বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

যুগপৎ আন্দোলনে প্রধান বাধা জামায়াতে ইসলামী!

সমমনা দলগুলোকে নিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে চায় বিএনপি। কিন্তু এক্ষেত্রে বাকি দলগুলোর জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে আপত্তি রয়েছে। একারণে যুগপৎ আন্দোলন ইস্যুতে আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এখন পর্যন্ত আলোচনা করেনি দলটি।

জানা যায়, দলের ভেতরে-বাইরে নানান সমালোচনায় এবার জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারবিরোধী আন্দোলনে জামায়াতকে এড়িয়ে চলার রাজনৈতিক কৌশলের পথে হাঁটছে বিএনপি। সেজন্য সরকারবিরোধী সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বেশকয়েকবার সংলাপ করে; পরবর্তীতে লিঁয়াজো কমিটি তৈরির মাধ্যমে বৈঠক করে যাচ্ছে বিএনপি। উদ্দেশ্য প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে একটি প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা। তাই যুগপৎ আন্দোলন ইস্যুতে আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলোচনা করেনি দলটি। তারপরও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো বারবার জামায়াত ইস্যুতে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে কোনো আশানুরূপ উত্তর মেলেনি।

বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে যুগপৎ আন্দোলনে পাশে রাখতেই জামায়াতকে কিছুটা এড়িয়ে চলা হচ্ছে। তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে তাদের যোগাযোগ আছে। যেহেতু এখন ২০ দলীয় জোট নেই। জোট ভেঙ্গে গঠিত নতুন কোনো জোটেও নেই জামায়াত। তারপরও বিএনপির মতো জামায়াতে ইসলামীও চায় বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের পতন।

এদিকে, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতেই ২০ দলীয় জোট ভেঙ্গে দিয়ে আলাদাভাবে আন্দোলনের মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জামায়াত বিএনপির দাবির সমর্থনে যুগপৎ আন্দোলনে সক্রিয় আছে এবং ভবিষ্যতেও কর্মসূচী নিয়ে মাঠে থাকবে।

অন্যদিকে, বিএনপি দাবি করছে বিএনপি-জামায়াত এখন সম্পূর্ণ আলাদা এবং যে যার মতো আন্দোলন করছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির ১০ দফা দাবির সমর্থনে যুগপৎ আন্দোলনে যে কেউ যোগ দিতে পারে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন করতে যাচ্ছে বিএনপি। কিন্তু সঠিক সমন্বয়ের অভাবে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সঙ্গে পথচলা বা যুগপৎ আন্দোলন গতি পাচ্ছে না কিছুতেই। বরং যুগপৎ আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান ইস্যুটিতে বৈঠকের পর বৈঠকেই আটকে থাকছে।

জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা যুগপৎ আন্দোলনে আছি। আমরা যুগপৎ আন্দোলন করব। তারপরও কিছুটা রাজনৈতিক কৌশলগত কারণেই দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত জোট-ভোটের বন্ধু জামায়াতকে পাশে রাখা নিয়ে বিএনপির সতর্ক অবস্থান দেখা যাচ্ছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, যুগপৎ-এর একটা যথার্থ মানে আছে। স্ব-স্ব অবস্থান। এখন এই সরকারের পতন নিয়ে যারা ভাবছে তারা একত্র হবে এটাই স্বাভাবিক। জামায়াত বলে কথা না, সরকারবিরোধী আন্দোলন নিয়ে আরও যেসব সমমনা দল আছে সবাই এই যুগপৎ আন্দোলনের অংশীদার। এখন জামায়াত যদি আমাদের ১০ দফা দাবিতে সহমত জানায় সেটাতে দোষের কিছু নেই। বাকি দলগুলোর মতোই তারাও এই সরকারবিরোধী কর্মসূচির একটা অংশ।

জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদের একজন প্রভাবশালী নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বিএনপি নেতাদের ভাবনায় নানা কারণেই বর্তমান সরকারের ওপর মানুষ ক্ষুব্ধ। ফলে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামীকে ছাড়াই বিএনপি সফল হতে পারবে। এ কারণে যুগপৎ আন্দোলনে জামায়াতকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বিএনপির হাইকমান্ড। আমাদের স্পষ্ট কথা; সময় বলে দেবে জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা কী হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা যে লিঁয়াজো কমিটি করেছি, লিঁয়াজো কমিটি সরাসরি যেসব রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করছে, তারাই আমাদের সাথে যুগপৎ আন্দোলনে আছে। যুগপৎ করার অর্থই হচ্ছে যার যার মতো সে সে করো। সেখানে যদি কোনো দল নিজের ইচ্ছায় করে, আমরাতো না করতে পারবো না। তাছাড়া বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কে জামায়াত আর কে জামায়াত না তা চুলচেঁড়া বিশ্লেষণ করার সময় নয়।

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করছি। ইতোমধ্যে বেশকয়েকটি রাজনৈতিক দল এক সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। আরও কিছু রাজনৈতিক দল যুক্ত হবে। তাছাড়া যুগপৎ আন্দোলন তো একসঙ্গেও করা যায় আবার পৃথক পৃথকভাবে একই দাবিতে করা যায়। সেক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীও যুগপৎ আন্দোলনে আছে বলা যায়। কারণ দলটির দাবি ও আমরা যারা সরকারবিরোধী আন্দোলন করছি সবার দাবি এক। এখন শুধু প্রয়োজন একে অপরকে কিছুটা ছাড় দিয়ে হলেও কাঙ্খিত লক্ষ্যে অগ্রসর হওয়া।

বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নূরুল হক নুর ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বিএনপি, জামায়াত, চরমোনাই, খেলাফত, বাম, ডান- যারাই আজ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজপথে আছে তাদের প্রত্যেকের প্রতি আমাদের ফেলোফিলিং রয়েছে। সবাইকে নিয়ে আমরা রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে চাই। তবে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, ছোট ছোট দলগুলোর বিশেষ কোনো সাপোর্ট নেই। সাপোর্ট দিয়ে কিভাবে তাদের আরও চাঙ্গা করা যায় সেই চেষ্টা বিএনপি কে করতে হবে।

যুগপৎ আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারবিরোধী সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়া আছে। অনেক কর্মসূচি আছে যেগুলো প্রত্যেক দল তাদের মতো করে পালন করবে, আমরা আমাদের মতো করব। কিন্তু মূল দাবি অর্থাৎ এই সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবি একই সঙ্গে রাষ্ট্রের যে সংস্কারের কথাগুলো রয়েছে সে দাবিগুলোতে আমরা একমত রয়েছি।

১২ দলীয় জোটের একজন প্রভাবশালী নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, শুধু মাত্র জামায়াতে ইসলামীকে দোষারোপ করে লাভ নেই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া যুগপৎ আন্দোলন কোন পথে অগ্রসর হবে তা কেউ জানেন না। মির্জা ফখরুল কে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যেভাবে নির্দেশনা দেবেন তিনি সেভাবেই আন্দোলনের গতিবিধি নির্ধারণ করবেন।

আরইউ/এএস

Header Ad
Header Ad

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯

ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় মদপানের ফলে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আরও ৯ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুই যুবকের মৃত্যু হয়। এর আগে, ঈদের সন্ধ্যায় তারা মদপান করেন এবং রাতের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মৃতদের মধ্যে রয়েছেন আশাশুনি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের জাফর আলী খাঁর ছেলে জাকির হোসেন টিটু (৪০) ও সোহরাব গাজীর ছেলে নাজমুল গাজী (২৬)।

এ ঘটনায় অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাহ্মণ তেতুলিয়া গ্রামের সাইদ সরদারের ছেলে ফারুক হোসেন, মোকামখালী গ্রামের কুদ্দুস সরদারের ছেলে ইমরান, মিত্র তেতুলিয়ার মর্জিনা খাতুনের ছেলে ইকবাল, কামরুলের ছেলে লিফটন, আজিবার সরদারের ছেলে রবিউল, শহীদ গাজীর ছেলে তুহিন, আনিসের ছেলে নাজমুলসহ আরও কয়েকজন।

গুরুতর অসুস্থদের মধ্যে ফারুক হোসেনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইমরানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঈদের দিন সন্ধ্যায় আশাশুনির তেতুলিয়া শ্মশানঘাট মাঠে বসে জাকির হোসেন টিটু, নাজমুল গাজীসহ মোট ১১ জন একসঙ্গে মদপান করেন। মদপানের পর তারা বাড়ি ফিরে যান এবং ঘুমিয়ে পড়েন।

এরপর রাত ১২টার দিকে একে একে সবাই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকির হোসেন টিটু ও নাজমুল গাজী মারা যান। বাকি ৯ জনের চিকিৎসা চলছে।

আশাশুনি থানার ডিউটি অফিসার এসআই ফিরোজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যু অন্য কোনো কারণে হয়েছে কিনা, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।"

নিহতদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইরানের অস্ত্র সংগ্রহ নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়।

এই পদক্ষেপকে ইরানের ওপর আরও চাপ সৃষ্টির একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে সতর্ক করে বলেছিলেন, নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে রাজি না হলে দেশটির ওপর বোমা হামলা চালানো বা নতুন শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ও বিচার বিভাগ যৌথভাবে জানিয়েছে, ইরানের ড্রোন কর্মসূচির অন্যতম প্রধান নির্মাতার জন্য মানববিহীন এয়ার ভেহিকল (ইউএভি)–এর উপকরণ সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত ছয়টি সংস্থা ও দুই ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, "ইরান তাদের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়াসহ তাদের প্রক্সিদের সরবরাহ করছে। রুশ বাহিনী এগুলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে, যা বেসামরিক নাগরিক, মার্কিন বাহিনী ও মিত্রদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা ইরানের সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্স এবং তাদের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রচলিত অস্ত্রের বিস্তার ব্যাহত করতে কাজ চালিয়ে যাব।"

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে একটি ইরান-ভিত্তিক সংস্থা, দুইজন ইরানি নাগরিক, একটি চীন-ভিত্তিক সংস্থা এবং চারটি সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক সংস্থা।

এ বিষয়ে জাতিসংঘে ইরানের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

Header Ad
Header Ad

বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের দোসররা বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, "পরাজিত শক্তি নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। তারা এই অবৈধ টাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করতে চায়।"

বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, "শেখ হাসিনা জঙ্গি দমনের নামে একটি নাটক সাজিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করেছেন। এটি মূলত ক্ষমতায় টিকে থাকার একটি রাজনৈতিক কৌশল ছিল। এমনকি একজন সাবেক আইজিপির বইয়েও এটি উঠে এসেছে।"

তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে উগ্রবাদের কোনো উত্থান ঘটেনি। বরং বর্তমানে দেশে ফ্যাসিবাদের কোনো ছোবল নেই, মানুষ নির্বিঘ্নে ধর্মপালন করতে পারছে, কথা বলতে পারছে। এবার মানুষ নির্ভয়ে ঈদ উদযাপন করেছে, যা অতীতে সম্ভব হয়নি।"

আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, "আওয়ামী লীগ বসে নেই, তারা কালো টাকা ব্যবহার করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তারা অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারাই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।"

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্দেশে মুগ্ধ ফাইয়াজদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু এ নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই। প্রশাসনের চারপাশে আওয়ামী লীগের দোসররা বসে আছে, যার ফলে দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।"

রিজভী আহমেদ দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, "নির্বাচনী সরকারই হচ্ছে বৈধ সরকার। নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি সাধারণ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হবে।"

তিনি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দ্রুত নির্বাচনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯
ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী
দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের ঘটনা ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আখাউড়ায় ট্রেনের ছাদে টিকটক বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, নিহত ২
বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার আহ্বান ভারতের ত্রিপুরার রাজপরিবার প্রধানের
বিএনপি কখনোই নির্বাচনের পরে সংস্কারের কথা বলেনি: মির্জা ফখরুল
বিরামপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনায় আটক ৫
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ভ্যাল কিলমার আর নেই
ময়মনসিংহে সিনেমা হলে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে দর্শকদের ভাঙচুর
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের তীব্র প্রতিক্রিয়া
মিয়ানমারের ভূমিকম্পে এক ইমামের ১৭০ স্বজনের মৃত্যু
ঈদের আনন্দে যমুনার দুর্গম চরে গ্রাম-বাংলার ঘুড়ি উৎসব, আনন্দে মেতে উঠে বিনোদনপ্রেমীরা!
ইমামকে ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিদায়, দেওয়া হলো ৯ লাখ টাকার সংবর্ধনা
লন্ডনে একসঙ্গে দেখা গেলো সাবেক চার আওয়ামী মন্ত্রীকে
ঢাকায় ফিরছে ঈদযাত্রীরা, অনেকে ছুটছেন শহরের বাইরে
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আবারও সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৭
বিটিভিতে আজ প্রচারিত হবে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা, নেই যানজটের চিরচেনা দৃশ্য
মাদারীপুরে তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২