সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ডোপ টেস্ট: চাকরি ফেরত পেতে মরিয়া পুলিশ সদস্যরা!

ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসায় চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা চাকরি ফেরত পেতে মরিয়া। ইতিমধ্যে তাদের অন্তত ৫০ জন চাকরি ফেরত পেতে আদালতে মামলা করেছেন।

অপরদিকে পুলিশের সূত্রগুলো বলছে, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী চাকরিতে প্রবেশের সময় যেমন ডোপ টেস্ট করা হবে, তেমনি চাকরি চলাকালীন সময় কারও ব্যাপারে সন্দেহ জাগলে ডোপ টেস্ট করা হবে। এ ব্যাপারে পুলিশের অবস্থান পরিস্কার।

এদিকে চাকরি হারানো পুলিশ সদস্যরা বলছেন, ডোপ টেস্ট শুধু সাধারণ পুলিশ সদস্যের ক্ষেত্রে প্রয়োগ না করে সবার ক্ষেত্রে সকল পর্যায়ে প্রয়োগ করা উচিত। তাহলে অনেক বড় কর্মকর্তাও তাতে আটকে যাবেন। তারা বলছেন, আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিত। না হলে আইনশৃঙ্খলা কাজে নিয়োজিত সবচেয়ে বড় বাহিনীতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।

ডোপ টেস্ট কাজে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ডোপ টেস্টের কারণে চলতি বছরের জানুয়ারি, ফ্রেব্রুয়ারি এবং মার্চে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রায় দুই শতাধিক সদস্য চাকরি হারিয়েছেন। একইসঙ্গে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় ৬৮ জনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারিতে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে চাকরি হারিয়েছেন ৩৭ পুলিশ সদস্য। ফেব্রুয়ারিতে মাদকাসক্তির কারণে চাকরি হারিয়েছে ডিএমপির ১০৬ জন পুলিশ সদস্য। এ ছাড়া, ডোপ টেস্টের ফলাফল পজেটিভ হওয়ায় এ পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় এক হাজারের মতো পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। অনেকের নামে বিভাগীয় মামলা হয়েছে, সেগুলো বিচারাধীন।

ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে চাকরি হারানো পুলিশ সদস্যরা বলছেন, যে দেশে মাদক সেবনের পারমিশন দেওয়া হয়, আবার সেই দেশে সামান্য মাদক সেবন করলে চাকরি চলে যায় আজব বিষয়। তাদের দাবি, শুধু সাধারণ পুলিশ সদস্য না, উপরের কর্মকর্তাদেরও এই টেস্টের আওতায় আনা জরুরি। অন্যথায় একই পুলিশের জন্য দুই নিয়ম হবে।

জানা যায়, ডোপ টেস্টের পজিটিভ হওয়ায় চাকরি হারানো পুলিশ সদস্যদের অনেকে চাকরি ফেরত পেতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। মিরপুর মডেল থানায় কর্মরত অবস্থায় চাকুরি হারানো হওয়া এসআই মো. কামাল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমাদের দেশে মদ খাওয়ার পারমিশন দেওয়া হচ্ছে। সেখানে আনন্দ করে সমান্য কিছু সেবন করলে সমস্যটা কোথায় বুঝতে পারি না! তিনি বলেন, আমি চাকরি ফেরত পেতে আদালতে মামলা করেছি। দেখা যাক মামলা কতদিন চলে এবং কি রেজাল্ট আসে।’

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, ডোপ টেস্টের রেজাল্ট পজিটিভ আসলে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ডোপ টেস্টে জানুয়ারিতে মোট ৩৭ জন পুলিশকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এরপরেও অনেক পুলিশের চাকরি গেছে। এটা নিয়মিত চলছে। এ কারণে পুলিশে অনেক শৃঙ্খলাও ফিরে এসেছে।

পুলিশ সদস্য ও সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তারা অস্তুষ্টি প্রকাশ করে বলছেন-শুধু পুলিশের নিচের লেভেলে নয় উপরের লেভেলেও ডোপ টেস্ট করা হোক। তাদের দাবি, পুলিশের সব পদ মর্যাদার কর্মকর্তাদের ডোপ টেস্টের আওতায় আনা উচিত। কাউকে ছোট করে দেখা ঠিক না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা বিভাগে কর্মরত পুলিশের একজন সাব-ইন্সপেক্টর ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘শুধু পুলিশ সদস্যদের নয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও ডোপ টেস্টের আওতায় আনা উচিত। কারণ, আমরা সবাই পুলিশের পোশাক পরা এক কাতারের মানুষ। অন্যথায় ছোট-বড় থেকে যায়।’

জানা গেছে, মেট্রোপলিটন পুলিশে ডোপ টেস্টে মোট পজিটিভ হয়েছেন তিন শতাধিকেরও বেশি। যার মধ্যে সাধারণ পুলিশ সদস্য ছাড়া ৫০ জন আছেন পুলিশের নায়েক। বাকিরা সাব-ইন্সপেক্টর। সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ২৮ জনকে। ১৫ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। মাদকের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অভিযোগে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। ১০ জন চাকরিচ্যুত বরখাস্ত করা হয়েছে।

ডোপ টেস্টে চাকরি হারানো এক পুলিশ কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, চাকরিতো হারিয়েছি, সঙ্গে একটি মামলাও হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে চাকরি ফেরতের জন্য আদালতে মামলা করেছি। আদালত যে বিচার করে সেটাই হয়তো মেনে নিতে হবে।

