ছাত্রদল সভাপতি-সম্পাদকের কু-কীর্তির ফিরিস্তি লন্ডনে!
কমিটি বাণিজ্য, অযোগ্যদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন, সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করাসহ বিস্তর অভিযোগ উঠেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল হক শ্রাবন ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের বিরুদ্ধে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছেও সাইফ মাহমুদ জুয়েলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন দলের সিনিয়র নেতারা। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকে ছাত্রদলের দুই শীর্ষ নেতার সকল কু-কীর্তির প্রামাণ্য দলিলও পাঠানো হয়েছে তারেক রহমানের কাছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর এসব সূত্রে জানা গেছে।
শুধু তাই নয়, ছাত্ররাজনীতির অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রদলের বিতারিত হওয়ার নেপথ্যে জুয়েলের ভুমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ খোদ নিজ দলের নেতাদের। এমনকি ছাত্রদলকে বরিশাল সমিতিতে পরিণত করার অভিযোগও উঠেছে জুয়েলের বিরুদ্ধে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ৩০২ সদস্যের ১২২ জন বরিশাল বিভাগের। বরিশাল বাড়ি হলেই যে কাউকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঢুকিয়েছেন ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক। এতে যোগ্যরা বাদ পড়েছেন।
দীর্ঘদিন কমিটি পুনর্গঠন ও হালনাগাদ না করা এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটছে না ছাত্রদলের। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে ফজলুর রহমান খোকন সভাপতি এবং ইকবাল হোসেন শ্যামল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর আর কোনো কাউন্সিল হয়নি। সর্বশেষ কমিটি গঠন হয় গত ১৭ এপ্রিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সুপার ফাইভ কমিটি ঘোষণা করেন।
এতে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে জড়িত পরিবারের সন্তান কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণকে সভাপতি, আওয়ামী পরিবারের আরেক সন্তান সাইফ মাহমুদ জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। পরবর্তী সময়ে তাদের নেতৃত্বে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু এই নেতৃত্বে বিরুদ্ধে অভিযোগর শেষ নেই। সভাপতি কাজী রওনকুল হক শ্রাবণের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার মুখের ভাষা অশালীন, কথায় কথায় অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। অসংখ্য মেয়েদের ছাত্রদলের পদ পাইয়ে দেবে বলে মিথ্যা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগও আছে এই নেতার বিরুদ্ধে। বেশকিছুদিন পূর্বে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অশালীন কর্মকাণ্ড ভাইরাল হলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও বিব্রত হন।
অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল আসল ওরফে জুয়েল হাওলাদার। তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ পাহাড়সম। ১/১১ সেনা সমর্থিত সরকারের সময়ে ছিলেন সংস্কারপন্থী। জুয়েলের বিরুদ্ধে রয়েছে ছিনতাই এবং অপহরণ মামলা। রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় একটি অপহরণ মামলায় জুয়েল চার মাস জেল খেটেছেন। (মামলা নং ১২১৫-২৭-০৭-২০০০)।
ছাত্রদলের বিভিন্ন কমিটিতে বরিশাল অঞ্চলকে প্রাধান্য দেওয়া প্রসঙ্গে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, নেতৃত্বে প্রতিযোগিতা আছে, দলের জন্য নিবেদিত ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। কাজেই নেতৃত্ব নির্বাচনে কার বাড়ি কোন অঞ্চলে তা বিবেচনা করা হয় না। যোগ্যদের অবমূল্যায়ন করে অযোগ্যদের মূল্যায়ন করা হয়েছে এই ধরনের অভিযোগ সত্য নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। সারা দেশেই নানা প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে সরব থাকতে হচ্ছে। নেতৃত্বে আসার পর থেকেই ছাত্রদল সবসময়ই বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ করে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের দাবি আদায়ে ক্যাম্পাসমুখী কর্মসূচিতে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করছে। যখন চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক আসবে তখন ছাত্রদল বসে থাকবে না। ছাত্রদল যেকোনো মূল্যে আন্দোলনের অগ্রপথে থাকবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আর্থিক লেনদেনকে প্রাধান্য দিয়ে ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে বিবাহিত, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিজস্ব বলয়ে রাজনীতি করেন এমন বিবাহিত, অপহরণ ও মোটরসাইকেল ছিনতাই মামলার আসামিরা কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন। প্রাধান্য পেয়েছেন বরিশাল ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের নেতা-কর্মীরা। ৩০২ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৪৫ জনের বেশি আছেন বিবাহিত।
ছাত্রজীবন শেষ করে অনেকেই চাকরি করছেন। অছাত্র, বিবাহিত, জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনসহ অসংখ্য অসামঞ্জস্য দিয়েই গঠিত হয়েছে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ছাত্রদলের কমিটিতে স্থান পাওয়া এমন ৫৭ জনের একটি তালিকা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর (কারাগারে যাওয়ার পূর্বে) বরাবর প্রেরণ করেছেন পদ বঞ্চিত ত্যাগী নেতা-কর্মীরা। তখন প্রাথমিক অবস্থায় অভিযোগ আমলে নিয়ে ৩৩ জনের পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।
এদিকে সংগঠনের সাংগঠনিক ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতির ঘোষণা দিয়েছেন নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফরিদ হোসেন বাবু। ১ জানুয়ারি ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রোগ্রাম থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে অব্যাহতির ঘোষণা দেন। ২ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিতভাবে অব্যাহতি পত্র জমা দেন।
ফরিদ হোসেন বাবু ঢাকপ্রকাশ-কে বলেন, দীর্ঘ ৮ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করেছি। চেষ্টা করেছি নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের ঐতিহ্য ধরে রাখতে। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতাদের অসহযোগী মনোভাবের ফলে যথাযথভাবে সম্ভব হয়ে উঠেনি। নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের কমিটির কার্যক্রম দীর্ঘদিন হলো স্থগিত করে রাখা হয়েছে। ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে নিয়মিত জড়িত নেতা-কর্মীদের সাংগঠনিক পরিচয় বা স্বীকৃতি দিতে পারিনি। এসব কারণে অব্যাহতি নিয়েছি।
ছাত্রদল ঢাবি ক্যাম্পাস আউট হওয়ার নেপথ্যে
ছাত্রদলের বিগত কমিটির নেতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজনীতির সহঅবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হলেও পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে বর্তমান কমিটির নেতৃত্ব।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক নেতা আদনান আলম বাবু, তিনি সাইফ মাহমুদ জুয়েল গ্রুপের বড় ভাই। একইসঙ্গে তিনি ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের আপন মামাতো ভাই। বলতে গেলে আদনান বাবু বর্তমানে একজন তেলেসমাতিওয়ালা লোক। তিনি একইসঙ্গে যেমন জয়কে দিয়ে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কমিটিতে সুবিধা নিয়েছেন, তেমনি নিজ সংগঠনের এবং নিজ গ্রুপের ছোট ভাই জুয়েলের কাছে ছাত্রদলের তদবির করছেন। আদনান বাবু এখন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসার চেষ্টা করছেন।
জানা গেছে, গত বছরের ২৪ মে ঢাবি ক্যাম্পাসে একটি সভায় জুয়েল শেখ হাসিনাকে নিয়ে বক্তব্য দেন। তার আগের দিন আদনান বাবুর মধ্যস্থতায় ধানমন্ডি স্টার কাবাবের সামনে একটি কালো রংয়ের গাড়িতে বসে আল নাহিয়ান জয় ও সাইফ মাহমুদ জুয়েল আধ ঘণ্টার বেশি সময় নিজেদের মধ্যে কথা বলেন। পরেরদিন ২৪ মে জুয়েল ক্যাম্পাসে বক্তব্য দেওয়ার পরে প্রথমে জয়ের অনুসারীরাই ক্যাম্পাসে ছাত্রদলকে প্রতিহতের ঘোষণা দেয়।
ঘটনা যে জয়-জুয়েলের পরিকল্পিত তা আরও স্পষ্ট হয় যখন জুয়েল ক্যাম্পাসে নিজে হাতে বাঁশ নিয়ে ছাত্রলীগকে উসকে দেয়। যদিও দুই মিনিটের জন্য বাঁশ হাতে নিয়ে জুয়েল সেদিন ঢাবি ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের বিপদে ফেলে চলে গিয়ে ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ জুয়েলের ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়ে ছাত্রদল আজকে ক্যাম্পাস ছাড়া।
ছাত্রদল যেন বরিশাল সমিতি
কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদল সভাপতি সাঈদুর রহমান (বরিশাল), সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন (পটুয়াখালী), সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান (বরিশাল)। ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ৮ জনই বৃহত্তর বরিশাল বিভাগের। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম (বরিশাল), প্রচার সম্পাদক রুমি(বরিশাল)।
ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী হাসান রুয়েল (বরিশাল), সাধারণ সম্পাদক রাসেল বাবু (বরিশাল), সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর বাবু (বরিশাল), সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মনির হোসেন (ভোলা), দপ্তর সম্পাদকের বাড়িও বরিশাল। ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সভাপতি আবুল কালাম নাসির (বরিশাল), সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হাসান রাজ (বরিশাল)। ৭ সদস্য কমিটিতে পরে যারা দপ্তর, সহ-দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন তাদের বাড়িও (ভোলা)।
এখানেই শেষ নয়, গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে বক্তব্যে দেন ছাত্রদল সভাপতি। বক্তব্যের সুযোগ না পেয়ে সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল গণসমাবেশের সঞ্চালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম মজনুর সঙ্গে তর্কে জড়ান।
ছাত্রদলের সভাপতি নিজেও সাধারণ সম্পাদকের এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রতবোধ করে পরবর্তী সময়ে বিএনপি নেতাদের বলেন, টিক আছে শুধু আমি বক্তব্যে দেব, সে (জুয়েল) কেবল মাত্র স্লোগান দেবে। পরে জুয়েলকে স্লোগান দিতে দেখা যায় আর গণসমাবেশের সঞ্চালনায় থাকা বিএনপি নেতা আমিনুল হক মঞ্চ ছেড়ে চলে যেতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু তাকে বুঝিয়ে সমঝোতা করেন। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের এমন আচরণে মঞ্চে থাকা প্রধান অতিথি ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা বিব্রত হন।
এ ছাড়া, গত ১৩ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনরি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল। তার এমন ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণে ক্ষুব্ধ হন কৃষকদলের সভাপতিসহ উপস্থিত কৃষক নেতারা। এ নিয়ে কৃষকদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ছাত্রদল সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ সেপ্টেম্বর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ৩০২ সদস্য বিশিষ্ট ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন দেন। কমিটিতে ২২ জনকে সহ-সভাপতি এবং ১৪৫ জনকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এ ছাড়া, ৩৮ জনকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের পাশাপাশি খোরশেদ আলম সোহেলকে সভাপতি আর আরিফুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৩ সদস্যবিশিষ্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কমিটিও ঘোষণা করা হয়েছে।
১ জানুয়ারি ছাত্রদলের সমাবেশে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদেরও উপর চড়াও হন। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিকের জামার কলার ধরতেও দেখা যায়। পরবর্তী সময়ে সংগঠনের সভাপতি রওনকুল হক শ্রাবন গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তাৎক্ষণিক ক্ষমা চান। বিএনপির মিডিয়া সেল থেকেও এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি এখনো।
এনএইচবি/এমএমএ/