সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫ | ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

নিঃস্ব হয়ে দেশে ফেরা প্রবাসী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে

রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতারণা ও স্থানীয় দূতাবাসগুলোর অসহযোগিতায় দেশে ফেরত আসা প্রবাসী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে। অনেকে পাঁচ বছরের ভিসায় বিদেশ গেলেও চলে আসতে হচ্ছে ছয় মাস বা এক বছরের মাথায়। সম্প্রতি বিপুল সংখ্যক শ্রমিক এভাবে ফিরে এসেছেন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্ব পালন করা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য ও ফিরে আসা শ্রমিকরা জানান, সম্প্রতি এয়ারপোর্ট দিয়ে বিদেশ ফেরতের সংখ্যা বেড়ে গেছে। অনেকে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরছেন। অবস্থা এমন হয়েছে যে নিঃস্ব হয়ে ফিরে আসার কারণে অনেক শ্রমিক ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে পর্যন্ত যেতে পারছেন না টাকার অভাবে।

এ প্রসঙ্গে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের হেড শরিফুল হাসান শুধু সৌদি আরবের উদাহরণ দিয়ে ভয়াবহতা বোঝানের চেষ্টা করেন। অভিবাসন নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা ব্র্যাকের এই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে ৬ লাখ ১২ হাজার মানুষ সৌদি আরব গেছে। এর মধ্যে দেড় লাখ মানুষই ফেরত এসেছে। গত ৫ বছরে ২০ লাখ মানুষ সৌদি আরব গেছে। সেখান থেকে বছরে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার শ্রমিক সৌদি আরব থেকে ফেরত এসেছে কাজ না পেয়ে।

কারণ হিসেবে শরিফুল হাসান বলছেন, এজন্য আমাদের দেশের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলা দায়ী। তারা শ্রমিকদের সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করছে, কেমন কাজ দিচ্ছে এগুলো দেখার বিষয়। যারা যাচ্ছেন তারা ওই সমস্ত কাজ পারেন কি না এবং নির্ধারিত কোম্পানির অধীনে কাজ পাবেন কি না— তা না যাচাই করেই মানুষ যাচ্ছে। এবং যথারীতি কাজ না পেয়ে তারা ফেরতও আসছেন।

দূতাবাসগুলোকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শরিফুল হাসান বলেন, দূতাবাসগুলোকে শ্রমিকদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। অনেকের কাগজপত্র সঠিক থাকার পরও তারা ফিরে আসছেন অথবা ওই দেশের পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে কিছু দিন জেলে রেখে ফেরত পাঠাচ্ছে। পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর শ্রমিকরা দূতাবাসে যোগাযোগ করলে তেমন প্রতিকার পাচ্ছেন না।

জানা যায়, প্রায় প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ মানুষ শুধু মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে ফেরত আসছে। এক্ষেত্রে এই শ্রমিকদের খুবই সামান্য পরিমাণ সহযোগিতা করে থাকেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও এপিবিএন। পর্যাপ্ত তহবিল না থাকায় এক্ষেত্রে নিঃস্ব এ সব শ্রমিককে সহযোগিতা করতে পারে না কর্তৃপক্ষ।

ফিরে আসা শ্রমিকরা জানান, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো তাদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ নিয়েছে। কিন্তু এজেন্সিগুলো সঠিক ভিসা দেয়নি। যে কাজের ভিসা নিয়ে তারা বিদেশে গেছেন, সে কাজ বা বেতন কিছুই পাননি। বাধ্য হয়েই অন্য কাজ খুঁজতে গেলে তাদের আটক করে সৌদি পুলিশ। তখন তাদের কোনো কথা না শুনে তাদের জেলে পাঠানো হয়।

সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরত আসা কর্মী যশোরের কামাল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা বৈধপথে সৌদি গিয়েছি। কিন্তু দেখা গেল রিক্রুটিং এজেন্সি সঠিক ভিসা দেয়নি। ফলে ওই দেশের পুলিশ আমাদের গ্রেপ্তার করল এবং প্রায় একমাস কারাগারে রাখল। এরপর আমাদের এদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হল। এর মধ্যে আমাদের লোকজন বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করলে তারা কিছু করেনি।

কামালের দাবি, রিক্রুটিং এজেন্সির ঘাপলার কারণেই এমনটা হয়েছে। দূতাবাস এক্ষেত্রে পাশে থাকলে আমাদের এভাবে নিঃস্ব হয়ে ফিরতে হতো না।

ফেরত আসা আরেকজন শ্রমিক চট্টগ্রামের টিপু বলেন, এজেন্সির প্রতারণার কারণে বিদেশ থেকে ফেরত আসতে হয়েছে আমাদের। আমার মতো অসংখ্য শ্রমিক এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিপদে পড়লে বাংলাদেশ দূতাবাসেরও সহযোগিতা পাওয়া যায় না।

প্রবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে এমন প্রতারণার জন্য এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রশাসনের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে টিপু বলেন, যাতে করে আমাদের মতো এভাবে অন্যদের প্রতারণার শিকার হতে না হয়।

চট্টগ্রামের বাসিন্দা সৌদিপ্রবাসী হাবিব ইসলাম ওরফে সোহেল। পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর আশায় রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে গিয়েছিলেন সৌদি আরব। ছয় বছর পর দেশে ফেরার কথা থাকলেও কিছুদিনের মধ্যেই ফিরেছেন শূন্য হাতে।

সোহেল জানান, আকামা, পাসপোর্ট সব আছে। তারপরও পাসপোর্ট, মোবাইল সব কেড়ে নিয়ে গাড়িতে করে তাকে জেলে পাঠিয়ে দেয় সৌদি পুলিশ। সেখান থেকে খালিহাতে পাঠানো হয় দেশে।

প্রবাসীদের দাবি, তাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। তা সত্ত্বেও নানা অজুহাতে সৌদির কারাগারে পাঠানো হয় তাদের। সেখানে একই রুমে গাদাগাদি করে রাখা হয় কয়েকশ প্রবাসীকে। পরে তাদের জোরপূর্বক এক কাপড়ে দেশে ফেরত পাঠায় সৌদি সরকার।

সম্প্রতি এক কাপড়ে প্রায় আড়াই শতাধিক শ্রমিককে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি আরব। রবিবার (৩০ এপ্রিল) সাউদিয়া এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে এ সব শ্রমিক ফেরত আসেন।

ফিরে আসা এসব শ্রমিক ছয় থেকে দশ মাস আগে বৈধ কাগজপত্র নিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক পাঠানোর জন্য পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় বিদেশে গিয়ে এ সব শ্রমিক প্রতিশ্রুত কাজ পান না। কাউকে কাউকে আবার ভিজিট ভিসা দিয়ে পাঠানো হয়। ফলে অবধারিতভাবে তাদের ফিরে আসতে হয়।

 

সৌদি থেকে ফেরত আসা চট্টগ্রামের ফিরোজ বলেন, একটি এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে গেলাম। আকামাসহ সকল প্রকার বৈধ কাগজপত্র থাকার পরেও দেশে ফেরত আসতে হলো। এয়ারপোর্টে এসে মানুষের কাছে ধার করে গ্রামের বাড়িতে যেতে হয়েছে। বাংলাদেশ দূতবাসের কর্মরত ও ওই দেশের পুলিশের হাতপায়ে ধরেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

ফেরত পাঠানো একাধিক প্রবাসী জানান, জেলে প্রায় এক মাস ধরে আটকে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে ফেরত পাঠানো হয়।

দেশে ফেরত আসা একাধিক প্রবাসী শ্রমিকের দাবি- এক রুমে প্রায় এক থেকে দেড়শ লোককে আটকে রাখা হয়। খাবার ছিল না, পানি ছিল না। একজনের ওপর আরেকজন শুয়ে থাকতে হতো। তাদের কাছে কোনো টাকা নেই। এখন বিমানবন্দরে এসে নেমেছেন, কিন্তু বাড়িতে যাওয়ার মতো ভাড়ার টাকাও নেই।

