রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সিটি নির্বাচনে অংশ না নিতে নেতাদের কঠোর নির্দেশনা বিএনপির

পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। কিন্তু তারপরও দলটির আশঙ্কা, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়েও কেউ কেউ নির্বাচন করতে পারেন। এমন আশঙ্কা থেকে নেতাদের নজরদারিতে রেখেছে বিএনপি।

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, দলটি মূলত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন ছাড়া আর কিছু ভাবছে না। তাই সিটি নির্বাচন আসন্ন হলেও অতীতে এসব নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন এবং নতুন করে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন দলের এমন নেতাদের আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক কোনো বার্তা দেওয়া হয়নি। উপরন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য তাদের রাখা হয়েছে সাংগঠনিক নজরদারিতে।

জানতে চাইলে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, শুধু সিটি নির্বাচন নয় বর্তমান সরকার ও শেখ হাসিনার অধীনে আমরা কোন নির্বাচনে যাচ্ছি না। এটা দলীয় সিদ্ধান্ত। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে কথা বলেছেন, সিটি নির্বাচন ইস্যুতে দলের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। আমরা এটাকেই নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত বলে মনে করছি।

বিএনপি'র ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ যদি প্রার্থী হয় সে ক্ষেত্রে দলের সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের বাইরে অবস্থান বিবেচনায় অতীতে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের বিষয় যে সিদ্ধান্ত, এখনো যদি কেউ প্রার্থী হয় তাদের ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাছাড়া দলের পদ পদবী ব্যবহার করে কেউ নির্বাচনে অংশ নিবে না, আমরা এই সিদ্ধান্তেই আছি। এর বাইরে কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। আমাদের স্পষ্ট কথা বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার ও শেখ হাসিনার অধীনে কোন ধরনের নির্বাচনে অংশ নিব না।

এক্ষেত্রে বাহ্মণবাড়িয়া উপনির্বাচনকে সামনে রাখছে বিএনপি। বিএনপি নির্বাচনে যাবে না মির্জা ফখরুল এমন কথা বললেও পদত্যাগ করা বিএনপির সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ঠিকই নির্বাচন করে আবার এমপি হয়েছেন। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগও কোনও প্রার্থী দেয়নি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ প্রসঙ্গে বলেন, বিএনপিতে উকিল সাত্তারের অভাব নেই। বিএনপির অনেক নেতা তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যোগাযোগ করছে। যেটা সময় হলেই টের পাওয়া যাবে।

বিএনপি নেতৃত্ব বলছে, অতীতের নানা অভিজ্ঞতা থেকে ক্ষমতাসীন সরকার ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনে আস্থা নেই বিএনপির। তাই নির্বাচন কমিশন একাধিকবার সংলাপের চিঠি দিলেও সাড়া দেয়নি দল। বরং এই মুহুর্তে সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা দাবিতে অটল বিএনপি। দলীয় সরকার বিশেষ করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে কোনো নির্বাচন হয় না।

দলটির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। বিএনপির লক্ষ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থায়ীভাবে বহিষ্কার পর্যন্ত হতে পারে। যদি কোনো প্রার্থী দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে তৃণমূল নির্বাচনে যেতে চায় বলে আওয়াজ তুলতে চায় সেটাও কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে। কারণ সিটি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল দলের হাইকমান্ড।

বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের একটি সূত্র মতে, নিকট অতীতে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মেয়র পদে প্রার্থী হয়ে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৈমুর আলম খন্দকার ও কুমিল্লার মনিরুল হক (সাক্কু)। এবারও পাঁচ সিটিতে যদি কেউ দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ইভিএম নয়, ব্যালটে; আবার ব্যালট নয় ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন, এগুলো বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কুটকৌশল। ইতোপূর্বে আমরা স্থানীয় পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি নাই। এখন এমন কোনো পরিস্থিতি আসে নাই যে আমরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করব এবং সিটি নির্বাচনে অংশ নেব।

সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে কি না, জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, প্রশ্নই ওঠে না। আমরা বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন করব না। এই সিদ্ধান্তই এখনো আছে, এর কোনো পরিবর্তন হয়নি।

নির্বাচনে অংশগ্রহনের পূর্ব শর্ত তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, আন্দোলন একটাই। আন্দোলন হচ্ছে এই সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। আর স্থানীয় সরকার নির্বাচন তো অনেক আগেই বাদ দিয়েছি…।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অনির্বাচিত সরকার। দলীয় সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বিএনপি। কাজেই বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার তো কোনো প্রশ্নই আসে না। এখন পর্যন্ত অনানুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হলো- সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের ১৬তম সভা শেষে নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগামী জুনের মধ্যেই দেশের পাঁচটি সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৩ মে থেকে ২৯ জুনের মধ্যে তিন ধাপে হবে এই নির্বাচন। ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করেছে ইসি। আগামী ২৫শে মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন, রাজশাহী ও সিলেট ২১ শে জুন, খুলনা ও বরিশালে ১২ জুন ভোটগ্রহণ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দলীয় সিদ্ধান্ত না হলেও অনেকেই সিটি নির্বাচনে অংশ নিতে চাইছেন। নির্বাচনে অংশ নিতে তোড়জোড় চালাচ্ছেন দলের অনেক নেতা। তবে এখন পর্যন্ত তেমন সাড়া পাননি তারা। কেউ কেউ বলছেন; সিটি নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার পথ খোলা রাখা উচিত বিএনপির হাইকমান্ডের। দলীয় পদ পদবি নেই- এমন অনেকেই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিবে এমন খবর পেয়েছে বিএনপি। দলের পক্ষ থেকে তাদেরকে নির্বাচনে না যাওয়ার মেসেজ দেওয়া হচ্ছে।

জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, দলের এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না। সেক্ষেত্রে তো সিটি নির্বাচনও অংশ না নেওয়ার মধ্যেই পড়ে।

প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে আমার মনে হচ্ছে না দলের কেউ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা বিবেচনায় নিয়ে ভোটের মাঠে নামবে।

এদিকে খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তিনি বিগত খুলনা সিটি নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন। মঞ্জু বলেন, বিএনপির সিদ্ধান্ত এখনো পাইনি। বিএনপি দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া কোনো ভোটে অংশ নিবে না। সিটি নির্বাচন নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আমরা পাইনি। বিএনপি নির্বাচনে গেলে আমি প্রার্থী হব। আমি প্রস্তুত রয়েছি। তবে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করব না।

আরইউ/এএস

Header Ad
Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহারের মাধ্যমে বরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল। ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে নোটবুক, কলম, পানি, বিস্কুট, সেলাইন এবং প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও মেডিসিন সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের বিশ্রামের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হয়।

এ সময় নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক ও আকিব জাবেদ রাফি, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সেকান্দার, গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক মানিউল আলম পাঠান শান্ত, সদস্য ইমদাদুল হক ও হাসিবুর রহমান সাকিব, মহসিন হল শাখার দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুজার গিফারী ইফাত, সহ ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রায়হানা পারভীন, সহ-আইন সম্পাদক সাফওয়ান হাসান তামিম, কর্মী কাজী আবির, আব্দুল্লাহ অনন্ত, লুৎফুর কবির রানা, ক্রীড়া সম্পাদক (জসীমউদ্দিন হল শাখা) আব্দুল ওহেদ, কর্মী মাসুম বিন বশির এবং নাঈম চৌধুরী।

ছাত্রদল নেতারা নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সফলতা কামনা করেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসঙ্গে তাদের দুই সহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন এই দুই উপদেষ্টার সহকারীরা। অভিযোগ রয়েছে, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রায় ৪ শত কোটি টাকা আয় করেছেন। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবী ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযুক্তদের পেছনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল বলেই তারা এতদূর যেতে পেরেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কি দায় এড়াতে পারেন?

সংগঠনটি বলেছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা ও জনমনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক ইতোমধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর মান্দায় সোনালী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি’র সভাপতি ও জাতীয় পার্টি’র নেতা আব্দুল মান্নানকে গণধোলাই এর শিকার হয়েছেন। রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে তাকে গণধোলাই দিয়ে সতীহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এলাকায় আটকে রাখেন বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। মান্নান উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং মান্দা উপজেলা জাতীয়পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

গ্রাহকদের অভিযোগ, বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে এফডিআরের নামে আমানত সংগ্রহ করেন আব্দুল মান্নান ও ওই সমবায় সমিতির সম্পাদক শাহিন আক্তার মিঠু। শুরুর দিকে মুনাফার টাকা দিলেও বেশ কিছুদিন টালবাহানা করেন তারা। এ অবস্থায় আমানতের টাকা ফেরতের জন্য চাপ দিলে সমিতির সাইনবোর্ড গুটিয়ে নিয়ে সটকে পড়ার পাঁয়তারা করেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোনালী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক লাখপতি অফারে আমানতের নামে শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে দুই কোটি ৩৭ লাখ টাকা সংগ্রহ করেন। প্রত্যেক মাসে এক লাখ টাকায় দুই হাজার টাকা করে মুনাফা দেওয়ার চুক্তি ছিল। প্রথমদিকে সঠিকভাবে মুনাফার টাকা পরিশোধ করা হলেও গত ছয় মাস ধরে টালবাহানা শুরু করেন তারা।

গ্রাহক ফারমিন আক্তার বলেন, ‘বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে ওই সংস্থার সভাপতি আব্দুল মান্নান আমার কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা নেয়। গত দেড় বছর ধরে মুনাফা দিচ্ছেন না। আমানতের টাকা ফেরত দিতেও টালবাহানা করছে তিনি।’

আরেক গ্রাহক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘এক লাখ টাকায় মাসিক দুই হাজার টাকা মুনাফা দেওয়ার অঙ্গীকারে আমার কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
সঠিকভাবে কয়েক মাস মুনাফা পেয়েছি। বর্তমানে সংস্থার লোকজন কার্যক্রম গুটিয়ে আত্মগোপনে আছেন। রবিবার সকালে আব্দুল মান্নানকে পেয়ে গ্রাহকরা আটকিয়ে গণধোলাই দেয়।’

সংস্থার সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া টাকা মাঠেই পড়ে আছে। যারা সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তারা টাকা ফেরত দিচ্ছে না। মাঠ থেকে টাকা উঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। টাকাগুলো উঠে এলেই গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

স্থানীয় গনেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বাবুল ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে গ্রাহকরা আমানতের টাকা ফেরতের জন্য আমার কাছে অভিযোগ দিয়ে আসছিল। পর্যায়ক্রমে টাকা ফেরতের অঙ্গীকারও করেছিলেন সংস্থার সভাপতি ও জাতীয় পার্টির নেতা। এ অবস্থায় আজ তাকে ধরে গণধোলাই দেয় গ্রাহকরা।’

মান্দা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে সোনালী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় গ্রাহকের টাকা আটকে রাখা সঠিক হয়নি। আমানতের টাকা ফেরত পাওয়া গ্রাহকের ন্যায্য অধিকার।’

এ প্রসঙ্গে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। তবে,অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে, এটি সংস্কার করা প্রয়োজন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