সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আন্দোলন-নির্বাচন দুই ইস্যুতেই তৎপর জামায়াতে ইসলামী

আন্দোলন ও নির্বাচন দুই ইস্যুতেই তৎপর রয়েছে জামায়াতে ইসলামী। যদিও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকার বিতর্কিত জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আইনি জটিলতায় ঝুলে আছে, তারপরও তলে তলে বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি।

সূত্র জানায়, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মহলের চাপে প্রকাশ্যে জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছে বিএনপি। তবে ভেতরে ভেতরে দুই দলের নেতাদের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপিও তলে তলে পুরোনো সম্পর্ক বজায় রেখে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন ও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। মূলত রাজপথে জামায়াতের শক্তি ও ভোট ব্যাংকের কারণেই অনেকটাই ওপেন সিক্রেট কৌশলে জামায়াতকে কাছে রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখছে বিএনপি নেতৃত্ব।

জামায়াতে ইসলামীর একাধিক দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির চলমান যুগপৎ আন্দোলনে এককভাবে সম্পৃক্ত জামায়াতে ইসলামী। জোটবদ্ধ না হলেও এককভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবে দলটি। রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই। ২০১৪ সালে একই দাবিতে নির্বাচন বয়কট করে ২০১৮ সালে যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সেক্ষত্রে এবারও তো শেষ মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

তাই আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিতে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াত নেতৃত্ব বলছে, জামায়াত নির্বাচনমুখী একটি রাজনৈতিক দল। কোনো কারণে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে জামায়াত যাতে নিবন্ধিত অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারে সে প্রস্তুতিও রাখা হচ্ছে। দলগুলোর সঙ্গে জামায়াত যোগাযোগ রাখছে। একইসঙ্গে নিজেদের দলের নিবন্ধন ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০ দলীয় জোট অকার্যকর হয়ে গেলেও এ জোটের বেশ ক’টি দলের সঙ্গে জামায়াতের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো কারণে বিএনপি অংশ না নিলে কিংবা জামায়াতের প্রার্থীরা বিএনপির প্রতীক ব্যবহার করতে না পারলে যেকোনো একটির সঙ্গে মিশে নির্বাচন করার চেষ্টা করা হবে।

জামায়াতে ইসলামী দেশের অন্যতম প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির দীর্ঘ দিনের পথ চলার জোট-ভোটের অন্যতম সঙ্গী। আইনি জটিলতায় নিবন্ধন প্রক্রিয়া ঝুলে থাকায় দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই দলটির। ফলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে থেকে ভোটযুদ্ধে অংশ নেওয়াটাই ছিল তাদের রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকার শেষ ভরসা।

কিন্তু সম্প্রতিকালে বিএনপি তাদের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটকে অকার্যকর ঘোষণা দেয়। পক্ষান্তরে ২০ দলীয় জোটে অন্তর্ভুক্ত দলগুলোও আনুষ্ঠানিকভাবে জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে। ১২টি রাজনৈতিক দল একত্রিত হয়ে গঠন করেছে ১২ দলীয় জোট। জোটের অন্যান্য দলগুলো মিলে গঠন করেছে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট। এই দুই জোটের কারও সঙ্গেই জোটবদ্ধ নেই ২০ দলীয় জোটের অন্যতম দল জামায়াতে ইসলামী। তবে প্রত্যেকটি দলের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তাদের।

এদিকে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট থেকে বের হয়ে আলাদা আলাদা জোট গঠন করলেও সেই রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। একই দিনে একই রকমের কর্মসূচিও পালন করে আসছে। কিছুটা ব্যতিক্রম শুধু জামায়াতে ইসলামী। শুরুতে বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচিতে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করতে গিয়ে পুলিশি হামলার শিকার হওয়ার পর বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো প্রকার সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করা হয়নি। এরপর থেকে বিএনপির চলমান যুগপৎ আন্দোলনে একই দিনে কর্মসূচি পালন করা থেকে বিরত থাকছে জামায়াতে ইসলামী।

দলটির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ নেই; আবার জোটবদ্ধ আছে জামায়াতে ইসলামী। বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে ২০ দলীয় জোট বিলুপ্ত ঘোষণা দেয়নি; পক্ষান্তরে জামায়াতে ইসলামীও বিএনপির সঙ্গে নাই এমনটার কোনো আনুষ্ঠানিকতা নাই। দুই দলের সর্ম্পককে ঘিরে যে গুঞ্জন সেটা হলো রাজনৈতিক কৌশল। কারণ বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে দাবি আদায় করতে যুগপৎ আন্দোলনে করে যাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীও একই দাবিতে কর্মসূচি পালনে মাঠে রয়েছে।

ইদানিং বিএনপির সঙ্গে সরকারবিরোধী বেশকিছু সমমনা রাজনৈতিক দলের নতুন করে সখ্যতা গড়ে উঠেছে। তাদের সুবিধার্থে এবং বিএনপিও সেই দলগুলোকে দাবি আদায়ের আন্দোলনে পাশে ধরে রাখতে জামায়াতের সঙ্গে দৃশ্যত কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে চলছে। স্পষ্ট কথা-শুরুতে সরকারবিরোধী সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো মুখে মুখে জামায়াতের বিরুদ্ধে অবস্থান থাকলেও এখন সেই অবস্থান তাদের নেই। বেশ কিছু দলের নেতা জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে আদর্শগত পার্থক্য থাকলেও সাংবিধানিক অধিকারসহ ন্যায্য দাবি আদায়ে কোনো পার্থক্য নেই। একে অপরের দীর্ঘদিনের ভোট জোটের অন্যতম বন্ধু। বিএনপি এবং জামায়াত এক সূত্রে গাঁথা। কেউ চাইলেই এই দুই দলের দীর্ঘদিনের বোঝাপড়ার সম্পর্ক ভেঙে ফেলা যাবে না বলেই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলছেন, ভোটের রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামী একটা বড় ফ্যাক্টর। ফলে জামায়াতে ইসলামী রাজনীতিতে না থেকেও আছে; জামায়াতকে নিয়ে রাজনীতিও আছে। দলগতভাবে জামায়াতে ইসলামী সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খল ও জনসমর্থন নিয়ে গড়া দল। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ শত চেষ্টা আর অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েও বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারেনি, পারবে না। উভয় দল একে অপরকে ছেড়ে দেওয়ার কথা কখনো ভাবছে না।

এখন দৃশ্যত যা হচ্ছে সেটাই রাজনীতি। আগামী দিনেও রাজপথ আন্দোলনেও জামায়াতে ইসলামী থাকবে। মাঠ ছাড়বে না। পক্ষান্তরে জামায়াতে ইসলামীর দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক মিত্র বিএনপির নেতারা বলছেন, তারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী কোনো নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল নয়, সরকারও তাদেরকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করেনি। কাজেই বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী জোট হলেও তাতে দোষের কিছু নেই। বরং আজকে যারা জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছে তাদের সঙ্গেও তো জামায়াত জোটবদ্ধ হয়ে রাজপথে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করেছে। তাহলে এখন সমস্যাটা কোথায়?’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, আসলে ক্ষমতাসীনদের আতঙ্কের নাম বিএনপি। ফলে বিএনপির সঙ্গে যারাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারবিরোধী প্রতিবাদ করবে তাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যাচার ও বিতর্ক তৈরি করবে সরকার।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে জোট ছাড়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জোটে থাকা না থাকার বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। জোটে থাকলেও এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে আছি আর জোটে না থাকলেও তো এই সরকারের বিরুদ্ধেই যুগপৎ আন্দোলন করতে রাজপথে আছি।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, জামায়াতে ইসলামী গতানুগতিক কোনো রাজনৈতিক দল নয় বরং জামায়াত একটি গণতান্ত্রিক, আদর্শবাদী ও কল্যাণমুখী ইসলামী দল। মূলত গণমানুষের কল্যাণ ও ন্যায়-ইনাসাফের ভিত্তিতে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা জামায়াতে ইসলামের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। ভোটের রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামী নিজেদের মতো করে সক্রিয় আছে। তৃণমূলে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বহাল আছে। তাই অকারণে শক্তিনাশের পথে না হেঁটে তারা কৌশলে শক্তি বাড়িয়ে যাচ্ছে। জামায়াতকে নিয়ে রাজনীতি এবং জামায়াতের রাজনীতি সহজে শেষ হওয়ার নয়। জামায়াতে ইসলামী রাজনীতির মাঠে আছে এবং থাকবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে তাদের পরীক্ষিত জোটবন্ধু জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির কিছুটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে এটা দূরত্ব নয়, এটা উভয় দলের রাজনৈতিক কৌশল। সরকারবিরোধী সমমনা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশে পেতেই উভয় দল নিজেদের গুটিয়ে রেখেছে। জোট ও রাজনৈতিক বিষয়ে এখনো তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক বিরাজমান।

বরং জামায়াতের নেতারা অনেকটাই গর্ব করে বলে থাকেন শত প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও বিএনপি-জামায়াত সম্পর্কে কেউ চির ধরাতে পারবে না। যুগপৎ আন্দোলন নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক না হলেও গোপনে দুই দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হয়েছে এবং আরও হবে।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, রাজনীতিতে শেষ বলে কোনো কথা নেই। কাউকে না কাউকে তো কিছু ছাড় দিতেই হবে। কারণ আজকে যারা আওয়ামী লীগ সরকারে বিরুদ্ধে ঐক্যে পৌঁছাতে যাচ্ছেন তাদের অনেকের জীবনের বেশি সময় কেটেছে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলে। তারাই যখন জামায়াত নিয়ে কথা বলে তখন বিষয়টা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া অন্য কিছু নয়।

আরইউ/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেতা

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেতা। ছবি: সংগৃহীত

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হাতে ধরা পড়েছেন আবুল হাসনাত আদনান নামে এক ছাত্রলীগ নেতা।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারের ওয়াটারফল রেস্টুরেন্ট থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হন তিনি।

আটক আবুল হাসনাত আদনান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আদনান।

জানা যায়, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এই নেতা রেস্টুরেন্টে বিয়ে খেতে এসেছে এমন খবর পেয়ে সেখান থেকেই তাকে ধরেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা। খবর পেয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, সে জুলাই হামলায় জড়িত ছিল এবং আন্দোলনের সময় হামলার বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ তার মোবাইলে পাওয়া যায়৷ আন্দোলনের সময় গুলি করেছে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা। তার মোবাইলে শিক্ষার্থী হত্যার আলামত পাওয়া গেছে এবং বর্তমানে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন গুজব ছড়ানোর আলামত পাওয়া যায় বলেও জানান তারা।

Header Ad
Header Ad

মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় জামায়াতের ২ সমর্থক বহিষ্কার

বাংলাদেশ জামাত-ই ইসলাম তাদের ফেইজবুক পেইজে এক বিবৃতিতে এসব জানায়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের বহিষ্কার করেছে জামায়াতে ইসলামী। এ ঘটনায় নিন্দাও জানিয়ে জড়িতদের শাস্তির দাবি করা হয় দলটির পক্ষ থেকে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সেক্রেটারি মু. বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াতের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার আমির অ্যাডভোকেট মু. শাহজাহান, জেলা সেক্রেটারি ড. সরওয়ার উদ্দিন ছিদ্দিকী, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আমির মু. মাহফুজুর রহমান ও উপজেলা সেক্রেটারি মু. বেলাল হোসাইন যৌথভাবে বলেন, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও দেশের সাধারণ কোনো নাগরিককে হেনস্তা করা সমর্থন করে না। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই।

নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারা জামায়াতে ইসলামীর কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মী নয়। জামায়াতের কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার বিষয়টি সমর্থন করে না। স্থানীয়ভাবে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, আবদুল হাই কানু তার এলাকায় হত্যা মামলাসহ ৯টি মামলার আসামি। আমরা মনে করি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

তারা আরও বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ঢাকায় থাকা আবুল হাশেম এবং দুবাই ফেরত অহিদুর রহমানের শাস্তি দাবি করছি। পাশাপাশি আমরা সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি, আইন নিজের হাতে নেওয়ার কোনো অধিকার কারো নেই। আমরা আবুল হাশেম, অহিদুর রহমানসহ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলের শাস্তি দাবি করছি এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও তাদের জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিষ্কার ঘোষণা করছি।

