বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কৃষক বাঁচাতেই চালের দাম চড়া

চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তারপরও কমছে না চালের দাম। কারণ কৃষকরা হাট-বাজারে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা মণ অর্থাৎ প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি ধান বিক্রি করছেন। ভোক্তাদের পকেট থেকে টাকা বেশি গেলেও দেশের কৃষকদের কিছু লাভ হচ্ছে।

প্রতি মণ ধানে ২৫ কেজি চাল হলে দাম পড়ে ৪৮ থেকে ৫৬ টাকা। এর সঙ্গে পরিবহন খরচ, আড়তদারি যোগ করলে কেজিতে আরও ২ টাকা যোগ হবে। রাজধানীতে সেই মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। এ ছাড়া ২৮ চাল ৫৬ থেকে ৬০ টাকা ও মিনিকেট ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কৃষকদের বাঁচাতে এই দাম যৌক্তিক, তা মেনে নিতে হবে। তা না হলে অর্থনীতিতে আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কারণ উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। কৃষক, সরকারি কর্মকর্তা ও অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

বিভিন্ন জেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্ষেত থেকে আমন ধান উঠানো প্রায় শেষ। কৃষকের ঘরেও তেমন নেই ধান। কোনো কোনো কৃষক বাজারে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা মণ ধান বিক্রি করছেন। জানতে চাইলে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানার করিমপুরের এনামুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, গুটি স্বর্ণা ধান ১২০০ টাকা মন বিক্রি হচ্ছে। যা কয়েক দিন আগে ১৪০০ টাকাও বিক্রি হয়েছে। অপরদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানার কাজলকেশরের সাইদুর বলেন, ‘১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা মণ ধান বিক্রি হচ্ছে। এর চেয়ে দাম কমলে লোকসান হবে। তাতে জমি চাষ করা সম্ভব হবে না। কারণ সার, শ্রমিকের দাম বেশি। ধান কাটার জন্য সহজে লোক পাওয়া যায় না।

অপরদিকে, রাজধানীতে চালের পাইকারি বাজার মোহাম্মদপুরের কৃষিমার্কেট, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন খুচরা বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, মোটা চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। খুচরা পর্যায়ে তা ৫৫ টাকা। দামের ব্যাপারে জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের আল্লাহর দান রাইস এর মো. আব্দুল আওয়াল তালুকদার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, মোটা চাল ৫০ টাকার উপরে। এর দাম কমবে না। কারণ গ্রামেই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ২৮ চাল ৬০ টাকা ও মিনিকেট ৭২ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। এই চালই বিভিন্ন অলিগলিতে খুচরা পর্যায়ে আরও বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে যে চালের বাজার তা থেকে দাম আর কমবে না। কারণ মোটা চাল মানুষ কম খায়। বোরা ধান মে মাসে হবে। যা থেকে ২৮ ও মিনিকেট চাল বাজারে আসে। বাজারে আসতে অনেক দেরি আছে। একই বাজারের বরিশাল রাইস এজেন্সি, কুমিল্লা রাইস এজেন্সিসহ অন্যান্য চাল ব্যবসায়ীরাও জানান, সব কিছুর দাম বাড়তি। তাই ধানের দামও বেশি। এ কারণে কমবে না চালের দাম।

এদিকে কৃষিমার্কেটের শাপলা রাইস এজেন্সিসহ অন্যান্য চাল ব্যবসায়ীরা জানান, মোটা চাল ৪৮ থেকে ৫২ টাকা, ২৮ চাল ৫৮ থেকে ৫০ টাকা, মিনিকেট ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, বাসমতি ৮৮, নাজিরশাইল ৮২ থেকে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। পোলাও চালের দামও বাড়তি। প্যাকেট ছাড়া এই চাল ১২৫ টাকা ও বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেট চাল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

এদিকে হাটে-বাজারে বেশি দাম হলেও চলতি আমন মৌসুমে সরকার ২৮ টাকা দরে ধান ও ৪২ টাকা কেজি চাল কেনার ঘোষণা দিয়েছে। গত ২ নভেম্বর খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদার জানান, এবার সরকারিভাবে সারাদেশের কৃষক ও চালকল মালিকদের কাছ থেকে এই দরে তিন লাখ টন ধান ও পাঁচ লাখ টন সেদ্ধ চাল কেনা হবে।

কিন্তু তাতে উৎপাদন খরচই মিটবে না। তাই বাজারে বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে। সরকারের অন্য মন্ত্রণালয়েরও একই কথা। কম দাম হলে কৃষকরা তাদের ধান-চাল দেবে না। তা বাজারের বাস্তবভিত্তিক হতে হবে।

সার্বিক ব্যাপারে জানতে কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা না বলায় মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. বেনজীর আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা এক কোটি ৬৩ লাখ মেট্রিক টন ধরা হলেও আশা করি উৎপাদন এক কোটি ৭৪ লাখ টন হবে। এবার কৃষক ভালোই দাম পাচ্ছেন, ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা মণ। এতে কৃষকরা খুশি। এর চেয়ে দাম কমলে তারা জমি চাষ করবে না। তাই এর চেয়ে কম দাম ঠিক হবে না। কারণ তাদের উৎপাদন খরচ এবার বেশি হয়েছে।

তাহলে খাদ্য মন্ত্রণালয় কম দামে কেনার ঘোষণা কেন দিয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে এই ডিজি বলেন, তারা কীভাবে দাম নির্ধারণ করেছে এটা তাদের ব্যাপার। কম ধরলে তাদের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। কারণ কৃষকের লোকসান হলে জমি চাষ করবে না। তখন আমদানি করতে হবে। এরফলে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

এ ব্যাপারে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ও কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. শামসুল আলম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এবারে ধানের দাম বৃদ্ধি পাবে। কারণ আমনের উৎপাদনের সময় থেকেই সার, বীজ ও শ্রমিকেরও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্যস্ফীতিও প্রায় ৯ শতাংশ হয়েছে। সেটার প্রতিফলন ধান-চালেও পড়বে। কাজেই বর্তমান বাজারে ধান চালের যে মূল্য তা উৎপাদনেরই প্রতিফলন। কাজেই বর্তমানের দাম অযৌক্তিক না।

তাহলে খাদ্য মন্ত্রণালয় কেন কম দামে ধান চাল কেনার ঘোষণা দিয়েছে? এ ব্যাপারে এই কৃষি অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘তারা যে সংগ্রহ মূল্য করেছে তাতে কৃষকরা ধান চাল নাও দিতে পারে। কারণ খরচ তো বেড়েছে। কাজেই তাদের সঠিক উৎপাদন খরচ ও স্বাভাবিক লভাংশ ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ধরে দাম নির্ধারণ করতে হবে। তা না হলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জমি চাষে বিমুখ হয়ে যাবে। আর চাল আমদানি করলে অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

জেডএ/আরএ/

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া