মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

সরকারি পুকুর গিলে খেলেন গোলাম মাওলা ও তার সন্তানরা!

পুকুর ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে ঘরবাড়ি

২২ শতকের সরকারি একটি আস্ত ‘পুকুর’ গিলে খেয়েছেন মো. গোলাম মাওলা (মিঞা লাল) নামে এক ব্যক্তি! ঘটনাস্থল একেবারে রাজধানীর বুকে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের ১ নং খতিয়ানভুক্ত পুকুরটির অবস্থান মোহাম্মদপুরের ওয়াশপুর মৌজার বসিলায়। এখন সেখানে পুকুরের বদলে জায়গা করে নিয়েছে পাকা দালানকোটা ও টিনশেড বাড়ি। দখলদারের ছেলেরা সেই বাড়ি থেকে ভাড়া উঠাচ্ছেন। বর্তমানে এই জমির বাজারমূল্য হচ্ছে প্রায় ১১ কোটি টাকা।

পুকুরটি উদ্ধারে কাজ করছেন পরিবেশ কর্মীরা। সরকারের ভূমি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরাও বলছেন, এটি ছিল আস্ত পুকুর এবং সরকারের সম্পত্তি। তারপরও উদ্ধার হয়নি দখলদারদের হাত থেকে।

সরেজমিন অনুসন্ধান এবং সরকারি বিভিন্ন নথি থেকে পুকুর গিলে খাওয়ার এ সব তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা যায়, রাজধানীর মোহম্মদপুরের ওয়াশপুর মৌজার বসিলায় কাগজে-কলমে ২২ শতক জমির সরকারি পুকুর থাকলেও বাস্তবে এখন সেখানে পুকুরের কোনো অস্তিত্ব নেই। বরং সেখানে রয়েছে বসতবাড়ি। সরকারি পুকুর অবৈধভাবে দখল করে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বিগত তিন বছর ধরে জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে অবগত থাকলেও পুকুর দখলমুক্ত করার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পুরো পুকুরটি গিলে খেয়েছেন দখলদার মো. গোলাম মাওলা (মিঞা লাল)। সরকারি সমস্ত কাগজে জায়গাটি প্রথম শ্রেণির পুকুর হিসেবে চিহ্নিত করা রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কোনো প্রকার ইজারা বা অনুমতি ছাড়াই প্রায় আট বছর আগে পুকুরটি ভরাট করেন স্থানীয় মো. গোলাম মাওলা (মিঞা লাল) নামে এক ব্যক্তি। এই আট বছরে সে জায়গার এক অংশে দুটি পাকা দালান ও অপর অংশে বেশ কয়েকটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন গোলাম মাওলা। ২০২১ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর তার চার সন্তান সে জায়গার কর্তৃত্ব নিয়েছেন। বর্তমানে সে জায়গার দাম প্রায় ১১ কোটি টাকারও বেশি। ছেলেদের মধ্যে কবির বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন দখলকৃত জায়গাটি বৈধ করতে। কবিরের ভাই মুকুলের সঙ্গে কথা হয় ঢাকাপ্রকাশ এর এই প্রতিবেদকের।

মুকুল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমার তিন নম্বর ভাই কবির সব জানে। কাগজপত্র সব কবিরের কাছে আছে। আমার আব্বা আমাদের দিয়ে গেছেন। মালিক আমার আব্বা। সেই ঘর তুলে দিয়েছে আমরা ভাড়া দিয়ে খাই। কাগজপত্র যা আছে সব আমার তিন নম্বর ভাইয়ের কাছে আছে। অনেক আগে পুকুর ছিল। সম্ভবত ১৯৮৬ সালে আমার আব্বা পুকুর লিজ নিয়েছিল। আব্বা মারা যাওয়ার পর আমরা আবার আবেদন করেছি। মোটামুটি কাগজপত্র ক্লিয়ার হয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের মন্তব্য পেতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পির সঙ্গে কথা বলতে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হয়, ফোনে রিং হলেও তিনি রিসিভ না করায় কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পরে তার মোবাইলে এসএমএস করা হয় ‘ওয়াশপুর মৌজার আরএস ১ নং খতিয়ানভুক্ত ৫৭১ নং দাগের প্রথম শ্রেণির একটি পুকুর অবৈধভাবে দখল হয়েছে। পুকুরটি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে পেতে আপনার অফিসে একটি আবেদনও করা হয়েছে। এ বিষয়ে আপনার একটি মন্তব্য দরকার।’ এরপরও তার কোনো সাড়া মেলেনি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতায় এই পুকুর ভরাট করার আগে পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশনের অনুমতি প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে কোনোটিই মানা হয়নি।

এবিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘অবৈধ দখলে থাকলে অবশ্যই উচ্ছেদ করতে হবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে যদি আমাদের চিঠি দেয় আমরা অবশ্যই দখলদারদের উচ্ছেদ করব।’

পরিবেশকর্মী সৈয়দ সাইফুল আলম পুকুরটি উদ্ধারে বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ করছেন। তিনি বিষয়টি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জানিয়েছেন। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, পর্চা অনুযায়ী প্রয়াত মিঞা লালের দখলকৃত জায়গাটির প্রকৃত মালিক ঢাকা জেলা প্রশাসক। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বছিলা এলাকার ওয়াশপুর মৌজার আর এস ১ নং খতিয়ানভুক্ত ৫৭১ নং দাগের ২২ শতক জায়গাটি পুকুর শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। সেই পুকুরের চারদিকে ইটের প্রাচীর তৈরি করা হয়েছে। ভেতরে একটি সেমি পাকা ঘর ও গাছগাছালিতে ভরপুর। প্রতিমাসে সেখান থেকে ভাড়া আদায় করছেন গোলাম মাওলার ছেলেরা।

ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সব নথিতেই জায়গাটি পুকুর হিসেবে চিহ্নিত। ওয়াশপুর মৌজার আর এস ১ নং খতিয়ানভুক্ত ৫৭১ নং দাগের পুকুরটি সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিয়েছেন কেরানীগঞ্জের রোহিতপুর ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আনোয়ার হোসেন।

স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, এলাকায় প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত ছিলেন মিঞা লাল। একই সঙ্গে তার সন্তানরাও বর্তমানে পিতার মতো প্রভাব বিস্তার করছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও জায়গাটিতে পুকুর ছিল। প্রয়াত গোলাম মাওলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও কেরানীগঞ্জ ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের সহায়তায় অবৈধভাবে এই পুকুর ভরাট করে নিজের দখলে নিয়েছিলেন। তবে এলাকাবাসীদের কেউই কোনো সরকারী কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করেননি।

সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, 'বর্তমানে বর্ণিত পুকুরটি উক্ত মো. গোলাম মাওলা এক অংশে একতলা পাকা দালান অপর অংশে টিনশেড ঘর নির্মাণপূর্বক তাতে ভাড়াটিয়া দ্বারা অবৈধ দখলে রেখেছেন। এমতাবস্থায় পুকুরটির দখলদার উচ্ছেদ করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।'

এ বিষয়ে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আনোয়ার হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘সমস্ত কাগজেই জায়গাটি পুকুর হিসেবে চিহ্নিত। আমি সরজমিনে পরিদর্শন করেছি এবং সেখানে দেখেছি জনৈক গোলাম মাওলা পুকুরটি বালু দিয়ে ভরাট করে বাড়িঘর তৈরি করেছেন। আমরা দখলদার উচ্ছেদ করে পুকুরটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অনুরোধ করেছি।’

এদিকে পরিবেশ আইন অমান্য করে পুকুর ভরাট করে ঘর-বাড়ি নির্মাণের ফলে সরকারি সম্পদ বেদখল হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের উপর এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। স্থানীয়দের দাবি, গুরুত্বপূর্ণ এ পুকুরটি ভরাটের ফলে বর্ষা মৌসুমে আশেপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ফলে তাদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়। পর্চা অনুযায়ী এই পুকুরের মালিক ঢাকা জেলা প্রশাসক।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সক্রিয় সদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এদের মধ্যে বাকি ৫ জন চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১টি অটো চার্জার ভ্যান এবং ১৯টি অটো চার্জার ভ্যানের ব্যাটারিসহ ১৫০ কেজি খুচরা যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহীর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ফারজানা হোসেন এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, জেলার পোরশা উপজেলার সোভাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল জব্বার (৪০) চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পাথরপূজার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে নুরুজ্জামান (৪০) এবং নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩০)।

