রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

আন্দোলন-নির্বাচন দুই ইস্যুতেই তৎপর জামায়াতে ইসলামী

আন্দোলন ও নির্বাচন দুই ইস্যুতেই তৎপর রয়েছে জামায়াতে ইসলামী। যদিও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকার বিতর্কিত জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আইনি জটিলতায় ঝুলে আছে, তারপরও তলে তলে বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি।

সূত্র জানায়, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মহলের চাপে প্রকাশ্যে জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছে বিএনপি। তবে ভেতরে ভেতরে দুই দলের নেতাদের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপিও তলে তলে পুরোনো সম্পর্ক বজায় রেখে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন ও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। মূলত রাজপথে জামায়াতের শক্তি ও ভোট ব্যাংকের কারণেই অনেকটাই ওপেন সিক্রেট কৌশলে জামায়াতকে কাছে রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখছে বিএনপি নেতৃত্ব।

জামায়াতে ইসলামীর একাধিক দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির চলমান যুগপৎ আন্দোলনে এককভাবে সম্পৃক্ত জামায়াতে ইসলামী। জোটবদ্ধ না হলেও এককভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবে দলটি। রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই। ২০১৪ সালে একই দাবিতে নির্বাচন বয়কট করে ২০১৮ সালে যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সেক্ষত্রে এবারও তো শেষ মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

তাই আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিতে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াত নেতৃত্ব বলছে, জামায়াত নির্বাচনমুখী একটি রাজনৈতিক দল। কোনো কারণে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে জামায়াত যাতে নিবন্ধিত অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারে সে প্রস্তুতিও রাখা হচ্ছে। দলগুলোর সঙ্গে জামায়াত যোগাযোগ রাখছে। একইসঙ্গে নিজেদের দলের নিবন্ধন ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০ দলীয় জোট অকার্যকর হয়ে গেলেও এ জোটের বেশ ক’টি দলের সঙ্গে জামায়াতের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো কারণে বিএনপি অংশ না নিলে কিংবা জামায়াতের প্রার্থীরা বিএনপির প্রতীক ব্যবহার করতে না পারলে যেকোনো একটির সঙ্গে মিশে নির্বাচন করার চেষ্টা করা হবে।

জামায়াতে ইসলামী দেশের অন্যতম প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির দীর্ঘ দিনের পথ চলার জোট-ভোটের অন্যতম সঙ্গী। আইনি জটিলতায় নিবন্ধন প্রক্রিয়া ঝুলে থাকায় দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই দলটির। ফলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে থেকে ভোটযুদ্ধে অংশ নেওয়াটাই ছিল তাদের রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকার শেষ ভরসা।

কিন্তু সম্প্রতিকালে বিএনপি তাদের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটকে অকার্যকর ঘোষণা দেয়। পক্ষান্তরে ২০ দলীয় জোটে অন্তর্ভুক্ত দলগুলোও আনুষ্ঠানিকভাবে জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে। ১২টি রাজনৈতিক দল একত্রিত হয়ে গঠন করেছে ১২ দলীয় জোট। জোটের অন্যান্য দলগুলো মিলে গঠন করেছে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট। এই দুই জোটের কারও সঙ্গেই জোটবদ্ধ নেই ২০ দলীয় জোটের অন্যতম দল জামায়াতে ইসলামী। তবে প্রত্যেকটি দলের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তাদের।

এদিকে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট থেকে বের হয়ে আলাদা আলাদা জোট গঠন করলেও সেই রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। একই দিনে একই রকমের কর্মসূচিও পালন করে আসছে। কিছুটা ব্যতিক্রম শুধু জামায়াতে ইসলামী। শুরুতে বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচিতে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করতে গিয়ে পুলিশি হামলার শিকার হওয়ার পর বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো প্রকার সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করা হয়নি। এরপর থেকে বিএনপির চলমান যুগপৎ আন্দোলনে একই দিনে কর্মসূচি পালন করা থেকে বিরত থাকছে জামায়াতে ইসলামী।

দলটির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ নেই; আবার জোটবদ্ধ আছে জামায়াতে ইসলামী। বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে ২০ দলীয় জোট বিলুপ্ত ঘোষণা দেয়নি; পক্ষান্তরে জামায়াতে ইসলামীও বিএনপির সঙ্গে নাই এমনটার কোনো আনুষ্ঠানিকতা নাই। দুই দলের সর্ম্পককে ঘিরে যে গুঞ্জন সেটা হলো রাজনৈতিক কৌশল। কারণ বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে দাবি আদায় করতে যুগপৎ আন্দোলনে করে যাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীও একই দাবিতে কর্মসূচি পালনে মাঠে রয়েছে।

ইদানিং বিএনপির সঙ্গে সরকারবিরোধী বেশকিছু সমমনা রাজনৈতিক দলের নতুন করে সখ্যতা গড়ে উঠেছে। তাদের সুবিধার্থে এবং বিএনপিও সেই দলগুলোকে দাবি আদায়ের আন্দোলনে পাশে ধরে রাখতে জামায়াতের সঙ্গে দৃশ্যত কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে চলছে। স্পষ্ট কথা-শুরুতে সরকারবিরোধী সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো মুখে মুখে জামায়াতের বিরুদ্ধে অবস্থান থাকলেও এখন সেই অবস্থান তাদের নেই। বেশ কিছু দলের নেতা জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে আদর্শগত পার্থক্য থাকলেও সাংবিধানিক অধিকারসহ ন্যায্য দাবি আদায়ে কোনো পার্থক্য নেই। একে অপরের দীর্ঘদিনের ভোট জোটের অন্যতম বন্ধু। বিএনপি এবং জামায়াত এক সূত্রে গাঁথা। কেউ চাইলেই এই দুই দলের দীর্ঘদিনের বোঝাপড়ার সম্পর্ক ভেঙে ফেলা যাবে না বলেই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলছেন, ভোটের রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামী একটা বড় ফ্যাক্টর। ফলে জামায়াতে ইসলামী রাজনীতিতে না থেকেও আছে; জামায়াতকে নিয়ে রাজনীতিও আছে। দলগতভাবে জামায়াতে ইসলামী সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খল ও জনসমর্থন নিয়ে গড়া দল। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ শত চেষ্টা আর অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েও বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারেনি, পারবে না। উভয় দল একে অপরকে ছেড়ে দেওয়ার কথা কখনো ভাবছে না।

এখন দৃশ্যত যা হচ্ছে সেটাই রাজনীতি। আগামী দিনেও রাজপথ আন্দোলনেও জামায়াতে ইসলামী থাকবে। মাঠ ছাড়বে না। পক্ষান্তরে জামায়াতে ইসলামীর দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক মিত্র বিএনপির নেতারা বলছেন, তারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী কোনো নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল নয়, সরকারও তাদেরকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করেনি। কাজেই বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী জোট হলেও তাতে দোষের কিছু নেই। বরং আজকে যারা জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছে তাদের সঙ্গেও তো জামায়াত জোটবদ্ধ হয়ে রাজপথে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করেছে। তাহলে এখন সমস্যাটা কোথায়?’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, আসলে ক্ষমতাসীনদের আতঙ্কের নাম বিএনপি। ফলে বিএনপির সঙ্গে যারাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারবিরোধী প্রতিবাদ করবে তাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যাচার ও বিতর্ক তৈরি করবে সরকার।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে জোট ছাড়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জোটে থাকা না থাকার বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। জোটে থাকলেও এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে আছি আর জোটে না থাকলেও তো এই সরকারের বিরুদ্ধেই যুগপৎ আন্দোলন করতে রাজপথে আছি।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, জামায়াতে ইসলামী গতানুগতিক কোনো রাজনৈতিক দল নয় বরং জামায়াত একটি গণতান্ত্রিক, আদর্শবাদী ও কল্যাণমুখী ইসলামী দল। মূলত গণমানুষের কল্যাণ ও ন্যায়-ইনাসাফের ভিত্তিতে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা জামায়াতে ইসলামের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। ভোটের রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামী নিজেদের মতো করে সক্রিয় আছে। তৃণমূলে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বহাল আছে। তাই অকারণে শক্তিনাশের পথে না হেঁটে তারা কৌশলে শক্তি বাড়িয়ে যাচ্ছে। জামায়াতকে নিয়ে রাজনীতি এবং জামায়াতের রাজনীতি সহজে শেষ হওয়ার নয়। জামায়াতে ইসলামী রাজনীতির মাঠে আছে এবং থাকবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে তাদের পরীক্ষিত জোটবন্ধু জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির কিছুটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে এটা দূরত্ব নয়, এটা উভয় দলের রাজনৈতিক কৌশল। সরকারবিরোধী সমমনা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশে পেতেই উভয় দল নিজেদের গুটিয়ে রেখেছে। জোট ও রাজনৈতিক বিষয়ে এখনো তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক বিরাজমান।

