সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মিনিকেট নামে প্যাকেটজাত করে ভোক্তার পকেট কাটছে সুপারশপগুলো

‘মিনিকেট’ নামে কোনো ধান নেই। অথচ এ নামেই বাজারে চাল বিক্রি করে বেশি মূল্য নেওয়া হচ্ছে। কাটা হচ্ছে ভোক্তার পকেট। সরকারের কৃষিমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকারও বলছে, মিনিকেট নামে কোনো ধান নেই। এটা ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা।

আর যেসব প্রতিষ্ঠান মিনিকেট নাম দিয়ে চাল বিক্রি করছে তাদের প্রতিনিধিরাও বলছেন, মিনিকেট নামে ধান নেই। সরকার চাইলে এগুলো বন্ধ করে দিতে পারে। আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও সুপারশপ ঘুরে দেখা গেছে, মিনিকেট নামে ধানের কোনো জাত না থাকলেও সাধারণ ধান থেকে উৎপাদিত চালকে চিকন করে মিনিকেট নামে ‘সরু চাল’ রাজধানীসহ সারাদেশের বাজারে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। চাল উৎপাদনকারি বিভিন্ন মিলমালিকরা মিনিকেট নাম দিয়ে সেই চাল প্যাকেটজাত করে ৭০ থেকে ৮৪ টাকা কেজি দরে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করছে। এক্ষেত্রে এসিআইর ৫ কেজি মিনিকেট চাল বিভিন্ন সুপারশপে বিক্রি করা হচ্ছে ৩৪৮ টাকায়। ভোক্তাদের সেই চাল কিনতে হচ্ছে ৪২০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি কেজি ৮৪ টাকা। ২০ শতাংশ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। একইভাবে প্রাণ ৫ কেজি চাল ৩৮৭ টাকা বিক্রি করছে, ভোক্তাদের তা কিনতে হচ্ছে ৪৪০ টাকায়। তীর ব্র্যান্ডের ৫ কেজির চাল ৩৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সুপারশপসহ বিভিন্ন মুদি দোকানে। ভোক্তাদের সেই চাল কিনতে হয় ৪১০ টাকায়।

এক্ষেত্রে আগোরা, মিনাবাজারসহ বিভিন্ন সুপারশপ ও বড় মুদি দোকানিরা লাভ করছেন ৫৫ টাকা বা ১৬ শতাংশ। এ ছাড়া চিনিগুড়া আতপ চাল, প্রাণ, চাষী কোম্পানির ৫ কেজির চাল ২১ শতাংশের বেশি দরে ভোক্তাদের কিনতে হচ্ছে। এর সঙ্গে সুপারশপের ভ্যাটও রয়েছে চার-পাঁচ শতাংশ। এভাবে ভোক্তাদের অজান্তেই প্যাকেটজাতের নামে ভোক্তাদের পকেট থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা করপোরেট কোম্পানিগুলোর কাছে চলে যাচ্ছে।

মিনিকেট চালের নামে বেশি দামে চাল বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে এসিআইর এজিএম (রাইস) মো. রুবেল পারভেজ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘সুপারশপে সরবরাহ করা চালের মূল্য আমাদের কোম্পানি থেকে নির্ধারণ করা হয়। কোয়ালিটি ভালো। তাই দামও বেশি। বাজারে ২৫ কেজি ও ৫০ কেজির যে চালের প্যাকেট বিক্রি করা হয় তার চেয়ে ভালো কোয়ালিটি ৫ কেজির মিনি প্যাকেটের। এ ছাড়া প্যাকেটিং খরচও প্রতি কেজিতে পাঁচ টাকা করে। সুপাশপের চাল বগুড়ার নন্দীগ্রামের বাজার থেকে বেশি দামে কেনা হয়। বোরো মৌসুমের ৮০ শতাংশ জিরাশাইল ধান থেকে এই মিনিকেট চাল করা হয়। অর্থাৎ মিনিকেট নামে কোনো ধান নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে এসিআইর বিজনেস ম্যানেজার মো. জহিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’

সিটি গ্রুপের তীর ব্রান্ডের ৫ কেজি প্যাকেটের ক্রয়মূল্য ৩৫৫ টাকা। সেই প্যাকেট ৪১০ টাকায় বিভিন্ন সুপারশপসহ বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এটা বাজারের চেয়ে বেশি দাম কি না জানতে চাইলে সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘ আমাদের করার কিছু নেই। ট্যারিফ কমিশনের বেঁধে দেওয়া দামেই এটা বিক্রি হচ্ছে। পরিবেশকদের ৩ টাকা ও খুচরা বিক্রেতাদের ৫ টাকা কমিশন দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্যাকেটের খরচও আছে। এই চালের কোয়ালিটি ভালো। তাই দামও বেশি।‘

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ হ্যাঁ, অন্য ধান থেকে উৎপাদিত চালকে মিনিকেট নামে ব্র্যান্ড করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। সরকার বা খাদ্য মন্ত্রণালয় চাইলে এটা বন্ধ হয়ে যাবে। তখন আর বেশি দামে ভোক্তাদের কিনতে হবে না।’

প্রাণ গ্রুপের ৫ কেজির ‘প্রাণ মিনিকেট’ চালও বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ টাকা দামে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রাণের সিনিয়র ম্যানেজার নিয়াজ মোরশেদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘কোয়ালিটি ভালো হওয়ায় দামও বেশি। এই বাড়তি দাম থেকে পরিবেশকদের ৩ শতাংশ ও খুচরা বিক্রেতাদের ১১ শতাংশ কমিশন দেওয়া হয়। তবে সুপারশপ এই চাল বিক্রি করলে কমিশনের পুরোটাই তারা পায়। এ ছাড়া ৫ কেজির প্যাকেটে খরচও হয় ২৫ টাকা। তাই বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। আমাদেরও ২৫ বা ৫০ কেজির বস্তা চাল ১৭০০ টাকা থেকে ৩৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজির দাম ৬৮ টাকা।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা কৃষকের কাছ থেকে মিনিকেট নামেই ধান কিনি। তাই মিনিকেট ব্রান্ড নামেই বিক্রি করা হচ্ছে। সরকার বন্ধ করে দিলে আমাদের আপত্তি নেই।’

উল্লেখ্য, প্যাকেটজাতের নামে বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো চাল, ডাল, লবণসহ প্রায় সব নিত্যপণ্য বেশি দামে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করছে। এমন অভিযোগ পাওয়ায় জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) করপোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে। সেখানে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মিনিকেট নামে কোনো ধানের জাত নেই। সুতরাং এই নামে চাল বিক্রি করা হচ্ছে ভোক্তার সঙ্গে সরাসরি প্রতারণা।

এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ‘মিনিকেট নামে কোনো ধানের জাত নেই। মোটাচাল কেটে চিকন করে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। বেশি দামে মিনিকেট ব্রান্ড করে বিক্রি করা হচ্ছে। তাই কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, মিলমালিকসহ সবার সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আসলে বিষয়টা হলো এ মুহূর্তে অভিযান করে মিনিকেট বন্ধ করে দিলে একই চাল নতুন নামে বাজারে আসবে। এটা কোনো সমাধান নয়। তাই সরকারিভাবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে প্যাকেটজাত পণ্যের মূল্য বেশি। এটা কমাতে হবে। কারণ অন্য চালের দাম বেড়ে যাচ্ছে।’

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারও মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বলেছেন, ‘মিনিকেট বলে কিছু নেই। একসময় ভারত থেকে চিকন চালের বীজ আনা হতো মিনি সাইজের প্যাকেটে করে। এই হলো মিনিপ্যাক। এই বীজকে আমরা নাম দিয়েছি মিনিকেট চাল। ভোক্তা অধিকার এই মিনিকেট নাম উচ্ছেদ করতে অভিযান চালাতে পারে। আমাদের সে সক্ষমতা নেই।’

উল্লেখ্য, এবার বোরো ধানের ভরা মৌসুমেও চালের দাম কমেনি। বরং ক্রমান্বয়ে দাম বাড়তে থাকে। সরকার চাল আমদানির উপর ট্যাক্স কমানোর পরও বাজারে এর প্রভাব পড়ছে না। বাধ্য হয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে যায়। ভোক্তা অধিদপ্তর বিভিন্ন বাজার ও সুপারশপে অভিযান পরিচালনা করে একটা তালিকা করে। তাতে প্যাকেটজাত চালের বেশি দাম ধরা পড়ে। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডেকে এই বাড়তি দাম যৌক্তিক কি না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

এনএইচবি/এসএন

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সক্রিয় সদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এদের মধ্যে বাকি ৫ জন চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১টি অটো চার্জার ভ্যান এবং ১৯টি অটো চার্জার ভ্যানের ব্যাটারিসহ ১৫০ কেজি খুচরা যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহীর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ফারজানা হোসেন এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, জেলার পোরশা উপজেলার সোভাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল জব্বার (৪০) চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পাথরপূজার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে নুরুজ্জামান (৪০) এবং নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩০)।

গ্রেপ্তারকৃত চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সদস্যরা হলেন, জেলার মান্দা উপজেলার উত্তর কাঞ্চন গ্রামের আলম খানের ছেলে শহিদ খান (৩৪) একই গ্রামের পরেশ আলী মৃধার ছেলে কাওছার আলী মৃধা (২৪), উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের তমিজউদদীন মোল্লার ছেলে আব্দুল মতিন মোল্লা (৫০), কামারকুড়ি গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪২) এবং শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান মন্ডলের ছেলে আজিজুল মন্ডল(৬৪)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন বলেন, বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত অনুমানিক ৮ টার দিকে সাপাহার থানার নোচনাহার বাজার থেকে সাদিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক অটো চার্জার ভ্যান চালক তার নিজের অটো চার্জার ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে সাপাহার থানাধীন ইলিমপুর মোড় হইতে হরিপুর বাজারগামী রোডে ইলিমপুর ব্রীজের নিকট পৌছাতেই রাস্তার পাশে ওৎপেতে থাকা ০৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার অটো চার্জার ভ্যান থামিয়ে তাকে ভ্যান থেকে টেনে নামায় এবং তার গলার চাকু ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে পাশের আম বাগানে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে।

পরবর্তীতে তারা সাদিকুলের অটো চার্জার ভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অপর আরো একটি ঘটনায় একই ডাকাত দল গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পোরশা থানার সরাইগাছি - আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের মশিদপুর এলাকায় এক অটো চার্জার ভ্যান চালককে আটক করে। তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার অটো চার্জার ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এই দুই ঘটনায় পোরশা এবং সাপাহার থানায় আলাদা দুইটি মমলা হয়। মামলার পর থেকেই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবির) একটি বিশেষ টিম অভিযান অব্যাহত রাখে। গতকাল (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহী জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩ জন ডাকাত এবং চোরাই ভ্যানের মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত এমন ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফারজানা হোসেন আরও বলেন, গ্রেফাতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে মোহাম্মদ সেলিম (৩০) বহুল আলোচিত সাপাহার উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ হিল কাফি হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী। সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। এছাড়াও ডাকাত আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০ টি এবং ডাকাত নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪ টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুমন রঞ্জন সরকার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি ডিবি) আব্দুল মান্নানসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়াল সম্প্রতি এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। ‘ঘাতক’ ছবির শুটিং চলাকালে হাঁটুর মারাত্মক আঘাতের পর দ্রুত সেরে ওঠার জন্য তিনি নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।

রাকেশ পান্ডের সঙ্গে একটি দৃশ্যের শুটিং চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আঘাতের পর পরিচালক তিন্নু আনন্দ ও অভিনেতা ড্যানি দেনজোংপা তাকে দ্রুত মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে গভীর উদ্বেগে ছিলেন পরেশ রাওয়াল। তখনই প্রয়াত অ্যাকশন ডিরেক্টর বীরু দেবগণ তাকে পরামর্শ দেন প্রতিদিন সকালে নিজের মূত্র পান করার জন্য। বীরু দেবগণের যুক্তি ছিল, বহু যোদ্ধা শরীরের দ্রুত আরোগ্যের জন্য এমন পদ্ধতি অনুসরণ করতেন। পরেশ রাওয়াল সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি তখন এমন এক মানসিক অবস্থায় ছিলেন যে সুস্থতার জন্য যেকোনো কিছু করতে রাজি ছিলেন।

 

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টানা ৩০ দিন নিজের মূত্র পান করেন পরেশ। পরে চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চমকপ্রদ ফলাফল পান। চিকিৎসকদের মতে, তার চোট সারাতে যেখানে আড়াই মাস সময় লাগার কথা ছিল, সেখানে তিনি মাত্র দেড় মাসেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

বর্তমানে পেশাগত জীবনেও ব্যস্ত সময় পার করছেন পরেশ রাওয়াল। শিগগিরই তিনি প্রিয়দর্শনের পরিচালনায় নির্মিত হরর-কমেডি 'ভূত বাংলা' ছবিতে অক্ষয়কুমার ও টাবুর সঙ্গে অভিনয় করবেন। পাশাপাশি ‘হেরা ফেরি ৩’-তেও পুরনো সহ-অভিনেতা অক্ষয়কুমার ও সুনীল শেঠির সঙ্গে আবার পর্দা ভাগ করবেন।

 

Header Ad
Header Ad

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, "শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।" তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