গ্রেপ্তারকৃত চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সদস্যরা হলেন, জেলার মান্দা উপজেলার উত্তর কাঞ্চন গ্রামের আলম খানের ছেলে শহিদ খান (৩৪) একই গ্রামের পরেশ আলী মৃধার ছেলে কাওছার আলী মৃধা (২৪), উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের তমিজউদদীন মোল্লার ছেলে আব্দুল মতিন মোল্লা (৫০), কামারকুড়ি গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪২) এবং শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান মন্ডলের ছেলে আজিজুল মন্ডল(৬৪)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন বলেন, বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত অনুমানিক ৮ টার দিকে সাপাহার থানার নোচনাহার বাজার থেকে সাদিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক অটো চার্জার ভ্যান চালক তার নিজের অটো চার্জার ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে সাপাহার থানাধীন ইলিমপুর মোড় হইতে হরিপুর বাজারগামী রোডে ইলিমপুর ব্রীজের নিকট পৌছাতেই রাস্তার পাশে ওৎপেতে থাকা ০৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার অটো চার্জার ভ্যান থামিয়ে তাকে ভ্যান থেকে টেনে নামায় এবং তার গলার চাকু ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে পাশের আম বাগানে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে।

পরবর্তীতে তারা সাদিকুলের অটো চার্জার ভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অপর আরো একটি ঘটনায় একই ডাকাত দল গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পোরশা থানার সরাইগাছি - আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের মশিদপুর এলাকায় এক অটো চার্জার ভ্যান চালককে আটক করে। তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার অটো চার্জার ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এই দুই ঘটনায় পোরশা এবং সাপাহার থানায় আলাদা দুইটি মমলা হয়। মামলার পর থেকেই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবির) একটি বিশেষ টিম অভিযান অব্যাহত রাখে। গতকাল (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহী জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩ জন ডাকাত এবং চোরাই ভ্যানের মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত এমন ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফারজানা হোসেন আরও বলেন, গ্রেফাতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে মোহাম্মদ সেলিম (৩০) বহুল আলোচিত সাপাহার উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ হিল কাফি হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী। সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। এছাড়াও ডাকাত আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০ টি এবং ডাকাত নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪ টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুমন রঞ্জন সরকার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি ডিবি) আব্দুল মান্নানসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়াল সম্প্রতি এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। ‘ঘাতক’ ছবির শুটিং চলাকালে হাঁটুর মারাত্মক আঘাতের পর দ্রুত সেরে ওঠার জন্য তিনি নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।

রাকেশ পান্ডের সঙ্গে একটি দৃশ্যের শুটিং চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আঘাতের পর পরিচালক তিন্নু আনন্দ ও অভিনেতা ড্যানি দেনজোংপা তাকে দ্রুত মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে গভীর উদ্বেগে ছিলেন পরেশ রাওয়াল। তখনই প্রয়াত অ্যাকশন ডিরেক্টর বীরু দেবগণ তাকে পরামর্শ দেন প্রতিদিন সকালে নিজের মূত্র পান করার জন্য। বীরু দেবগণের যুক্তি ছিল, বহু যোদ্ধা শরীরের দ্রুত আরোগ্যের জন্য এমন পদ্ধতি অনুসরণ করতেন। পরেশ রাওয়াল সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি তখন এমন এক মানসিক অবস্থায় ছিলেন যে সুস্থতার জন্য যেকোনো কিছু করতে রাজি ছিলেন।

 

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টানা ৩০ দিন নিজের মূত্র পান করেন পরেশ। পরে চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চমকপ্রদ ফলাফল পান। চিকিৎসকদের মতে, তার চোট সারাতে যেখানে আড়াই মাস সময় লাগার কথা ছিল, সেখানে তিনি মাত্র দেড় মাসেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

বর্তমানে পেশাগত জীবনেও ব্যস্ত সময় পার করছেন পরেশ রাওয়াল। শিগগিরই তিনি প্রিয়দর্শনের পরিচালনায় নির্মিত হরর-কমেডি 'ভূত বাংলা' ছবিতে অক্ষয়কুমার ও টাবুর সঙ্গে অভিনয় করবেন। পাশাপাশি ‘হেরা ফেরি ৩’-তেও পুরনো সহ-অভিনেতা অক্ষয়কুমার ও সুনীল শেঠির সঙ্গে আবার পর্দা ভাগ করবেন।

 

Header Ad
Header Ad

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, "শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।" তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