খুলনাকে হারিয়ে কুমিল্লার টানা পঞ্চম জয়

কুমিল্লার ভিক্টোরিয়ান্সের টানা পঞ্চম জয় রুখতে পারেনি খুলনা টাইগার্স। কুমিল্লার করা ২ উইকেটে ১৬৫ রান পাড়ি দিতে নেমে ৬ উইকেটে করে ১৬১ রান।
সাত ম্যাচে খুলনার এটি ছিল পঞ্চম হার। এই হারে শেষ চারের লড়াইয়ে যাওয়াটা তাদের একটু কঠিন হয়ে পড়ল।
খুলনার উইকেট পতন শুরু হয় তামিম ইকবাল আউট হওয়ার মাধ্যমে। ১০ বলে ২ চারো ১১ রান করে তিনি এলবিডব্লিউ আউট হন। দলের রান তখন ২.৩ ওভারে ১৪। তামিমের ফিরে যাওয়াটা বুঝতে দেননি দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এন্ড্রু বালবার্নি ও সাই হোপ।
দুই জনে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৬.৫ ওভারে ৫৯ রান যোগ করে। ১ ছক্কা ৫ চারে ৩১ বলে ৩৮ রান করে রান আউট হয়ে যান। সাই হোপ ও মাহমুদুল হাসান তৃতীয় উইকেট জুটিতে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করে ৩.৩ও ওভারে ৪৩ রান যোগ করেন। ১৩ বলে ২টি করে চার ও ছয় মেরে মাহমুদুল মোসাদ্দেকের বলে রিজওয়ানের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেওয়ার পর খুলনা সেই অবস্থা আর ধরে রাখতে পারেনি। দ্রুত হারায় আরও ২ উইকেট।
আজম খান ১ ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ৮ রানে করে বিদায় নিলে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ১০৬ থেকে ৫ উইকেটে ১১৭। ১১ রানে হারায় ৩ উইকেট।খুলনার জয় তখন কিছুটা কঠিন। ২৯ বল প্রয়োজন ৪৯ রানের। সাই হোপ তখনও ২৬ বলে ৩০ রান করে ক্রিজে থাকায় সম্ভাবনা ছিল।
সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করতে হোপের সঙ্গী হন অধিনায়ক ইয়াসির আলী। ২.৫ ওভারে ২৪ রান যোগ করে সাই হোপকে ফিরিয়ে দেন নাসিম শাহ বোল্ড করে ৩২ বলে ১ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৩ রান করে আউট হওয়ার সময় দলের জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ১১ বলে ২৫ রানের। ইয়াসির আলী ওয়াব রিয়াজকে নিয়ে সেই কঠিন রাস্তা পাড়ি দিতে গিয়ে কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৭ রানের। তারা করতে পারেন ১২ রান।
প্রথম চার বলে দুই বাউন্ডারিতে ৯ রান সংগ্রহ করার পর শেষ দুই বলে ২টি চার অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়ে। কিন্তু ইয়াসির আলী নিতে পারেন ৩ রান। খুলনা হার মানে ৪ রানে। নাসিম শাহ ২৯ রানে নেন ২টি করে উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন তানভীর, মোস্তাফিজ ও মোসাদ্দেক।
এমপি/এমএমএ/
