বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

দুর্ভিক্ষের শঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা

চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সামনে কঠিন সংকটকাল আসছে। দুর্ভিক্ষের শঙ্কা মাথায় রেখে খোদ প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞরা পর্যন্ত বলছেন, সংকট মোকাবিলায় উৎপাদন বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।

ইতিমধ্যে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করে বলেছে, যে ২০২৩ সালে বিশ্বের ৪৫টি দেশে তীব্র খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাতে পুরো বিশ্বের ২০ কোটি মানুষের জন্য জরুরি সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী দুর্ভিক্ষের যে আগাম সতর্কবার্তা দিচ্ছেন তার যথেষ্ট কারণ আছে। বিশ্ব পরিস্থিতি সেদিকেই যাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব পরিস্থিতিকে টালমাটাল করে দিয়েছে। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে বৈরি আবহাওয়া। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশে দেশে খাদ্য উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে।

এই পরিস্থিতি সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। বিশেষ করে দেশজ খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে সরকার যে নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবারকে স্বল্পমূল্যে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে সেটাকে আরো বাড়াতে হবে। সঙ্গে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকেও খাদ্য সহায়তা দেওয়ার কথা এখন থেকে চিন্তাভাবনা করতে।

চলতি বছরের জুন মাসে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্টোনিও গুতেরেসও সতর্ক করে বলেছেন, ২০২২ সালে কয়েকটি দুর্ভিক্ষ ঘোষণার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে এবং ২০২৩ সালে সেটি আরও খারাপ হতে পারে।

সারাবিশ্বেই একটা খাদ্যাভাব দেখা দিতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশ্বায়নের এই যুগে বাংলাদেশও সংকটের বাইরে না। তাই আগ থেকে সতর্ক করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বিভিন্ন সময় বলে আসছেন, সামনে দুর্ভিক্ষ আসতে পারে, তাই এখন থেকেই সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। চাষযোগ্য ভূমিতে যেখানে যা হয় তাই উৎপাদন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

সরকার প্রধানের এমন সতর্ক বার্তায় সারাদেশের মানুষকে এক রকম ভাবনায় ফেলে দিয়েছে। আসলেই কি দুর্ভিক্ষ হচ্ছে? যদি চরম খাদ্যাভাব দেখা দেয় তাহলে সেটি মোকাবিলা করার মতো সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে কি না? সামনের দিনগুলোতে কি হবে? তবে প্রধানমন্ত্রীর সতর্ক বার্তা অমূলক নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্বায়নের যুগে বর্তমানে কোনো দেশ এককভাবে চলতে পারে না। তাই এক দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে অন্য দেশেও তার আঁচ লাগে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে নিষেধাজ্ঞা পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় বিপর্যস্ত পুরো বিশ্বের খাদ্য চেইন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় মূলত কোনও দেশে বা পুরো বিশ্বে যখন খাদ্যের সরবরাহ চেইন বাধাগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য অতি উচ্চ হারে বেড়ে যায়। তখন মানুষের ক্রয় করার মতো সামর্থ্য থাকে না। আবার অনেক সময় কেনার মতো মুদ্রা থাকলেও কাঙ্খিত পণ্যটি পাওয়া যায় না। এরমধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যদি মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দেয় তাহলে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কাটির যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ। তবে আশার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য পণ্যের অধিকাংশ দেশেই উৎপাদন হয়। আমদানি নির্ভরতা কম।

তবে শুধু ধান বা সবজি উৎপাদন করে দেশের মানুষের চাহিদা মেটানো সম্ভব না। দেশে উৎপাদিত গম দিয়েও দেশের মানুষের চাহিদা মেটানো সম্ভব না। তাই আমদানি করতে হয়। অন্য দিকে ধান উৎপাদন করতে হলে সার ও জ্বালানি অপরিহার্য। এই দুটোই আমদানি নির্ভর। তাই বড় একটা ঝুঁকি থেকেই যায়। বর্তমানে বিদ্যুতের যে পরিস্থিতি তাতে আগামী বোরো মৌসুমে বড় ধাক্কা আসতে পারে বলে মনে করেন অনেকে।

