একাদশে দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে বাংলাদেশ
নুরুল হাসানের সোহানের নেতৃত্বে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ দল নিজেদের দুর্দশা কাটাতে পারেনি। ১৭ রানে হেরে সেই ব্যর্থতার সাগরেই হাবুডুবু খাচ্ছে। তিন ম্যাচের সিরিজ হওয়াতে রবিবার (৩১ জুলাই) দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ভিন্ন আর কোনো রাস্তা খোলা নেই। এই ম্যাচ হেরে যাওয়া মানে সিরিজ হাতছাড়া হওয়া।
কিন্তু প্রখম ম্যাচ হারের পর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান জানিয়েছিলেন দ্বিতীয় ম্যাচে তারা ‘স্ট্রংলি’ কামব্যাক করবেন। যদিও সে পথে শুরুতেই হোচট খেয়েছেন টস জিততে না পেরে। আবারও বোলিং করতে হবে। তবে সিরিজ বাঁচানোর আশা বাস্তবায়নে একাদশে এনেছেন দুইটি পরিবর্তন। পেসার তিনজন থাকলেও তাসকিন আহমেদকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে তরুণ পেসার হাসান মাহমুদকে।
আবার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের কার্যকরী বোলার নাসুম আহমেদকেও রাখা হয়নি দলে। তার পরিবর্তে এক ম্যাচ পর আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে অলরাউন্ডার শেখ মেহেদি হাসানকে। এতে করে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আরও লম্বা হলো আট জনের। অভিষেকের অপেক্ষা বেড়েছে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের। ধারাবাহিকভাবে বাজে খেলার পরও আরেকটি লাইফ লাইন পেয়েছেন ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার ও ওয়ান ডাউনে খেলা এনামুল হক বিজয়।
২০২০ সালের ১১ মার্চ মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল পেসান হাসান মাহমুদের। চার ওভার বোলিং করে ২৫ রান দিয়ে ছিলেন উইকেট শূন্য। এরপর আর কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি। তবে এর মাঝে তার ওয়নডে ম্যাচে অভিষেক হয় ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি উইন্ডিজের বিপক্ষে।সর্বশেষ ম্যাচও খেলেন একই বছর ২০ মার্চ নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ডানেডিনে। তিন ম্যাচ খেলে তিনি উইকেট নেন পাঁচটি। সেরা বোলিং ছিল আিভষেকে ২৮ রানে তিন উইকেট।
বাংলাদেশ একাদশ: নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), মুনিম শহারিয়ার, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, এনামুল হক বিজয়, আফিফ হোনে ধ্রুব, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শেখ মেহেদি হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ ।
এমপি/এমএমএ/