বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ইসির সিদ্ধান্তকে আওয়ামী লীগের স্বাগত, বিএনপির না

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে সেটা নিয়ে এখনো দেশের প্রধান দুটো রাজনৈতিক দল বিপরীতমুখী অবস্থানে অনড়। ক্ষমতাসীন সরকার ও আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী, বর্তমান সরকারের অধীনেই। আর বিএনপি নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ও শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে না; নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন।

এ নিয়ে রাজনৈতিক নেতারা যখন একে অপরের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছেন ঠিক তখন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ঘোষণা করেছে আগামী নির্বাচনে ইভিএমএ নয়, ভোট হবে ব্যালটে।

ইসির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অপরদিকে, নির্বাচন কমিশনের এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।

সোমবার (৩ এপ্রিল) ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এ লক্ষ্যে ইভিএম মেরামতের জন্য সরকারের কাছে এক হাজার ২৬০ কোটি টাকা চেয়েছিল ইসি। ওই টাকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় ৩০০ আসনেই স্বচ্ছ ব্যালট পেপারে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ভোট ইভিএমে হলো না কি ব্যালটে হলো সেটি নিয়ে বিএনপির কোনো মাথাব্যথা নেই। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। ইভিএম বা ব্যালট কোনো বিষয় নয়, বিষয় হচ্ছে অনির্বাচিত অবৈধ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ভোটচুরির এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য। সুতরাং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো নির্বাচনে জনগণ বা বিএনপি যাবে না।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছে যে, ইভিএমে নয়, ব্যালটেই নির্বাচন হবে। এটাতে আমাদের এতটুকু আগ্রহ নেই। কারণ, আমার কাছে যেটা মনে হয়...আমরা পরিষ্কার করে বলেছি যে, আজকে জাতির যে সংকট সেই সংকট হচ্ছে নির্বাচনকালীন সময়ে কোন সরকার থাকবে, কী ধরনের সরকার থাকবে-সেটিই প্রধান সংকট। এই সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতেই ক্ষমতা দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নতুন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগনের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের একজন সদস্য বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন ইভিএমে ভোট নেওয়ার ব্যাপারে অনড় ছিল। ইভিএমের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলো। নির্বাচন কমিশনের সংলাপেও বেশিরভাগ দল ইভিএমের বিপক্ষে ছিল। এখন ইভিএমে ভোট না করার ইসির সিদ্ধান্তে তারাও আশ্বস্ত হবে, ইসির উপর আস্থা রাখতে পারবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সংস্থা। তারা স্বাধীনভাবে যে সিদ্ধান্ত নেবে, সে হিসেবে নির্বাচন কমিশন ইভিএমের বদলে ব্যালটে ভোট নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাকে আমরা স্বাগত জানাই।

জাতীয় পার্টি (এরশাদ) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, আমরা দাবি করেছিলাম ব্যালটে নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন তা মেনে নিয়েছে, এজন্য তাদের ধন্যবাদ। তবে এটাই সমস্যার সমাধান নয়। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, না কারচুপি হবে তা সরকার ঠিক করে। কে জিতবে, কে হারবে তাও সরকার নির্ধারণ করছে, এটাই সমস্যা।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আগামীতে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাব না। আমাদের ১০ দফা দাবির মূল দাবি হলো নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচন। শেখ হাসিনা সরকার যদি বলে কালকে থেকে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করে আমি পদত্যাগ করব তাহলে আমরা কালকে থেকেই কিছু বলব না।

তিনি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ করেছি গণতন্ত্রের জন্য। আমরা যুদ্ধ করেছি শোষণ ও বঞ্চনা মুক্তির জন্য। আমরা যুদ্ধ করেছি আইনের সুশাসনের জন্য। আর সেই দেশেই গণতন্ত্র থাকবে না, তাহলে আমরা কী আঙুল চুষব?’

এদিকে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ইভিএম কিংবা ব্যালেট সবচেয়ে বড় সমস্যা নির্বাচন কমিশন নিয়েই। কারণ, নির্বাচন কমিশনের উপর মানুষের আস্থা নেই। কোনো দলীয় সরকারের আমলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না, কেননা আমরা দেখেছি অতীতের যত নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু হয়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু হয়েছে। তবে নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে, নাকি নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে হবে তা নির্ধারণ করবে রাজনৈতিক দলগুলো। আমরা শুধু সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কাজ করছি। তা ছাড়া সংবিধান সংস্কার করে ইসির অধীনে থাকা সংস্থাগুলো শক্তিশালী করলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।

প্রসঙ্গত, গত বছরের জুলাই মাসে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে গুরুত্ব পেয়েছিল ইভিএম ইস্যুও। সংলাপ শেষে অনধিক ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট করার পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। এ জন্য সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার ইভিএম কেনার প্রকল্প নেয় ইসি। কিন্তু তাতে সরকারের সায় না পাওয়ায় প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাতিল হয়ে যায়।

ইসি সূত্র জানায়, বিদায়ী হুদা কমিশন দেড় লাখ ইভিএম রেখে গিয়েছিল। সেগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করায় প্রায় ৪০ হাজার ইভিএম ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বাকি এক লাখ ১০ হাজার ইভিএমও মেরামত করতে হবে। এজন্য ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯

ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় মদপানের ফলে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আরও ৯ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুই যুবকের মৃত্যু হয়। এর আগে, ঈদের সন্ধ্যায় তারা মদপান করেন এবং রাতের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মৃতদের মধ্যে রয়েছেন আশাশুনি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের জাফর আলী খাঁর ছেলে জাকির হোসেন টিটু (৪০) ও সোহরাব গাজীর ছেলে নাজমুল গাজী (২৬)।

এ ঘটনায় অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাহ্মণ তেতুলিয়া গ্রামের সাইদ সরদারের ছেলে ফারুক হোসেন, মোকামখালী গ্রামের কুদ্দুস সরদারের ছেলে ইমরান, মিত্র তেতুলিয়ার মর্জিনা খাতুনের ছেলে ইকবাল, কামরুলের ছেলে লিফটন, আজিবার সরদারের ছেলে রবিউল, শহীদ গাজীর ছেলে তুহিন, আনিসের ছেলে নাজমুলসহ আরও কয়েকজন।

গুরুতর অসুস্থদের মধ্যে ফারুক হোসেনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইমরানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঈদের দিন সন্ধ্যায় আশাশুনির তেতুলিয়া শ্মশানঘাট মাঠে বসে জাকির হোসেন টিটু, নাজমুল গাজীসহ মোট ১১ জন একসঙ্গে মদপান করেন। মদপানের পর তারা বাড়ি ফিরে যান এবং ঘুমিয়ে পড়েন।

এরপর রাত ১২টার দিকে একে একে সবাই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকির হোসেন টিটু ও নাজমুল গাজী মারা যান। বাকি ৯ জনের চিকিৎসা চলছে।

আশাশুনি থানার ডিউটি অফিসার এসআই ফিরোজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যু অন্য কোনো কারণে হয়েছে কিনা, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।"

নিহতদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইরানের অস্ত্র সংগ্রহ নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়।

এই পদক্ষেপকে ইরানের ওপর আরও চাপ সৃষ্টির একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে সতর্ক করে বলেছিলেন, নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে রাজি না হলে দেশটির ওপর বোমা হামলা চালানো বা নতুন শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ও বিচার বিভাগ যৌথভাবে জানিয়েছে, ইরানের ড্রোন কর্মসূচির অন্যতম প্রধান নির্মাতার জন্য মানববিহীন এয়ার ভেহিকল (ইউএভি)–এর উপকরণ সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত ছয়টি সংস্থা ও দুই ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, "ইরান তাদের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়াসহ তাদের প্রক্সিদের সরবরাহ করছে। রুশ বাহিনী এগুলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে, যা বেসামরিক নাগরিক, মার্কিন বাহিনী ও মিত্রদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা ইরানের সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্স এবং তাদের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রচলিত অস্ত্রের বিস্তার ব্যাহত করতে কাজ চালিয়ে যাব।"

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে একটি ইরান-ভিত্তিক সংস্থা, দুইজন ইরানি নাগরিক, একটি চীন-ভিত্তিক সংস্থা এবং চারটি সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক সংস্থা।

এ বিষয়ে জাতিসংঘে ইরানের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

Header Ad
Header Ad

বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের দোসররা বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, "পরাজিত শক্তি নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। তারা এই অবৈধ টাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করতে চায়।"

বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, "শেখ হাসিনা জঙ্গি দমনের নামে একটি নাটক সাজিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করেছেন। এটি মূলত ক্ষমতায় টিকে থাকার একটি রাজনৈতিক কৌশল ছিল। এমনকি একজন সাবেক আইজিপির বইয়েও এটি উঠে এসেছে।"

তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে উগ্রবাদের কোনো উত্থান ঘটেনি। বরং বর্তমানে দেশে ফ্যাসিবাদের কোনো ছোবল নেই, মানুষ নির্বিঘ্নে ধর্মপালন করতে পারছে, কথা বলতে পারছে। এবার মানুষ নির্ভয়ে ঈদ উদযাপন করেছে, যা অতীতে সম্ভব হয়নি।"

আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, "আওয়ামী লীগ বসে নেই, তারা কালো টাকা ব্যবহার করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তারা অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারাই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।"

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্দেশে মুগ্ধ ফাইয়াজদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু এ নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই। প্রশাসনের চারপাশে আওয়ামী লীগের দোসররা বসে আছে, যার ফলে দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।"

রিজভী আহমেদ দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, "নির্বাচনী সরকারই হচ্ছে বৈধ সরকার। নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি সাধারণ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হবে।"

তিনি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দ্রুত নির্বাচনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯
ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী
দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের ঘটনা ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আখাউড়ায় ট্রেনের ছাদে টিকটক বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, নিহত ২
বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার আহ্বান ভারতের ত্রিপুরার রাজপরিবার প্রধানের
বিএনপি কখনোই নির্বাচনের পরে সংস্কারের কথা বলেনি: মির্জা ফখরুল
বিরামপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনায় আটক ৫
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ভ্যাল কিলমার আর নেই
ময়মনসিংহে সিনেমা হলে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে দর্শকদের ভাঙচুর
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের তীব্র প্রতিক্রিয়া
মিয়ানমারের ভূমিকম্পে এক ইমামের ১৭০ স্বজনের মৃত্যু
ঈদের আনন্দে যমুনার দুর্গম চরে গ্রাম-বাংলার ঘুড়ি উৎসব, আনন্দে মেতে উঠে বিনোদনপ্রেমীরা!
ইমামকে ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিদায়, দেওয়া হলো ৯ লাখ টাকার সংবর্ধনা
লন্ডনে একসঙ্গে দেখা গেলো সাবেক চার আওয়ামী মন্ত্রীকে
ঢাকায় ফিরছে ঈদযাত্রীরা, অনেকে ছুটছেন শহরের বাইরে
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আবারও সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৭
বিটিভিতে আজ প্রচারিত হবে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা, নেই যানজটের চিরচেনা দৃশ্য
মাদারীপুরে তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২