বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জাহাজের নকশা তৈরি

আড়াই বছর মেয়াদী প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি ৭ বছরেও

দেশেই জাহাজের নকশা তৈরির লক্ষ্যে ২০১৫ সালে আড়াই বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ চার দফা বাড়িয়েও শেষ করা যায়নি কাজ। সর্বশেষ ২০২২ সালের জুনের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু এই যাত্রায়ও সেটি সম্ভব হয়নি। এই অবস্থায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, জাহাজ শিল্পের বিকাশে ও বৈদেশিক অর্থ ব্যয় কমাতে দেশেই জাহাজের নকশা তৈরি উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ জন্য সরকার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিপ মডেল টেস্টিং সেন্টার (টোয়িং ট্যাংক) স্থাপনের জন্য ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর একটি প্রকল্পে অনুমোদন দেয়। ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে আড়াই বছরে অর্থাৎ ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করার কথা। দফায় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে গত বছরের জুন মাসের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। সে লক্ষ্যে গত অর্থবছরে প্রকল্পটি সমাপ্ত প্রকল্পের তালিকায় রাখা হয়। কিন্তু সেটি আর শেষ করা যায়নি। বরং আবারও এক বছর সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

জানা গেছে, ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের আসবাবপত্র কেনাসহ বিভিন্নখাতে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। কিন্তু গত সাত বছরে প্রকল্পের আসল কাজ অর্থাৎ শিপ মডেল টেস্টিং সেন্টার (টোয়িং ট্যাংক) স্থাপনের ইকুইপমেন্টই কেনা যায়নি।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র বলছে, জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষা করতে প্যাসেঞ্জার ও কার্গো ভেসেলের উপর গবেষণা ও উন্নয়ন সাধন করতে বুয়েট শিপ মডেলিং টেস্টের জন্য এই প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়। যাতে সহজে ও সাশ্রয়ী মূল্যে জাহাজের নকশা করা যায়।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সাল থেকে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মানের সমুদ্রগামী ৩৩টি জাহাজ তৈরি করে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করেছে।

জানা গেছে, এই প্রকল্পের জন্য সরকারের কোষাগার থেকে ৪৪ কোটি টাকা এবং অ্যাসোসিয়েশন অব এক্সপোর্ট শিপ বিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রিজ অব বাংলাদেশ সংগঠন থেকে ৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়। কিন্তু পরবর্তিতে অ্যাসোসিয়েশন থেকে অর্থ ব্যয়ে অপরাগতা প্রকাশ করলে প্রকল্প টোয়িং ট্যাংকের যন্ত্রপাতি আর কেনা সম্ভব হয়নি। কিছু ক্ষেত্রে কাটছাট করতে হয়েছে। তাই ব্যয় বৃদ্ধি না করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সংশোধন করে প্রথমে এক বছর সময় বৃদ্ধির অনুমোদন দেয়। এরপর পুরো অর্থ সরকার থেকে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত হয়।

এই প্রকল্পের ১৮টি অঙ্গের মধ্যে ১৫টির কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। তিনটির কাজ প্রায় ৮৬ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। কিন্তু শেষ হয়নি জাহাজের নকশা প্রণয়নের জন্য শিপ মডেল টেস্টিং সেন্টার স্থাপনে ইকুইপমেন্ট কেনার কাজ। গত জুন পর্যন্ত বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ। তবে আর্থিক অগ্রগতি খুবই কম প্রায় আট কোটি টাকা বা ১৬ শতাংশ।

এই অবস্থায় বাকি কাজ শেষ করতে বুয়েট থেকে প্রকল্পটি চতুর্থবারের মতো সংশোধন করতে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এ জন্য প্রকল্প প্রণয়ন, সংশোধন ও অনুমোদন গাইডলাউন অনুসরণ করে একনেক সভায় উপস্থাপন করে অনুমোদন নিতে হবে।

সংশোধনের ব্যাপারে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগকে (আইএমইডি) মতামত দিতে হয়েছে। তাদের মতামতে বলা হয়েছে-পুরো কাজ শেষ করতে এক বছর সময় বৃদ্ধি করা যেতে পারে। কর্মপরিকল্পনা করে চলমান কাজ ত্বরান্তিত করতে ঠিকাদারের মোবিলাইজেশন বৃদ্ধির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার তদারকি জোরদার করতে হবে। বর্ধিত মেয়াদে কাজ শেষ করতে প্রয়োজনীয় অর্থ অবমুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। প্রকল্প শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যেই পিসিআর আইএমইডিতে পাঠাতে হবে।

প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ থেকেও সুপারিশ করা হয়েছে। এ বিভাগের সদস্য (সচিব) মোসা. নাসিমা বেগম গত বছরের ১১ ডিসেম্বর সুপারিশে বলেছেন, প্রকল্পের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া চতুর্থ ও শেষবারের মতো এক বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ নির্ধারণ করা যেতে পারে।

সূত্র জানায়, আগের মতো একনেক সভা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় প্রকল্পটির অনুমোদন পাচ্ছে না। তবে আগামী একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।

প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ার পিছনে দীর্ঘসূত্রীতার কারণ জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ও বুয়েটের নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. গৌতম কুমার সাহা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এই প্রকল্পের টোয়িং ট্যাংকের ইকুইপমেন্ট সহজে পাওয়া যায় না। বিশ্বে মাত্র তিনটা দেশে পাওয়া যায়। প্রথম আন্তর্জাতিক টেন্ডারে কাউকে পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় টেন্ডারে যুক্তরাজ্যের একটি কোম্পানি অংশ নিলেও পরে জানা যায়, সেটি দেউলিয়া। এরপর ২০১৯ সালে করোনায় সব কিছু থমকে যায়। এভাবে বিভিন্ন কারণে দেরি হয়েছে। তবে মূল ভবনসহ অন্যান্য কাজ ২০১৮ সালের মধ্যেই হয়েছে। দেরিতে হলেও তৃতীয়বারের মতো টেন্ডারে সাড়া পেয়ে এলসি খোলা হয়েছে। যন্ত্রপাতিও দেশে এসেছে। মূল ইকুইপমেন্ট ইনস্টলেশনের কাজ চলছে। আশা করি তিন থেকে চার মাসের মধ্যে হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, প্রকল্পটি সংশোধনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে অনেক আগে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষ করতে হয়ত সময় লাগছে। এ জন্য আগের ডকুমেন্ট অগ্রগতি কম দেখাচ্ছে। টোয়িং টেস্টিং এর ইকুইপমেন্টই প্রায় খরচ বলা যায়। তাই আগে আর্থিক অগ্রগতিও কম ছিলো। এটা কেনার পর প্রায় ৪৯ কোটির মধ্যে এ পর্যন্ত ৪৭ কোটি টাকাই খরচ হয়ে গেছে। অন্যান্য কোনো কাজ তেমন বাকি নেই। বিল্ডিংও হয়ে গেছে। এ প্রকল্পটি বাস্তায়নের ফলে দেশেই জাহাজের নকশা করার পর মডেল করে জাহাজের পারফরম্যান্স পরীক্ষা করার সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং বৈদেশিক অর্থ ব্যয় রোধ হবে।

এনএইচবি/এএস

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া