বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১১ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

‘ম্যানেজ’ করে রাজধানী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ লেগুনা

বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজধানীর সড়কগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ লেগুনা। ভাড়াসহ সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় ঢাকায় লেগুনা-সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো অভিযোগ জানানোর সুযোগও নেই। বেশ আগে সরকারিভাবে ঢাকার সড়ক থেকে লেগুনা তুলে দেওয়ার ঘোষণা এসেছিল। কিন্তু সেই ঘোষণা বেশি দিন কার্যকর থাকেনি। ভাড়াসহ সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় লেগুনা-সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ জানানোর সুযোগ নেই যাত্রীদের। যার কারণে যাত্রীরা নিরুপায় হয়ে এই যানবাহন ব্যবহার করছে।

এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের মূলসড়কে চলাচলরত লেগুনা চালক ও হেলপাররা অধিকাংশই অপ্রাপ্তবয়স্ক। লাইসেন্সবিহীন বেপরোয়া চালকদের হাতে স্টিয়ারিং জেনেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন সাধারণ মানুষ। যাত্রীদের অভিযোগ, যথাসময়ে বাস না পাওয়ায় এবং সংশ্লিষ্ট রুটে বাসের সার্ভিস না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে এ সব লেগুনায় চলাচল করছে। যার কারণে লেগুনা চালকদের হাতে অনেকটা জিম্মি তারা।

রাজধানীর, বাড্ডা, বাসাবো, ফকিরাপুল, মতিঝিল, মালিবাগ, গুলিস্তান, আদাবর, আসাদগেট, ফার্মগেট, শেরেবাংলা নগর, মিরপুর, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও উত্তরা, আজমপুর, আজিমপুর, লালবাগ, সেকশন, মিরপুর বেড়িবাঁধ, মোহাম্মাদপুরসহ বেশ কিছু এলাকায় ঘুরে দেখা যায় এ সব অবৈধ লেগুনা দেদারছে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, লেগুনা চলে ইচ্ছা মতো, ট্রাফিক পুলিশ এসব গাড়ি কম ধরে আর ধরলেও ছেড়ে দেয়। এলাকা ভিত্তিক কিছু রাজনৈতিক নেতা এ সব লেগুনা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলে মিশে রাস্তায় চলাচল করিয়ে থাকেন। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এ সব ঘটনার সঙ্গে তারা যুক্ত নয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পলাশী মোড়ে কথা হয় ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্টের সঙ্গে। ওই সার্জেন্ট জানান, বেড়িবাঁধ থেকে লালবাগ হয়ে যেসব লেগুনা চলাচল করে এসব লেগুনা ধরার মতো আমাদের ক্ষমতা নেই। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের উপরের স্যারেরা বলেন, এ সব লেগুনার মালিক বিভিন্ন এলাকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধিরা। এর সঙ্গে সরকারের দলীয় লোকজনও জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। আমরা ছোট চাকরি করি এজন্য এ সবের পেছনে লাগতে চাই না।

ছোট ছোট কিশোরদের দিয়ে এ সব লেগুনা চালনা করে আপনারা আইনগত ব্যবস্থা নেন না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাঝে মাঝে ওদের ধরে মালিককে জানাই, পরে আবার ছেড়ে দিতে হয় এজন্য এখন আর লেগুনা ধরি না। চাকরি জীবনের শুরু দিকে কয়েকদিন ধরেছি এখন আর ধরি না।

ফার্মেগেটের যাত্রী রবিন, আজিমপুরের যাত্রী নজরুল ও মিরপুর থেকে ইন্দিরা রোডের যাত্রী ইকবাল হোসেন বলেন, রাজধানীর বিভিন্নস্থানে চলাচল লেগুনা চালকদের অধিকাংশই অপ্রাপ্তবয়স্ক। অনেকেরই নেই লাইসেন্স। এ লেগুনা চালকদের হাতে জিম্মি আমাদের মতো হাজার হাজার যাত্রী। লেগুনা কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের গলাকাটছে, নিচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া— যা দেখার কেউ নেই। গাড়ির চালকরা রাস্তায় যেমন খুশি তেমনই চলাচল করে। ট্রাফিক পুলিশ ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এ সব লেগুনার কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন। আর এ ব্যয় মেটাতে লেগুনা মালিকরা যাত্রীদের কাছ থেকে অযৌক্তিকভাবে ভাড়া আদায় করেন। কোনো কারণ ছাড়াই রাজধানীতে লেগুনার ভাড়া বেড়েই চলেছে।

বিআরটিএ এর তথ্য মতে, কয়েক বছর আগে লেগুনাকে মিনিবাস গণ্য করে ভাড়া নির্ধারণে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু পরে বিআরটিএ’র একটি মিটিং এ লেগুনাকে রুট পারমিট দেওয়া হয় না। এরপর থেকেই মেইন রোডে চলাচলের জন্য এই যানবাহনটিকে অবৈধ হিসেবে গণ্য করা হয়।

বিআরটিএ জানায়, ভবিষ্যতে লেগুনা থাকবে না। এটি উঠে যাবে এই পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। সরকারিভাবে লেগুনাকে বলা হয়, ‘হিউম্যান হলার’ কিন্তু সাধারণ মানুষের ভাষ্য অনুযায়ী এটাকে বলে ‘লেগুনা’।

তাদের হিসেবে, শুধুমাত্র ঢাকায় লেগুনা আছে প্রায় ৫ হজারেরও বেশি। তবে বাস্তবে এ সংখ্যা আরও কয়েক গুণ।

লালবাগ-আজিমপুরে কথা হয় লেগুনার যাত্রী আবুল হোসেনের সঙ্গে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার বাসা সেকশন। প্রায় দিন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। মাঝে এই রোডে লেগুনা বন্ধ ছিল। ২০২২ সালের শুরুতে নতুন করে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে ও সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এই রাস্তায় চলাচল করছে অবৈধ লেগুনা।

শুধু আজিমপুর নয়— মিরপুর, ফার্মগেট, ধানমন্ডি, যাত্রাবাড়িসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবাধে এ সব অবৈধ যানগুলো চলাচল করছে। তাদের ক্ষেত্রে পুলিশের আইনি প্রক্রিয়া একটু কম দেখা গেছে।

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ১৭টি নির্দেশনা আসে। সেই নির্দেশনা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। ওই নির্দেশনার পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজধানীর মূল সড়ক ও রাজপথগুলোতে লেগুনা চলাচল বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হলো। সেই ঘোষণার পর বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকলেও আবারো অবাধে চলাচল শুরু করেছে এ সব অবৈধ যানগুলো।

এ সব যানবাহন পরিচালনার কাজে যুক্তরা বেশির ভাগ শিশু-কিশোর ও যুবক বলা যায়, অধিকাংশ চালক ও হেলপার অপ্রাপ্তবয়স্ক। লেগুনা চালক ও হেলপারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। তারা বিভিন্ন রোডে মালিকের কথা মতো চলাচল করেন। এবং তাদের লাইনের কোনো ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা এ সব গাড়ি আটকিয়ে রাখেন না। যদি অন্য লাইনে বা রোডে তারা প্রবেশ করে তাহলে সেই জোনের ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা তাদের আটক করলে রাজনৈতিকভাবে ও প্রশাসনিক (পুলিশের) মাধ্যমে এ সব গাড়ি ও চালকদের ছাড়িয়ে নেওয়া হয়।

ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলের সামনে কথা হয় ঢাকা মেট্রো-হ ১৪-১৪৫১ নম্বর এর লেগুনা চালক হিরোনের সঙ্গে। হিরোন বলেন, পুলিশে রাস্তায় আটক করলে আমরা মালিককে ফোনে ধরিয়ে দেই। এরপর মালিক তাদের সঙ্গে কি কথা বলে সেটা তো আমাদের জানা নেই।

মিরপুর টু মহাখালী এলাকার লেগুনা চালক নাছির বলেন, আমাদের রোড হলো মিরপুর থেকে মহাখালী পর্যন্ত। এর বাইরে চললে পুলিশে ধরে এজন্য এর বাইরে যাই না।

ফার্মগেট টু নিউমার্কেট রোডের লেগুনার মালিক আহমেদ চুন্নু হক বলেন, পুলিশের কাছ থেকে বিশেষভাবে এসব লেগুনার রুট পারমিট নেওয়া আছে। রুট পারমিট কীভাবে পেলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনাকে তো এ সব কথা বলতে পারবো না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশেরও অনেক লোক আমাদের ভাই ব্রাদার। আমাদের ভেতরের খবর আপনাকে বলবো কেন?

এ বিষয়ে ফার্মগেটের আনন্দ পরিবহনের মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ খান বলেন, আমরা রাস্তায় নিয়ম মেনেই চলাচল করি। আপনাদের কোনো অভিযোগ থাকলে ট্রাফিক বিভাগ বা সিটি করপোরেশনকে বলেন। তা ছাড়া এই ব্যাপারে আপনার সঙ্গে আমরা কথা বলতে চাই না।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, রাজধানী ঢাকার গণপরিবহনসহ লেগুনায় প্রতিদিন অতিরিক্ত ভাড়া-নৈরাজ্যের অভিযোগ দেয় যাত্রীরা। দীর্ঘদিন ঢাকায় লেগুনা চললেও এটা কোনো নিয়মের মধ্যে আসেনি। অধিকাংশ চালকদের নেই লাইসেন্স। এই যানবাহন চলাচলের জন্য অনেক প্রভাবশালীরা যুক্ত রয়েছে যার কারণে সাধারণ যাত্রীরা এদের কাছে জিম্মি। যাত্রীদের ইচ্ছা থাকলেও এর বিরুদ্ধে কিছু করতে পারে না।

রাজধানীতে লেগুনার অবাধ চলাচল সম্পর্কে জানতে চাইলে অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক প্রধান) মনিবুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, আপনি যে সব লেগুনার কথা বলছেন সেগুলো কি নিয়মের মধ্যে আছে কি না। সেই সব বিষয়টি আগে দেখা দরকার। আর যেগুলো নিয়মের বাইরে চলছে সেগুলো আমরা দেখব। তিনি বলেন, তবে এ সব লেগুনার সঙ্গে আমাদের ট্রাফিক পুলিশের কোনো সর্ম্পক নেই।

মনিবুর রহমান বলেন, লেগুনার কিছু অনুমতি আছে। তবে তাদের মূল সড়কে চলাচলে নিষেধ করা আছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের অলিতে গলিতে তারা চলাচল করে। যাদের লাইসেন্স নেই তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি। তা ছাড়া এদের সঙ্গে আমাদের পুলিশের কোনো সম্পর্ক নেই। আর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা জড়িত কি না সেটা আমাদের জানা নেই।

কেএম/আরএ/

Header Ad
Header Ad

চলতি বছরে দেশে আরো ৩০ লাখ মানুষ দরিদ্র হতে পারে: বিশ্বব্যাংক

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে ধীরগতি ও শ্রমবাজারের দুর্বল পরিস্থিতির কারণে চলতি বছর আরও ৩০ লাখ মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যের কাতারে পড়তে পারেন বলে সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাংক।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, অর্থনীতির মন্থর গতি এবং ক্রমবর্ধমান বৈষম্য দেশের দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষের ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে। এর ফলে অনেকেই দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যেতে পারেন।

বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, দৈনিক আয় ২.১৫ ডলারের নিচে হলে কেউ "হতদরিদ্র" হিসেবে বিবেচিত হন। এই মানদণ্ড অনুযায়ী ২০২২ সালে বাংলাদেশে হতদরিদ্রের হার ছিল ৫ শতাংশ, যা ২০২৫ সাল নাগাদ বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৯.৩ শতাংশে।

শুধু হতদরিদ্র নয়, বাড়তে পারে জাতীয় দারিদ্র্য হারও। ২০২৪ সালে যা ছিল ২০.৫ শতাংশ, সেটি ২০২৫ সালে গিয়ে পৌঁছাতে পারে ২২.৯ শতাংশে।

বিশ্বব্যাংকের বিশ্লেষণে বলা হয়, প্রকৃত আয় কমে যাওয়া ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি দরিদ্র মানুষের অবস্থান আরও নাজুক করে তুলছে। কর্মসংস্থান কমে যাওয়া এবং আয় কমে যাওয়ায় সামাজিক বৈষম্যও বাড়বে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই একই দিনে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের আরেক প্রতিবেদন ‘সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট: ট্যাক্সিং টাইমস’-এ জানানো হয়, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াতে পারে মাত্র ৩.৩ শতাংশে। যেখানে জানুয়ারিতে এ হার ধরা হয়েছিল ৪.১ শতাংশ। তবে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাড়ে ৪.৯ শতাংশে উন্নীত হতে পারে বলে ধারণা দিয়েছে সংস্থাটি।

Header Ad
Header Ad

৮ দিন পর মুক্তি পেলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী

অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী। ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই পাঁচ শিক্ষার্থী, যাদের খাগড়াছড়ি থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে এই তথ্য নিশ্চিত করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সদস্য নিপন ত্রিপুরা।

তবে কোথায়, কখন এবং কীভাবে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। অপহরণের ৮ দিন পর তারা ফিরে এলেও, ঘটনার পেছনের বিস্তারিত তথ্য এখনো অন্ধকারেই।

অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- রিশন চাকমা, দিব্যি চাকমা, মৈত্রীময় চাকমা, লংঙি ম্রো এবং অলড্রিন ত্রিপুরা। সবাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ১৬ এপ্রিল বিঝু উৎসব শেষে খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামে ফেরার পথে তাদের অপহরণ করা হয়।

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তিকে স্বাগত জানানো হয়েছে। তবে, অপহরণের পেছনে কারা ছিল—তা নিয়ে এখনও বিতর্ক অব্যাহত।

সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)-সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ এই অপহরণের জন্য ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করে আসছে। যদিও ইউপিডিএফ এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে।

এর আগেই, অপহৃতদের উদ্ধারে গত সোমবার ইউপিডিএফের একটি গোপন আস্তানায় অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। অভিযানে চাঁদা আদায়ের রশিদ, সামরিক পোশাক, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনসহ প্রশিক্ষণের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের সঙ্গে কখনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না ভারত

ছবি: সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজ—শুধু উপমহাদেশ নয়, গোটা বিশ্বের ক্রিকেট ভক্তদের জন্যই যেন এক স্বপ্নের লড়াই। কিন্তু সেই স্বপ্নের লড়াই আর বাস্তবের মাটিতে নামার সুযোগ আপাতত নেই বলেই সাফ জানিয়ে দিল ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।

সম্প্রতি কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে বিসিসিআই আবারও জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের কোনো সম্ভাবনা নেই।

বোর্ডের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমরা সরকারের নীতিগত অবস্থানের সঙ্গে একমত। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলছি না, এবং ভবিষ্যতেও এর কোনো সম্ভাবনা নেই।” পাশাপাশি পেহেলগামের হামলার নিন্দাও জানান তিনি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।

তিনি আরও স্পষ্ট করেন, “আমরা কেবলমাত্র আইসিসি বা এশিয়া কাপের মতো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলি। কারণ সেগুলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের আওতাভুক্ত।”

ভারত-পাকিস্তান শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ২০১২-১৩ সালে। এরপর থেকে সম্পর্কের টানাপোড়েনে সেই দরজাটা কার্যত বন্ধ। সীমিত ওভারের সেই সিরিজেই শেষবার ভারতের মাঠে দেখা গিয়েছিল পাকিস্তানকে।

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান ভারতের মাটিতে খেললেও, ২০২5 চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ভারত হাইব্রিড মডেল বেছে নেয়—পাকিস্তানে না গিয়ে ম্যাচগুলো খেলে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেই আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ এক সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ২০ জন। ‘রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামক একটি জঙ্গিগোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা দাবি করেছে, কাশ্মীরে ৮৫ হাজার বহিরাগত বসতির বিরোধিতা করেই এ হামলা চালানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চলতি বছরে দেশে আরো ৩০ লাখ মানুষ দরিদ্র হতে পারে: বিশ্বব্যাংক
৮ দিন পর মুক্তি পেলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী
পাকিস্তানের সঙ্গে কখনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না ভারত
৮ দিনের নোটিশে সরকারি কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে তদন্ত ছাড়াই
ভেঙে গেল সামিরা খান মাহির ৪ বছরের প্রেম
বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়ে রাবিতে বিক্ষোভ
কাশ্মিরে উগ্রপন্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা নিহত
সিঙ্গাপুর ম্যাচেই অভিষেক হতে পারে ফাহমিদুলের
বাবার ঠিকাদারি ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য
গোল্ডেন ভিসায় দুবাইয়ে সম্পদের পাহাড়, ৭০ জনকে চিহ্নিত করেছে দুদক
রাজধানীতে বাড়তে পারে তাপমাত্রা, বৃষ্টির সম্ভাবনা কম
গাজায় একদিনে আরও নিহত ৪৫, আহত শতাধিক
কাতারের বিনিয়োগকারীদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার
টাঙ্গাইলে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বসতঘরে, কেড়ে নিল ঘুমন্ত নারীর প্রাণ
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে বাংলাদেশে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক
আ.লীগ নিজেকে ভারতের কাছে নগ্নভাবে সঁপে দিচ্ছে: রাশেক রহমান
বাবার ‘ঠিকাদারি লাইসেন্স’ নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ
পাকিস্তানিদের বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