মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

যুগপৎ আন্দোলনে প্রধান বাধা জামায়াতে ইসলামী!

সমমনা দলগুলোকে নিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে চায় বিএনপি। কিন্তু এক্ষেত্রে বাকি দলগুলোর জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে আপত্তি রয়েছে। একারণে যুগপৎ আন্দোলন ইস্যুতে আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এখন পর্যন্ত আলোচনা করেনি দলটি।

জানা যায়, দলের ভেতরে-বাইরে নানান সমালোচনায় এবার জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারবিরোধী আন্দোলনে জামায়াতকে এড়িয়ে চলার রাজনৈতিক কৌশলের পথে হাঁটছে বিএনপি। সেজন্য সরকারবিরোধী সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বেশকয়েকবার সংলাপ করে; পরবর্তীতে লিঁয়াজো কমিটি তৈরির মাধ্যমে বৈঠক করে যাচ্ছে বিএনপি। উদ্দেশ্য প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে একটি প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা। তাই যুগপৎ আন্দোলন ইস্যুতে আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলোচনা করেনি দলটি। তারপরও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো বারবার জামায়াত ইস্যুতে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে কোনো আশানুরূপ উত্তর মেলেনি।

বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে যুগপৎ আন্দোলনে পাশে রাখতেই জামায়াতকে কিছুটা এড়িয়ে চলা হচ্ছে। তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে তাদের যোগাযোগ আছে। যেহেতু এখন ২০ দলীয় জোট নেই। জোট ভেঙ্গে গঠিত নতুন কোনো জোটেও নেই জামায়াত। তারপরও বিএনপির মতো জামায়াতে ইসলামীও চায় বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের পতন।

এদিকে, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতেই ২০ দলীয় জোট ভেঙ্গে দিয়ে আলাদাভাবে আন্দোলনের মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জামায়াত বিএনপির দাবির সমর্থনে যুগপৎ আন্দোলনে সক্রিয় আছে এবং ভবিষ্যতেও কর্মসূচী নিয়ে মাঠে থাকবে।

অন্যদিকে, বিএনপি দাবি করছে বিএনপি-জামায়াত এখন সম্পূর্ণ আলাদা এবং যে যার মতো আন্দোলন করছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির ১০ দফা দাবির সমর্থনে যুগপৎ আন্দোলনে যে কেউ যোগ দিতে পারে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন করতে যাচ্ছে বিএনপি। কিন্তু সঠিক সমন্বয়ের অভাবে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সঙ্গে পথচলা বা যুগপৎ আন্দোলন গতি পাচ্ছে না কিছুতেই। বরং যুগপৎ আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান ইস্যুটিতে বৈঠকের পর বৈঠকেই আটকে থাকছে।

জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা যুগপৎ আন্দোলনে আছি। আমরা যুগপৎ আন্দোলন করব। তারপরও কিছুটা রাজনৈতিক কৌশলগত কারণেই দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত জোট-ভোটের বন্ধু জামায়াতকে পাশে রাখা নিয়ে বিএনপির সতর্ক অবস্থান দেখা যাচ্ছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, যুগপৎ-এর একটা যথার্থ মানে আছে। স্ব-স্ব অবস্থান। এখন এই সরকারের পতন নিয়ে যারা ভাবছে তারা একত্র হবে এটাই স্বাভাবিক। জামায়াত বলে কথা না, সরকারবিরোধী আন্দোলন নিয়ে আরও যেসব সমমনা দল আছে সবাই এই যুগপৎ আন্দোলনের অংশীদার। এখন জামায়াত যদি আমাদের ১০ দফা দাবিতে সহমত জানায় সেটাতে দোষের কিছু নেই। বাকি দলগুলোর মতোই তারাও এই সরকারবিরোধী কর্মসূচির একটা অংশ।

জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদের একজন প্রভাবশালী নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বিএনপি নেতাদের ভাবনায় নানা কারণেই বর্তমান সরকারের ওপর মানুষ ক্ষুব্ধ। ফলে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামীকে ছাড়াই বিএনপি সফল হতে পারবে। এ কারণে যুগপৎ আন্দোলনে জামায়াতকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বিএনপির হাইকমান্ড। আমাদের স্পষ্ট কথা; সময় বলে দেবে জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা কী হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা যে লিঁয়াজো কমিটি করেছি, লিঁয়াজো কমিটি সরাসরি যেসব রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করছে, তারাই আমাদের সাথে যুগপৎ আন্দোলনে আছে। যুগপৎ করার অর্থই হচ্ছে যার যার মতো সে সে করো। সেখানে যদি কোনো দল নিজের ইচ্ছায় করে, আমরাতো না করতে পারবো না। তাছাড়া বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কে জামায়াত আর কে জামায়াত না তা চুলচেঁড়া বিশ্লেষণ করার সময় নয়।

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করছি। ইতোমধ্যে বেশকয়েকটি রাজনৈতিক দল এক সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। আরও কিছু রাজনৈতিক দল যুক্ত হবে। তাছাড়া যুগপৎ আন্দোলন তো একসঙ্গেও করা যায় আবার পৃথক পৃথকভাবে একই দাবিতে করা যায়। সেক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীও যুগপৎ আন্দোলনে আছে বলা যায়। কারণ দলটির দাবি ও আমরা যারা সরকারবিরোধী আন্দোলন করছি সবার দাবি এক। এখন শুধু প্রয়োজন একে অপরকে কিছুটা ছাড় দিয়ে হলেও কাঙ্খিত লক্ষ্যে অগ্রসর হওয়া।

বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নূরুল হক নুর ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বিএনপি, জামায়াত, চরমোনাই, খেলাফত, বাম, ডান- যারাই আজ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজপথে আছে তাদের প্রত্যেকের প্রতি আমাদের ফেলোফিলিং রয়েছে। সবাইকে নিয়ে আমরা রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে চাই। তবে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, ছোট ছোট দলগুলোর বিশেষ কোনো সাপোর্ট নেই। সাপোর্ট দিয়ে কিভাবে তাদের আরও চাঙ্গা করা যায় সেই চেষ্টা বিএনপি কে করতে হবে।

যুগপৎ আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারবিরোধী সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়া আছে। অনেক কর্মসূচি আছে যেগুলো প্রত্যেক দল তাদের মতো করে পালন করবে, আমরা আমাদের মতো করব। কিন্তু মূল দাবি অর্থাৎ এই সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবি একই সঙ্গে রাষ্ট্রের যে সংস্কারের কথাগুলো রয়েছে সে দাবিগুলোতে আমরা একমত রয়েছি।

১২ দলীয় জোটের একজন প্রভাবশালী নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, শুধু মাত্র জামায়াতে ইসলামীকে দোষারোপ করে লাভ নেই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া যুগপৎ আন্দোলন কোন পথে অগ্রসর হবে তা কেউ জানেন না। মির্জা ফখরুল কে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যেভাবে নির্দেশনা দেবেন তিনি সেভাবেই আন্দোলনের গতিবিধি নির্ধারণ করবেন।

আরইউ/এএস

Header Ad
Header Ad

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেতা

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেতা। ছবি: সংগৃহীত

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হাতে ধরা পড়েছেন আবুল হাসনাত আদনান নামে এক ছাত্রলীগ নেতা।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারের ওয়াটারফল রেস্টুরেন্ট থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হন তিনি।

আটক আবুল হাসনাত আদনান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আদনান।

জানা যায়, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এই নেতা রেস্টুরেন্টে বিয়ে খেতে এসেছে এমন খবর পেয়ে সেখান থেকেই তাকে ধরেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা। খবর পেয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, সে জুলাই হামলায় জড়িত ছিল এবং আন্দোলনের সময় হামলার বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ তার মোবাইলে পাওয়া যায়৷ আন্দোলনের সময় গুলি করেছে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা। তার মোবাইলে শিক্ষার্থী হত্যার আলামত পাওয়া গেছে এবং বর্তমানে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন গুজব ছড়ানোর আলামত পাওয়া যায় বলেও জানান তারা।

Header Ad
Header Ad

মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় জামায়াতের ২ সমর্থক বহিষ্কার

বাংলাদেশ জামাত-ই ইসলাম তাদের ফেইজবুক পেইজে এক বিবৃতিতে এসব জানায়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের বহিষ্কার করেছে জামায়াতে ইসলামী। এ ঘটনায় নিন্দাও জানিয়ে জড়িতদের শাস্তির দাবি করা হয় দলটির পক্ষ থেকে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সেক্রেটারি মু. বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াতের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার আমির অ্যাডভোকেট মু. শাহজাহান, জেলা সেক্রেটারি ড. সরওয়ার উদ্দিন ছিদ্দিকী, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আমির মু. মাহফুজুর রহমান ও উপজেলা সেক্রেটারি মু. বেলাল হোসাইন যৌথভাবে বলেন, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও দেশের সাধারণ কোনো নাগরিককে হেনস্তা করা সমর্থন করে না। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই।

নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারা জামায়াতে ইসলামীর কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মী নয়। জামায়াতের কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার বিষয়টি সমর্থন করে না। স্থানীয়ভাবে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, আবদুল হাই কানু তার এলাকায় হত্যা মামলাসহ ৯টি মামলার আসামি। আমরা মনে করি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

তারা আরও বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ঢাকায় থাকা আবুল হাশেম এবং দুবাই ফেরত অহিদুর রহমানের শাস্তি দাবি করছি। পাশাপাশি আমরা সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি, আইন নিজের হাতে নেওয়ার কোনো অধিকার কারো নেই। আমরা আবুল হাশেম, অহিদুর রহমানসহ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলের শাস্তি দাবি করছি এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও তাদের জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিষ্কার ঘোষণা করছি।

প্রসঙ্গত, গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা করেন স্থানীয় কয়েকজন। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার জামায়াতের সমর্থক প্রবাসী আবুল হাসেমের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একদল দুর্বৃত্ত এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটান। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু লুদিয়ারা এলাকার বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে আওয়ামী লীগের সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের রোষানলে পড়ে দীর্ঘ ৮ বছর এলাকা ছাড়া ছিলেন তিনি। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বেশ কয়েকবার তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়।

Header Ad
Header Ad

নকল সিগারেট ব্র্যান্ডের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ছবি: সংগৃহীত

বিদেশী ব্র্যান্ডের নকল সিগারেট এবং নকল ব্র্যান্ড রোল লাগিয়ে বিক্রির ব্যবসায় জড়িত সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)’র সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বরাবর জমা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

এনবিআরের প্রতিবেদন বলছে, নকল সিগারেট তৈরি এবং ব্যান্ডরোল তৈরির সঙ্গে জড়িত ২০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো অন্যতম বৃহৎ।

এ দুই প্রতিষ্ঠান মিথ্যা ঘোষণায় কাঁচামাল আমদানি করে এবং কিশোরগঞ্জ ও চট্টগ্রামের চকোরিয়ার কারখানায় নকল সিগারেট তৈরি করে। পরে নকল সিগারেট দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটনের তামাক ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের। এ ব্যবসার আয়ের একটি অংশ প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসেবে জমা দেয়া হতো। নওফেল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেদন এনবিআর এ জমা দেয়া হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ এনবিআর’ই গ্রহণ করবে।’

একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটনের মালিকানাধীন দুই প্রতিষ্ঠান বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো নকল সিগারেট তৈরি এবং নকল ‘ব্যান্ড রোল’ লাগিয়ে বিদেশী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট তৈরির হোতা।

জানা গেছে, বিজয় ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির ৪০ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের। বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো প্রতিষ্ঠার পর থেকে কমপক্ষে ১০ হাজার টন সিগারেট তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহ করেছে সিগারেটের কাঁচামাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে। যা দিয়ে ৫ কোটি সিগারেটের শলাকা তৈরি সম্ভব। এখানে সরকার ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক ও অন্যান্য খাত বাবদ রাজস্ব হারিয়েছে কমপক্ষে পাঁচ হাজার কোটি টাকা।

গত ৮ অক্টোবর এই বিষয়ে একটি গণমাধ্যম ‘৫ হাজার কোটি লোপাটে এক জুটি’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেতা
মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় জামায়াতের ২ সমর্থক বহিষ্কার
নকল সিগারেট ব্র্যান্ডের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী
২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে গুচ্ছ পদ্ধতি রাখতে জরুরি নির্দেশনা  
শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার দেওয়া চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি
‘মুজিব’ সিনেমার পরিচালক শ্যাম বেনেগাল মারা গেছেন
হেনরী ও তার স্বামীর ৪৯ ব্যাংক হিসাবে লেনদেন পৌনে ৪ হাজার কোটি
স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ২৪৮ টাকা কমলো
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক প্রকল্প বাতিল
ভোটাধিকার আদায়ে ৫ আগস্টের মতো রাস্তায় নামতে হবে: মির্জা ফখরুল
শিল্পকলার সাবেক ডিজি লাকীসহ ২৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মিউজিক ফেস্ট মঞ্চে বিপিএল উদ্বোধন করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা  
দর্শনা সীমান্তে ভারতে পাচারকালে দুই নারী উদ্ধার; পাচারকারী আটক
১৫ বছরে বিএনপি আন্দোলনে ছিল বলেই শেখ হাসিনা পালিয়েছে: ফখরুল
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল
শিক্ষার্থীদের গ্রাফিতিতে লেখা জয় বাংলা মুছে দিলো ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল
বাংলাদেশের কাছে ত্রিপুরা ২০০ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে: মুখ্যমন্ত্রী
হাসিনা বাংলাদেশে আসবে কেবল ফাঁসিতে ঝোলার জন্য: নাহিদ
চাঁদপুরে জাহাজ থেকে ৫ মরদেহ উদ্ধার: চিকিৎসাধীন আরও ২ জনের মৃত্যু  
সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি এস আলমের