খাদ্য ঘাটতি হতে পারে যেসব কারণে তার কতগুলো কারণ চিহ্নিত করে সম্প্রতি (গত সেপ্টেম্বরে) প্রকাশিত এফএও এবং ডব্লিউএফপির যৌথ রিপোর্টে বলা হয়েছে, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে দুর্ভিক্ষের আশংকা প্রবল। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া এবং সাউথ সুদান। এ ছাড়া, ইয়েমেন এবং আফগানিস্তানেরও একই দশা।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- প্রথমত, যুদ্ধ এবং নানাবিধ সংঘাত খাদ্য ঘাটতির জন্য একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়াবে। পৃথিবীতে যত মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছে তার মধ্যে ৬০ শতাংশ বসবাস করে যুদ্ধ-বিগ্রহ কবলিত এলাকায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলতে থাকলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

দ্বিতীয়ত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণ। পৃথিবীর অনেক দেশ হয়তো বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে, নয়তো খরায় ভুগছে। এর ফলেও খাদ্য উৎপাদন ব্যহত হবার আশঙ্কা রয়েছে।

তৃতীয়ত, করোনাভাইরাস মহামারি বিশ্ব অর্থনীতিতে যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে সেটি এখনো কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়নি।

চতুর্থত, জীবনযাত্রার ব্যয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টিও খাদ্য ঘাটতির কারণ হতে পারে। খাদ্যদ্রব্যের দাম যে হারে বাড়ছে তাতে অনেকের জন্য খাদ্য কেনা কঠিন হয়ে যাবে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে ২০১৯ সালের তুলনায় এখন তাদের পরিচালনা ব্যয় যতটা বেড়েছে সেটি দিয়ে তারা প্রতিমাসে ৪০ লাখ মানুষকে খাওয়াতে পারতো।

দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা কতোটা দেখছেন-এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আগাম সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। আমাদের এই মুহূর্তে ধান, চালের যে মজুত তাতে আগামী ধান ওঠা পর্যন্ত কোনো সমস্যা হবে না। তারপরও যদি দৈব দুর্বিপাকের কারণে ফসল উৎপাদন ব্যহত তখন তো কিছু করার থাকে না। তাই আগে থেকেই যেন প্রস্তুতি থাকে সেজন্য কাজ করা হচ্ছে।’

তবে প্রধানমন্ত্রীর আশঙ্কার সঙ্গে একমত বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শঙ্কার যথেষ্ট কারণ আছে। বিশ্বব্যাপী এ রকম একটা আশঙ্কার কথা অনেকেই বলছে। যেহেতু ইউক্রেন হচ্ছে গ্রেনারি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড। সারাবিশ্বে গমের সরবরাহের প্রায় ২০-২২ শতাংশ আসে ইউক্রেন থেকে। বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞার কারণে উৎপাদন থাকলেও সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার যুদ্ধের কারণে উৎপাদনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

আবার বৈরি আবহাওয়ার কারণে ভয়াবহ বন্যায় পাকিস্তান ও ভারতে কিছু এলাকায় ধান এবং গমের চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুদ্ধ, বৈরি আবহাওয়া, সরবরাহে সমস্যার কারণে সারাবিশ্বে খাদ্য সংকটের ধারণা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে যদি মন্দা হয় তাহলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাবে। এর ফলে একটা একটা দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি হতে পারে।

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, দুর্ভিক্ষ হয় দুটো জিনিস যখন ঘটে। একটা হচ্ছে খাদ্যের যোগান যথেষ্ট না থাকা। আর দ্বিতীয়ত হচ্ছে যোগান থাকলেও মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ঘাটতি থাকা। ক্রয় ক্ষমতার ঘাটতি দু কারণে হতে পারে একটা হচ্ছে খাদ্যের মূল্য অনেক উচ্চ পর্যায়ে থাকে মানুষ কিনতে পারছে না। অথবা আয় যদি না থাকে। দুটোই বাংলাদেশে বিদ্যমান বর্তমানে।

পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কিছু উপায় তুলে ধরে ড. জাহিদ হোসেন বলেন, সংকটময় পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার একটাই উপায় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে জোর দিতে হবে বেশি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উপর নির্ভর করা যায় না।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের অভিজ্ঞতাটা অনেকটা একই ধরনের সমস্যা ছিল। প্রথমে বন্যা হলো আগস্টে, আবার বন্যা হলো সেপ্টেম্বরে। তারপর নভেম্বরে আসল সাইক্লোন ‘সিডর’ যার কারণে আমন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। আন্তর্জাতিক বাজারে কেউ চাল বিক্রি করছিল না। সবাই চালের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তখন বোরোতে বাম্পার ফলন প্রথম অগ্রাধিকার ছিল।

সেন্টার ফর পলিসি ডাযালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘এই মুহূর্তে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি না থাকলেও সরকার প্রধান একটা আগাম সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। যেন যারা উৎপাদক তারা উৎপান বাড়ায়। আর আয় থেকে ব্যয় কমিয়ে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিশ্বব্যাপী বর্তমান খাদ্য সরবরাহ এ রকম থাকলে, একটা সময় আসবে মানুষের কাছে টাকা থাকলেও দ্রব্যেমূল্যের উচ্চ হারের কারণে কিনতে পারবে না। তাই সরকারের উচিত খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচি বাড়ানো। যে এক কোটি কার্ড দেওয়ার কথা বলছে সেটি আরও বাড়ানো। শুধু নিম্নবিত্ত না, মধ্যবিত্তদেরকেও এর আওতায় আনার পরিকল্পনা করা দরকার।’

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯

ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় মদপানের ফলে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আরও ৯ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুই যুবকের মৃত্যু হয়। এর আগে, ঈদের সন্ধ্যায় তারা মদপান করেন এবং রাতের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মৃতদের মধ্যে রয়েছেন আশাশুনি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের জাফর আলী খাঁর ছেলে জাকির হোসেন টিটু (৪০) ও সোহরাব গাজীর ছেলে নাজমুল গাজী (২৬)।

এ ঘটনায় অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাহ্মণ তেতুলিয়া গ্রামের সাইদ সরদারের ছেলে ফারুক হোসেন, মোকামখালী গ্রামের কুদ্দুস সরদারের ছেলে ইমরান, মিত্র তেতুলিয়ার মর্জিনা খাতুনের ছেলে ইকবাল, কামরুলের ছেলে লিফটন, আজিবার সরদারের ছেলে রবিউল, শহীদ গাজীর ছেলে তুহিন, আনিসের ছেলে নাজমুলসহ আরও কয়েকজন।

গুরুতর অসুস্থদের মধ্যে ফারুক হোসেনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইমরানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঈদের দিন সন্ধ্যায় আশাশুনির তেতুলিয়া শ্মশানঘাট মাঠে বসে জাকির হোসেন টিটু, নাজমুল গাজীসহ মোট ১১ জন একসঙ্গে মদপান করেন। মদপানের পর তারা বাড়ি ফিরে যান এবং ঘুমিয়ে পড়েন।

এরপর রাত ১২টার দিকে একে একে সবাই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকির হোসেন টিটু ও নাজমুল গাজী মারা যান। বাকি ৯ জনের চিকিৎসা চলছে।

আশাশুনি থানার ডিউটি অফিসার এসআই ফিরোজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যু অন্য কোনো কারণে হয়েছে কিনা, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।"

নিহতদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইরানের অস্ত্র সংগ্রহ নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়।

এই পদক্ষেপকে ইরানের ওপর আরও চাপ সৃষ্টির একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে সতর্ক করে বলেছিলেন, নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে রাজি না হলে দেশটির ওপর বোমা হামলা চালানো বা নতুন শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ও বিচার বিভাগ যৌথভাবে জানিয়েছে, ইরানের ড্রোন কর্মসূচির অন্যতম প্রধান নির্মাতার জন্য মানববিহীন এয়ার ভেহিকল (ইউএভি)–এর উপকরণ সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত ছয়টি সংস্থা ও দুই ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, "ইরান তাদের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়াসহ তাদের প্রক্সিদের সরবরাহ করছে। রুশ বাহিনী এগুলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে, যা বেসামরিক নাগরিক, মার্কিন বাহিনী ও মিত্রদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা ইরানের সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্স এবং তাদের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রচলিত অস্ত্রের বিস্তার ব্যাহত করতে কাজ চালিয়ে যাব।"

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে একটি ইরান-ভিত্তিক সংস্থা, দুইজন ইরানি নাগরিক, একটি চীন-ভিত্তিক সংস্থা এবং চারটি সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক সংস্থা।

এ বিষয়ে জাতিসংঘে ইরানের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

Header Ad
Header Ad

বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের দোসররা বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, "পরাজিত শক্তি নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। তারা এই অবৈধ টাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করতে চায়।"

বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, "শেখ হাসিনা জঙ্গি দমনের নামে একটি নাটক সাজিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করেছেন। এটি মূলত ক্ষমতায় টিকে থাকার একটি রাজনৈতিক কৌশল ছিল। এমনকি একজন সাবেক আইজিপির বইয়েও এটি উঠে এসেছে।"

তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে উগ্রবাদের কোনো উত্থান ঘটেনি। বরং বর্তমানে দেশে ফ্যাসিবাদের কোনো ছোবল নেই, মানুষ নির্বিঘ্নে ধর্মপালন করতে পারছে, কথা বলতে পারছে। এবার মানুষ নির্ভয়ে ঈদ উদযাপন করেছে, যা অতীতে সম্ভব হয়নি।"

আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, "আওয়ামী লীগ বসে নেই, তারা কালো টাকা ব্যবহার করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তারা অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারাই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।"

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্দেশে মুগ্ধ ফাইয়াজদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু এ নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই। প্রশাসনের চারপাশে আওয়ামী লীগের দোসররা বসে আছে, যার ফলে দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।"

রিজভী আহমেদ দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, "নির্বাচনী সরকারই হচ্ছে বৈধ সরকার। নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি সাধারণ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হবে।"

তিনি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দ্রুত নির্বাচনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯
ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী
দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের ঘটনা ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আখাউড়ায় ট্রেনের ছাদে টিকটক বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, নিহত ২
বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার আহ্বান ভারতের ত্রিপুরার রাজপরিবার প্রধানের
বিএনপি কখনোই নির্বাচনের পরে সংস্কারের কথা বলেনি: মির্জা ফখরুল
বিরামপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনায় আটক ৫
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ভ্যাল কিলমার আর নেই
ময়মনসিংহে সিনেমা হলে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে দর্শকদের ভাঙচুর
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের তীব্র প্রতিক্রিয়া
মিয়ানমারের ভূমিকম্পে এক ইমামের ১৭০ স্বজনের মৃত্যু
ঈদের আনন্দে যমুনার দুর্গম চরে গ্রাম-বাংলার ঘুড়ি উৎসব, আনন্দে মেতে উঠে বিনোদনপ্রেমীরা!
ইমামকে ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিদায়, দেওয়া হলো ৯ লাখ টাকার সংবর্ধনা
লন্ডনে একসঙ্গে দেখা গেলো সাবেক চার আওয়ামী মন্ত্রীকে
ঢাকায় ফিরছে ঈদযাত্রীরা, অনেকে ছুটছেন শহরের বাইরে
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আবারও সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৭
বিটিভিতে আজ প্রচারিত হবে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা, নেই যানজটের চিরচেনা দৃশ্য
মাদারীপুরে তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২