রবিবার, ১২ মে ২০২৪ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

আন্দোলন-নির্বাচন দুই ইস্যুতেই তৎপর জামায়াতে ইসলামী

আন্দোলন ও নির্বাচন দুই ইস্যুতেই তৎপর রয়েছে জামায়াতে ইসলামী। যদিও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকার বিতর্কিত জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আইনি জটিলতায় ঝুলে আছে, তারপরও তলে তলে বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি।

সূত্র জানায়, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মহলের চাপে প্রকাশ্যে জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছে বিএনপি। তবে ভেতরে ভেতরে দুই দলের নেতাদের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপিও তলে তলে পুরোনো সম্পর্ক বজায় রেখে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন ও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। মূলত রাজপথে জামায়াতের শক্তি ও ভোট ব্যাংকের কারণেই অনেকটাই ওপেন সিক্রেট কৌশলে জামায়াতকে কাছে রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখছে বিএনপি নেতৃত্ব।

জামায়াতে ইসলামীর একাধিক দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির চলমান যুগপৎ আন্দোলনে এককভাবে সম্পৃক্ত জামায়াতে ইসলামী। জোটবদ্ধ না হলেও এককভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবে দলটি। রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই। ২০১৪ সালে একই দাবিতে নির্বাচন বয়কট করে ২০১৮ সালে যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সেক্ষত্রে এবারও তো শেষ মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

তাই আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিতে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াত নেতৃত্ব বলছে, জামায়াত নির্বাচনমুখী একটি রাজনৈতিক দল। কোনো কারণে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে জামায়াত যাতে নিবন্ধিত অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারে সে প্রস্তুতিও রাখা হচ্ছে। দলগুলোর সঙ্গে জামায়াত যোগাযোগ রাখছে। একইসঙ্গে নিজেদের দলের নিবন্ধন ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০ দলীয় জোট অকার্যকর হয়ে গেলেও এ জোটের বেশ ক’টি দলের সঙ্গে জামায়াতের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো কারণে বিএনপি অংশ না নিলে কিংবা জামায়াতের প্রার্থীরা বিএনপির প্রতীক ব্যবহার করতে না পারলে যেকোনো একটির সঙ্গে মিশে নির্বাচন করার চেষ্টা করা হবে।

জামায়াতে ইসলামী দেশের অন্যতম প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির দীর্ঘ দিনের পথ চলার জোট-ভোটের অন্যতম সঙ্গী। আইনি জটিলতায় নিবন্ধন প্রক্রিয়া ঝুলে থাকায় দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই দলটির। ফলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে থেকে ভোটযুদ্ধে অংশ নেওয়াটাই ছিল তাদের রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকার শেষ ভরসা।

কিন্তু সম্প্রতিকালে বিএনপি তাদের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটকে অকার্যকর ঘোষণা দেয়। পক্ষান্তরে ২০ দলীয় জোটে অন্তর্ভুক্ত দলগুলোও আনুষ্ঠানিকভাবে জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে। ১২টি রাজনৈতিক দল একত্রিত হয়ে গঠন করেছে ১২ দলীয় জোট। জোটের অন্যান্য দলগুলো মিলে গঠন করেছে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট। এই দুই জোটের কারও সঙ্গেই জোটবদ্ধ নেই ২০ দলীয় জোটের অন্যতম দল জামায়াতে ইসলামী। তবে প্রত্যেকটি দলের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তাদের।

এদিকে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট থেকে বের হয়ে আলাদা আলাদা জোট গঠন করলেও সেই রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। একই দিনে একই রকমের কর্মসূচিও পালন করে আসছে। কিছুটা ব্যতিক্রম শুধু জামায়াতে ইসলামী। শুরুতে বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচিতে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করতে গিয়ে পুলিশি হামলার শিকার হওয়ার পর বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো প্রকার সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করা হয়নি। এরপর থেকে বিএনপির চলমান যুগপৎ আন্দোলনে একই দিনে কর্মসূচি পালন করা থেকে বিরত থাকছে জামায়াতে ইসলামী।

দলটির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ নেই; আবার জোটবদ্ধ আছে জামায়াতে ইসলামী। বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে ২০ দলীয় জোট বিলুপ্ত ঘোষণা দেয়নি; পক্ষান্তরে জামায়াতে ইসলামীও বিএনপির সঙ্গে নাই এমনটার কোনো আনুষ্ঠানিকতা নাই। দুই দলের সর্ম্পককে ঘিরে যে গুঞ্জন সেটা হলো রাজনৈতিক কৌশল। কারণ বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে দাবি আদায় করতে যুগপৎ আন্দোলনে করে যাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীও একই দাবিতে কর্মসূচি পালনে মাঠে রয়েছে।

