বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ডোপ টেস্ট: চাকরি ফেরত পেতে মরিয়া পুলিশ সদস্যরা!

ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসায় চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা চাকরি ফেরত পেতে মরিয়া। ইতিমধ্যে তাদের অন্তত ৫০ জন চাকরি ফেরত পেতে আদালতে মামলা করেছেন।

অপরদিকে পুলিশের সূত্রগুলো বলছে, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী চাকরিতে প্রবেশের সময় যেমন ডোপ টেস্ট করা হবে, তেমনি চাকরি চলাকালীন সময় কারও ব্যাপারে সন্দেহ জাগলে ডোপ টেস্ট করা হবে। এ ব্যাপারে পুলিশের অবস্থান পরিস্কার।

এদিকে চাকরি হারানো পুলিশ সদস্যরা বলছেন, ডোপ টেস্ট শুধু সাধারণ পুলিশ সদস্যের ক্ষেত্রে প্রয়োগ না করে সবার ক্ষেত্রে সকল পর্যায়ে প্রয়োগ করা উচিত। তাহলে অনেক বড় কর্মকর্তাও তাতে আটকে যাবেন। তারা বলছেন, আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিত। না হলে আইনশৃঙ্খলা কাজে নিয়োজিত সবচেয়ে বড় বাহিনীতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।

ডোপ টেস্ট কাজে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ডোপ টেস্টের কারণে চলতি বছরের জানুয়ারি, ফ্রেব্রুয়ারি এবং মার্চে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রায় দুই শতাধিক সদস্য চাকরি হারিয়েছেন। একইসঙ্গে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় ৬৮ জনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারিতে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে চাকরি হারিয়েছেন ৩৭ পুলিশ সদস্য। ফেব্রুয়ারিতে মাদকাসক্তির কারণে চাকরি হারিয়েছে ডিএমপির ১০৬ জন পুলিশ সদস্য। এ ছাড়া, ডোপ টেস্টের ফলাফল পজেটিভ হওয়ায় এ পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় এক হাজারের মতো পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। অনেকের নামে বিভাগীয় মামলা হয়েছে, সেগুলো বিচারাধীন।

ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে চাকরি হারানো পুলিশ সদস্যরা বলছেন, যে দেশে মাদক সেবনের পারমিশন দেওয়া হয়, আবার সেই দেশে সামান্য মাদক সেবন করলে চাকরি চলে যায় আজব বিষয়। তাদের দাবি, শুধু সাধারণ পুলিশ সদস্য না, উপরের কর্মকর্তাদেরও এই টেস্টের আওতায় আনা জরুরি। অন্যথায় একই পুলিশের জন্য দুই নিয়ম হবে।

জানা যায়, ডোপ টেস্টের পজিটিভ হওয়ায় চাকরি হারানো পুলিশ সদস্যদের অনেকে চাকরি ফেরত পেতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। মিরপুর মডেল থানায় কর্মরত অবস্থায় চাকুরি হারানো হওয়া এসআই মো. কামাল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমাদের দেশে মদ খাওয়ার পারমিশন দেওয়া হচ্ছে। সেখানে আনন্দ করে সমান্য কিছু সেবন করলে সমস্যটা কোথায় বুঝতে পারি না! তিনি বলেন, আমি চাকরি ফেরত পেতে আদালতে মামলা করেছি। দেখা যাক মামলা কতদিন চলে এবং কি রেজাল্ট আসে।’

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, ডোপ টেস্টের রেজাল্ট পজিটিভ আসলে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ডোপ টেস্টে জানুয়ারিতে মোট ৩৭ জন পুলিশকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এরপরেও অনেক পুলিশের চাকরি গেছে। এটা নিয়মিত চলছে। এ কারণে পুলিশে অনেক শৃঙ্খলাও ফিরে এসেছে।

পুলিশ সদস্য ও সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তারা অস্তুষ্টি প্রকাশ করে বলছেন-শুধু পুলিশের নিচের লেভেলে নয় উপরের লেভেলেও ডোপ টেস্ট করা হোক। তাদের দাবি, পুলিশের সব পদ মর্যাদার কর্মকর্তাদের ডোপ টেস্টের আওতায় আনা উচিত। কাউকে ছোট করে দেখা ঠিক না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা বিভাগে কর্মরত পুলিশের একজন সাব-ইন্সপেক্টর ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘শুধু পুলিশ সদস্যদের নয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও ডোপ টেস্টের আওতায় আনা উচিত। কারণ, আমরা সবাই পুলিশের পোশাক পরা এক কাতারের মানুষ। অন্যথায় ছোট-বড় থেকে যায়।’

জানা গেছে, মেট্রোপলিটন পুলিশে ডোপ টেস্টে মোট পজিটিভ হয়েছেন তিন শতাধিকেরও বেশি। যার মধ্যে সাধারণ পুলিশ সদস্য ছাড়া ৫০ জন আছেন পুলিশের নায়েক। বাকিরা সাব-ইন্সপেক্টর। সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ২৮ জনকে। ১৫ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। মাদকের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অভিযোগে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। ১০ জন চাকরিচ্যুত বরখাস্ত করা হয়েছে।

ডোপ টেস্টে চাকরি হারানো এক পুলিশ কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, চাকরিতো হারিয়েছি, সঙ্গে একটি মামলাও হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে চাকরি ফেরতের জন্য আদালতে মামলা করেছি। আদালত যে বিচার করে সেটাই হয়তো মেনে নিতে হবে।

এসব বিষয়ে নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, ডোপ টেস্টের মাধ্যমে মাদকাসক্ত পুলিশ সদস্য শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ সদস্যদের বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করে এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মনজুর রহমান বলেন, পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট হলো একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। মাদকাসক্ত হিসেবে কেউ প্রমাণিত হলে প্রথমে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, পুলিশ সদস্যের কেউ অপকর্মে জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া, যেসব পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে তাদের কেউ যদি পজেটিভ হয় তাহলে নিয়ম অনুযায়ী আমরা তাদের পুলিশ থেকে বের করে দিচ্ছি। বিভাগীয় তদন্তের পর তাদের নামে মামলাও হচ্ছে।

পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে, পুলিশকে জনবান্ধব করতে পুরোনো সব ধ্যান ধারণাকে পিছনে ঠেলে আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে-পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসুক এটা কোনো ভাবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি পুলিশে ডোপ টেস্ট চালু করা হয়েছে। এজন্য পুলিশ সদস্যদের নিয়মিত ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। পুলিশের যেসব সদস্য মাদকের সঙ্গে যুক্ত থাকবে তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।

এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  

ছবি: সংগৃহীত

তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে চীন। তিব্বত মালভূমির পূর্ব পাশে এই প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নিম্নপ্রবাহে ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইয়ারলুং জাংপো নদীর নিম্নপ্রবাহে এই বাঁধ তৈরি হবে বলে। চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, এ প্রকল্প থেকে বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চীনের মধ্যাঞ্চলীয় থ্রি গর্জেস বাঁধ। এই প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক ৮ হাজার ৮২০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রকল্পটি চীনের শূন্য কার্বন লক্ষ্য পূরণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। আর প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে উজ্জীবিত করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

প্রকৌশলগত খরচসহ এই বাঁধ নির্মাণের সার্বিক ব্যয় থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ডলার। এই প্রকল্পের কারণে বাস্তুচ্যুত ১৪ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। ফলে এই প্রকল্পের মোট ব্যয় বাজেটের চারগুণের বেশি ছিল।

তিব্বতের প্রকল্পের কারণে কত মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে আর এটি স্থানীয় আবাসনকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে কর্তৃপক্ষ তার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। তবে চীনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশের ওপর বা নিম্নপ্রবাহে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না।

চীন এমন দাবি করলেও ভারত ও বাংলাদেশ এ বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাবে স্থানীয় আবাসনের পাশাপাশি নিম্নপ্রবাহের নদীগুলোর পানি প্রবাহ ও গতিপথকেও প্রভাবিত করবে। এতে দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে

ছবি: সংগৃহীত

সচিবালয়ে আগুন নেভাতে গিয়ে নিহত ফায়ার ফাইটার সোহানুজ্জামান নয়নের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। একমাত্র ছেলে নয়নকে হারিয়ে মা পাগল হয়ে গেছে। দুই সন্তানের মধ্যে নয়ন ছিল ছোট। বড় বোন সুমির বিয়ে হয়ে গেছে। বাবা আখতারুজ্জামান স্তব্ধ হয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছেন। তিনি বিশ্বাসই করতে পারছেন না তার ছেলেটি আর ফিরবে না।

কান্নায় বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন নয়নের মমতাময়ী মা সোহাগী বেগম ও বোন আশামনি। প্রতিবেশী ও স্বজনরা তাদের শান্তনা দেবার ভাষা খুঁজে না পেলেও বৃথা চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। এঘটনায় শুধু নয়নের বাড়ীতেই নয় শোকের মাতম চলছে পুরো এলাকাজুড়ে। এলাকাবাসীও মেনে নিতে পারছেন না নয়নের এই অকাল মৃত্যুকে।

সোহানুজ্জামান নয়ন ২বছর আগে যোগ দেন ফায়ার সার্ভিসে। বর্তমানে তেজগাঁও ফায়ার টিমের স্পেশাল ব্রাঞ্চে কর্মরত ছিলেন। রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার মিলনপুর ইউনিয়নের আটপুনিয়া গ্রামের কৃষক আক্তারুজ্জামানের একমাত্র ছেলে ছিলেন সোহানুজ্জামান নয়ন।

উল্লেখ্য যে, ২৫ ডিসেম্বর (বুধবার) রাত ২টার দিকে সচিবালয়ে আগুন নেভাতে গিয়ে রাস্তা পারাপারের সময় একটি অজ্ঞাতনামা ঘাতক ট্রাক তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে সোহানুজ্জামান নয়ন রাস্তায় পড়ে যান এবং গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তার সহকর্মীরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে রাত ৪টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

Header Ad
Header Ad

চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। ছবি: সংগৃহীত

একজন ব্যক্তি বিমানবন্দর থেকে বাড়ি যেতে টানেল করেছে, আরেকজন বিমানবন্দরে থেকে যেন বাসায় যেতে পারে সেজন্য এক্সপ্রেসওয়ে করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে ‘চট্টগ্রামের উন্নয়নে এবি পার্টির পাঁচ প্রস্তাব’ শীর্ষক মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আপনাদের যে বিশাল ফ্লাইওভার (এলিভেটডের এক্সপ্রেসওয়ে)। এটার ওপর দিয়ে আসার সময় একটা এক্সিট দেখলাম না। এত বড় ফ্লাইওভারে মিনিমাম ১০টা এক্সিট দেওয়ার কথা ছিল। চট্টগ্রামের লোকেরা বলে একজন ব্যক্তির জন্য টানেল করা হয়েছে যেন সে বাড়ি থেকে এয়ারপোর্টে যেতে পারে। আরেকজন ব্যক্তির জন্য ফ্লাইওভার করা হয়েছে তার বাসা থেকে যেন এয়ারপোর্টে যেত পারে। একটা রাষ্ট্র তার উন্নয়নের মডেল তৈরি করেছে একটা লুটপাটের মডেল দিয়ে। তাহলে কিভাবে এটা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের সাথে যায়? কারণ কথা ছিল রিপাবলিক করার। রাষ্ট্রের প্রত্যেকটা টাকা-পয়সা যে আপনি খরচ করবেন এটা মানুষের জন্য হতে হবে।’

সিডিএ’র প্ল্যান কোথায়, প্রশ্ন রেখে এবি পার্টির এ নেতা বলেন, ‘সিডিএ নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে দেখি। চট্টগ্রামে বন্যা তো দেখিনি। সেই চট্টগ্রামে এখন প্রতিবছর অসম্ভব রকমের ঘাপলা মারা বন্যা হয়। এমনকি আপনাদের সাবেক মেয়রের বাসার নিচতলা নাকি ডুবে গেছে। তাহলে আপনি কি প্ল্যান করলেন? বন্যা হচ্ছে কেন? আপনাদের এখানে ২৫টি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে শুধুমাত্র দিন-তারিখ কারেকশন করতে গিয়ে ১০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়ে গেছে। এসব প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর মধ্য দিয়ে এই টাকাগুলো খেয়ে ফেলেছে। তাহলে সিডিএ’র প্ল্যান কোথায়? এখানে তো উন্নয়ন নয়, শুধু ভোগান্তি দেখতে পাচ্ছি। কারণ আমি যে রিপাবলিক মডেলের রাষ্ট্র করতে চেয়েছিলাম এটার সাথে যায় না। যে উন্নয়ন প্রকল্প করলে মাসের পর মাস মানুষ পানিবন্দি হয়ে থাকে সেই প্রকল্পে কোনো ইনসাফ নাই।’

চট্টগ্রাম নিয়ে ষড়যন্ত্র করলে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘সীমান্ত থেকে এসে যারা চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দেবে তাদের কারো চোখ থাকবে না, হাতও থাকবে না। জুলাই-আগস্টের পরিবর্তনের পরে এই কলকাতা নিয়ে যাওয়া, চিকেন নেকের গল্প মনে করিয়ে দেওয়া, ফেনী নদীর ওপারে কেটে চট্টগ্রাম আলাদা করে নিয়ে যাবে, পার্বত্য চট্টগ্রামে ঝামেলা চলছে…। আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অংশ যেকোনো মূল্যে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, আত্মমর্যাদা এবং জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে কোনো কম্প্রোমাইজ হবে না। সেজন্য দেশের প্রত্যেকটা পরতে পরতে যদি রিভাইজ করতে হয় আমরা করবো।’

দেশে নতুন জেনারেশনের রাজনীতির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘ধর্ম এবং মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সম্মান এবং মর্যাদার বিষয়। এটাকে আমরা বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখবো। আমাদের রাজনীতির ভিত্তি হবে নাগরিক অধিকার। আমরা রাষ্ট্রটিকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম নগরীর আহ্বায়ক অ্যাডোভোকেট গোলাম ফারুক, যুগ্ম আহ্বায়ক ছিদ্দিকুর রহমান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ আবুল কাশেম, অর্থ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ হাসান চৌধুরী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বোর্ড সদস্য জাহিদুল করিম কচি, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের
বিপিএলে সাকিব না থাকায় হতাশ সুজন
বুধবার রাতে আগুন লেগেছিল ইস্কাটনের সচিব নিবাসেও