সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

জব্দ গাড়ি থানায় থাকে অযত্নে, গায়েব হয় মূল্যবান যন্ত্রাংশ

রাজধানী ঢাকার প্রায় প্রত্যেকটি থানা কম্পাউন্ড ও থানা সংলগ্ন এলাকায় গেলেই দেখা যায় শত শত গাড়ি, মোটরসাইকেল, রিকশাসহ বিভিন্ন রকম যানবাহনের ভাগাড়। লাখ লাখ টাকা দামের যানবাহনগুলো পড়ে আছে অযত্ন অবহেলায়। ডাম্পিং স্টেশন নামে পরিচিত ভাগাড়গুলোতে নেই কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা কিংবা কঠোর নজরদারি। ফলে হরদম গায়েব হচ্ছে এ সব যানবাহনের মূল্যবান যন্ত্রণাংশ।

দুর্ঘটনা, চুরি, মাদকসহ বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমায় আটক ভালো ভালো যানবাহনগুলোর স্থান হয় থানার ডাম্পিং এলাকায়। একবার থানায় ঢুকলে সেটি আর সহজে বের হতে পারে না। খোলা আকাশের নিচে দীর্ঘ সময় অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকার কারণে এক সময় দামি এ সব যানবাহন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। নষ্ট হয়। সরজমিন রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকা ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

যানবাহন মালিকদের অভিযোগ, নগরীর বিভিন্ন থানায়, থানার পাশে সড়কে বছরের পর বছর গাড়ি পড়ে থাকায় শুধু নষ্ট হচ্ছে না, বিভিন্ন মামলায় জব্দ হওয়া গাড়ির মূল্যবান মালামালও চুরি হয়ে যায়।

অবশ্য পুলিশ বলছে, ডাম্পিংয়ে অনেক গাড়ি রয়েছে, যেগুলোর মামলা এখনো চলছে। তা ছাড়া বিভিন্ন মামলার আলামতের গাড়িও এ সব স্থানে রাখা হয়।

রমনা বিভাগের শাহাবাগ থানার পেছনের ডাম্পিংয়ে তিন মাস ধরে পড়ে আছে একটি মোটরসাইকেল। মোটরসাইকেলের মালিক মো. মাহাবুব বলেন, ডাম্পিং থেকে মোটরসাইকেলটি আনতে গিয়ে দেখি গাড়ির হর্ন ও লুকিং গ্লাস নেই। ট্রাফিক পুলিশ মোমিনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আমি কিছু জানি না।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ডাম্পিং এ হাজার হাজার টাকার গাড়ি নষ্ট হচ্ছে এবং অনেক গাড়ির যন্ত্রপাতি চুরিও হচ্ছে ।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাম্পিংয়ে নাইনটি মডেলের একটি গাড়ি দুই মাস ধরে পড়ে ছিল। গাড়িটি বের করার পর গাড়ির মালিক শরিফুল ইসলাম বলেন, ডাম্পিং থেকে নিয়ে আসার সময় আমার গাড়ির দুইটা গ্লাসই ভাঙা পেয়েছি? ভালো গাড়ি রাখলাম আর গ্লাস ভাঙা গাড়ি বের করলাম।

রাজধানীর শেরেবাংলানগরের আগারগাঁও ও তালতলায় ডাম্পিংয়ে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, বাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা বছরের পর বছর খোলা আকাশের নিচে পড়ে রয়েছে। রোদে পুড়ছে, বৃষ্টিতে ভিজছে। চুরি হচ্ছে যন্ত্রাংশ। হারাচ্ছে ব্যবহারের উপযোগিতা। নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। একই চিত্র রাজধানীর প্রতিটি থানা ও আদালত প্রাঙ্গণে। হাজার কোটি টাকার যানবাহন অযত্ন-অবহেলায় খোলা আকাশের নিচে পড়ে রয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, ডাম্পিংয়ের ভেতরে বছরের পর বছর খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকায় যানবাহনগুলোর উপর লতাপাতা গজিয়েছে। প্রতিটি যানবাহনে মরিচা ধরেছে।

গাড়ি মালিকদের অভিযোগ, একটি গাড়ি যদি ১০-১৫ বছরে ফাঁকা জায়গায় পড়ে থাকে তাহলে সেই গাড়ির কিছুই থাকে না, এজন্য গাড়ির মালিকরা গাড়ি নিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকা মহানগর মালখানা পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ এ চার ভাগে বিভক্ত। জেলা মালখানা ঢাকার কালেক্টরেট ভবনের নিচতলায় এবং মহানগর মালখানা মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের ভিতরে রয়েছে ছোট বড় অনেকগুলো যানবাহন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব যানবাহন রাখা হয়েছে আলামত হিসেবে। আলামত জমতে জমতে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে বিচারিক হাকিম আদালতের সামনের চত্বর পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, লাইসেন্সবিহীন, চোরাই, দুর্ঘটনাকবলিত, মাদক বহনকারী, অবৈধ মালপত্রসহ বিভিন্ন কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেসব যানবাহন জব্দ করে, সেগুলো আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুলিশের নির্ধারিত ডাম্পিংয়ে রাখা হয়।

সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক পুলিশ বলছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মামলা হওয়ার পর আলামত হিসেবে যানবাহন আটকে রাখা হয়। এর মধ্যে কিছু যানবাহন আদালতের নির্দেশে মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে হয় মামলা নিষ্পত্তি পর্যন্ত। আর মামলার দীর্ঘসূত্রতাই আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা। মামলা নিষ্পত্তি হতে ১০ থেকে ১২ বছর লেগে যায়। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আদালত হয় গাড়ি মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিতে বলে, না হয় নিলামে বিক্রির আদেশ দেয়। কিন্তু নিলাম প্রক্রিয়া অনেক জটিল এবং সময়সাপেক্ষ। তা ছাড়া দীর্ঘদিন নিলাম না হওয়ায় এগুলো বিক্রিও করা যায় না।

পুলিশ বলছে, শুধু মোটরসাইকেল বাদে দিনে ২৫ থেকে ৩০টি গাড়ি আসে ডাম্পিং স্টেশনে। প্রচুর পরিমাণে মোটরসাইকেল রয়েছে যার হিসেব করা কঠিন। বিশেষ অভিযানের সময় ডাম্পিং স্টেশনে গাড়ি আসার পরিমাণও বেড়ে যায়। মামলার আলামতের পাশাপাশি বেওয়ারিশ গাড়িরও জায়গা হয় এখানে। দীর্ঘসময় পড়ে থাকায় একদিকে যেমন গাড়ি নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে রাস্তার ওপরে গাড়ি রাখায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। তা ছাড়া ডাম্পিং স্টেশনে গাড়ি আসামাত্র অল্প টাকায় বেহাত হতে থাকে এসব গাড়ির মূল্যবান যন্ত্রাংশ। এ ছাড়া ঘন লতাগুল্মের কারণে মশা প্রজননের কেন্দ্রবিন্দুও এ সব যানবাহন। নগর পরিকল্পনাবিদদের ধারণা, এই ডাম্পিং স্টেশনগুলো এডিস মশার অভয়ারণ্য।

এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ট্রাফিক) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ডাম্পিং ব্যবস্থার বিষয়টি হলো আদালতের বিষয়। ট্রাফিক পুলিশের কাজ হলো অবৈধ গাড়ি ধরে ডাম্পিংয়ে রাখা। পরে যে সব যানবাহনের নামে মামলা হয় সেগুলোর মামলা নিষ্পতি হলে ও আদালতের অনুমতিপত্র পেলে আমরা ওই সব যানবাহন ছেড়ে দেই।

তিনি বলেন, অনেক গাড়ির মালিক মামলা নিষ্পত্তি হলেও তাদের যানবাহন নিতে আসে না। অনেক মালিককে পাওয়া যায় না। সেই ক্ষেত্রে আমরা ওই সব গাড়ির বিষয়টি আদালতে জানাই। আদালত একটি নিয়মে নিলামের জন্যে আদেশ দেন। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি। এরপরও এমন কিছু গাড়ি আছে যা নিলামে উঠলেও কেউ নিতে চায় না। যে কারণে ওই সব গাড়ি ডাম্পিংয়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। তিনি বলেন,যেসব গাড়ি নিলামে বিক্রি হয় সেগুলোর টাকা সরকারের রাজস্বখাতে জমা হয়।

পুলিশ সূত্র বলছে, মাদক বা চুরির মামলার কারণে যেসব গাড়ি আটক হয় এ সব গাড়ি কেউ নিতে আসে না।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার বলেন, আমাদের থানায় বেশ কিছু যানবাহন পড়ে আছে এগুলোর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। মামলা শেষ হলে গাড়ির মালিকরা এসে গাড়ি নিয়ে যাবেন।

ডাম্পিংয়ে থেকে অনেক গাড়ি নষ্ট হচ্ছে এবং গাড়ির বিভিন্ন মালামাল চুরি হচ্ছে— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, থানায় আটক হওয়া গাড়ির মালামাল চুরি হওয়ার কোনো অপশন নেই। হয়ত চোখের আড়ালে কিছু বিছিন্ন ঘটনা ঘটে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সক্রিয় সদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এদের মধ্যে বাকি ৫ জন চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১টি অটো চার্জার ভ্যান এবং ১৯টি অটো চার্জার ভ্যানের ব্যাটারিসহ ১৫০ কেজি খুচরা যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহীর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ফারজানা হোসেন এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, জেলার পোরশা উপজেলার সোভাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল জব্বার (৪০) চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পাথরপূজার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে নুরুজ্জামান (৪০) এবং নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩০)।

গ্রেপ্তারকৃত চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সদস্যরা হলেন, জেলার মান্দা উপজেলার উত্তর কাঞ্চন গ্রামের আলম খানের ছেলে শহিদ খান (৩৪) একই গ্রামের পরেশ আলী মৃধার ছেলে কাওছার আলী মৃধা (২৪), উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের তমিজউদদীন মোল্লার ছেলে আব্দুল মতিন মোল্লা (৫০), কামারকুড়ি গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪২) এবং শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান মন্ডলের ছেলে আজিজুল মন্ডল(৬৪)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন বলেন, বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত অনুমানিক ৮ টার দিকে সাপাহার থানার নোচনাহার বাজার থেকে সাদিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক অটো চার্জার ভ্যান চালক তার নিজের অটো চার্জার ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে সাপাহার থানাধীন ইলিমপুর মোড় হইতে হরিপুর বাজারগামী রোডে ইলিমপুর ব্রীজের নিকট পৌছাতেই রাস্তার পাশে ওৎপেতে থাকা ০৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার অটো চার্জার ভ্যান থামিয়ে তাকে ভ্যান থেকে টেনে নামায় এবং তার গলার চাকু ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে পাশের আম বাগানে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে।

পরবর্তীতে তারা সাদিকুলের অটো চার্জার ভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অপর আরো একটি ঘটনায় একই ডাকাত দল গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পোরশা থানার সরাইগাছি - আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের মশিদপুর এলাকায় এক অটো চার্জার ভ্যান চালককে আটক করে। তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার অটো চার্জার ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এই দুই ঘটনায় পোরশা এবং সাপাহার থানায় আলাদা দুইটি মমলা হয়। মামলার পর থেকেই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবির) একটি বিশেষ টিম অভিযান অব্যাহত রাখে। গতকাল (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহী জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩ জন ডাকাত এবং চোরাই ভ্যানের মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত এমন ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফারজানা হোসেন আরও বলেন, গ্রেফাতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে মোহাম্মদ সেলিম (৩০) বহুল আলোচিত সাপাহার উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ হিল কাফি হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী। সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। এছাড়াও ডাকাত আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০ টি এবং ডাকাত নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪ টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুমন রঞ্জন সরকার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি ডিবি) আব্দুল মান্নানসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়াল সম্প্রতি এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। ‘ঘাতক’ ছবির শুটিং চলাকালে হাঁটুর মারাত্মক আঘাতের পর দ্রুত সেরে ওঠার জন্য তিনি নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।

রাকেশ পান্ডের সঙ্গে একটি দৃশ্যের শুটিং চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আঘাতের পর পরিচালক তিন্নু আনন্দ ও অভিনেতা ড্যানি দেনজোংপা তাকে দ্রুত মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে গভীর উদ্বেগে ছিলেন পরেশ রাওয়াল। তখনই প্রয়াত অ্যাকশন ডিরেক্টর বীরু দেবগণ তাকে পরামর্শ দেন প্রতিদিন সকালে নিজের মূত্র পান করার জন্য। বীরু দেবগণের যুক্তি ছিল, বহু যোদ্ধা শরীরের দ্রুত আরোগ্যের জন্য এমন পদ্ধতি অনুসরণ করতেন। পরেশ রাওয়াল সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি তখন এমন এক মানসিক অবস্থায় ছিলেন যে সুস্থতার জন্য যেকোনো কিছু করতে রাজি ছিলেন।

 

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টানা ৩০ দিন নিজের মূত্র পান করেন পরেশ। পরে চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চমকপ্রদ ফলাফল পান। চিকিৎসকদের মতে, তার চোট সারাতে যেখানে আড়াই মাস সময় লাগার কথা ছিল, সেখানে তিনি মাত্র দেড় মাসেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

বর্তমানে পেশাগত জীবনেও ব্যস্ত সময় পার করছেন পরেশ রাওয়াল। শিগগিরই তিনি প্রিয়দর্শনের পরিচালনায় নির্মিত হরর-কমেডি 'ভূত বাংলা' ছবিতে অক্ষয়কুমার ও টাবুর সঙ্গে অভিনয় করবেন। পাশাপাশি ‘হেরা ফেরি ৩’-তেও পুরনো সহ-অভিনেতা অক্ষয়কুমার ও সুনীল শেঠির সঙ্গে আবার পর্দা ভাগ করবেন।

 

Header Ad
Header Ad

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, "শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।" তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