বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মিনিকেট নামে প্যাকেটজাত করে ভোক্তার পকেট কাটছে সুপারশপগুলো

‘মিনিকেট’ নামে কোনো ধান নেই। অথচ এ নামেই বাজারে চাল বিক্রি করে বেশি মূল্য নেওয়া হচ্ছে। কাটা হচ্ছে ভোক্তার পকেট। সরকারের কৃষিমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকারও বলছে, মিনিকেট নামে কোনো ধান নেই। এটা ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা।

আর যেসব প্রতিষ্ঠান মিনিকেট নাম দিয়ে চাল বিক্রি করছে তাদের প্রতিনিধিরাও বলছেন, মিনিকেট নামে ধান নেই। সরকার চাইলে এগুলো বন্ধ করে দিতে পারে। আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও সুপারশপ ঘুরে দেখা গেছে, মিনিকেট নামে ধানের কোনো জাত না থাকলেও সাধারণ ধান থেকে উৎপাদিত চালকে চিকন করে মিনিকেট নামে ‘সরু চাল’ রাজধানীসহ সারাদেশের বাজারে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। চাল উৎপাদনকারি বিভিন্ন মিলমালিকরা মিনিকেট নাম দিয়ে সেই চাল প্যাকেটজাত করে ৭০ থেকে ৮৪ টাকা কেজি দরে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করছে। এক্ষেত্রে এসিআইর ৫ কেজি মিনিকেট চাল বিভিন্ন সুপারশপে বিক্রি করা হচ্ছে ৩৪৮ টাকায়। ভোক্তাদের সেই চাল কিনতে হচ্ছে ৪২০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি কেজি ৮৪ টাকা। ২০ শতাংশ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। একইভাবে প্রাণ ৫ কেজি চাল ৩৮৭ টাকা বিক্রি করছে, ভোক্তাদের তা কিনতে হচ্ছে ৪৪০ টাকায়। তীর ব্র্যান্ডের ৫ কেজির চাল ৩৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সুপারশপসহ বিভিন্ন মুদি দোকানে। ভোক্তাদের সেই চাল কিনতে হয় ৪১০ টাকায়।

এক্ষেত্রে আগোরা, মিনাবাজারসহ বিভিন্ন সুপারশপ ও বড় মুদি দোকানিরা লাভ করছেন ৫৫ টাকা বা ১৬ শতাংশ। এ ছাড়া চিনিগুড়া আতপ চাল, প্রাণ, চাষী কোম্পানির ৫ কেজির চাল ২১ শতাংশের বেশি দরে ভোক্তাদের কিনতে হচ্ছে। এর সঙ্গে সুপারশপের ভ্যাটও রয়েছে চার-পাঁচ শতাংশ। এভাবে ভোক্তাদের অজান্তেই প্যাকেটজাতের নামে ভোক্তাদের পকেট থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা করপোরেট কোম্পানিগুলোর কাছে চলে যাচ্ছে।

মিনিকেট চালের নামে বেশি দামে চাল বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে এসিআইর এজিএম (রাইস) মো. রুবেল পারভেজ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘সুপারশপে সরবরাহ করা চালের মূল্য আমাদের কোম্পানি থেকে নির্ধারণ করা হয়। কোয়ালিটি ভালো। তাই দামও বেশি। বাজারে ২৫ কেজি ও ৫০ কেজির যে চালের প্যাকেট বিক্রি করা হয় তার চেয়ে ভালো কোয়ালিটি ৫ কেজির মিনি প্যাকেটের। এ ছাড়া প্যাকেটিং খরচও প্রতি কেজিতে পাঁচ টাকা করে। সুপাশপের চাল বগুড়ার নন্দীগ্রামের বাজার থেকে বেশি দামে কেনা হয়। বোরো মৌসুমের ৮০ শতাংশ জিরাশাইল ধান থেকে এই মিনিকেট চাল করা হয়। অর্থাৎ মিনিকেট নামে কোনো ধান নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে এসিআইর বিজনেস ম্যানেজার মো. জহিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’

সিটি গ্রুপের তীর ব্রান্ডের ৫ কেজি প্যাকেটের ক্রয়মূল্য ৩৫৫ টাকা। সেই প্যাকেট ৪১০ টাকায় বিভিন্ন সুপারশপসহ বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এটা বাজারের চেয়ে বেশি দাম কি না জানতে চাইলে সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘ আমাদের করার কিছু নেই। ট্যারিফ কমিশনের বেঁধে দেওয়া দামেই এটা বিক্রি হচ্ছে। পরিবেশকদের ৩ টাকা ও খুচরা বিক্রেতাদের ৫ টাকা কমিশন দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্যাকেটের খরচও আছে। এই চালের কোয়ালিটি ভালো। তাই দামও বেশি।‘

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ হ্যাঁ, অন্য ধান থেকে উৎপাদিত চালকে মিনিকেট নামে ব্র্যান্ড করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। সরকার বা খাদ্য মন্ত্রণালয় চাইলে এটা বন্ধ হয়ে যাবে। তখন আর বেশি দামে ভোক্তাদের কিনতে হবে না।’

প্রাণ গ্রুপের ৫ কেজির ‘প্রাণ মিনিকেট’ চালও বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ টাকা দামে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রাণের সিনিয়র ম্যানেজার নিয়াজ মোরশেদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘কোয়ালিটি ভালো হওয়ায় দামও বেশি। এই বাড়তি দাম থেকে পরিবেশকদের ৩ শতাংশ ও খুচরা বিক্রেতাদের ১১ শতাংশ কমিশন দেওয়া হয়। তবে সুপারশপ এই চাল বিক্রি করলে কমিশনের পুরোটাই তারা পায়। এ ছাড়া ৫ কেজির প্যাকেটে খরচও হয় ২৫ টাকা। তাই বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। আমাদেরও ২৫ বা ৫০ কেজির বস্তা চাল ১৭০০ টাকা থেকে ৩৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজির দাম ৬৮ টাকা।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা কৃষকের কাছ থেকে মিনিকেট নামেই ধান কিনি। তাই মিনিকেট ব্রান্ড নামেই বিক্রি করা হচ্ছে। সরকার বন্ধ করে দিলে আমাদের আপত্তি নেই।’

উল্লেখ্য, প্যাকেটজাতের নামে বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো চাল, ডাল, লবণসহ প্রায় সব নিত্যপণ্য বেশি দামে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করছে। এমন অভিযোগ পাওয়ায় জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) করপোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে। সেখানে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মিনিকেট নামে কোনো ধানের জাত নেই। সুতরাং এই নামে চাল বিক্রি করা হচ্ছে ভোক্তার সঙ্গে সরাসরি প্রতারণা।

এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ‘মিনিকেট নামে কোনো ধানের জাত নেই। মোটাচাল কেটে চিকন করে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। বেশি দামে মিনিকেট ব্রান্ড করে বিক্রি করা হচ্ছে। তাই কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, মিলমালিকসহ সবার সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আসলে বিষয়টা হলো এ মুহূর্তে অভিযান করে মিনিকেট বন্ধ করে দিলে একই চাল নতুন নামে বাজারে আসবে। এটা কোনো সমাধান নয়। তাই সরকারিভাবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে প্যাকেটজাত পণ্যের মূল্য বেশি। এটা কমাতে হবে। কারণ অন্য চালের দাম বেড়ে যাচ্ছে।’

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারও মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বলেছেন, ‘মিনিকেট বলে কিছু নেই। একসময় ভারত থেকে চিকন চালের বীজ আনা হতো মিনি সাইজের প্যাকেটে করে। এই হলো মিনিপ্যাক। এই বীজকে আমরা নাম দিয়েছি মিনিকেট চাল। ভোক্তা অধিকার এই মিনিকেট নাম উচ্ছেদ করতে অভিযান চালাতে পারে। আমাদের সে সক্ষমতা নেই।’

উল্লেখ্য, এবার বোরো ধানের ভরা মৌসুমেও চালের দাম কমেনি। বরং ক্রমান্বয়ে দাম বাড়তে থাকে। সরকার চাল আমদানির উপর ট্যাক্স কমানোর পরও বাজারে এর প্রভাব পড়ছে না। বাধ্য হয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে যায়। ভোক্তা অধিদপ্তর বিভিন্ন বাজার ও সুপারশপে অভিযান পরিচালনা করে একটা তালিকা করে। তাতে প্যাকেটজাত চালের বেশি দাম ধরা পড়ে। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডেকে এই বাড়তি দাম যৌক্তিক কি না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

এনএইচবি/এসএন

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত