সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সিটি নির্বাচনে অংশ না নিতে নেতাদের কঠোর নির্দেশনা বিএনপির

পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। কিন্তু তারপরও দলটির আশঙ্কা, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়েও কেউ কেউ নির্বাচন করতে পারেন। এমন আশঙ্কা থেকে নেতাদের নজরদারিতে রেখেছে বিএনপি।

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, দলটি মূলত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন ছাড়া আর কিছু ভাবছে না। তাই সিটি নির্বাচন আসন্ন হলেও অতীতে এসব নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন এবং নতুন করে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন দলের এমন নেতাদের আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক কোনো বার্তা দেওয়া হয়নি। উপরন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য তাদের রাখা হয়েছে সাংগঠনিক নজরদারিতে।

জানতে চাইলে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, শুধু সিটি নির্বাচন নয় বর্তমান সরকার ও শেখ হাসিনার অধীনে আমরা কোন নির্বাচনে যাচ্ছি না। এটা দলীয় সিদ্ধান্ত। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে কথা বলেছেন, সিটি নির্বাচন ইস্যুতে দলের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। আমরা এটাকেই নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত বলে মনে করছি।

বিএনপি'র ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ যদি প্রার্থী হয় সে ক্ষেত্রে দলের সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের বাইরে অবস্থান বিবেচনায় অতীতে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের বিষয় যে সিদ্ধান্ত, এখনো যদি কেউ প্রার্থী হয় তাদের ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাছাড়া দলের পদ পদবী ব্যবহার করে কেউ নির্বাচনে অংশ নিবে না, আমরা এই সিদ্ধান্তেই আছি। এর বাইরে কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। আমাদের স্পষ্ট কথা বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার ও শেখ হাসিনার অধীনে কোন ধরনের নির্বাচনে অংশ নিব না।

এক্ষেত্রে বাহ্মণবাড়িয়া উপনির্বাচনকে সামনে রাখছে বিএনপি। বিএনপি নির্বাচনে যাবে না মির্জা ফখরুল এমন কথা বললেও পদত্যাগ করা বিএনপির সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ঠিকই নির্বাচন করে আবার এমপি হয়েছেন। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগও কোনও প্রার্থী দেয়নি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ প্রসঙ্গে বলেন, বিএনপিতে উকিল সাত্তারের অভাব নেই। বিএনপির অনেক নেতা তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যোগাযোগ করছে। যেটা সময় হলেই টের পাওয়া যাবে।

বিএনপি নেতৃত্ব বলছে, অতীতের নানা অভিজ্ঞতা থেকে ক্ষমতাসীন সরকার ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনে আস্থা নেই বিএনপির। তাই নির্বাচন কমিশন একাধিকবার সংলাপের চিঠি দিলেও সাড়া দেয়নি দল। বরং এই মুহুর্তে সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা দাবিতে অটল বিএনপি। দলীয় সরকার বিশেষ করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে কোনো নির্বাচন হয় না।

দলটির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। বিএনপির লক্ষ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থায়ীভাবে বহিষ্কার পর্যন্ত হতে পারে। যদি কোনো প্রার্থী দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে তৃণমূল নির্বাচনে যেতে চায় বলে আওয়াজ তুলতে চায় সেটাও কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে। কারণ সিটি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল দলের হাইকমান্ড।

বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের একটি সূত্র মতে, নিকট অতীতে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মেয়র পদে প্রার্থী হয়ে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৈমুর আলম খন্দকার ও কুমিল্লার মনিরুল হক (সাক্কু)। এবারও পাঁচ সিটিতে যদি কেউ দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ইভিএম নয়, ব্যালটে; আবার ব্যালট নয় ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন, এগুলো বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কুটকৌশল। ইতোপূর্বে আমরা স্থানীয় পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি নাই। এখন এমন কোনো পরিস্থিতি আসে নাই যে আমরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করব এবং সিটি নির্বাচনে অংশ নেব।

সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে কি না, জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, প্রশ্নই ওঠে না। আমরা বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন করব না। এই সিদ্ধান্তই এখনো আছে, এর কোনো পরিবর্তন হয়নি।

নির্বাচনে অংশগ্রহনের পূর্ব শর্ত তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, আন্দোলন একটাই। আন্দোলন হচ্ছে এই সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। আর স্থানীয় সরকার নির্বাচন তো অনেক আগেই বাদ দিয়েছি…।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অনির্বাচিত সরকার। দলীয় সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বিএনপি। কাজেই বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার তো কোনো প্রশ্নই আসে না। এখন পর্যন্ত অনানুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হলো- সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের ১৬তম সভা শেষে নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগামী জুনের মধ্যেই দেশের পাঁচটি সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৩ মে থেকে ২৯ জুনের মধ্যে তিন ধাপে হবে এই নির্বাচন। ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করেছে ইসি। আগামী ২৫শে মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন, রাজশাহী ও সিলেট ২১ শে জুন, খুলনা ও বরিশালে ১২ জুন ভোটগ্রহণ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দলীয় সিদ্ধান্ত না হলেও অনেকেই সিটি নির্বাচনে অংশ নিতে চাইছেন। নির্বাচনে অংশ নিতে তোড়জোড় চালাচ্ছেন দলের অনেক নেতা। তবে এখন পর্যন্ত তেমন সাড়া পাননি তারা। কেউ কেউ বলছেন; সিটি নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার পথ খোলা রাখা উচিত বিএনপির হাইকমান্ডের। দলীয় পদ পদবি নেই- এমন অনেকেই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিবে এমন খবর পেয়েছে বিএনপি। দলের পক্ষ থেকে তাদেরকে নির্বাচনে না যাওয়ার মেসেজ দেওয়া হচ্ছে।

জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, দলের এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না। সেক্ষেত্রে তো সিটি নির্বাচনও অংশ না নেওয়ার মধ্যেই পড়ে।

প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে আমার মনে হচ্ছে না দলের কেউ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা বিবেচনায় নিয়ে ভোটের মাঠে নামবে।

এদিকে খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তিনি বিগত খুলনা সিটি নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন। মঞ্জু বলেন, বিএনপির সিদ্ধান্ত এখনো পাইনি। বিএনপি দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া কোনো ভোটে অংশ নিবে না। সিটি নির্বাচন নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আমরা পাইনি। বিএনপি নির্বাচনে গেলে আমি প্রার্থী হব। আমি প্রস্তুত রয়েছি। তবে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করব না।

আরইউ/এএস

Header Ad
Header Ad

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেতা

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেতা। ছবি: সংগৃহীত

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হাতে ধরা পড়েছেন আবুল হাসনাত আদনান নামে এক ছাত্রলীগ নেতা।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারের ওয়াটারফল রেস্টুরেন্ট থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হন তিনি।

আটক আবুল হাসনাত আদনান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আদনান।

জানা যায়, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এই নেতা রেস্টুরেন্টে বিয়ে খেতে এসেছে এমন খবর পেয়ে সেখান থেকেই তাকে ধরেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা। খবর পেয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, সে জুলাই হামলায় জড়িত ছিল এবং আন্দোলনের সময় হামলার বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ তার মোবাইলে পাওয়া যায়৷ আন্দোলনের সময় গুলি করেছে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা। তার মোবাইলে শিক্ষার্থী হত্যার আলামত পাওয়া গেছে এবং বর্তমানে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন গুজব ছড়ানোর আলামত পাওয়া যায় বলেও জানান তারা।

Header Ad
Header Ad

মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় জামায়াতের ২ সমর্থক বহিষ্কার

বাংলাদেশ জামাত-ই ইসলাম তাদের ফেইজবুক পেইজে এক বিবৃতিতে এসব জানায়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের বহিষ্কার করেছে জামায়াতে ইসলামী। এ ঘটনায় নিন্দাও জানিয়ে জড়িতদের শাস্তির দাবি করা হয় দলটির পক্ষ থেকে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সেক্রেটারি মু. বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াতের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার আমির অ্যাডভোকেট মু. শাহজাহান, জেলা সেক্রেটারি ড. সরওয়ার উদ্দিন ছিদ্দিকী, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আমির মু. মাহফুজুর রহমান ও উপজেলা সেক্রেটারি মু. বেলাল হোসাইন যৌথভাবে বলেন, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও দেশের সাধারণ কোনো নাগরিককে হেনস্তা করা সমর্থন করে না। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই।

নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারা জামায়াতে ইসলামীর কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মী নয়। জামায়াতের কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার বিষয়টি সমর্থন করে না। স্থানীয়ভাবে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, আবদুল হাই কানু তার এলাকায় হত্যা মামলাসহ ৯টি মামলার আসামি। আমরা মনে করি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

তারা আরও বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ঢাকায় থাকা আবুল হাশেম এবং দুবাই ফেরত অহিদুর রহমানের শাস্তি দাবি করছি। পাশাপাশি আমরা সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি, আইন নিজের হাতে নেওয়ার কোনো অধিকার কারো নেই। আমরা আবুল হাশেম, অহিদুর রহমানসহ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলের শাস্তি দাবি করছি এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও তাদের জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিষ্কার ঘোষণা করছি।

প্রসঙ্গত, গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা করেন স্থানীয় কয়েকজন। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার জামায়াতের সমর্থক প্রবাসী আবুল হাসেমের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একদল দুর্বৃত্ত এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটান। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু লুদিয়ারা এলাকার বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে আওয়ামী লীগের সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের রোষানলে পড়ে দীর্ঘ ৮ বছর এলাকা ছাড়া ছিলেন তিনি। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বেশ কয়েকবার তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়।

Header Ad
Header Ad

নকল সিগারেট ব্র্যান্ডের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ছবি: সংগৃহীত

বিদেশী ব্র্যান্ডের নকল সিগারেট এবং নকল ব্র্যান্ড রোল লাগিয়ে বিক্রির ব্যবসায় জড়িত সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)’র সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বরাবর জমা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

এনবিআরের প্রতিবেদন বলছে, নকল সিগারেট তৈরি এবং ব্যান্ডরোল তৈরির সঙ্গে জড়িত ২০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো অন্যতম বৃহৎ।

এ দুই প্রতিষ্ঠান মিথ্যা ঘোষণায় কাঁচামাল আমদানি করে এবং কিশোরগঞ্জ ও চট্টগ্রামের চকোরিয়ার কারখানায় নকল সিগারেট তৈরি করে। পরে নকল সিগারেট দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটনের তামাক ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের। এ ব্যবসার আয়ের একটি অংশ প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসেবে জমা দেয়া হতো। নওফেল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেদন এনবিআর এ জমা দেয়া হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ এনবিআর’ই গ্রহণ করবে।’

একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটনের মালিকানাধীন দুই প্রতিষ্ঠান বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো নকল সিগারেট তৈরি এবং নকল ‘ব্যান্ড রোল’ লাগিয়ে বিদেশী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট তৈরির হোতা।

জানা গেছে, বিজয় ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির ৪০ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের। বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো প্রতিষ্ঠার পর থেকে কমপক্ষে ১০ হাজার টন সিগারেট তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহ করেছে সিগারেটের কাঁচামাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে। যা দিয়ে ৫ কোটি সিগারেটের শলাকা তৈরি সম্ভব। এখানে সরকার ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক ও অন্যান্য খাত বাবদ রাজস্ব হারিয়েছে কমপক্ষে পাঁচ হাজার কোটি টাকা।

গত ৮ অক্টোবর এই বিষয়ে একটি গণমাধ্যম ‘৫ হাজার কোটি লোপাটে এক জুটি’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেতা
মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় জামায়াতের ২ সমর্থক বহিষ্কার
নকল সিগারেট ব্র্যান্ডের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী
২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে গুচ্ছ পদ্ধতি রাখতে জরুরি নির্দেশনা  
শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার দেওয়া চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি
‘মুজিব’ সিনেমার পরিচালক শ্যাম বেনেগাল মারা গেছেন
হেনরী ও তার স্বামীর ৪৯ ব্যাংক হিসাবে লেনদেন পৌনে ৪ হাজার কোটি
স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ২৪৮ টাকা কমলো
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক প্রকল্প বাতিল
ভোটাধিকার আদায়ে ৫ আগস্টের মতো রাস্তায় নামতে হবে: মির্জা ফখরুল
শিল্পকলার সাবেক ডিজি লাকীসহ ২৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মিউজিক ফেস্ট মঞ্চে বিপিএল উদ্বোধন করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা  
দর্শনা সীমান্তে ভারতে পাচারকালে দুই নারী উদ্ধার; পাচারকারী আটক
১৫ বছরে বিএনপি আন্দোলনে ছিল বলেই শেখ হাসিনা পালিয়েছে: ফখরুল
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল
শিক্ষার্থীদের গ্রাফিতিতে লেখা জয় বাংলা মুছে দিলো ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল
বাংলাদেশের কাছে ত্রিপুরা ২০০ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে: মুখ্যমন্ত্রী
হাসিনা বাংলাদেশে আসবে কেবল ফাঁসিতে ঝোলার জন্য: নাহিদ
চাঁদপুরে জাহাজ থেকে ৫ মরদেহ উদ্ধার: চিকিৎসাধীন আরও ২ জনের মৃত্যু  
সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি এস আলমের