বরং জামায়াতের নেতারা অনেকটাই গর্ব করে বলে থাকেন শত প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও বিএনপি-জামায়াত সম্পর্কে কেউ চির ধরাতে পারবে না। যুগপৎ আন্দোলন নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক না হলেও গোপনে দুই দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হয়েছে এবং আরও হবে।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, রাজনীতিতে শেষ বলে কোনো কথা নেই। কাউকে না কাউকে তো কিছু ছাড় দিতেই হবে। কারণ আজকে যারা আওয়ামী লীগ সরকারে বিরুদ্ধে ঐক্যে পৌঁছাতে যাচ্ছেন তাদের অনেকের জীবনের বেশি সময় কেটেছে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলে। তারাই যখন জামায়াত নিয়ে কথা বলে তখন বিষয়টা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া অন্য কিছু নয়।

আরইউ/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  

সাক্কু মিয়া। ছবিঃ সংগৃহীত

হবিগঞ্জের মাধবপুরে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা সাক্কু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল ‍শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বেংগাডুবা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাক্কু মিয়া বেংগাডুবা গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে।

পুলিশ জানায়, সাক্কু মিয়া তার প্রথম স্ত্রী রুনা বেগমের যোগসাজসে গত কয়েকমাস ধরে তৃতীয় স্ত্রী সালমা আক্তারের গর্ভজাত সন্তানকে ধর্ষণ করতেন।

গতকাল শুক্রবার রাতে প্রতিবেশীরা ঘটনা টের পেয়ে সাক্কু মিয়াকে ধরে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে মাধবপুর থানার পুলিশের একটি দল গিয়ে সাক্কুকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে ও ভিকটিমকে উদ্ধার করে। ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন সত্যতা নিশ্চিত করে জানান আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  

ছবিঃ সংগৃহীত

দেশের ১৪ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  

ছবিঃ সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়ে দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, খুন ও ডাকাতি প্রতিরোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে র‌্যাবও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করছে বলে জানান, র‍্যাব মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে র‍্যাবের টহল ও চেকপোস্ট পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় র‍্যাব মহাপরিচালক আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে কতিপয় দুষ্কৃতকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল হামলা ও নাশকতার মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ সাধারণ মানুষের ওপর নৃশংস কায়দায় হামলা ও আক্রমণ চালাচ্ছে। এসব অপরাধ দমনে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে র‌্যাব ফোর্সেসও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করছে।

তিনি বলেন, এরইমধ্যে র‌্যাবের সব ব্যাটালিয়ন তাদের নিজস্ব দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় রোবাস্ট প্যাট্রোলিং পরিচালনা করছে। ঝুঁকিপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিরতিহীনভাবে অতিরিক্ত টহল মোতায়েনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, ব্যাটালিয়নগুলোতে নিজস্ব কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে ঢাকাসহ সারাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। দেশব্যাপী বিভিন্ন জায়গায় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশির মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য র‌্যাব বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব মেট্রোপলিটন শহর, জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন, পর্যাপ্ত সংখ্যক টহল মোতায়েন এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান মহাপরিচালক।

তিনি বলেন, সব মেট্রোপলিটন শহর ও গুরুত্বপূর্ণ জেলা শহরগুলোতে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স রিজার্ভ রাখা হয়েছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত রাজধানী থেকে ৪০ জন, ময়মনসিংহে ২৫ জন, রাজশাহী থেকে ২৪ জন, সিলেট থেকে ১৭ জন, নারায়ণগঞ্জ থেকে ১৫ জনসহ মোট ১৮০ জন আসামিকে গ্রেফতার এবং অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এছাড়া সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ যেকোনো ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান র‍্যাব মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান।

র‍্যাব ডিজি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যদের খুন, হত্যাচেষ্টা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক কারবারি এবং চাঞ্চল্যকর সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। এসব গ্রুপের সন্ত্রাসীরা নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে এক গ্রুপ অপর গ্রুপের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে মারামারি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য মোহাম্মদপুরের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী কবজি কাটা গ্রুপের প্রধান আনোয়ার ওরফে শুটার আনোয়ার ওরফে কবজি কাটা আনোয়ার, জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ সন্ত্রাসী বুনিয়া সোহেল এবং জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক কারবারি সেলিম আশরাফি ওরফে চুয়া সেলিমসহ তাদের সহযোগীদের গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল  
জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
১৫ বছর দলীয় বিবেচনায় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে: উপদেষ্টা ফারুক
দিনাজপুরের বিরামপুরে ৮ জুয়াড়ি গ্রেফতার
চীনে নতুন করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব, আবারও মহামারির শঙ্কা
নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রায়হান, সম্পাদক বেলায়েত
শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে: মঈন খান
জামায়াত দাবি করে ২১ শে ফেব্রুয়ারির সমস্ত কৃতিত্ব তাদের: রনি
যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম, মোটরসাইকেল পুড়িয়ে আ.লীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী
নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস (ভিডিও)
নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার