রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

নিঃস্ব হয়ে দেশে ফেরা প্রবাসী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে

রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতারণা ও স্থানীয় দূতাবাসগুলোর অসহযোগিতায় দেশে ফেরত আসা প্রবাসী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে। অনেকে পাঁচ বছরের ভিসায় বিদেশ গেলেও চলে আসতে হচ্ছে ছয় মাস বা এক বছরের মাথায়। সম্প্রতি বিপুল সংখ্যক শ্রমিক এভাবে ফিরে এসেছেন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্ব পালন করা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য ও ফিরে আসা শ্রমিকরা জানান, সম্প্রতি এয়ারপোর্ট দিয়ে বিদেশ ফেরতের সংখ্যা বেড়ে গেছে। অনেকে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরছেন। অবস্থা এমন হয়েছে যে নিঃস্ব হয়ে ফিরে আসার কারণে অনেক শ্রমিক ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে পর্যন্ত যেতে পারছেন না টাকার অভাবে।

এ প্রসঙ্গে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের হেড শরিফুল হাসান শুধু সৌদি আরবের উদাহরণ দিয়ে ভয়াবহতা বোঝানের চেষ্টা করেন। অভিবাসন নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা ব্র্যাকের এই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে ৬ লাখ ১২ হাজার মানুষ সৌদি আরব গেছে। এর মধ্যে দেড় লাখ মানুষই ফেরত এসেছে। গত ৫ বছরে ২০ লাখ মানুষ সৌদি আরব গেছে। সেখান থেকে বছরে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার শ্রমিক সৌদি আরব থেকে ফেরত এসেছে কাজ না পেয়ে।

কারণ হিসেবে শরিফুল হাসান বলছেন, এজন্য আমাদের দেশের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলা দায়ী। তারা শ্রমিকদের সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করছে, কেমন কাজ দিচ্ছে এগুলো দেখার বিষয়। যারা যাচ্ছেন তারা ওই সমস্ত কাজ পারেন কি না এবং নির্ধারিত কোম্পানির অধীনে কাজ পাবেন কি না— তা না যাচাই করেই মানুষ যাচ্ছে। এবং যথারীতি কাজ না পেয়ে তারা ফেরতও আসছেন।

দূতাবাসগুলোকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শরিফুল হাসান বলেন, দূতাবাসগুলোকে শ্রমিকদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। অনেকের কাগজপত্র সঠিক থাকার পরও তারা ফিরে আসছেন অথবা ওই দেশের পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে কিছু দিন জেলে রেখে ফেরত পাঠাচ্ছে। পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর শ্রমিকরা দূতাবাসে যোগাযোগ করলে তেমন প্রতিকার পাচ্ছেন না।

জানা যায়, প্রায় প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ মানুষ শুধু মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে ফেরত আসছে। এক্ষেত্রে এই শ্রমিকদের খুবই সামান্য পরিমাণ সহযোগিতা করে থাকেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও এপিবিএন। পর্যাপ্ত তহবিল না থাকায় এক্ষেত্রে নিঃস্ব এ সব শ্রমিককে সহযোগিতা করতে পারে না কর্তৃপক্ষ।

ফিরে আসা শ্রমিকরা জানান, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো তাদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ নিয়েছে। কিন্তু এজেন্সিগুলো সঠিক ভিসা দেয়নি। যে কাজের ভিসা নিয়ে তারা বিদেশে গেছেন, সে কাজ বা বেতন কিছুই পাননি। বাধ্য হয়েই অন্য কাজ খুঁজতে গেলে তাদের আটক করে সৌদি পুলিশ। তখন তাদের কোনো কথা না শুনে তাদের জেলে পাঠানো হয়।

সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরত আসা কর্মী যশোরের কামাল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা বৈধপথে সৌদি গিয়েছি। কিন্তু দেখা গেল রিক্রুটিং এজেন্সি সঠিক ভিসা দেয়নি। ফলে ওই দেশের পুলিশ আমাদের গ্রেপ্তার করল এবং প্রায় একমাস কারাগারে রাখল। এরপর আমাদের এদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হল। এর মধ্যে আমাদের লোকজন বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করলে তারা কিছু করেনি।

কামালের দাবি, রিক্রুটিং এজেন্সির ঘাপলার কারণেই এমনটা হয়েছে। দূতাবাস এক্ষেত্রে পাশে থাকলে আমাদের এভাবে নিঃস্ব হয়ে ফিরতে হতো না।

ফেরত আসা আরেকজন শ্রমিক চট্টগ্রামের টিপু বলেন, এজেন্সির প্রতারণার কারণে বিদেশ থেকে ফেরত আসতে হয়েছে আমাদের। আমার মতো অসংখ্য শ্রমিক এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিপদে পড়লে বাংলাদেশ দূতাবাসেরও সহযোগিতা পাওয়া যায় না।

প্রবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে এমন প্রতারণার জন্য এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রশাসনের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে টিপু বলেন, যাতে করে আমাদের মতো এভাবে অন্যদের প্রতারণার শিকার হতে না হয়।

চট্টগ্রামের বাসিন্দা সৌদিপ্রবাসী হাবিব ইসলাম ওরফে সোহেল। পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর আশায় রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে গিয়েছিলেন সৌদি আরব। ছয় বছর পর দেশে ফেরার কথা থাকলেও কিছুদিনের মধ্যেই ফিরেছেন শূন্য হাতে।

সোহেল জানান, আকামা, পাসপোর্ট সব আছে। তারপরও পাসপোর্ট, মোবাইল সব কেড়ে নিয়ে গাড়িতে করে তাকে জেলে পাঠিয়ে দেয় সৌদি পুলিশ। সেখান থেকে খালিহাতে পাঠানো হয় দেশে।

প্রবাসীদের দাবি, তাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। তা সত্ত্বেও নানা অজুহাতে সৌদির কারাগারে পাঠানো হয় তাদের। সেখানে একই রুমে গাদাগাদি করে রাখা হয় কয়েকশ প্রবাসীকে। পরে তাদের জোরপূর্বক এক কাপড়ে দেশে ফেরত পাঠায় সৌদি সরকার।

সম্প্রতি এক কাপড়ে প্রায় আড়াই শতাধিক শ্রমিককে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি আরব। রবিবার (৩০ এপ্রিল) সাউদিয়া এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে এ সব শ্রমিক ফেরত আসেন।

ফিরে আসা এসব শ্রমিক ছয় থেকে দশ মাস আগে বৈধ কাগজপত্র নিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক পাঠানোর জন্য পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় বিদেশে গিয়ে এ সব শ্রমিক প্রতিশ্রুত কাজ পান না। কাউকে কাউকে আবার ভিজিট ভিসা দিয়ে পাঠানো হয়। ফলে অবধারিতভাবে তাদের ফিরে আসতে হয়।

 

সৌদি থেকে ফেরত আসা চট্টগ্রামের ফিরোজ বলেন, একটি এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে গেলাম। আকামাসহ সকল প্রকার বৈধ কাগজপত্র থাকার পরেও দেশে ফেরত আসতে হলো। এয়ারপোর্টে এসে মানুষের কাছে ধার করে গ্রামের বাড়িতে যেতে হয়েছে। বাংলাদেশ দূতবাসের কর্মরত ও ওই দেশের পুলিশের হাতপায়ে ধরেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

ফেরত পাঠানো একাধিক প্রবাসী জানান, জেলে প্রায় এক মাস ধরে আটকে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে ফেরত পাঠানো হয়।

দেশে ফেরত আসা একাধিক প্রবাসী শ্রমিকের দাবি- এক রুমে প্রায় এক থেকে দেড়শ লোককে আটকে রাখা হয়। খাবার ছিল না, পানি ছিল না। একজনের ওপর আরেকজন শুয়ে থাকতে হতো। তাদের কাছে কোনো টাকা নেই। এখন বিমানবন্দরে এসে নেমেছেন, কিন্তু বাড়িতে যাওয়ার মতো ভাড়ার টাকাও নেই।

ফেরত পাঠানো আরেক শ্রমিক বলেন, ‘আমার এখনও আকামা আছে আট মাসের। তারপরও আমাকে এসে সৌদি পুলিশ ধরল। বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা সহযোগিতা করেনি।

ফেরত পাঠানো এই শ্রমিকদের কেউ ১০ মাস, কেউ এক বছর, দু-বছর, কেউবা আবার ছয়-সাত বছর সৌদিতে থাকলেও তাদের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, প্রতিদিন অসংখ্য শ্রমিক দেশে প্রবেশ করছে। অনেক সময় তাদের প্রবাস জীবনের গল্প শুনে আমাদের খুব খারাপ লাগে। ফেরত আসা শ্রমিকদের আমরা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।

জিয়াউল হক আরও বলেন, দুঃখ-কষ্ট নিয়ে ফেরত আসা শ্রমিকদের বিষয়ে জানতে পারলে নিজেদের সাধ্য মতো তাদের সহযোগিতা করে থাকে এপিবিএন। কিছু কিছু সময় এজেন্সির প্রতারণার বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহণ করে থাকি।

আরইউ/আরএ/

Header Ad
Header Ad

চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বিতর্কিত চরিত্র হয়ে উঠেছেন তাওহিদ হৃদয়। তাঁকে ঘিরে যেন একের পর এক নাটকীয় ঘটনা ঘটছে, আর প্রতিদিনই সেই নাটকে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন পর্ব। এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের আয়োজক ক্রিকেট কমিটি অব মেট্টোপলিস (সিসিডিএম) মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, হৃদয় চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন।

সবশেষ গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ম্যাচে আউট হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া দেখানোর অভিযোগ ওঠে মোহামেডানের এই অধিনায়কের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তাঁকে শুনানিতে ডাকা হলেও তিনি হাজির হননি। পরে ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ তাঁকে লেভেল-১ অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেন।

এর আগে হৃদয়ের ডিমেরিট পয়েন্ট ছিল ৭। নতুন করে ১ পয়েন্ট যোগ হওয়ায় তা দাঁড়িয়েছে ৮-এ। বিসিবির আচরণবিধির ৭.৫ ধারা অনুযায়ী, কোনো খেলোয়াড়ের ডিমেরিট পয়েন্ট ৮ ছুঁলে তাকে চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। সেই অনুযায়ীই হৃদয়ের ওপর চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।

ফলে আগামীকাল আবাহনীর বিপক্ষে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ‘অলিখিত ফাইনালে’ মোহামেডানের পক্ষে মাঠে নামতে পারবেন না হৃদয়। এটি মোহামেডানের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

 

তাওহিদ হৃদয়। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে, ১২ এপ্রিল আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন হৃদয়। পরে সংবাদমাধ্যমে এসে আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে ‘মুখ খোলার হুমকি’ দেওয়ায় সেই নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে দুই ম্যাচ করা হয় এবং সঙ্গে যোগ হয় ৭ ডিমেরিট পয়েন্ট।

তবে ওই নিষেধাজ্ঞা নিয়েও কম নাটক হয়নি। দুই দফায় নিষেধাজ্ঞা কমানো ও বাড়ানো নিয়ে বিসিবির ভেতরে জল ঘোলা হয়। শেষ পর্যন্ত জানানো হয়, হৃদয়ের দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে, তবে সেটির কার্যকারিতা এক বছরের জন্য স্থগিত থাকবে। এ সিদ্ধান্তের পরেই দেশের অভিজ্ঞ আম্পায়ার শরফৌদ্দোলা ঘোষণা দেন, তিনি আর ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করবেন না।

এসব বিতর্কের মধ্যে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ম্যাচে নিজের আউটের প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে আবারও নতুন করে নিষেধাজ্ঞায় পড়লেন হৃদয়। ফলে ঘরোয়া ক্রিকেটের এই নাটকে নতুন মাত্রা যোগ হলো।

 

Header Ad
Header Ad

উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে আরব সাগরে একাধিক অ্যান্টি-শিপ (জাহাজ বিধ্বংসী) ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। ভারতীয় নৌবাহিনী বলছে, এ সফলতা দেশের সমুদ্র নিরাপত্তা ও যুদ্ধ প্রস্তুতির ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

রোববার (২৬ এপ্রিল) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আরব সাগরে মোতায়েন ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ থেকে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রসহ ভূমি বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের নিক্ষেপের একাধিক দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছে নৌবাহিনী।

ভারতীয় নৌবাহিনী এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে জানায়, 'দীর্ঘ পাল্লার নির্ভুল হামলার সক্ষমতা যাচাই ও প্রদর্শনের অংশ হিসেবে প্ল্যাটফর্ম ও সিস্টেম প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে একাধিক সফল অ্যান্টি-শিপ মিসাইল পরীক্ষা চালানো হয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনী দেশের সামুদ্রিক স্বার্থ রক্ষায় যেকোনো সময়, যেকোনো স্থানে এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত, বিশ্বাসযোগ্য ও ভবিষ্যতমুখী।'

এই পরীক্ষাগুলো এমন একসময় পরিচালিত হয়েছে, যখন জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে ২২ এপ্রিল এক হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়। ওই ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে। পাকিস্তান নৌবাহিনীর নির্ধারিত সারফেস-টু-সারফেস মিসাইল পরীক্ষার আগে ভারতের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

কাশ্মীরে হামলার পর ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের পদক্ষেপ। অন্যদিকে, পাকিস্তান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, সিন্ধু নদের পানি বন্ধ করা হলে তা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হবে।

উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই পরপর তিন রাত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) ভারত ও পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে।

Header Ad
Header Ad

ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা

পপ সংগীতশিল্পী মিলা ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় পপ সংগীতশিল্পী মিলা ইসলাম আবারও জীবনসঙ্গীর খোঁজে রয়েছেন। সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিলা জানান, “আমি আমার জন্য ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না!”

২০১৭ সালে পাইলট এস এম পারভেজ সানজারিকে বিয়ে করেন তিনি। তবে বিয়ের এক বছরের মধ্যেই যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে বিচ্ছেদ ঘটান মিলা। এরপর থেকে দীর্ঘ সাত বছর একাই কাটিয়েছেন এই গায়িকা।

মিলা বলেন, “দুইটা কারণে এখনো খুঁজে পাইনি— এক, আমি আবার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। দুই, নিজে নিজে খুঁজে প্রেম করা আমার পক্ষে কঠিন, কারণ আমি সময় দিতে পারি না।” তিনি আরও বলেন, “বিয়ে খুব বেশি জরুরি বিষয় নয়। তবে একজন জীবনসঙ্গী দরকার, যে আমাকে বুঝবে।”

পপ সংগীতশিল্পী মিলা ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

একজন জীবনসঙ্গীর ক্ষেত্রে মিলা কিছু শর্তও দিয়েছেন। তার ভাষায়, “ছেলেটা সুদর্শন হোক, সেটা ভালো, তবে সবচেয়ে জরুরি হলো— দায়িত্বশীল হতে হবে, বন্ধুর মতো আচরণ করতে হবে, আমার প্রতি মায়া থাকতে হবে। পাশাপাশি পশুপাখির প্রতিও মায়া থাকতে হবে।”

আর্থিক বিষয়েও বাস্তবতা তুলে ধরেন এই সংগীতশিল্পী। বলেন, “বর্তমানে পরিবার চালানোর মতো ইনকাম থাকলেই চলে। টাকাওয়ালা জামাই চাই না, কিন্তু ইনকাম জরুরি।”

স্টেজ শো করা একজন শিল্পী হিসেবে নিজের জীবনধারাও তুলে ধরেন মিলা। বলেন, “আমি কোথাও শো করতে গেলে রাত ১০টার মধ্যে বাসায় ফেরা নাও হতে পারে। যে আমার লাইফ পার্টনার হবে, তাকে অন্তত এটুকু বুঝতে হবে।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে, এটি সংস্কার করা প্রয়োজন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
উত্তাল ইউআইইউ ক্যাম্পাস, ভিসি-ডিনসহ ১১ কর্মকর্তার পদত্যাগ
এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬০৮
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে: আলী রীয়াজ
মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান: ‍শেহবাজ শরীফ
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭
টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২
হজের ফ্লাইট শুরু মঙ্গলবার, উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা
ইরানের বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪, আহত সাড়ে ৭ শতাধিক
ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সিন্ধুর পানি ছাড়ল ভারত, হঠাৎ বন্যায় ডুবলো পাকিস্তানের কাশ্মীর