বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রাজধানীতে যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে ট্রাফিকের মামলা

‘মিরপুর থেকে কাওয়ান বাজার পর্যন্ত এসেছি। তিনবার রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে কাগজপত্র চেক করেছে ট্রাফিক পুলিশ। ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন অজুহাতে মামলা দেয়, যার কারণে আমরা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই।’ কথাগুলো বলছিলেন, লাব্বাইক পরিবহনের কন্ডাক্টর ফিরোজ হোসেন।

রাস্তায় যেখানে সেখানে গাড়ি থামিয়ে ট্রাফিক পুলিশ মামলা দেয়। একই অভিযোগ শিকড় পরিবহনের চালক জয়নাল হোসেনেরও। যানবাহনের চালকদের অভিযোগ, ট্রাফিক পুলিশ কমিশনের আশায় বেশি বেশি মামলা দিচ্ছে। অবশ্য ট্রাফিক পুলিশ বলছে, এখানে ট্রাফিক পুলিশের কমিশন নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। জরিমানার অর্থের পুরোটাই যায় সরকারের কোষাগারে।

ট্রাফিক বিভাগ বলছে, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও মোটরযান আইন যথাযথ বাস্তবায়নে ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারী চালক ও গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা-জরিমানা হয়ে আসছে অনেক আগে থেকেই। সড়কে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে অকারণেই ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের দোষী হতে হচ্ছে। চালকরা ভাবেন, ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা জরিমানার ভাগের জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেন।

জানা যায়, হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার, ট্রাফিক পুলিশের আদেশ অমান্য করা ও বাধা সৃষ্টি এবং তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানানো, উল্টো পথে গাড়ি চালানো, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, হেলমেট না পরে মোটরসাইকেল চালানো, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা, গাড়ির কাগজ আপডেট না থাকাসহ এমন অপরাধে মোটরযান আইনে মামলা হয়। এ ছাড়া গাড়ি চলন্ত অবস্থায় কালো ধোঁয়া বের হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানা করতে পারেন।

ট্রাফিক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে সর্বোচ্চ মামলা হয় ডিএমপিতে। মামলার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৫৫ হাজার ৯১১টি। এসব মামলায় জরিমানা আদায় হয় ৫০ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩০৩ টাকা। একই বছরে সারাদেশে মোটরযান আইনে মামলা হয়েছে মোট ৯ লাখ ৫৫ হাজার ৯১২টি। এসব মামলায় ২২১ কোটি ৭ লাখ ৩১ হাজার ৪১৪ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

আর ২০২০ সালে সারাদেশে মোটরযান আইনে মোট মামলার সংখ্যা ৬ লাখ ১৩ হাজার ১৯টি। জরিমানার পরিমাণ ৭৭ কোটি ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ২৫৬ টাকা। অর্থাৎ এক বছরে সারাদেশে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৮৯৩টি। আর জরিমানা আদায় বেড়েছে ১৪৩ কোটি ৭৯ লাখ ৪৫ হাজার ১৫৮ টাকা।

ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ বলছে, শুধু ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের দায়ের করা মামলায় আদায় করা জরিমানা থেকে প্রতি মাসে সরকারের কোষাগারে জমা পাঁচ কোটি টাকারও বেশি।

গাড়ি চালকদের অভিযোগ, মামলা দেওয়ার জন্য ট্রাফিক পুলিশ পাগল হয়ে যায়। এসব মামলা থেকে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা টাকা পান বা কমিশন পান। এজন্য তারা গাড়ি ধরার পর মামলার জন্য বেপরোয়া হয়ে যান।

রাজধানীর বাংলামটর মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের মামলার শিকার হওয়া মোটরসাইকেল চালক ইব্রাহীম অভিযোগ করে ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমি গত মাসে ৫ হাজার টাকার মামলা খেয়েছি।’ কীভাবে এই মামলায় পড়লেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে রাস্তায় পুলিশ দাঁড়িয়ে বলল, কাগজ দেন, এরপর আমি কাগজ দেওয়ার পরে বলে পেছনের লোক হেলমেট খুলে বসে আছে, মাথায় দেয়নি এজন্য জোর করে পল্টন মোড়ে শায়রুল নামের এক ট্রাফিক সার্জেট ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে মামলা দেয়।

পাঠাও চালক ফাহাদ হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, কোরবানির ঈদের পর থেকে মোট ২টা মামলা খেয়েছি। একটি মামলা ২ হাজার টাকার, অন্যটি ৫ হাজার টাকার। একটি হলো পেছনের ব্যক্তির হেলমেট ছিল না, আর অন্যটি হলো- আমার লাইসেন্স ছিল না কাছে। তিনি বলেন, লাইসেন্স হারিয়ে যাওয়ার জিডিও ছিল না কাছে, যার জন্য মূলত মামলাটি দিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট হান্নান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা সহজে কাউকে মামলা দিতে চাই না। অনেক চালক সড়কে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে এবং অনিয়ম করে এজন্য আমরা মামলা দিতে বাধ্য হয়।