এসব বিষয়ে নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, ডোপ টেস্টের মাধ্যমে মাদকাসক্ত পুলিশ সদস্য শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ সদস্যদের বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করে এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মনজুর রহমান বলেন, পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট হলো একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। মাদকাসক্ত হিসেবে কেউ প্রমাণিত হলে প্রথমে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, পুলিশ সদস্যের কেউ অপকর্মে জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া, যেসব পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে তাদের কেউ যদি পজেটিভ হয় তাহলে নিয়ম অনুযায়ী আমরা তাদের পুলিশ থেকে বের করে দিচ্ছি। বিভাগীয় তদন্তের পর তাদের নামে মামলাও হচ্ছে।

পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে, পুলিশকে জনবান্ধব করতে পুরোনো সব ধ্যান ধারণাকে পিছনে ঠেলে আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে-পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসুক এটা কোনো ভাবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি পুলিশে ডোপ টেস্ট চালু করা হয়েছে। এজন্য পুলিশ সদস্যদের নিয়মিত ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। পুলিশের যেসব সদস্য মাদকের সঙ্গে যুক্ত থাকবে তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।

এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

দেশের পাঁচটি জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ও সোমবার (২৭ ও ২৮ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। কুমিল্লার মুরাদনগর ও বরুড়া উপজেলায় চারজন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনে তিনজন, নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও মদনে দুজন, সুনামগঞ্জের শাল্লায় একজন এবং চাঁদপুরের কচুয়ায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রপাতে দুজন কৃষক নিহত হন। নিহতরা হলেন নিখিল দেবনাথ (৫৮) ও জুয়েল ভূঁইয়া (৩০)।

একই জেলার বরুড়া উপজেলার খোসবাস উত্তর ইউনিয়নের পয়েলগচ্ছ গ্রামে দুপুর ১২টার দিকে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় বজ্রপাতে মারা যায় দুই কিশোর—মোহাম্মদ জিহাদ (১৪) ও মো. ফাহাদ (১৩)। এ সময় আবু সুফিয়ান (সাড়ে ৭) নামের একটি শিশু আহত হয় এবং তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে খয়েরপুর আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের হাওরে ধান কাটার সময় সকালে বজ্রপাতে প্রাণ হারান দুই কৃষক—ইন্দ্রজিৎ দাস (৩০) ও স্বাধীন মিয়া (১৫)। একই সময়ে মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে ধানের খড় শুকাতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন ফুলেছা বেগম (৬৫) নামের এক নারী।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধনুন্দ গ্রামে রবিবার রাত ১০টার দিকে বজ্রপাতে আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মারা যান দিদারুল ইসলাম (২৮)। তিনি একটি ইফতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।
আজ সকাল ৭টার দিকে মদন উপজেলার তিয়োশ্রী গ্রামে মাদ্রাসাগামী শিশু মো. আরাফাত (১০) বজ্রপাতে মারা যায়।

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরু চরাতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান রিমন তালুকদার। তিনি শাল্লা ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামে সকালে বজ্রপাতের বিকট শব্দে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বিশাখা রানী (৩৫)। তিনি কৃষক হরিপদ সরকারের স্ত্রী। চিকিৎসক জানান, বজ্রপাতের সরাসরি আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না, শব্দের প্রভাবে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

 

Header Ad
Header Ad

জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার অভিযোগপত্র পর্যালোচনা এবং মেঘনা আলমের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল মডেল মেঘনা আলমকে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে আটক করে আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর আদালতে তাকে আটক রাখার আবেদন করলে সেটি মঞ্জুর হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন মিলে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রটি বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের ব্যবহার করে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহিত করত। এরপর এসব সম্পর্কের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ভিকটিমদের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হতো।

 

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: সংগৃহীত

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি দেওয়ান সমির 'কাওয়ালি গ্রুপ' নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং 'সানজানা ইন্টারন্যাশনাল' নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক। এর আগে তার 'মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড' নামের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল।

চক্রটি 'ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর' নিয়োগের নামে সুন্দরী ও আকর্ষণীয় মেয়েদের ব্যবহার করে সহজে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে যাতায়াতের সুযোগ তৈরি করত। উদ্দেশ্য ছিল ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের চাঁদা আদায় এবং দেওয়ান সমিরের ব্যক্তিগত ব্যবসাকে লাভজনক করা।

Header Ad
Header Ad

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ, আন্দোলনে নিহতদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং এই গণ-অভ্যুত্থানের আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে 'জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর' গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকার।

সোমবার (২৮ এপ্রিল ২০২৫) সরকারের পক্ষ থেকে গেজেট আকারে এ সংক্রান্ত ঘোষণা প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এই অধিদপ্তর গঠনের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনেই এই নতুন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি, অধিদপ্তর গঠনের প্রক্রিয়ায় গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের সভাপতিত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে উপদেষ্টা পরিষদে বিষয়টি উপস্থাপিত হলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই অধিদপ্তর শুধু ইতিহাস সংরক্ষণের কাজই করবে না, বরং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ও আদর্শকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন গবেষণা, প্রকাশনা এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। একইসঙ্গে, নিহত এবং আহতদের পরিবারদের যথাযথ পুনর্বাসন ও সহায়তার ব্যবস্থাও করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা