রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

দুর্ভিক্ষের শঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা

চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সামনে কঠিন সংকটকাল আসছে। দুর্ভিক্ষের শঙ্কা মাথায় রেখে খোদ প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞরা পর্যন্ত বলছেন, সংকট মোকাবিলায় উৎপাদন বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।

ইতিমধ্যে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করে বলেছে, যে ২০২৩ সালে বিশ্বের ৪৫টি দেশে তীব্র খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাতে পুরো বিশ্বের ২০ কোটি মানুষের জন্য জরুরি সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী দুর্ভিক্ষের যে আগাম সতর্কবার্তা দিচ্ছেন তার যথেষ্ট কারণ আছে। বিশ্ব পরিস্থিতি সেদিকেই যাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব পরিস্থিতিকে টালমাটাল করে দিয়েছে। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে বৈরি আবহাওয়া। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশে দেশে খাদ্য উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে।

এই পরিস্থিতি সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। বিশেষ করে দেশজ খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে সরকার যে নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবারকে স্বল্পমূল্যে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে সেটাকে আরো বাড়াতে হবে। সঙ্গে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকেও খাদ্য সহায়তা দেওয়ার কথা এখন থেকে চিন্তাভাবনা করতে।

চলতি বছরের জুন মাসে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্টোনিও গুতেরেসও সতর্ক করে বলেছেন, ২০২২ সালে কয়েকটি দুর্ভিক্ষ ঘোষণার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে এবং ২০২৩ সালে সেটি আরও খারাপ হতে পারে।

সারাবিশ্বেই একটা খাদ্যাভাব দেখা দিতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশ্বায়নের এই যুগে বাংলাদেশও সংকটের বাইরে না। তাই আগ থেকে সতর্ক করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বিভিন্ন সময় বলে আসছেন, সামনে দুর্ভিক্ষ আসতে পারে, তাই এখন থেকেই সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। চাষযোগ্য ভূমিতে যেখানে যা হয় তাই উৎপাদন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

সরকার প্রধানের এমন সতর্ক বার্তায় সারাদেশের মানুষকে এক রকম ভাবনায় ফেলে দিয়েছে। আসলেই কি দুর্ভিক্ষ হচ্ছে? যদি চরম খাদ্যাভাব দেখা দেয় তাহলে সেটি মোকাবিলা করার মতো সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে কি না? সামনের দিনগুলোতে কি হবে? তবে প্রধানমন্ত্রীর সতর্ক বার্তা অমূলক নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্বায়নের যুগে বর্তমানে কোনো দেশ এককভাবে চলতে পারে না। তাই এক দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে অন্য দেশেও তার আঁচ লাগে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে নিষেধাজ্ঞা পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় বিপর্যস্ত পুরো বিশ্বের খাদ্য চেইন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় মূলত কোনও দেশে বা পুরো বিশ্বে যখন খাদ্যের সরবরাহ চেইন বাধাগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য অতি উচ্চ হারে বেড়ে যায়। তখন মানুষের ক্রয় করার মতো সামর্থ্য থাকে না। আবার অনেক সময় কেনার মতো মুদ্রা থাকলেও কাঙ্খিত পণ্যটি পাওয়া যায় না। এরমধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যদি মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দেয় তাহলে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কাটির যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ। তবে আশার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য পণ্যের অধিকাংশ দেশেই উৎপাদন হয়। আমদানি নির্ভরতা কম।

তবে শুধু ধান বা সবজি উৎপাদন করে দেশের মানুষের চাহিদা মেটানো সম্ভব না। দেশে উৎপাদিত গম দিয়েও দেশের মানুষের চাহিদা মেটানো সম্ভব না। তাই আমদানি করতে হয়। অন্য দিকে ধান উৎপাদন করতে হলে সার ও জ্বালানি অপরিহার্য। এই দুটোই আমদানি নির্ভর। তাই বড় একটা ঝুঁকি থেকেই যায়। বর্তমানে বিদ্যুতের যে পরিস্থিতি তাতে আগামী বোরো মৌসুমে বড় ধাক্কা আসতে পারে বলে মনে করেন অনেকে।

খাদ্য ঘাটতি হতে পারে যেসব কারণে তার কতগুলো কারণ চিহ্নিত করে সম্প্রতি (গত সেপ্টেম্বরে) প্রকাশিত এফএও এবং ডব্লিউএফপির যৌথ রিপোর্টে বলা হয়েছে, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে দুর্ভিক্ষের আশংকা প্রবল। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া এবং সাউথ সুদান। এ ছাড়া, ইয়েমেন এবং আফগানিস্তানেরও একই দশা।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- প্রথমত, যুদ্ধ এবং নানাবিধ সংঘাত খাদ্য ঘাটতির জন্য একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়াবে। পৃথিবীতে যত মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছে তার মধ্যে ৬০ শতাংশ বসবাস করে যুদ্ধ-বিগ্রহ কবলিত এলাকায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলতে থাকলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

দ্বিতীয়ত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণ। পৃথিবীর অনেক দেশ হয়তো বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে, নয়তো খরায় ভুগছে। এর ফলেও খাদ্য উৎপাদন ব্যহত হবার আশঙ্কা রয়েছে।

তৃতীয়ত, করোনাভাইরাস মহামারি বিশ্ব অর্থনীতিতে যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে সেটি এখনো কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়নি।

চতুর্থত, জীবনযাত্রার ব্যয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টিও খাদ্য ঘাটতির কারণ হতে পারে। খাদ্যদ্রব্যের দাম যে হারে বাড়ছে তাতে অনেকের জন্য খাদ্য কেনা কঠিন হয়ে যাবে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে ২০১৯ সালের তুলনায় এখন তাদের পরিচালনা ব্যয় যতটা বেড়েছে সেটি দিয়ে তারা প্রতিমাসে ৪০ লাখ মানুষকে খাওয়াতে পারতো।

দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা কতোটা দেখছেন-এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আগাম সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। আমাদের এই মুহূর্তে ধান, চালের যে মজুত তাতে আগামী ধান ওঠা পর্যন্ত কোনো সমস্যা হবে না। তারপরও যদি দৈব দুর্বিপাকের কারণে ফসল উৎপাদন ব্যহত তখন তো কিছু করার থাকে না। তাই আগে থেকেই যেন প্রস্তুতি থাকে সেজন্য কাজ করা হচ্ছে।’

তবে প্রধানমন্ত্রীর আশঙ্কার সঙ্গে একমত বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শঙ্কার যথেষ্ট কারণ আছে। বিশ্বব্যাপী এ রকম একটা আশঙ্কার কথা অনেকেই বলছে। যেহেতু ইউক্রেন হচ্ছে গ্রেনারি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড। সারাবিশ্বে গমের সরবরাহের প্রায় ২০-২২ শতাংশ আসে ইউক্রেন থেকে। বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞার কারণে উৎপাদন থাকলেও সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার যুদ্ধের কারণে উৎপাদনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

আবার বৈরি আবহাওয়ার কারণে ভয়াবহ বন্যায় পাকিস্তান ও ভারতে কিছু এলাকায় ধান এবং গমের চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুদ্ধ, বৈরি আবহাওয়া, সরবরাহে সমস্যার কারণে সারাবিশ্বে খাদ্য সংকটের ধারণা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে যদি মন্দা হয় তাহলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাবে। এর ফলে একটা একটা দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি হতে পারে।

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, দুর্ভিক্ষ হয় দুটো জিনিস যখন ঘটে। একটা হচ্ছে খাদ্যের যোগান যথেষ্ট না থাকা। আর দ্বিতীয়ত হচ্ছে যোগান থাকলেও মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ঘাটতি থাকা। ক্রয় ক্ষমতার ঘাটতি দু কারণে হতে পারে একটা হচ্ছে খাদ্যের মূল্য অনেক উচ্চ পর্যায়ে থাকে মানুষ কিনতে পারছে না। অথবা আয় যদি না থাকে। দুটোই বাংলাদেশে বিদ্যমান বর্তমানে।

পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কিছু উপায় তুলে ধরে ড. জাহিদ হোসেন বলেন, সংকটময় পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার একটাই উপায় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে জোর দিতে হবে বেশি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উপর নির্ভর করা যায় না।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের অভিজ্ঞতাটা অনেকটা একই ধরনের সমস্যা ছিল। প্রথমে বন্যা হলো আগস্টে, আবার বন্যা হলো সেপ্টেম্বরে। তারপর নভেম্বরে আসল সাইক্লোন ‘সিডর’ যার কারণে আমন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। আন্তর্জাতিক বাজারে কেউ চাল বিক্রি করছিল না। সবাই চালের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তখন বোরোতে বাম্পার ফলন প্রথম অগ্রাধিকার ছিল।

সেন্টার ফর পলিসি ডাযালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘এই মুহূর্তে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি না থাকলেও সরকার প্রধান একটা আগাম সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। যেন যারা উৎপাদক তারা উৎপান বাড়ায়। আর আয় থেকে ব্যয় কমিয়ে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিশ্বব্যাপী বর্তমান খাদ্য সরবরাহ এ রকম থাকলে, একটা সময় আসবে মানুষের কাছে টাকা থাকলেও দ্রব্যেমূল্যের উচ্চ হারের কারণে কিনতে পারবে না। তাই সরকারের উচিত খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচি বাড়ানো। যে এক কোটি কার্ড দেওয়ার কথা বলছে সেটি আরও বাড়ানো। শুধু নিম্নবিত্ত না, মধ্যবিত্তদেরকেও এর আওতায় আনার পরিকল্পনা করা দরকার।’

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে, এটি সংস্কার করা প্রয়োজন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ‘আমাদের রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে। এজন্য চেয়ারটি সংস্কার করা প্রয়োজন। এখন সময় এসেছে ঘুণপোকা ধরা চেয়ারটি পরিবর্তন করার।’

শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা জেলা এবি পার্টি আয়োজিত মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রফেসর ইউনুস যদি এই সময়টাতে হাল না ধরতেন, ২২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হওয়া বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হতে পারতো এবং আওয়ামী লীগের দাবি অনুযায়ী ক্ষমতা হারানোর পর তাদের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী মারা যেতে পারতো। এসবের কিছুই হয়নি।’ 

মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা।

সভায় বক্তারা বলেন, এবি পার্টি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে এবং আগামী দিনের রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এসময় দলকে তৃণমূল পর্যন্ত আরও সংগঠিত ও শক্তিশালী করতে সদস্যদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ‘বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন ইউনুস সরকার কিছু সম্ভাবনাময় অগ্রগতি দেখিয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখন বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে। রেমিটেন্সের গতি বেড়েছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার চাইলে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হতে পারে। এতে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা যাচাই হয়ে যাবে।

Header Ad
Header Ad

উত্তাল ইউআইইউ ক্যাম্পাস, ভিসি-ডিনসহ ১১ কর্মকর্তার পদত্যাগ

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র ছাত্র আন্দোলনের মুখে একযোগে পদত্যাগ করেছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (UIU) উপাচার্য, ডিন, বিভাগীয় প্রধানসহ মোট ১১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এই পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া হয়।

পোস্টে বলা হয়, “আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অযৌক্তিক দাবির প্রতিবাদে” উপাচার্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান এবং বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালকরা যৌথভাবে প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

পদত্যাগকারীদের মধ্যে যারা রয়েছেন: উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক এম রিজওয়ান খান (আইএআর নির্বাহী পরিচালক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক), অধ্যাপক নুরুল হুদা (কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান), অধ্যাপক ওমর ফারুক (অর্থনীতি বিভাগের প্রধান), অধ্যাপক হাসান সারওয়ার (সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন), অধ্যাপক খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন (আইরিকের পরিচালক), মো. কে. মাশুকুর রহমান (ইইই বিভাগের প্রধান), তাহমিনা ফয়েজ (ফার্মেসি বিভাগের প্রধান), সুমন আহমেদ (সিডিআইপির পরিচালক), জান্নাতুন নূর (ডেটা সায়েন্স প্রোগ্রামের পরিচালক), রফিকুল ইসলাম (বিজিই প্রোগ্রামের পরিচালক), অধ্যাপক আবু সাকলায়েন (আইএনএস পরিচালক)।

এর আগে একই দিন সকাল থেকে তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে ইউআইইউ শিক্ষার্থীরা। শুরুতে ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি চললেও পরে তারা আমরণ অনশনের ঘোষণা দেয়।

শিক্ষার্থীদের মূল দাবিগুলো:

১. কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রধান নুরুল হুদার বিরুদ্ধে ছাত্রদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে একক সিন্ডিকেট তৈরি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তার পদত্যাগ দাবি করা হয়।

২. মিডটার্ম পরীক্ষায় সময় ১৫ মিনিট কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে আগের সময় ফিরিয়ে আনার দাবি।

৩. ইমপ্রুভমেন্ট ফি পুনর্নির্ধারণসহ আগে স্বীকৃত সংস্কার দাবিগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান।

ক্যাম্পাসজুড়ে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে অনড়, অন্যদিকে প্রশাসনিক পদত্যাগের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ

এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ। ছবি: সংগৃহীত

সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের (এপ্রিল) মধ্যেই লন্ডন থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দেশে ফিরছেন। তার সঙ্গে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান এবং খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমানও দেশে ফিরছেন।

ঢাকা-লন্ডনের নির্ভরযোগ্য কূটনৈতিক সূত্রগুলো গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্রের বরাতে জানা গেছে, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। কাতারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি চলছে। আগামী বুধবারের (৩০ এপ্রিল) মধ্যে দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া। শাশুড়ির সঙ্গে দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান এবং সৈয়দা শামিলা রহমানও দেশে ফিরছেন।

ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়াকে লন্ডন থেকে দেশে ফেরাতে কাতারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের আয়োজন করতে গত সপ্তাহে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে চিঠি লিখেছেন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, তবে ‘আশঙ্কামুক্ত’ নয়। তথাপি তিনি এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে দেশে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ওনার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় চিকিৎসক বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফেরাতে পরামর্শ দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিএনপির মহাসচিবের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার লন্ডন ও দোহার বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দেশে ফেরাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে খালেদা জিয়া আগামী বুধবারের (৩০ এপ্রিল) মধ্যে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে একটি দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। কোভিড-১৯ মহামারির সময় বিগত সকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় কারামুক্তি দেয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দি ছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।

গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর লন্ডন ক্লিনিক থেকে গত ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অর্ধযুগের বেশি সময় পর এবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করেছেন খালেদা জিয়া। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কারাবন্দি অবস্থায় চারটি ঈদ কেটেছে কারাগারে ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।

বর্তমানে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন।

প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপারসন সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন সফর করেছিলেন। এরপর তার আর কোনো বিদেশ সফর হয়নি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাজনীতির চেয়ারে ঘুণপোকা ধরেছে, এটি সংস্কার করা প্রয়োজন: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
উত্তাল ইউআইইউ ক্যাম্পাস, ভিসি-ডিনসহ ১১ কর্মকর্তার পদত্যাগ
এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বিশাল নিয়োগ, পদ ৬০৮
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে: আলী রীয়াজ
মহেশপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান: ‍শেহবাজ শরীফ
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
পাকিস্তানে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলি, দুই সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭
টাঙ্গাইলে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২
হজের ফ্লাইট শুরু মঙ্গলবার, উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা
ইরানের বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৪, আহত সাড়ে ৭ শতাধিক
ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সিন্ধুর পানি ছাড়ল ভারত, হঠাৎ বন্যায় ডুবলো পাকিস্তানের কাশ্মীর
রিয়ালের হৃদয়ভাঙা রাত, কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা
উত্তরায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় তরুণ-তরুণীর মৃত্যু
জাতীয় গ্রিডে যান্ত্রিক ত্রুটিতে ১০ জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট
আবারও দুই ধাপে ৬ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
পাকিস্তানি হামলার আশঙ্কায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতীয়রা
চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করলো বিএনপি