প্রসঙ্গত, গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা করেন স্থানীয় কয়েকজন। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার জামায়াতের সমর্থক প্রবাসী আবুল হাসেমের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একদল দুর্বৃত্ত এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটান। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু লুদিয়ারা এলাকার বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে আওয়ামী লীগের সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের রোষানলে পড়ে দীর্ঘ ৮ বছর এলাকা ছাড়া ছিলেন তিনি। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বেশ কয়েকবার তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়।

Header Ad
Header Ad

নকল সিগারেট ব্র্যান্ডের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ছবি: সংগৃহীত

বিদেশী ব্র্যান্ডের নকল সিগারেট এবং নকল ব্র্যান্ড রোল লাগিয়ে বিক্রির ব্যবসায় জড়িত সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)’র সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বরাবর জমা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

এনবিআরের প্রতিবেদন বলছে, নকল সিগারেট তৈরি এবং ব্যান্ডরোল তৈরির সঙ্গে জড়িত ২০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো অন্যতম বৃহৎ।

এ দুই প্রতিষ্ঠান মিথ্যা ঘোষণায় কাঁচামাল আমদানি করে এবং কিশোরগঞ্জ ও চট্টগ্রামের চকোরিয়ার কারখানায় নকল সিগারেট তৈরি করে। পরে নকল সিগারেট দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটনের তামাক ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের। এ ব্যবসার আয়ের একটি অংশ প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসেবে জমা দেয়া হতো। নওফেল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেদন এনবিআর এ জমা দেয়া হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ এনবিআর’ই গ্রহণ করবে।’

একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটনের মালিকানাধীন দুই প্রতিষ্ঠান বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো নকল সিগারেট তৈরি এবং নকল ‘ব্যান্ড রোল’ লাগিয়ে বিদেশী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট তৈরির হোতা।

জানা গেছে, বিজয় ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির ৪০ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের। বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো প্রতিষ্ঠার পর থেকে কমপক্ষে ১০ হাজার টন সিগারেট তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহ করেছে সিগারেটের কাঁচামাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে। যা দিয়ে ৫ কোটি সিগারেটের শলাকা তৈরি সম্ভব। এখানে সরকার ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক ও অন্যান্য খাত বাবদ রাজস্ব হারিয়েছে কমপক্ষে পাঁচ হাজার কোটি টাকা।

গত ৮ অক্টোবর এই বিষয়ে একটি গণমাধ্যম ‘৫ হাজার কোটি লোপাটে এক জুটি’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেতা
মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় জামায়াতের ২ সমর্থক বহিষ্কার
নকল সিগারেট ব্র্যান্ডের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী
২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে গুচ্ছ পদ্ধতি রাখতে জরুরি নির্দেশনা  
শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার দেওয়া চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি
‘মুজিব’ সিনেমার পরিচালক শ্যাম বেনেগাল মারা গেছেন
হেনরী ও তার স্বামীর ৪৯ ব্যাংক হিসাবে লেনদেন পৌনে ৪ হাজার কোটি
স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ২৪৮ টাকা কমলো
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক প্রকল্প বাতিল
ভোটাধিকার আদায়ে ৫ আগস্টের মতো রাস্তায় নামতে হবে: মির্জা ফখরুল
শিল্পকলার সাবেক ডিজি লাকীসহ ২৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মিউজিক ফেস্ট মঞ্চে বিপিএল উদ্বোধন করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা  
দর্শনা সীমান্তে ভারতে পাচারকালে দুই নারী উদ্ধার; পাচারকারী আটক
১৫ বছরে বিএনপি আন্দোলনে ছিল বলেই শেখ হাসিনা পালিয়েছে: ফখরুল
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল
শিক্ষার্থীদের গ্রাফিতিতে লেখা জয় বাংলা মুছে দিলো ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল
বাংলাদেশের কাছে ত্রিপুরা ২০০ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে: মুখ্যমন্ত্রী
হাসিনা বাংলাদেশে আসবে কেবল ফাঁসিতে ঝোলার জন্য: নাহিদ
চাঁদপুরে জাহাজ থেকে ৫ মরদেহ উদ্ধার: চিকিৎসাধীন আরও ২ জনের মৃত্যু  
সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি এস আলমের