বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আন্দোলনের বিকল্প দেখছে না বিএনপি

২০০৬ সালের পর থেকে বিএনপির সময় ভালো যাচ্ছে না, শত চেষ্টা করেও ঘুরে দাঁড়াতে হিমশিম খাচ্ছে দলটি। শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজনীতে সক্রিয় হতে পারছেন না। আর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দণ্ড মাথায় নিয়ে লন্ডনে বসবাস করছেন।

এই পরিস্থিতিতে ও বর্তমান প্রেক্ষাপটে আলাপ-আলোচনায় সংকট সমাধানের কোনো পথ দেখছেন না বিএনপি নেতারা। তারা বলছেন, আলোচনার পথ একবারেই সংকীর্ণ হয়ে গেছে। এখন আন্দোলনের আর কোনো বিকল্প নেই। রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমেই বর্তমান সরকারের পতন ঘটানোই হচ্ছে এখন বিএনপির ধ্যান-জ্ঞান।

২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে দলীয় ও জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুতে রাজপথের আন্দোলনে ছিল বিএনপি। ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনের আগে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতেও টানা কঠোর আন্দোলনে ছিল দলটি। ওই নির্বাচন বর্জনের পরেও লাগাতার অবরোধে ছিল দলটি যা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে প্রত্যাহার করা হয়নি। কিন্তু সেই আন্দোলন সফলতার মুখ দেখেনি। তারপরও একই দাবিতে সোচ্চার থেকেও শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালে দলীয় সরকারের অধীনেই একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

দলটিকে তাদের নির্বাচনী ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ফল বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে। এরপরেও স্থানীয় নির্বাচনগুলোতেও বিএনপি অংশ নেয়। কিন্তু ‘ফলবিহীন’ এসব নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে দলের অভ্যন্তরে ভিন্নমত ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় দলীয়ভাবে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। এখন রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমেই নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে চায় দলটি।

সংশ্লিষ্ট নেতারা বলছে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার হলেও সরকারের বিরুদ্ধে মাঠের আন্দোলনে অনেকাংশে সতর্ক বিএনপি। এবার কিছুটা ভিন্ন পদ্ধতিতে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পরিকল্পনার ছক করা হচ্ছে। বিএনপির চলমান আন্দোলন কর্মসূচি দমনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ আগেভাগেই হামলা ও মামলার পথে হাঁটছে, তাতে মাঠপর্যায়ে শক্ত অবস্থান নেওয়া ক্ষেত্রে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। বিএনপি হাইকমান্ডও এটাও মনে করছে, রাজপথের আন্দোলনের মধ্য দিয়েই সব সমস্যার সমাধান হবে। সেটা মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন দলের নেতা-কর্মীরা।

বিএন‌পির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘দেশব্যাপী বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি যেভাবে হামলা চালানো হচ্ছে, গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। তারপরও নেতা-কর্মীরা কর্মসূচি বাস্তবায়নে কতটা কমিটেড; যেভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে এতে করে আমরা অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব বলে আশাবাদী। কারণ, অতীতে এই দেশে ন্যায্য দাবি আদায়ে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামের রক্ত বৃথা যায় নাই। রক্ত কখনো বৃথা যায় না। আগামী দিনে এই রক্তের হিসাব বর্তমান সরকারের কাছ থেকে এদেশের জনগণ আদায় করে নেবে।’

তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে আলাপ-আলোচনায় যেমন অনেক কিছুর সমাধান হয়; তেমনিভাবে আলাপ আলোচনায় যা সম্ভব হয় না তা আন্দোলনেই সম্ভব হয়। দেশের অতীত ইতিহাস তাই বলে; অনেক অসাধ্য কাজ আন্দোলনের মাধ্যমেই সফলতার মুখ দেখেছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিএনপিকে কোণঠাসা করে রাখার নানা কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে। বিশেষ করে নির্বাচন কেন্দ্রিক বিকল্প জোট দাঁড় করানো, বিএনপির মধ্যে ভাঙন ধরানো, দলটির মিত্রদের কাছে টানার কৌশল নিয়েছে। এ ছাড়া, সরকার ও সরকারি দল বিরোধী নেতা-কর্মীদের ভয় দেখাতে হামলা-মামলার পথে হাঁটা, বিএনপিকে আর্থিকভাবে সহায়তা করে এমন নেতাদের নানানভাবে হয়রানি করা, প্রয়োজনে শারীরিকভাবে আঘাত করতেও পিছপা হবে না। মূলত কর্মসূচিতে এই মুহূর্তে বাধা তৈরি করার মধ্য দিয়ে বিএনপিকে দুর্বল অবস্থায় রাখতে চায় ক্ষমতাসীনরা। এসব কারণে মাঠের আন্দোলনে যেমন সতর্ক বিএনপি, তেমনি ঐক্যবদ্ধতা অটুট রেখে যুগপৎ আন্দোলনে যেতে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশে রাখতে চেষ্টা অব্যাহত আছে।

বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, রাজনীতিতে সমঝোতার লক্ষণ দেখছে না বিএনপি। তাই দাবি আদায়ে রা আন্দোলনের পথেই হাঁটতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। রাজপথ আন্দোলনেই দাবি আদায় করা হবে। নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। আন্দোলন সফল করতে যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা। আন্দোলন করতে ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না; প্রশ্নই উঠে না শেখ হাসিনাকে সরকার প্রধান রেখে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার।’

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘বিগত সংসদ নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তখন সে নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও এবার আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না। শুধু তা-ই নয়, আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এর আগে ঐক্যবদ্ধভাবে ঘোষণা দিয়েছে।
আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী দিনে দেশ কীভাবে এগোবে তার ফয়সালা হবে রাজপথে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। একইভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে পুরনো মামলায় সারা দেশের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করতে শুরু করেছে। হামলা-মামলা করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। এলাকার নেতা-কর্মীদের নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মোকাবিলা করার যথেষ্ট শক্তি আমাদের রয়েছে। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে সারাদেশে আওয়ামী লীগকে শক্তভাবে মোকাবিলা করব।’

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত