শনিবার, ১১ মে ২০২৪ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

নিঃস্ব হয়ে দেশে ফেরা প্রবাসী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে

রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতারণা ও স্থানীয় দূতাবাসগুলোর অসহযোগিতায় দেশে ফেরত আসা প্রবাসী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে। অনেকে পাঁচ বছরের ভিসায় বিদেশ গেলেও চলে আসতে হচ্ছে ছয় মাস বা এক বছরের মাথায়। সম্প্রতি বিপুল সংখ্যক শ্রমিক এভাবে ফিরে এসেছেন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্ব পালন করা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য ও ফিরে আসা শ্রমিকরা জানান, সম্প্রতি এয়ারপোর্ট দিয়ে বিদেশ ফেরতের সংখ্যা বেড়ে গেছে। অনেকে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরছেন। অবস্থা এমন হয়েছে যে নিঃস্ব হয়ে ফিরে আসার কারণে অনেক শ্রমিক ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে পর্যন্ত যেতে পারছেন না টাকার অভাবে।

এ প্রসঙ্গে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের হেড শরিফুল হাসান শুধু সৌদি আরবের উদাহরণ দিয়ে ভয়াবহতা বোঝানের চেষ্টা করেন। অভিবাসন নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা ব্র্যাকের এই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে ৬ লাখ ১২ হাজার মানুষ সৌদি আরব গেছে। এর মধ্যে দেড় লাখ মানুষই ফেরত এসেছে। গত ৫ বছরে ২০ লাখ মানুষ সৌদি আরব গেছে। সেখান থেকে বছরে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার শ্রমিক সৌদি আরব থেকে ফেরত এসেছে কাজ না পেয়ে।

কারণ হিসেবে শরিফুল হাসান বলছেন, এজন্য আমাদের দেশের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলা দায়ী। তারা শ্রমিকদের সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করছে, কেমন কাজ দিচ্ছে এগুলো দেখার বিষয়। যারা যাচ্ছেন তারা ওই সমস্ত কাজ পারেন কি না এবং নির্ধারিত কোম্পানির অধীনে কাজ পাবেন কি না— তা না যাচাই করেই মানুষ যাচ্ছে। এবং যথারীতি কাজ না পেয়ে তারা ফেরতও আসছেন।

দূতাবাসগুলোকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শরিফুল হাসান বলেন, দূতাবাসগুলোকে শ্রমিকদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। অনেকের কাগজপত্র সঠিক থাকার পরও তারা ফিরে আসছেন অথবা ওই দেশের পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে কিছু দিন জেলে রেখে ফেরত পাঠাচ্ছে। পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর শ্রমিকরা দূতাবাসে যোগাযোগ করলে তেমন প্রতিকার পাচ্ছেন না।

জানা যায়, প্রায় প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ মানুষ শুধু মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে ফেরত আসছে। এক্ষেত্রে এই শ্রমিকদের খুবই সামান্য পরিমাণ সহযোগিতা করে থাকেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও এপিবিএন। পর্যাপ্ত তহবিল না থাকায় এক্ষেত্রে নিঃস্ব এ সব শ্রমিককে সহযোগিতা করতে পারে না কর্তৃপক্ষ।

ফিরে আসা শ্রমিকরা জানান, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো তাদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ নিয়েছে। কিন্তু এজেন্সিগুলো সঠিক ভিসা দেয়নি। যে কাজের ভিসা নিয়ে তারা বিদেশে গেছেন, সে কাজ বা বেতন কিছুই পাননি। বাধ্য হয়েই অন্য কাজ খুঁজতে গেলে তাদের আটক করে সৌদি পুলিশ। তখন তাদের কোনো কথা না শুনে তাদের জেলে পাঠানো হয়।

সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরত আসা কর্মী যশোরের কামাল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা বৈধপথে সৌদি গিয়েছি। কিন্তু দেখা গেল রিক্রুটিং এজেন্সি সঠিক ভিসা দেয়নি। ফলে ওই দেশের পুলিশ আমাদের গ্রেপ্তার করল এবং প্রায় একমাস কারাগারে রাখল। এরপর আমাদের এদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হল। এর মধ্যে আমাদের লোকজন বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করলে তারা কিছু করেনি।

কামালের দাবি, রিক্রুটিং এজেন্সির ঘাপলার কারণেই এমনটা হয়েছে। দূতাবাস এক্ষেত্রে পাশে থাকলে আমাদের এভাবে নিঃস্ব হয়ে ফিরতে হতো না।

ফেরত আসা আরেকজন শ্রমিক চট্টগ্রামের টিপু বলেন, এজেন্সির প্রতারণার কারণে বিদেশ থেকে ফেরত আসতে হয়েছে আমাদের। আমার মতো অসংখ্য শ্রমিক এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিপদে পড়লে বাংলাদেশ দূতাবাসেরও সহযোগিতা পাওয়া যায় না।

প্রবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে এমন প্রতারণার জন্য এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রশাসনের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে টিপু বলেন, যাতে করে আমাদের মতো এভাবে অন্যদের প্রতারণার শিকার হতে না হয়।

চট্টগ্রামের বাসিন্দা সৌদিপ্রবাসী হাবিব ইসলাম ওরফে সোহেল। পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর আশায় রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে গিয়েছিলেন সৌদি আরব। ছয় বছর পর দেশে ফেরার কথা থাকলেও কিছুদিনের মধ্যেই ফিরেছেন শূন্য হাতে।

সোহেল জানান, আকামা, পাসপোর্ট সব আছে। তারপরও পাসপোর্ট, মোবাইল সব কেড়ে নিয়ে গাড়িতে করে তাকে জেলে পাঠিয়ে দেয় সৌদি পুলিশ। সেখান থেকে খালিহাতে পাঠানো হয় দেশে।

প্রবাসীদের দাবি, তাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। তা সত্ত্বেও নানা অজুহাতে সৌদির কারাগারে পাঠানো হয় তাদের। সেখানে একই রুমে গাদাগাদি করে রাখা হয় কয়েকশ প্রবাসীকে। পরে তাদের জোরপূর্বক এক কাপড়ে দেশে ফেরত পাঠায় সৌদি সরকার।

সম্প্রতি এক কাপড়ে প্রায় আড়াই শতাধিক শ্রমিককে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি আরব। রবিবার (৩০ এপ্রিল) সাউদিয়া এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে এ সব শ্রমিক ফেরত আসেন।

ফিরে আসা এসব শ্রমিক ছয় থেকে দশ মাস আগে বৈধ কাগজপত্র নিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক পাঠানোর জন্য পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় বিদেশে গিয়ে এ সব শ্রমিক প্রতিশ্রুত কাজ পান না। কাউকে কাউকে আবার ভিজিট ভিসা দিয়ে পাঠানো হয়। ফলে অবধারিতভাবে তাদের ফিরে আসতে হয়।

 

সৌদি থেকে ফেরত আসা চট্টগ্রামের ফিরোজ বলেন, একটি এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে গেলাম। আকামাসহ সকল প্রকার বৈধ কাগজপত্র থাকার পরেও দেশে ফেরত আসতে হলো। এয়ারপোর্টে এসে মানুষের কাছে ধার করে গ্রামের বাড়িতে যেতে হয়েছে। বাংলাদেশ দূতবাসের কর্মরত ও ওই দেশের পুলিশের হাতপায়ে ধরেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

ফেরত পাঠানো একাধিক প্রবাসী জানান, জেলে প্রায় এক মাস ধরে আটকে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে ফেরত পাঠানো হয়।

দেশে ফেরত আসা একাধিক প্রবাসী শ্রমিকের দাবি- এক রুমে প্রায় এক থেকে দেড়শ লোককে আটকে রাখা হয়। খাবার ছিল না, পানি ছিল না। একজনের ওপর আরেকজন শুয়ে থাকতে হতো। তাদের কাছে কোনো টাকা নেই। এখন বিমানবন্দরে এসে নেমেছেন, কিন্তু বাড়িতে যাওয়ার মতো ভাড়ার টাকাও নেই।

ফেরত পাঠানো আরেক শ্রমিক বলেন, ‘আমার এখনও আকামা আছে আট মাসের। তারপরও আমাকে এসে সৌদি পুলিশ ধরল। বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা সহযোগিতা করেনি।

ফেরত পাঠানো এই শ্রমিকদের কেউ ১০ মাস, কেউ এক বছর, দু-বছর, কেউবা আবার ছয়-সাত বছর সৌদিতে থাকলেও তাদের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, প্রতিদিন অসংখ্য শ্রমিক দেশে প্রবেশ করছে। অনেক সময় তাদের প্রবাস জীবনের গল্প শুনে আমাদের খুব খারাপ লাগে। ফেরত আসা শ্রমিকদের আমরা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।

জিয়াউল হক আরও বলেন, দুঃখ-কষ্ট নিয়ে ফেরত আসা শ্রমিকদের বিষয়ে জানতে পারলে নিজেদের সাধ্য মতো তাদের সহযোগিতা করে থাকে এপিবিএন। কিছু কিছু সময় এজেন্সির প্রতারণার বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহণ করে থাকি।

আরইউ/আরএ/

Header Ad

নওগাঁয় ভুট্টাক্ষেতে পড়েছিল কৃষকের মরদেহ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর মান্দা উপজেলার কাঞ্চন সুইচগেট এলাকার একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে আলেপ (৫০) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১১ মে) সকাল ১০ টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আলেপ উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে।

মান্দা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাকিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকালে ভুট্টাক্ষেতের পাশে মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। এরপর থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের সময় প্রাথমিকভাবে নিহতের শরীরে তেমন কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যাবে।

তিনি আরও জানান, এবিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর এখনো ভিসা হয়নি

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের পবিত্র হজের ফ্লাইট শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (৯ মে) থেকে। তবে বেশিরভাগ হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছিল শনিবার (১১ মে) পর্যন্ত। কিন্তু এখন পর্যন্ত ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়নি। সকালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৮৯৯ হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এ বছর সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনো ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

হজ এজেন্সি মালিক ও ধর্ম মন্ত্রণালয় আশা করছে, শনিবারের মধ্যে বেশিরভাগ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়ে যাবে। অল্প কিছু বাকি থাকলে, সেটাও দু-একদিনের মধ্যে করার জন্য সময় পাওয়া যাবে। তাই ভিসা জটিলতায় কেউ হজে যেতে পারবেন না এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই।

এর আগে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। এরপর সময় ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সবশেষ ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৯ মে) ও শুক্রবার (১০ মে) দুই দিন পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে সৌদি আরব গেছেন ৬ হাজার ৩৯২ জন যাত্রী। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (প্রথম দিন) পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশ থেকে সাতটি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ২ হাজার ৭৬৯ জন যাত্রী। শুক্রবার (দ্বিতীয় দিন) ৯টি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ৩ হাজার ৬২৩ জন হজযাত্রী। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৬৬৮ জন, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১টি ফ্লাইটে ৪৪৫ জন, ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৫১০ জন সৌদি আরব গেছেন। দুই দিনে তিন বিমান সংস্থার ১৬টি ফ্লাইটে ৬ হাজার ৩৯২ হজযাত্রী ঢাকা ছেড়েছেন।

বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। কোনো অভিযোগ ছাড়াই যাত্রীরা ঢাকা ত্যাগ করছেন।

এদিকে বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে যাদের ভিসা হয়নি তারা উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। যদিও ধর্মমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন ভিসা নিয়ে জটিলতা কেটে যাবে। ২৫৯টি বেসরকারি হজ এজেন্সির অনেকেই প্রথম দফার বর্ধিত সময়ের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম শেষ না করায় দ্বিতীয় দফা সময় বাড়ানো হয়েছে।

ইসরায়েল বাহিনীর হামলায় গাজায় ৫০০ মসজিদ ধ্বংস, নিহত শতাধিক ইমাম

ছবি: সংগৃহীত

গাজায় সাত মাসের বেশি সময় ধরে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাদের এ হামলায় গাজার হাসপাতাল থেকে শুরু করে ধর্মীয় স্থাপনাও রেহায় পায়নি। এ অভিযানে শত শত মসজিদও গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত বহু ইমাম এবং ধর্মবিষয়ক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

ফিলিস্তিনের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েল অন্তত ৩০০ ইমাম ও ধর্মীয় ব্যক্তিদের হত্যা করেছে। এছাড়া তারা ৫০০ এর অধিক মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে অসংখ্য মসজিদ। এ তালিকায় ঐতিহাসিক আল ওমারি মসজিদও রয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেতনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের এ বর্বরতা থেকে রেহায় পায়নি গির্জাও। দেশটির সেনাবাহিনীর হামলায় ঐতিহাসিক সেন্ট প্রোফাইরিস গির্জাসহ আরও তিনটি গির্জা ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কোরআন পডকাস্ট ইনস্টিটিউটও হামলার শিকার হয়েছে।
ফিলিস্তিনের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, ফিলিস্তিনিদের বিশ্বাসকে ভেঙে দিতে ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে ধর্মীয় স্থাপনা ও ব্যক্তিত্বরা আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে সুরক্ষিত। তাদের ওপর হামলা যুদ্ধাপরাধ।

তিনি জানান, ধ্বংসপ্রায় মসজিদেই তারা নামাজ আদায় করছেন। এছাড়া সেখানেই নতুন উদ্যোমে কোরআন শিক্ষা কার্যক্রমও চালু করেছেন তারা।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের প্রতি আমাদের বার্তা হলো আমরা সাধারণ ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধ করার জন্য পাশে চায়। বিশেষ করে আরব বিশ্বের ইসলামী ব্যক্তিত্বদের প্রতি আমাদের আহ্বান হলো আমাদের জনগণের ওপর চলমান ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে কাজ করুন।

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় ভুট্টাক্ষেতে পড়েছিল কৃষকের মরদেহ
৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর এখনো ভিসা হয়নি
ইসরায়েল বাহিনীর হামলায় গাজায় ৫০০ মসজিদ ধ্বংস, নিহত শতাধিক ইমাম
আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ
নেইমার-ক্যাসেমিরোকে বাদ দিয়েই ব্রাজিলের কোপা আমেরিকার দল
আফগানিস্তানে ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় ৬০ জনের প্রাণহানি
বৃষ্টি ভেজা স্নিগ্ধ বৈশাখের সকালের দেখা পেল রাজধানীবাসী
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে পাকিস্তানকে হারাল আয়ারল্যান্ড
বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত, দুদিন পর মরদেহ ফেরত
সব সরকারি হাসপাতালে অবৈধ ক্যান্টিন ও ফার্মেসি বন্ধের নির্দেশ
ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস
আইপিএলের ইতিহাসে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করলেন গিল
হোয়াইটওয়াশের পথে জিম্বাবুয়ে, চতুর্থ ম্যাচেও জিতল বাংলাদেশ
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সাবেক স্ত্রী নাসিম পারভীনের লাশ উদ্ধার
পানি শুন্য ছোটযমুনা নদীর বুকে ধান চাষ!
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্জনে অর্জন দেখছে বিএনপি
ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের রক্ষা করুন, বললেন পলক
বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নি সন্ত্রাস ও রক্তপাত: ওবায়দুল কাদের
চড়া সবজির দাম, নাগালের বাইরে নিত্যপণ্য
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানালেন গোবিন্দগঞ্জ বিএনপির নেতৃবৃন্দ