ফেরত পাঠানো আরেক শ্রমিক বলেন, ‘আমার এখনও আকামা আছে আট মাসের। তারপরও আমাকে এসে সৌদি পুলিশ ধরল। বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা সহযোগিতা করেনি।

ফেরত পাঠানো এই শ্রমিকদের কেউ ১০ মাস, কেউ এক বছর, দু-বছর, কেউবা আবার ছয়-সাত বছর সৌদিতে থাকলেও তাদের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, প্রতিদিন অসংখ্য শ্রমিক দেশে প্রবেশ করছে। অনেক সময় তাদের প্রবাস জীবনের গল্প শুনে আমাদের খুব খারাপ লাগে। ফেরত আসা শ্রমিকদের আমরা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।

জিয়াউল হক আরও বলেন, দুঃখ-কষ্ট নিয়ে ফেরত আসা শ্রমিকদের বিষয়ে জানতে পারলে নিজেদের সাধ্য মতো তাদের সহযোগিতা করে থাকে এপিবিএন। কিছু কিছু সময় এজেন্সির প্রতারণার বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহণ করে থাকি।

আরইউ/আরএ/

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যান-ইজিবাইক সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ নিহত ২

দুর্ঘটনা কবলিত ইজিবাইক। ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে সায়েম ইসলাম (১৬) নামে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীসহ দুই জন নিহত হয়েছে। সোমবার (৩ মার্চ) বিকেলে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বিরামপুর পৌর শহরের বিছকিনি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলার সাঁকোপাড়া গ্রামের মজিবরের ছেলে ইজিবাইক চালক নুরুজ্জামান হোসেন (৩৫) এবং একই উপজেলার সোনাকানি গ্রামের আনোয়ারের ছেলে ইফতেখার রহমান সায়েম ইসলাম (১৬) ও বিরামপুর আদর্শ হাইস্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বিরামপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. মাজেদ আলী জানায়, বিকেলে কোচিং শেষে ইজিবাইকে চড়ে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার পৌর শহরের বিছকিনি এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে ইজিবাইকটির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে শিক্ষার্থী সায়েম নিহত হন এবং আহত অবস্থায় ইজিবাইকের চালককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়।

বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, ঘাতক কাভার্ড ভ্যানের চালক পালিয়ে যায়।আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে ইউএসএআইডির মাধ্যমে ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের দাবি করেছেন। তবে, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অভিযোগকে মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছে।

সোমবার (৩ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২৯ মি‌লিয়ন নি‌য়ে ট্রাম্পের এ অ‌ভিযোগ সত্য নয় বলে দা‌বি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশে ইউএসএআইডির অর্থায়নে ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প 'স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ প্রকল্পটি নিয়ে কিছু তথ্য দিয়েছেন যা নিয়ে জনমনে ব্যাপক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসন্ধান করেছে।

অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ইউএসএআইডি যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালকে (ডিআই) নির্বাচিত করে। প্রকল্প প্রস্তাবনা আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে এবং একটি স্বচ্ছ প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া অনুসরণের মধ্য দিয়ে ইউএসএআইডি সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করে। ২০১৭ সালের মার্চে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডিআই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে। পরে প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় এবং এর অর্থ আসে ধাপে ধাপে।

শুরুতে এসপিএল প্রকল্পটি ছিল ৫ বছর মেয়াদি এবং বাজেট ১৪ মিলিয়ন ডলার। প্রকল্পটির ব্যবস্থাপনায় ছিল ইউএসএআইডি এবং অর্থায়নে ছিল ইউএসএআইডি ও যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএফআইডি (বর্তমানে এফসিডিও)। এই প্রকল্পে ডিএফআইডির অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি ছিল ১০ মিলিয়ন ডলার।

এসপিএল প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল-রাজনৈতিক সহিংসতা হ্রাস করে শান্তি ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান তৈরি, দলগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার উন্নয়ন এবং প্রতিনিধিত্বমূলক নেতৃত্বের বিকাশে উৎসাহ প্রদান। প্রকল্পের অধীনে ডিআই বাংলাদেশে জরিপ কার্যক্রমও পরিচালনা করে।