ইদানিং বিএনপির সঙ্গে সরকারবিরোধী বেশকিছু সমমনা রাজনৈতিক দলের নতুন করে সখ্যতা গড়ে উঠেছে। তাদের সুবিধার্থে এবং বিএনপিও সেই দলগুলোকে দাবি আদায়ের আন্দোলনে পাশে ধরে রাখতে জামায়াতের সঙ্গে দৃশ্যত কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে চলছে। স্পষ্ট কথা-শুরুতে সরকারবিরোধী সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো মুখে মুখে জামায়াতের বিরুদ্ধে অবস্থান থাকলেও এখন সেই অবস্থান তাদের নেই। বেশ কিছু দলের নেতা জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে আদর্শগত পার্থক্য থাকলেও সাংবিধানিক অধিকারসহ ন্যায্য দাবি আদায়ে কোনো পার্থক্য নেই। একে অপরের দীর্ঘদিনের ভোট জোটের অন্যতম বন্ধু। বিএনপি এবং জামায়াত এক সূত্রে গাঁথা। কেউ চাইলেই এই দুই দলের দীর্ঘদিনের বোঝাপড়ার সম্পর্ক ভেঙে ফেলা যাবে না বলেই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলছেন, ভোটের রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামী একটা বড় ফ্যাক্টর। ফলে জামায়াতে ইসলামী রাজনীতিতে না থেকেও আছে; জামায়াতকে নিয়ে রাজনীতিও আছে। দলগতভাবে জামায়াতে ইসলামী সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খল ও জনসমর্থন নিয়ে গড়া দল। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ শত চেষ্টা আর অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েও বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারেনি, পারবে না। উভয় দল একে অপরকে ছেড়ে দেওয়ার কথা কখনো ভাবছে না।

এখন দৃশ্যত যা হচ্ছে সেটাই রাজনীতি। আগামী দিনেও রাজপথ আন্দোলনেও জামায়াতে ইসলামী থাকবে। মাঠ ছাড়বে না। পক্ষান্তরে জামায়াতে ইসলামীর দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক মিত্র বিএনপির নেতারা বলছেন, তারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী কোনো নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল নয়, সরকারও তাদেরকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করেনি। কাজেই বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী জোট হলেও তাতে দোষের কিছু নেই। বরং আজকে যারা জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছে তাদের সঙ্গেও তো জামায়াত জোটবদ্ধ হয়ে রাজপথে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করেছে। তাহলে এখন সমস্যাটা কোথায়?’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, আসলে ক্ষমতাসীনদের আতঙ্কের নাম বিএনপি। ফলে বিএনপির সঙ্গে যারাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারবিরোধী প্রতিবাদ করবে তাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যাচার ও বিতর্ক তৈরি করবে সরকার।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে জোট ছাড়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জোটে থাকা না থাকার বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। জোটে থাকলেও এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে আছি আর জোটে না থাকলেও তো এই সরকারের বিরুদ্ধেই যুগপৎ আন্দোলন করতে রাজপথে আছি।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, জামায়াতে ইসলামী গতানুগতিক কোনো রাজনৈতিক দল নয় বরং জামায়াত একটি গণতান্ত্রিক, আদর্শবাদী ও কল্যাণমুখী ইসলামী দল। মূলত গণমানুষের কল্যাণ ও ন্যায়-ইনাসাফের ভিত্তিতে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা জামায়াতে ইসলামের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। ভোটের রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামী নিজেদের মতো করে সক্রিয় আছে। তৃণমূলে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বহাল আছে। তাই অকারণে শক্তিনাশের পথে না হেঁটে তারা কৌশলে শক্তি বাড়িয়ে যাচ্ছে। জামায়াতকে নিয়ে রাজনীতি এবং জামায়াতের রাজনীতি সহজে শেষ হওয়ার নয়। জামায়াতে ইসলামী রাজনীতির মাঠে আছে এবং থাকবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে তাদের পরীক্ষিত জোটবন্ধু জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির কিছুটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে এটা দূরত্ব নয়, এটা উভয় দলের রাজনৈতিক কৌশল। সরকারবিরোধী সমমনা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশে পেতেই উভয় দল নিজেদের গুটিয়ে রেখেছে। জোট ও রাজনৈতিক বিষয়ে এখনো তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক বিরাজমান।

বরং জামায়াতের নেতারা অনেকটাই গর্ব করে বলে থাকেন শত প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও বিএনপি-জামায়াত সম্পর্কে কেউ চির ধরাতে পারবে না। যুগপৎ আন্দোলন নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক না হলেও গোপনে দুই দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হয়েছে এবং আরও হবে।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, রাজনীতিতে শেষ বলে কোনো কথা নেই। কাউকে না কাউকে তো কিছু ছাড় দিতেই হবে। কারণ আজকে যারা আওয়ামী লীগ সরকারে বিরুদ্ধে ঐক্যে পৌঁছাতে যাচ্ছেন তাদের অনেকের জীবনের বেশি সময় কেটেছে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলে। তারাই যখন জামায়াত নিয়ে কথা বলে তখন বিষয়টা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া অন্য কিছু নয়।

আরইউ/এমএমএ/

Header Ad

ঈদুল আজহায় সরকারি চাকরিজীবীদের ছুটি মিলবে যে কয়দিন

ছবি: সংগৃহীত

আসছে ঈদুল আজহা। ঈদ কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে চাকরিজীবীদের প্রায় সবাই ছুটি কবে থেকে শুরু, সেই হিসাব-নিকাশও করতে থাকেন। চলতি বছরের ঈদুল আজহায় টানা পাঁচ দিনের ছুটি মিলবে সরকারি চাকরিজীবীদের। এর মধ্যে ২ দিন সাপ্তাহিক ছুটি আর ৩ দিন ঈদের ছুটি।

চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আগামী ১৭ জুন (সোমবার) দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে পারে। এ হিসাব করে সরকারি ছুটির তালিকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, কুরবানির ঈদের ছুটি শুরু হবে ঈদের আগের দিন অর্থাৎ ১৬ জুন (রোববার) থেকে। যা চলবে ১৮ জুন (মঙ্গলবার) পর্যন্ত। এর আগে ১৪ ও ১৫ জুন (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। সে হিসাবে মোট পাঁচ দিনের ছুটি মিলছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

প্রসঙ্গত, ঈদুল ফিতরের দুই মাস ১০ দিন পর মুসলমানরা ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন। দিনের হিসাবে যা সর্বোচ্চ ৭০ দিন হতে পারে। তবে এর মধ্যে আরবি মাস জিলকদ বা জিলহজের কোনো একটি বা দুটিই যদি ২৯ দিনের হয়, তাহলে ৭০ দিনের কম সময়ের মধ্যেও (৬৯/৬৮ দিন) কুরবানির ঈদ হতে পারে।

সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী, জুন মাসের ১৬ তারিখে দেশটিতে কুরবানির ঈদ উদযাপিত হতে পারে। বাংলাদেশে সাধারণত সৌদি আরব, কাতার, ওমান, আরব আমিরাত এসব দেশের পরের দিন কুরবানির ঈদ পালন করা হয়। সেই হিসাবে বাংলাদেশে কুরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জুন মাসের ১৭ তারিখে। তবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।

স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল

ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আরও বেড়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরির দাম সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮৩২ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮১ টাকা হয়েছে।

শ‌নিবার (১১ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

রোববার (১২ মে) থেকে এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৩২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫০৫ টাকা বাড়িয়ে ৯৫ হাজার ৯৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ২৪৯ টাকা বাড়িয়ে ৭৯ হাজার ৩৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ২৬ হাজার ৬৪৫ টাকা গুনতে হবে।

এর আগে ৮ মে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৩০৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৬৮৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬০১ টাকা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এর আগে গত সোমবার (৬ মে) সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৭৩৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৬৯৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৫ হাজার ৮৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৫৯৫ টাকা বাড়িয়ে ৯০ হাজার ৭৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৫০১ টাকা বাড়িয়ে ৭৫ হাজার ৪৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যা, একদিনে দুই শতাধিক মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় একদিনেই দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, শুক্রবার দেশটির বাগলান প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। খবর এএফপির

আফগানিস্তানে কর্মরত জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) জানিয়েছে, শুক্রবার ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ভেসে গেছে কয়েক হাজার বাড়িঘর।

আইওএমের জরুরি সাড়াদান বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন, বাগলান প্রদেশের জাহিদ জেলায় অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে এবং এখানে দেড় হাজারের বেশি বাড়িঘর ভেসে গেছে। আইওএম অবশ্য আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকেই সূত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে।

তবে তালেবান সরকার জানিয়েছে, শুক্রবার রাত পর্যন্ত তারা জাহিদ জেলায় ৬২ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছে।

তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ আজ শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক টুইটে বলেছেন, ‘আমাদের শত শত নাগরিক এই বিপর্যয়কর বন্যায় মারা গেছে।’

সর্বশেষ সংবাদ

ঈদুল আজহায় সরকারি চাকরিজীবীদের ছুটি মিলবে যে কয়দিন
স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল
আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যা, একদিনে দুই শতাধিক মৃত্যু
রংপুর মেডিকেলের আইসিইউ ইউনিটে আগুন
আওয়ামী লীগ নয়, দেশ চালাচ্ছে অদৃশ্য শক্তি: মির্জা ফখরুল
পতঞ্জলি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভারতের যোগগুরু বাবা রামদেব
রাত ১টার মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের ‍পূর্বাভাস, হুঁশিয়ারি সংকেত
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল ঘোষণা আগামীকাল
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন 'অড সিগনেচার'-এর পিয়াল
অর্থনীতি চাঙা করতে গাঁজা চাষ বৈধ করতে যাচ্ছে পাকিস্তান!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে ‘বিসিএস প্রস্তুতি’ বন্ধ হচ্ছে
বিদেশিদের এনআইডি করতে লাগবে না দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ
চুয়াডাঙ্গায় বজ্রাঘাতে প্রাণ গেল ২ কৃষকের
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি, জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়ে ফেললেন ক্ষুব্ধ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত
স্প্যান বসানো শেষ, ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর উদ্বোধন
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে শাহবাগে চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশীদের অবরোধ
ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু হবে ১০ জুন: রেলমন্ত্রী
২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ এখন বাংলাদেশের জলসীমায়
নিজের মুখেই পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দিলেন এমবাপ্পে
মা, স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নৃশংসভাবে হত্যার পর যুবকের আত্মহত্যা