বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সরকারি পুকুর গিলে খেলেন গোলাম মাওলা ও তার সন্তানরা!

পুকুর ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে ঘরবাড়ি

২২ শতকের সরকারি একটি আস্ত ‘পুকুর’ গিলে খেয়েছেন মো. গোলাম মাওলা (মিঞা লাল) নামে এক ব্যক্তি! ঘটনাস্থল একেবারে রাজধানীর বুকে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের ১ নং খতিয়ানভুক্ত পুকুরটির অবস্থান মোহাম্মদপুরের ওয়াশপুর মৌজার বসিলায়। এখন সেখানে পুকুরের বদলে জায়গা করে নিয়েছে পাকা দালানকোটা ও টিনশেড বাড়ি। দখলদারের ছেলেরা সেই বাড়ি থেকে ভাড়া উঠাচ্ছেন। বর্তমানে এই জমির বাজারমূল্য হচ্ছে প্রায় ১১ কোটি টাকা।

পুকুরটি উদ্ধারে কাজ করছেন পরিবেশ কর্মীরা। সরকারের ভূমি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরাও বলছেন, এটি ছিল আস্ত পুকুর এবং সরকারের সম্পত্তি। তারপরও উদ্ধার হয়নি দখলদারদের হাত থেকে।

সরেজমিন অনুসন্ধান এবং সরকারি বিভিন্ন নথি থেকে পুকুর গিলে খাওয়ার এ সব তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা যায়, রাজধানীর মোহম্মদপুরের ওয়াশপুর মৌজার বসিলায় কাগজে-কলমে ২২ শতক জমির সরকারি পুকুর থাকলেও বাস্তবে এখন সেখানে পুকুরের কোনো অস্তিত্ব নেই। বরং সেখানে রয়েছে বসতবাড়ি। সরকারি পুকুর অবৈধভাবে দখল করে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বিগত তিন বছর ধরে জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে অবগত থাকলেও পুকুর দখলমুক্ত করার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পুরো পুকুরটি গিলে খেয়েছেন দখলদার মো. গোলাম মাওলা (মিঞা লাল)। সরকারি সমস্ত কাগজে জায়গাটি প্রথম শ্রেণির পুকুর হিসেবে চিহ্নিত করা রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কোনো প্রকার ইজারা বা অনুমতি ছাড়াই প্রায় আট বছর আগে পুকুরটি ভরাট করেন স্থানীয় মো. গোলাম মাওলা (মিঞা লাল) নামে এক ব্যক্তি। এই আট বছরে সে জায়গার এক অংশে দুটি পাকা দালান ও অপর অংশে বেশ কয়েকটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন গোলাম মাওলা। ২০২১ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর তার চার সন্তান সে জায়গার কর্তৃত্ব নিয়েছেন। বর্তমানে সে জায়গার দাম প্রায় ১১ কোটি টাকারও বেশি। ছেলেদের মধ্যে কবির বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন দখলকৃত জায়গাটি বৈধ করতে। কবিরের ভাই মুকুলের সঙ্গে কথা হয় ঢাকাপ্রকাশ এর এই প্রতিবেদকের।

মুকুল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমার তিন নম্বর ভাই কবির সব জানে। কাগজপত্র সব কবিরের কাছে আছে। আমার আব্বা আমাদের দিয়ে গেছেন। মালিক আমার আব্বা। সেই ঘর তুলে দিয়েছে আমরা ভাড়া দিয়ে খাই। কাগজপত্র যা আছে সব আমার তিন নম্বর ভাইয়ের কাছে আছে। অনেক আগে পুকুর ছিল। সম্ভবত ১৯৮৬ সালে আমার আব্বা পুকুর লিজ নিয়েছিল। আব্বা মারা যাওয়ার পর আমরা আবার আবেদন করেছি। মোটামুটি কাগজপত্র ক্লিয়ার হয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের মন্তব্য পেতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পির সঙ্গে কথা বলতে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হয়, ফোনে রিং হলেও তিনি রিসিভ না করায় কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পরে তার মোবাইলে এসএমএস করা হয় ‘ওয়াশপুর মৌজার আরএস ১ নং খতিয়ানভুক্ত ৫৭১ নং দাগের প্রথম শ্রেণির একটি পুকুর অবৈধভাবে দখল হয়েছে। পুকুরটি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে পেতে আপনার অফিসে একটি আবেদনও করা হয়েছে। এ বিষয়ে আপনার একটি মন্তব্য দরকার।’ এরপরও তার কোনো সাড়া মেলেনি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতায় এই পুকুর ভরাট করার আগে পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশনের অনুমতি প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে কোনোটিই মানা হয়নি।

এবিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘অবৈধ দখলে থাকলে অবশ্যই উচ্ছেদ করতে হবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে যদি আমাদের চিঠি দেয় আমরা অবশ্যই দখলদারদের উচ্ছেদ করব।’

পরিবেশকর্মী সৈয়দ সাইফুল আলম পুকুরটি উদ্ধারে বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ করছেন। তিনি বিষয়টি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জানিয়েছেন। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, পর্চা অনুযায়ী প্রয়াত মিঞা লালের দখলকৃত জায়গাটির প্রকৃত মালিক ঢাকা জেলা প্রশাসক। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বছিলা এলাকার ওয়াশপুর মৌজার আর এস ১ নং খতিয়ানভুক্ত ৫৭১ নং দাগের ২২ শতক জায়গাটি পুকুর শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। সেই পুকুরের চারদিকে ইটের প্রাচীর তৈরি করা হয়েছে। ভেতরে একটি সেমি পাকা ঘর ও গাছগাছালিতে ভরপুর। প্রতিমাসে সেখান থেকে ভাড়া আদায় করছেন গোলাম মাওলার ছেলেরা।

ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সব নথিতেই জায়গাটি পুকুর হিসেবে চিহ্নিত। ওয়াশপুর মৌজার আর এস ১ নং খতিয়ানভুক্ত ৫৭১ নং দাগের পুকুরটি সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিয়েছেন কেরানীগঞ্জের রোহিতপুর ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আনোয়ার হোসেন।

স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, এলাকায় প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত ছিলেন মিঞা লাল। একই সঙ্গে তার সন্তানরাও বর্তমানে পিতার মতো প্রভাব বিস্তার করছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও জায়গাটিতে পুকুর ছিল। প্রয়াত গোলাম মাওলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও কেরানীগঞ্জ ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের সহায়তায় অবৈধভাবে এই পুকুর ভরাট করে নিজের দখলে নিয়েছিলেন। তবে এলাকাবাসীদের কেউই কোনো সরকারী কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করেননি।

সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, 'বর্তমানে বর্ণিত পুকুরটি উক্ত মো. গোলাম মাওলা এক অংশে একতলা পাকা দালান অপর অংশে টিনশেড ঘর নির্মাণপূর্বক তাতে ভাড়াটিয়া দ্বারা অবৈধ দখলে রেখেছেন। এমতাবস্থায় পুকুরটির দখলদার উচ্ছেদ করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।'

এ বিষয়ে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আনোয়ার হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘সমস্ত কাগজেই জায়গাটি পুকুর হিসেবে চিহ্নিত। আমি সরজমিনে পরিদর্শন করেছি এবং সেখানে দেখেছি জনৈক গোলাম মাওলা পুকুরটি বালু দিয়ে ভরাট করে বাড়িঘর তৈরি করেছেন। আমরা দখলদার উচ্ছেদ করে পুকুরটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অনুরোধ করেছি।’

এদিকে পরিবেশ আইন অমান্য করে পুকুর ভরাট করে ঘর-বাড়ি নির্মাণের ফলে সরকারি সম্পদ বেদখল হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের উপর এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। স্থানীয়দের দাবি, গুরুত্বপূর্ণ এ পুকুরটি ভরাটের ফলে বর্ষা মৌসুমে আশেপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ফলে তাদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়। পর্চা অনুযায়ী এই পুকুরের মালিক ঢাকা জেলা প্রশাসক।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত