বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জোট আছে, জোট নেই

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এখন অনেকটাই অকার্যকর। অনেক দিন ধরেই সম্মিলিতভাবে জোটের কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখা যাচ্ছে না। বিগত দুই-তিন মাস ধরে বিএনপি এককভাবে সরকারবিরোধী কর্মসূচি পালন করছে। জোটের অন্য কোনো দলকে তেমন একটা কর্মসূচি পালন করতে দেখা যাচ্ছে না। অধিকাংশ দলই বিবৃতি নির্ভর। বিএনপি নেতারাও বলছেন, ‘২০ দলীয় জোট বা অন্য জোটের ভবিষ্যৎ কী হবে তা সময়ই বলে দেবে।’

এই যখন ২০ দলীয় জোটের অবস্থা তখন জোটের শরিকদের মধ্যে কানাঘুষা শুরু হয়েছে। জোটের শরিক দলের নেতারা আশঙ্কা করছেন, যেকোনো সময় জোটের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর গত ১৩ সেপ্টেম্বর গুলশানে ২০ দলীয় জোট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা যুগপৎ আন্দোলনে আছি। আমরা সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান করেছি যুগপৎ আন্দোলন করার জন্য।’

জোটের বর্তমান অবস্থা নিয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘জোটের প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যায়নি, এখনো আছে। এই মুহূর্তে জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে বিএনপি হয়তো চলতে চাচ্ছে না। তাই কিছুটা কৌশলগত অবস্থান থেকে ২০ দলীয় জোটকে এড়িয়ে যাচ্ছে বিএনপি। তবে এটাও ঠিক দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত জোট নিয়ে বিএনপি যদি মনে করে নির্বাচন আসলে তারা ক্ষমতায় চলে আসবে সেটা তাদের ভুল ধারণা। কারণ আমরা সামনে নির্বাচন দেখি না, দেখছি আন্দোলন, সংঘর্ষ, সংঘাত ও রক্ত।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপির কাছে ২০ দলীয় জোটের সম্মান বা কদর কতটুকু আছে তা আমাদের চেয়ে ভালো করে বিএনপিই বলতে পারবে। আপনারাও কিছুদিন অপেক্ষা করেন সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। তারা যদি মনে করে জোটকে বাদ দিয়েই তাদের লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে সেটা ভিন্ন কথা। তবে বিএনপি ছেড়ে দিলেও ২০ দলীয় জোটের দলগুলোকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের পক্ষে নিতে এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। সে কথাটাও বিএনপি নেতৃত্বকে মনে রাখতে হবে। জোট ছেড়ে দেওয়া মনে হয় না বিএনপির জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বর্তমানে এই জোট নেতৃত্ব শূন্যতায় আছে। জোটের কার্যক্রম কিছুটা স্তিমিত।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির একজন সদস্য ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘২০ দলীয় জোট হচ্ছে নির্বাচন কেন্দ্রিক একটি জোট। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ জোটকে মূলত নির্বাচনী জোট হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বিএনপি। এখন জোট প্রধান দল যেহেতু নির্বাচন নিয়ে ভাবছে না সেই অর্থে জোটের কোনো কার্যক্রম নেই বললেই চলে। তবে আমাদের মধ্যে প্রায় সময় অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণভাবে জামায়াত-বিএনপির সম্পর্কে ফাটল নেই। সম্পর্ক আগে যেমন ছিল ঠিক তেমনই আছে।’

জোট শরিক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘যুগপৎ আন্দোলনের পরিবেশ পরিস্থিতি এই মুহূর্তে বাংলাদেশে নেই। যুগপৎ আন্দোলন হতে পারে জোটবদ্ধ হয়ে। সেক্ষেত্রে হতে পারে একাধিক জোট। যেখানে বিএনপির মতো একটি জনসমর্থিত রাজনৈতিক দল কর্মসূচি পালনে সরকারি দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রের মুখে কোণঠাসা। সেখানে অন্য কোনো দল এককভাবে আন্দোলনে রাজপথে সুবিধা করতে পারবে না।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘২০ দলীয় জোট আছে, তবে নিষ্ক্রিয় বা অকার্যকর বলা যেতে পারে। জোটের প্রধান দল বিএনপির উচিত হবে এখনই ২০ দলীয় জোটকে গুরুত্ব দিয়ে রাজপথে একত্রে সরকারবিরোধী আন্দোলনে অগ্রসর হওয়া।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘সরকারবিরোধী সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে রাজপথে আন্দোলন কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যারা গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে এমন রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে একসঙ্গে বা যুগপৎ আন্দোলন হতে পারে। আর ২০ দলীয় জোট বা অন্য জোটের ভবিষ্যত কী হবে তা সময়ই বলে দেবে।’

জোট শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেছিলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ ২০ দলীয় জোটের মিটিং হচ্ছে না, এটা যেমন বাস্তব। তাহলে এটা আছে বললেও সঠিক, আবার নেই বললেও সঠিক। দুই পা দুই দিকে, সেটাও সঠিক। আমরা আশা করছি, জোটের প্রধান শরিক একটা সিদ্ধান্ত নেবে। কারণ তারা বারবার বলছে তারা বৃহত্তর ঐক্য চায়। কিন্তু সেটার রূপরেখা এখনো উপস্থাপিত হয়নি।’

জোটের নেতারা জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০ দলীয় জোট গঠন করেন। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না, এমন শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পেয়েছেন। আর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় দণ্ড নিয়ে রয়েছেন দেশের বাইরে। মূলত সঠিক নেতৃত্বের অভাবে ২০ দলীয় জোট অনেকটাই পথহারা। জোটের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি তাদের কোনো রাজনৈতিক যোগাযোগ নেই, যেটা আছে সেটা লোক দেখানো।

সংশ্লিষ্টদের মতে, জোটের ভেতরে শুধুমাত্র জামায়াতে ইসলামী ছাড়া বাকি দলগুলোর রাজনৈতিক শক্তি তেমন একটা নেই। সেই জামায়াত সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ওটার ব্যাপারে আমি জবাব দিয়ে দিয়েছি আপনাদের। আমরা এখন যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলছি। বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে বুঝতে হবে, আমরা যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলছি। সব দল, সব মতকে সঙ্গে নিয়ে আমরা যুগপৎ আন্দোলন করব। আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, যেকোনো দল, যেকোনো সংগঠন এই কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলে তাদের সবাইকে নিয়ে আমরা যুগপৎ আন্দোলন করব।’

বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যে জোটের শরিক দলগুলোর নেতারা প্রশ্ন রাখেন, তবে তাই যদি হয় তাহলে এখন আবার যুগপৎ আন্দোলনে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে কেন পাশে পেতে চায়?

বিএনপি নেতারা বলছেন, বিএনপি রাজনৈতিকভাবে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বড় দল। সেখান থেকে দু-একটি রাজনৈতিক দল জোটে না থাকলেও যেমন ক্ষতি হবে না। জোটে থাকলেও খুব একটা লাভ হবে না। ২০ দলীয় জোট ঘোষণায় আছে, হয় তো আনুষ্ঠানিকভাবে জোটগত কার্যক্রম থাকবে না।

অবশ্য জোটের শরিক দলগুলোকে বিএনপি কোনোভাবেই উপেক্ষা করছে না বলেও দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেছেন, সম্প্রতি জোটের অধিকাংশ দলের সঙ্গে সংলাপও করা হয়েছে। তাই ঢাকাপ্রকাশ-এর কাছে ২০ দলীয় জোটের এ ধরনের অভিযোগ একবারেই ভিত্তিহীন বলেও যোগ করেন তিনি।

এনএইচবি/এসজি

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত