বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ১ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘ম্যানেজ’ করে রাজধানী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ লেগুনা

বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজধানীর সড়কগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ লেগুনা। ভাড়াসহ সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় ঢাকায় লেগুনা-সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো অভিযোগ জানানোর সুযোগও নেই। বেশ আগে সরকারিভাবে ঢাকার সড়ক থেকে লেগুনা তুলে দেওয়ার ঘোষণা এসেছিল। কিন্তু সেই ঘোষণা বেশি দিন কার্যকর থাকেনি। ভাড়াসহ সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় লেগুনা-সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ জানানোর সুযোগ নেই যাত্রীদের। যার কারণে যাত্রীরা নিরুপায় হয়ে এই যানবাহন ব্যবহার করছে।

এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের মূলসড়কে চলাচলরত লেগুনা চালক ও হেলপাররা অধিকাংশই অপ্রাপ্তবয়স্ক। লাইসেন্সবিহীন বেপরোয়া চালকদের হাতে স্টিয়ারিং জেনেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন সাধারণ মানুষ। যাত্রীদের অভিযোগ, যথাসময়ে বাস না পাওয়ায় এবং সংশ্লিষ্ট রুটে বাসের সার্ভিস না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে এ সব লেগুনায় চলাচল করছে। যার কারণে লেগুনা চালকদের হাতে অনেকটা জিম্মি তারা।

রাজধানীর, বাড্ডা, বাসাবো, ফকিরাপুল, মতিঝিল, মালিবাগ, গুলিস্তান, আদাবর, আসাদগেট, ফার্মগেট, শেরেবাংলা নগর, মিরপুর, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও উত্তরা, আজমপুর, আজিমপুর, লালবাগ, সেকশন, মিরপুর বেড়িবাঁধ, মোহাম্মাদপুরসহ বেশ কিছু এলাকায় ঘুরে দেখা যায় এ সব অবৈধ লেগুনা দেদারছে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, লেগুনা চলে ইচ্ছা মতো, ট্রাফিক পুলিশ এসব গাড়ি কম ধরে আর ধরলেও ছেড়ে দেয়। এলাকা ভিত্তিক কিছু রাজনৈতিক নেতা এ সব লেগুনা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলে মিশে রাস্তায় চলাচল করিয়ে থাকেন। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এ সব ঘটনার সঙ্গে তারা যুক্ত নয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পলাশী মোড়ে কথা হয় ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্টের সঙ্গে। ওই সার্জেন্ট জানান, বেড়িবাঁধ থেকে লালবাগ হয়ে যেসব লেগুনা চলাচল করে এসব লেগুনা ধরার মতো আমাদের ক্ষমতা নেই। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের উপরের স্যারেরা বলেন, এ সব লেগুনার মালিক বিভিন্ন এলাকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধিরা। এর সঙ্গে সরকারের দলীয় লোকজনও জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। আমরা ছোট চাকরি করি এজন্য এ সবের পেছনে লাগতে চাই না।

ছোট ছোট কিশোরদের দিয়ে এ সব লেগুনা চালনা করে আপনারা আইনগত ব্যবস্থা নেন না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাঝে মাঝে ওদের ধরে মালিককে জানাই, পরে আবার ছেড়ে দিতে হয় এজন্য এখন আর লেগুনা ধরি না। চাকরি জীবনের শুরু দিকে কয়েকদিন ধরেছি এখন আর ধরি না।

ফার্মেগেটের যাত্রী রবিন, আজিমপুরের যাত্রী নজরুল ও মিরপুর থেকে ইন্দিরা রোডের যাত্রী ইকবাল হোসেন বলেন, রাজধানীর বিভিন্নস্থানে চলাচল লেগুনা চালকদের অধিকাংশই অপ্রাপ্তবয়স্ক। অনেকেরই নেই লাইসেন্স। এ লেগুনা চালকদের হাতে জিম্মি আমাদের মতো হাজার হাজার যাত্রী। লেগুনা কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের গলাকাটছে, নিচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া— যা দেখার কেউ নেই। গাড়ির চালকরা রাস্তায় যেমন খুশি তেমনই চলাচল করে। ট্রাফিক পুলিশ ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এ সব লেগুনার কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন। আর এ ব্যয় মেটাতে লেগুনা মালিকরা যাত্রীদের কাছ থেকে অযৌক্তিকভাবে ভাড়া আদায় করেন। কোনো কারণ ছাড়াই রাজধানীতে লেগুনার ভাড়া বেড়েই চলেছে।

বিআরটিএ এর তথ্য মতে, কয়েক বছর আগে লেগুনাকে মিনিবাস গণ্য করে ভাড়া নির্ধারণে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু পরে বিআরটিএ’র একটি মিটিং এ লেগুনাকে রুট পারমিট দেওয়া হয় না। এরপর থেকেই মেইন রোডে চলাচলের জন্য এই যানবাহনটিকে অবৈধ হিসেবে গণ্য করা হয়।

বিআরটিএ জানায়, ভবিষ্যতে লেগুনা থাকবে না। এটি উঠে যাবে এই পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। সরকারিভাবে লেগুনাকে বলা হয়, ‘হিউম্যান হলার’ কিন্তু সাধারণ মানুষের ভাষ্য অনুযায়ী এটাকে বলে ‘লেগুনা’।

তাদের হিসেবে, শুধুমাত্র ঢাকায় লেগুনা আছে প্রায় ৫ হজারেরও বেশি। তবে বাস্তবে এ সংখ্যা আরও কয়েক গুণ।

লালবাগ-আজিমপুরে কথা হয় লেগুনার যাত্রী আবুল হোসেনের সঙ্গে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার বাসা সেকশন। প্রায় দিন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। মাঝে এই রোডে লেগুনা বন্ধ ছিল। ২০২২ সালের শুরুতে নতুন করে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে ও সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এই রাস্তায় চলাচল করছে অবৈধ লেগুনা।

শুধু আজিমপুর নয়— মিরপুর, ফার্মগেট, ধানমন্ডি, যাত্রাবাড়িসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবাধে এ সব অবৈধ যানগুলো চলাচল করছে। তাদের ক্ষেত্রে পুলিশের আইনি প্রক্রিয়া একটু কম দেখা গেছে।

নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ১৭টি নির্দেশনা আসে। সেই নির্দেশনা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। ওই নির্দেশনার পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজধানীর মূল সড়ক ও রাজপথগুলোতে লেগুনা চলাচল বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হলো। সেই ঘোষণার পর বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকলেও আবারো অবাধে চলাচল শুরু করেছে এ সব অবৈধ যানগুলো।

এ সব যানবাহন পরিচালনার কাজে যুক্তরা বেশির ভাগ শিশু-কিশোর ও যুবক বলা যায়, অধিকাংশ চালক ও হেলপার অপ্রাপ্তবয়স্ক। লেগুনা চালক ও হেলপারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। তারা বিভিন্ন রোডে মালিকের কথা মতো চলাচল করেন। এবং তাদের লাইনের কোনো ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা এ সব গাড়ি আটকিয়ে রাখেন না। যদি অন্য লাইনে বা রোডে তারা প্রবেশ করে তাহলে সেই জোনের ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা তাদের আটক করলে রাজনৈতিকভাবে ও প্রশাসনিক (পুলিশের) মাধ্যমে এ সব গাড়ি ও চালকদের ছাড়িয়ে নেওয়া হয়।

ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলের সামনে কথা হয় ঢাকা মেট্রো-হ ১৪-১৪৫১ নম্বর এর লেগুনা চালক হিরোনের সঙ্গে। হিরোন বলেন, পুলিশে রাস্তায় আটক করলে আমরা মালিককে ফোনে ধরিয়ে দেই। এরপর মালিক তাদের সঙ্গে কি কথা বলে সেটা তো আমাদের জানা নেই।

মিরপুর টু মহাখালী এলাকার লেগুনা চালক নাছির বলেন, আমাদের রোড হলো মিরপুর থেকে মহাখালী পর্যন্ত। এর বাইরে চললে পুলিশে ধরে এজন্য এর বাইরে যাই না।

ফার্মগেট টু নিউমার্কেট রোডের লেগুনার মালিক আহমেদ চুন্নু হক বলেন, পুলিশের কাছ থেকে বিশেষভাবে এসব লেগুনার রুট পারমিট নেওয়া আছে। রুট পারমিট কীভাবে পেলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনাকে তো এ সব কথা বলতে পারবো না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশেরও অনেক লোক আমাদের ভাই ব্রাদার। আমাদের ভেতরের খবর আপনাকে বলবো কেন?

এ বিষয়ে ফার্মগেটের আনন্দ পরিবহনের মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ খান বলেন, আমরা রাস্তায় নিয়ম মেনেই চলাচল করি। আপনাদের কোনো অভিযোগ থাকলে ট্রাফিক বিভাগ বা সিটি করপোরেশনকে বলেন। তা ছাড়া এই ব্যাপারে আপনার সঙ্গে আমরা কথা বলতে চাই না।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, রাজধানী ঢাকার গণপরিবহনসহ লেগুনায় প্রতিদিন অতিরিক্ত ভাড়া-নৈরাজ্যের অভিযোগ দেয় যাত্রীরা। দীর্ঘদিন ঢাকায় লেগুনা চললেও এটা কোনো নিয়মের মধ্যে আসেনি। অধিকাংশ চালকদের নেই লাইসেন্স। এই যানবাহন চলাচলের জন্য অনেক প্রভাবশালীরা যুক্ত রয়েছে যার কারণে সাধারণ যাত্রীরা এদের কাছে জিম্মি। যাত্রীদের ইচ্ছা থাকলেও এর বিরুদ্ধে কিছু করতে পারে না।

রাজধানীতে লেগুনার অবাধ চলাচল সম্পর্কে জানতে চাইলে অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক প্রধান) মনিবুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, আপনি যে সব লেগুনার কথা বলছেন সেগুলো কি নিয়মের মধ্যে আছে কি না। সেই সব বিষয়টি আগে দেখা দরকার। আর যেগুলো নিয়মের বাইরে চলছে সেগুলো আমরা দেখব। তিনি বলেন, তবে এ সব লেগুনার সঙ্গে আমাদের ট্রাফিক পুলিশের কোনো সর্ম্পক নেই।

মনিবুর রহমান বলেন, লেগুনার কিছু অনুমতি আছে। তবে তাদের মূল সড়কে চলাচলে নিষেধ করা আছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের অলিতে গলিতে তারা চলাচল করে। যাদের লাইসেন্স নেই তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি। তা ছাড়া এদের সঙ্গে আমাদের পুলিশের কোনো সম্পর্ক নেই। আর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা জড়িত কি না সেটা আমাদের জানা নেই।

কেএম/আরএ/

Header Ad
Header Ad

গোবিন্দগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি রবিউল, সম্পাদক আবু জাফর

সভাপতি রবিউল কবির ও সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর নির্বাচিত হয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলে রবিউল কবির সভাপতি আবু জাফর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রংপুর বিভাগীয় সহসম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খলেক এবং প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. ময়নুল হাসান সাদিক।

উপজেলা বি এন পি কার্যালয়ে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক রবিউল কবির মনুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মো. আবু জাফর লেলিনের সঞ্চালনায় প্রথম পর্যায়ে সম্মেলন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ও প্রধান বক্তা ছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন নবী টিটুল, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক আহমেদ, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি রেজানুল হাবিব রফিক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফারুক কবির আহমেদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন দীপু।

আরও বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও রাখাল বুরুজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসানুল হক চৌধুরী ডিউকসহ জেলা, উপজেলা ও পৌর বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। পরে দ্বিতীয় সেসনে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পৌর বিএনপির কাউন্সিলরা ভোট দেন।

দ্বিবার্ষিক কাউন্সেলে সভাপতি পদে তিনজন রবিউল কবির (মনু) মণ্ডল (চেয়ার প্রতীক), মোনোয়ার হোসেন রাজু (মোটর সাইকেল প্রতীক) ও জাহাঙ্গীর আলম ডাবলু (আনারস প্রতীক); সাধারণ সম্পাদক পদে দুজন আবু জাফর লেলিন (ঘোড়া প্রতীক) ও মোসাদ্দেক হোসেন সজল (খেঁজুরগাছ প্রতীক) এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছয়জন আমিরুল ইসলাম সরকার (আম প্রতীক), মমিন শেখ (মোমবাতি), মাহিদুর রহমান রানক (মাছ), আব্দুল মান্নান সিন্টু (মোরগ), আনিছুর রহমান নাদিম (দেয়াল ঘড়ি) ও তারিকুল ইসলাম চঞ্চল (বাইসাইকেল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কাউন্সিলে পৌর সভার ৯টি ওয়ার্ডের ৪৫৯ কাউন্সিলর তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

ভোটে আগামী দুই বছরের জন্য গোবিন্দগঞ্জ পৌর বি এন পির সভাপতি পদে রবিউল কবির (মনু) মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক পদে আবু জাফর লেলিন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মাহিদুর রহমান রানক ও আব্দুল মান্নান সিন্টু নির্বাচিত হন।

Header Ad
Header Ad

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

বহুল আলোচিত ছাগলকাণ্ডে জড়িত সাবেক জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশের একটি দল।

তবে কোন মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানাতে পারেননি ডিসি তালেবুর রহমান। যদিও এ দম্পতির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

সবশেষ গত ৬ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুদক। ১২৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মতিউর রহমান, তার প্রথম স্ত্রী (লায়লা কানিজ) ও ছেলে-মেয়ের বিরুদ্ধে মামলাগুলো দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

Header Ad
Header Ad

মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনে ভয়াবহ আগুন, ৩ রিসোর্ট পুড়ে ছাই

মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনে ভয়াবহ আগুন। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি রিসোর্ট সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে। তবে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। দ্বীপে ফায়ার সার্ভিসের অভাবের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাত আড়াইটার দিকে দ্বীপের পশ্চিম সৈকতের গলাচিপা এলাকায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দা নুরের তথ্যমতে, গলাচিপা বিচ ভ্যালি রিসোর্ট থেকে আগুন শুরু হয়ে চারদিকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ দেড় ঘণ্টা ধরে কাজ করে। ভোর ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এর মধ্যেই শায়রী, বিচ ভ্যালি ও কিংশুক রিসোর্ট পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

কিংশুক রিসোর্টের মালিকের বরাত দিয়ে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী একটি রিসোর্টের বালিয়াড়িতে ফেলা ময়লা পোড়ানোর সময় আগুন লাগে। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং রিসোর্টগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

দ্বীপে কোনো ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় এই ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বাসিন্দারা। তবে স্থানীয় জনগণ ও বিভিন্ন বাহিনীর সক্রিয় প্রচেষ্টায় বড় ধরনের প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোবিন্দগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি রবিউল, সম্পাদক আবু জাফর
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার
মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনে ভয়াবহ আগুন, ৩ রিসোর্ট পুড়ে ছাই
এলপি গ্যাসের দাম বাড়ল
পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক
অপরাধী যেই হোক ছাড় দেওয়া হবে না: ডিবি প্রধান
ভারত থেকে এক হাজার ১৩৭ কোটি টাকার ডিজেল কিনছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর কারাগারে
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এখন কোনো উত্তেজনা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এবার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইবি প্রশাসনের মামলা
‘ভুল ইংরেজি’ বলে ঢাকা মেডিকেলে ভুয়া নারী চিকিৎসক আটক
মিথিলার সঙ্গে দূরত্ব, প্রাক্তনকে বুকে নিয়ে সৃজিতের সেলফি
দক্ষিণ আফ্রিকার সোনার খনিতে মৃতদেহের ছড়াছড়ি: অন্তত ১০০ জনের প্রাণহানি
মডেল তিন্নি হত্যা মামলায় খালাস পেলেন জাপার সাবেক এমপি অভি
এস আলমের ২০০ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক, ৮৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ
নির্বাচন কমিশনে ইউএনডিপি’র প্রতিনিধি দল
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় খালাস পেলেন বাবর, মুক্তিতে বাধা নেই
‘ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হলে হাসিনার পতনের মত প্রোক্লেমেশন আদায় করে নেব’
টাঙ্গাইলে ১০ কোটি টাকার বালু ৪৯ লাখে বিক্রি: এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ
নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানির নতুন তারিখ