বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১০ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দুর্ভিক্ষের শঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা

চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সামনে কঠিন সংকটকাল আসছে। দুর্ভিক্ষের শঙ্কা মাথায় রেখে খোদ প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞরা পর্যন্ত বলছেন, সংকট মোকাবিলায় উৎপাদন বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।

ইতিমধ্যে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করে বলেছে, যে ২০২৩ সালে বিশ্বের ৪৫টি দেশে তীব্র খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাতে পুরো বিশ্বের ২০ কোটি মানুষের জন্য জরুরি সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী দুর্ভিক্ষের যে আগাম সতর্কবার্তা দিচ্ছেন তার যথেষ্ট কারণ আছে। বিশ্ব পরিস্থিতি সেদিকেই যাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব পরিস্থিতিকে টালমাটাল করে দিয়েছে। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে বৈরি আবহাওয়া। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশে দেশে খাদ্য উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে।

এই পরিস্থিতি সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। বিশেষ করে দেশজ খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে সরকার যে নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবারকে স্বল্পমূল্যে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে সেটাকে আরো বাড়াতে হবে। সঙ্গে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকেও খাদ্য সহায়তা দেওয়ার কথা এখন থেকে চিন্তাভাবনা করতে।

চলতি বছরের জুন মাসে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্টোনিও গুতেরেসও সতর্ক করে বলেছেন, ২০২২ সালে কয়েকটি দুর্ভিক্ষ ঘোষণার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে এবং ২০২৩ সালে সেটি আরও খারাপ হতে পারে।

সারাবিশ্বেই একটা খাদ্যাভাব দেখা দিতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশ্বায়নের এই যুগে বাংলাদেশও সংকটের বাইরে না। তাই আগ থেকে সতর্ক করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বিভিন্ন সময় বলে আসছেন, সামনে দুর্ভিক্ষ আসতে পারে, তাই এখন থেকেই সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। চাষযোগ্য ভূমিতে যেখানে যা হয় তাই উৎপাদন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

সরকার প্রধানের এমন সতর্ক বার্তায় সারাদেশের মানুষকে এক রকম ভাবনায় ফেলে দিয়েছে। আসলেই কি দুর্ভিক্ষ হচ্ছে? যদি চরম খাদ্যাভাব দেখা দেয় তাহলে সেটি মোকাবিলা করার মতো সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে কি না? সামনের দিনগুলোতে কি হবে? তবে প্রধানমন্ত্রীর সতর্ক বার্তা অমূলক নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্বায়নের যুগে বর্তমানে কোনো দেশ এককভাবে চলতে পারে না। তাই এক দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে অন্য দেশেও তার আঁচ লাগে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে নিষেধাজ্ঞা পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় বিপর্যস্ত পুরো বিশ্বের খাদ্য চেইন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় মূলত কোনও দেশে বা পুরো বিশ্বে যখন খাদ্যের সরবরাহ চেইন বাধাগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য অতি উচ্চ হারে বেড়ে যায়। তখন মানুষের ক্রয় করার মতো সামর্থ্য থাকে না। আবার অনেক সময় কেনার মতো মুদ্রা থাকলেও কাঙ্খিত পণ্যটি পাওয়া যায় না। এরমধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যদি মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দেয় তাহলে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কাটির যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ। তবে আশার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য পণ্যের অধিকাংশ দেশেই উৎপাদন হয়। আমদানি নির্ভরতা কম।

তবে শুধু ধান বা সবজি উৎপাদন করে দেশের মানুষের চাহিদা মেটানো সম্ভব না। দেশে উৎপাদিত গম দিয়েও দেশের মানুষের চাহিদা মেটানো সম্ভব না। তাই আমদানি করতে হয়। অন্য দিকে ধান উৎপাদন করতে হলে সার ও জ্বালানি অপরিহার্য। এই দুটোই আমদানি নির্ভর। তাই বড় একটা ঝুঁকি থেকেই যায়। বর্তমানে বিদ্যুতের যে পরিস্থিতি তাতে আগামী বোরো মৌসুমে বড় ধাক্কা আসতে পারে বলে মনে করেন অনেকে।

খাদ্য ঘাটতি হতে পারে যেসব কারণে তার কতগুলো কারণ চিহ্নিত করে সম্প্রতি (গত সেপ্টেম্বরে) প্রকাশিত এফএও এবং ডব্লিউএফপির যৌথ রিপোর্টে বলা হয়েছে, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে দুর্ভিক্ষের আশংকা প্রবল। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া এবং সাউথ সুদান। এ ছাড়া, ইয়েমেন এবং আফগানিস্তানেরও একই দশা।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- প্রথমত, যুদ্ধ এবং নানাবিধ সংঘাত খাদ্য ঘাটতির জন্য একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়াবে। পৃথিবীতে যত মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছে তার মধ্যে ৬০ শতাংশ বসবাস করে যুদ্ধ-বিগ্রহ কবলিত এলাকায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলতে থাকলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

দ্বিতীয়ত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণ। পৃথিবীর অনেক দেশ হয়তো বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে, নয়তো খরায় ভুগছে। এর ফলেও খাদ্য উৎপাদন ব্যহত হবার আশঙ্কা রয়েছে।

তৃতীয়ত, করোনাভাইরাস মহামারি বিশ্ব অর্থনীতিতে যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে সেটি এখনো কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়নি।

চতুর্থত, জীবনযাত্রার ব্যয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টিও খাদ্য ঘাটতির কারণ হতে পারে। খাদ্যদ্রব্যের দাম যে হারে বাড়ছে তাতে অনেকের জন্য খাদ্য কেনা কঠিন হয়ে যাবে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে ২০১৯ সালের তুলনায় এখন তাদের পরিচালনা ব্যয় যতটা বেড়েছে সেটি দিয়ে তারা প্রতিমাসে ৪০ লাখ মানুষকে খাওয়াতে পারতো।

দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা কতোটা দেখছেন-এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আগাম সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। আমাদের এই মুহূর্তে ধান, চালের যে মজুত তাতে আগামী ধান ওঠা পর্যন্ত কোনো সমস্যা হবে না। তারপরও যদি দৈব দুর্বিপাকের কারণে ফসল উৎপাদন ব্যহত তখন তো কিছু করার থাকে না। তাই আগে থেকেই যেন প্রস্তুতি থাকে সেজন্য কাজ করা হচ্ছে।’

তবে প্রধানমন্ত্রীর আশঙ্কার সঙ্গে একমত বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শঙ্কার যথেষ্ট কারণ আছে। বিশ্বব্যাপী এ রকম একটা আশঙ্কার কথা অনেকেই বলছে। যেহেতু ইউক্রেন হচ্ছে গ্রেনারি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড। সারাবিশ্বে গমের সরবরাহের প্রায় ২০-২২ শতাংশ আসে ইউক্রেন থেকে। বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞার কারণে উৎপাদন থাকলেও সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার যুদ্ধের কারণে উৎপাদনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

আবার বৈরি আবহাওয়ার কারণে ভয়াবহ বন্যায় পাকিস্তান ও ভারতে কিছু এলাকায় ধান এবং গমের চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুদ্ধ, বৈরি আবহাওয়া, সরবরাহে সমস্যার কারণে সারাবিশ্বে খাদ্য সংকটের ধারণা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে যদি মন্দা হয় তাহলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাবে। এর ফলে একটা একটা দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি হতে পারে।

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, দুর্ভিক্ষ হয় দুটো জিনিস যখন ঘটে। একটা হচ্ছে খাদ্যের যোগান যথেষ্ট না থাকা। আর দ্বিতীয়ত হচ্ছে যোগান থাকলেও মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ঘাটতি থাকা। ক্রয় ক্ষমতার ঘাটতি দু কারণে হতে পারে একটা হচ্ছে খাদ্যের মূল্য অনেক উচ্চ পর্যায়ে থাকে মানুষ কিনতে পারছে না। অথবা আয় যদি না থাকে। দুটোই বাংলাদেশে বিদ্যমান বর্তমানে।

পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কিছু উপায় তুলে ধরে ড. জাহিদ হোসেন বলেন, সংকটময় পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার একটাই উপায় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে জোর দিতে হবে বেশি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উপর নির্ভর করা যায় না।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের অভিজ্ঞতাটা অনেকটা একই ধরনের সমস্যা ছিল। প্রথমে বন্যা হলো আগস্টে, আবার বন্যা হলো সেপ্টেম্বরে। তারপর নভেম্বরে আসল সাইক্লোন ‘সিডর’ যার কারণে আমন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। আন্তর্জাতিক বাজারে কেউ চাল বিক্রি করছিল না। সবাই চালের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তখন বোরোতে বাম্পার ফলন প্রথম অগ্রাধিকার ছিল।

সেন্টার ফর পলিসি ডাযালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘এই মুহূর্তে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি না থাকলেও সরকার প্রধান একটা আগাম সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। যেন যারা উৎপাদক তারা উৎপান বাড়ায়। আর আয় থেকে ব্যয় কমিয়ে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিশ্বব্যাপী বর্তমান খাদ্য সরবরাহ এ রকম থাকলে, একটা সময় আসবে মানুষের কাছে টাকা থাকলেও দ্রব্যেমূল্যের উচ্চ হারের কারণে কিনতে পারবে না। তাই সরকারের উচিত খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচি বাড়ানো। যে এক কোটি কার্ড দেওয়ার কথা বলছে সেটি আরও বাড়ানো। শুধু নিম্নবিত্ত না, মধ্যবিত্তদেরকেও এর আওতায় আনার পরিকল্পনা করা দরকার।’

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় দুই কোটি টাকার স্বর্ণসহ ৩ পাচারকারী আটক

চুয়াডাঙ্গায় দুই কোটি টাকার স্বর্ণসহ ৩ পাচারকারী আটক। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশনে অভিযান চালিয়ে ১ কেজি ৬৩০ গ্রাম ওজনের ১৪টি স্বর্ণের বারসহ ৩ পাচারকারীকে আটক করেছে। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক মূল্য দুই কোটি টাকা।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টার সময় চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশনে অভিযান চালিয়ে স্বর্ণের বারসহ তাদেরকে আটক করা হয়েছে।

আটক তিন কারবারি হলেন- দামুড়হুদা উপজেলার দশর্না পৌর এলাকার শ্যামপুর গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে মো. জাকিরুল ইসলাম (২৮), তার ছোট ভাই মো. রাজিবুল ইসলাম (২৫) এবং মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. সোলাইমান হোসেন (২২)।

বুধবার সন্ধ্যা ৭ টার সময় চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিজিবি সদস্যরা বিশেষ তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন বুধবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন এলাকা দিয়ে স্বর্ণের একটি চালান পাচার করা হবে। এ তথ্যের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমানের পরিকল্পনায় এবং নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন এলাকায় অবস্থান নেয়। বিকেল সাড়ে ৪ টার সময় ট্রেন থেকে নামা সন্দেহভাজন তিন ব্যক্তি স্টেশনে ঘোরাফেরা করতে দেখলে বিজিবি তাদেরকে গতিরোধ করে। পরবর্তীতে উক্ত ব্যক্তিরা পালানোর চেষ্টা করলে বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে ধাওয়া করে এবং ৩ জনকেই আটক করে। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এক পর্যায়ে তাদের শরীরে স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় ১ কেজি ৬৩০ গ্রাম ওজনের ১৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে বিজিবির নায়েক মো. জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করার পর আটককৃত আসামীদেরকে থানায় হস্তান্তর করেছে। জব্দকৃত স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিজিবি চুয়াডাঙ্গা ৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Header Ad
Header Ad

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধানবোঝাই ট্রাকের ধাক্কা, চালক-হেলপার নিহত

দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা পাথরবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ধানবোঝাই একটি ট্রাক দুর্ঘটনায় চালক ইসমাইল হোসেন (৬০) এবং হেলপার বাবু মিয়া (৪৫) নিহত হয়েছেন।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ঘোড়াঘাট উপজেলার কশিগাড়ি এলাকায় আলিশা ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ইসমাইল হোসেন বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বাসিন্দা এবং বাবু মিয়া ধুনট উপজেলার বেরইবাড়ী গ্রামের মৃত মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে।

ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পঞ্চগড়ের বোদা থেকে বগুড়ার দিকে ধান নিয়ে আসা একটি ট্রাক কশিগাড়ি এলাকায় পৌঁছালে, সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পাথরবোঝাই ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ধানবোঝাই ট্রাকটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই চালক ইসমাইল হোসেনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হেলপার বাবু মিয়াকে প্রথমে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনিও মারা যান।

ঘোড়াঘাট থানার ওসি নাজমুল হক জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর পাথরবোঝাই ট্রাকটি পালিয়ে যায়। ধানবোঝাই ট্রাকটি পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং এ ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

কুবির আরেক ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা

বিপ্লব চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মার্কেটিং বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ কর্মী বিপ্লব চন্দ্র দাসকে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বিপ্লব চন্দ্র দাস বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১৬ সালের আগস্টের প্রথম প্রহরে খুন হওয়া একই বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী খালিদ সাইফুল্লাহ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কোটবাড়ির গন্ধমতি এলাকা থেকে কোটবাড়ী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশের কাছে তুলে দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী মো. হান্নান রহিম বলেন, 'খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি এবং জুলাই বিপ্লবে ছাত্রদের ওপর নিযার্তনকারী ঘাতক বিপ্লব চন্দ্র দাসকে আমরা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছি৷ এরই ধারাবাহিকতা চলতে থাকবে। ক্যাম্পাসে যত সন্ত্রাসী আছে, স্বৈরাচারের যত দোসর আছে অতি শীঘ্রই ক্রমান্বয়ে আমরা সবাইকেই পুলিশের হাতে সোপর্দ করবো। আইন আমরা নিজেদের হাতে তুলে নিব না।'

কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসএম আরিফুর রহমান বলেন, 'স্থানীয় লোকজন এবং শিক্ষার্থীরা প্রথমে বিপ্লব চন্দ্র দাসকে আটক করে আমাদের ফোন দেয়। পরবর্তীতে আমাদের সদস্যরা গিয়ে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।'

এ ব্যাপারে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ করিম খান বলেন, 'সে ২৯ নম্বর মামলার আসামি। সেই প্রেক্ষিতে আটক করা হয়েছে।'

তবে এই মামলা কবে করা হয়েছে, কোন ধারায় করা হয়েছে, বাদী কে; সে সম্পর্কিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, আর আগে গত ১২ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মামা হোটেলের সামনে থেকে রাকেশ দাস এবং বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর মোড়ের পাকিস্তানি মসজিদের সামনে থেকে এসকে মাসুম নামের দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে কোটবাড়ী পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশের কাছে তুলে দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় দুই কোটি টাকার স্বর্ণসহ ৩ পাচারকারী আটক
দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধানবোঝাই ট্রাকের ধাক্কা, চালক-হেলপার নিহত
কুবির আরেক ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা
টাকার বিনিময়ে ভোট দিলে জুলুমের শিকার হবেন: সারজিস আলম
চাঁদপুরে জাহাজে সাত খুন: গ্রেপ্তার ইরফান ৭ দিনের রিমান্ডে
টাঙ্গাইলে শিক্ষিকাকে কু-প্রস্তাবের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত
ভারত থেকে ২৪ হাজার টন চাল আসছে বৃহস্পতিবার
৩০০ ফুট গভীর খাদে সেনাবাহিনীর ট্রাক, ভারতের ৫ সেনা নিহত
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধানের পদত্যাগ দাবি কর্মকর্তাদের
কাজাখস্তানে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, নিহত অন্তত ৪০ (ভিডিও)
গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ করে জার্সি তৈরি করল চিটাগং কিংস
ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে বিরামপুর সীমান্ত থেকে ২ যুবক আটক
৭ জানুয়ারি লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার জয়ের, বললেন ‘একদম ভুয়া’
ভারতের আসামে নারী-শিশুসহ ১৬ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
দ্রুত নির্বাচনের জন্য এত মানুষ শহীদ হয়নি: উপদেষ্টা আসিফ
আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালাল পাকিস্তান, নারী-শিশুসহ নিহত ১৫
ঘুমের ওষুধ খাইয়ে জাহাজের ৭ জনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়: র‍্যাব
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় পাঁচজন আটক
ফরিদপুর মেডিকেলে চিকিৎসকের ওপর ছাত্রলীগ কর্মীর হামলা