উল্লেখ্য, ইউএসএআইডির প্রকল্পের ক্ষেত্রে মার্কিন সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নীতি অনুসরণ করাটা বাধ্যতামূলক। এতে আর্থিক নিরীক্ষার প্রক্রিয়াটি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। প্রকল্প শেষ হয়ে যাওয়ার কয়েক বছর পরও এ-সংক্রান্ত নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয়। প্রয়োজনে পুনর্নিরীক্ষা করা হয়।

অনুসন্ধান থেকে দেখা যায় যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে এসপিএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে। তাই এটি বাংলাদেশের দুইজন ব্যক্তির মালিকানাধীন কোনো সংস্থাকে প্রদান করার অভিযোগটি সত্য নয়। বস্তুত এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তির মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষের কোনো কিছু করার ক্ষমতা থাকে না।

Header Ad
Header Ad

অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদের ১২৪ কর্মকর্তাকে বদলি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১১৭ ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৭ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

সোমবার (৩ মার্চ) পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সই করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বদলি করা কর্মকর্তাদের ১৯ মার্চের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থলের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। না হলে পরদিন থেকে তাদের তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) হিসেবে গণ্য করা হবে।

সরকার পতনের পর পুলিশ বাহিনীতে রদবদলের ধারাবাহিকতায় এর আগেও কয়েক দফায় বড় রদবদল হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার গত বছরের ২০ নভেম্বর আগের পুলিশ প্রধান মো. ময়নুল ইসলামকে সরিয়ে নতুন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে দায়িত্ব দেয় বাহারুল আলমকে।

নতুন আইজিপি দায়িত্বে আসার পর বাহিনীতে রদবদলের ধারাবাহিকতায় আরেকটি আদেশ এলো।

এসব কর্মকর্তাকে ডিএমপি, এসবি, সিআইডি, র‌্যাব, জেলা পুলিশ, পুলিশ সদর দপ্তর, পিবিআই, এপিবিএন ও ট্যুরিস্ট পুলিশে বদলি করা হয়েছে।

বদলি কর্মকর্তাদের নামের তালিকা ১ ও তালিকা ২ দেখতে ক্লিক করুন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যান-ইজিবাইক সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ নিহত ২
ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদের ১২৪ কর্মকর্তাকে বদলি
সম্ভবত ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা
ছয় মাসে ১০ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে দুদক
জাতিসংঘকে শাপলা চত্বর ও সাঈদীর রায়কেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ড নথিভুক্ত করার অনুরোধ
নুর ভাই নিজেই তার দল বিলুপ্ত করে আমাদের সাথে যুক্ত হতে আগ্রহী: হান্নান মাসউদ
দুই দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
নওগাঁ ও পাবনায় বাস ডাকাতির ঘটনায় ছয়জন গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে সালিশি বৈঠকে সংঘর্ষ, ৭০ দোকান ভাঙচুর, থমথমে পরিস্থিতি
শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নতুন নাম ন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড
২০৩০ দশকে এআই মানবসভ্যতাকে ধ্বংস করতে পারে: ইলন মাস্ক
দেশে প্রথমবার জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত, আক্রান্ত ৫
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নতুন নাম বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১
দল না পাওয়া সেই আজিঙ্কা রাহানে কেকেআরের নতুন অধিনায়ক
ওএসডি হলেন দেশের ২৯ সিভিল সার্জন
উপদেষ্টা হিসেবে ফারুকী ঠিক আছেন: প্রিন্স মাহমুদ
খাদ্যপণ্যের দাম গত রমজানের তুলনায় সহনীয় পর্যায়ে: প্রেস সচিব
প্রাথমিকের ৬৫৩১ শিক্ষক নিয়োগে কোনো বাধা নেই: আপিল বিভাগ
ভোক্তা পর্যায়ে কমলো এলপি গ্যাসের দাম