ উইকেট। ১ উইকেট নেন নাহিদুজ্জামান।
এমপি
