প্রভিডেন্স থেকে মেলবোর্ন: আয়ারল্যান্ড যেন ইংল্যান্ডের বৃষ্টি দুঃখ
সাকুল্যে দুইবারের মোকাবিলা। আয়ারল্যান্ডের জয় একটি, অন্য ম্যাচ পরিত্যক্ত। হেরে যাওয়া দলের নাম ইংল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই হলো দুই দলের পরিসংখ্যান। দুটি ম্যাচই আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজে। ডি গ্রুপে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডের পাশাপাশি ছিল আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্বাগতিকরা দুই ম্যাচ জিতে নিশ্চিত করে সুপার এইট। গ্রুপ রানার্স আপ কে হবে, সেটি নির্ভর করছিল ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ডের ম্যাচের উপর।
প্রভিডেন্সে আগে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড করেছিল ৮ উইকেটে ১২০ রান। জবাবে আয়ারল্যান্ড ৩.৩ ওভারে ১ উইকেটে ১৪ রান করার পর শুরু হয় বৃষ্টি। ম্যাচ হয় পরিত্যক্ত। দুই দলই পায় একটি করে পয়েন্ট।
আয়ারল্যান্ডের চেয়ে কিছুটা রান রেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে সুপার এইটে নাম লেখায় ইংল্যান্ড। তার পরের ইতিহাস সবার জানা। সেই আসরেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম শিরোপা জেতে কেভিন পিটারসেনের ইংল্যান্ড।
এক দশক পর মেলবোর্নে আবার মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড। এবার বৃষ্টি আইনে ম্যাচ জিতল আইরিশরা ৫ রানে। অথচ ম্যাচটি জেতার পথেই ছিল ইংল্যান্ড। ৩৩ বলে দরকার ছিল মাত্র ৫৩ রান। মঈন আলী ছিলেন ঝড় তোলার পথে। সঙ্গী লিভিংস্টোন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে শেষটা সুখের হয়নি ইংলিশদের।
ইংল্যান্ডকে পেলেই ঝলসে ওঠে আইরিশরা। ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপেও দেখা গিয়েছিল তা। বেঙ্গালুরুতে ইংল্যান্ডের করা ৩২৭ রান তাড়া করে ৫ বল হাতে রেখে আইরিশরা জিতেছিল ৩ উইকেটে।
২০২০ সালে সাউদাম্পটনে ৩২৮ রান তাড়া করে আরেকটি ওয়ানডে আয়ারল্যান্ড জেতে ৭ উইকেটে (ওয়ানডেতে দ্বিতীয় জয়)। ওয়ানডের পর এবার টি-টোয়েন্টিতেও প্রথম জয়ের দেখা পেল আয়ারল্যান্ড। তাও বিশ্বকাপ মঞ্চে। এক যুগ আগে প্রভিডেন্সে আইরিশদের সঙ্গে এক পয়েন্ট ভাগাভাগি করে শেষ অবধি শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড। মেলবোর্নে এবার হারের পর কী কপালে আছে ইংলিশদের?
এমএমএ/