ফার্মগেট এলাকায় হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন তুষার হোসেন। সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট তাকে থামিয়ে দুই হাজার টাকার মামলা দেন। দ্বিতীয়বারও একইভাবে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করায় দ্বিতীয়বার একই মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।

আজিমপুর এলাকায় কথা ২৭ নম্বর পরিবহনের চালক লাল মিয়ার সঙ্গে। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রাস্তাঘাটে শুধু ট্রাফিক পুলিশ বিরক্ত করে এবং কাগজপত্র নিয়ে বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে মামলা দেয়।

ফার্মগেটে কথা হয় স্বাধীন পরিবহনের চালক আলামিনের সঙ্গে। তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রাজধানীতে গাড়ি চালানোর কোনো পরিবেশ নেই। ট্রাফিক পুলিশের মামলায় আমরা বিরক্ত।

শিকড় পরিবহনের চালক সেলিম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ট্রাফিকের মামলায় আমরা জর্জরিত। তাদের অত্যাচারে রাস্তায় বের হওয়া যায় না। অনেক সময় যাত্রীরা হয়রানির শিকার হয়। তিনি বলেন, যদিও আমাদের কাগজপত্র সব সঠিক আছে। তারপরও ট্রাফিক রাস্তায় ধরে সময় নষ্ট করে।

বাংলামোটর মোড়ে কথা হয় বিহঙ্গ পরিবহন লিমিটেডের চালক আশরাফ হোসেনের সঙ্গে। তিনি ঢাকা প্রকাশ-কে বলেন, ট্রাফিকের অত্যাচারে জর্জরিত আমরা। তারা অনেক সময় আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে এবং মামলা দেয়। শুধু আমি না ট্রাফিকের মামলায় জর্জরিত অসংখ্য চালক। আপনি এ মামলার বিষয়টি নিয়ে চালকদের সঙ্গে কথা বলে দেখেন আমি সত্য বলছি না মিথ্যা বলছি। বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর জানা উচিত।

অবশ্য ফার্মগেটে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. আরিফুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, চালকেরা অন্যায় বা অনিয়ম করলে আমরা মামলা দিয়ে থাকি।

ট্রাফিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, অপরাধ করলে তো ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি ধরবেই। নতুন আইনে মামলায় জরিমানার অঙ্ক অনেক বেড়েছে।

শাহাবাগে ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জন্টে খায়রুল আলম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সরকারের অন্যান্য সংস্থা কোনোকিছু উদ্ধার করলে সেখান থেকে ৩০ শতাংশ পায়। সেটা সংশ্লিষ্ট সংস্থা তাদের খরচ বাবদ দেখাতে পারে। কিন্তু ট্রাফিক বিভাগে এমন কিছু নেই। মামলায় যদি ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের কমিশন দেওয়া হতো তাহলে আমরা শুধু মামলাই দিয়ে যেতাম। এতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মধ্যে মামলা দেওয়ার প্রতিযোগিতা বেড়ে যেত।

শুলশানে কথা হয় ট্রাফিক পুলিশের সদস্য সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে। এসময় তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, অধিকাংশ গাড়িতেই কিছু না কিছু ত্রুটি থাকে। প্রতিদিন একশো গাড়ি ধরলে ইচ্ছা করলে ৫০ শতাংশের বেশি যানবাহনে মামলা দেওয়া যায়। কিন্তু এভাবে মামলা দিলে সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।

জানতে চাইলে ডিএমপি তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (ট্রাফিক) এস এম শামীম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, পুলিশকে হেয় করার জন্য এই প্রচারটা চলেই আসছে। পুলিশ ইচ্ছা করে মামলা দেয় না। পুলিশ মামলা থেকে কমিশন পায় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলা থেকে আদায় হওয়া জরিমানা থেকে কমিশন পাওয়ার কোনো ব্যবস্থা পুলিশে নেই। সেটা থাকলে সার্জেন্টরা দিনভর শুধু মামলাই দিত।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ট্রাফিক) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, মামলার কোনো টাকা ট্রাফিক পায় না। সড়কে আইন অমান্য করায় যাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়, তারা প্রায় মন্তব্য করেন, ওই মামলা থেকে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা টাকা পান। সাধারণ মানুষের এমন অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।

তিনি বলেন, ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে পিওএস মেশিনে মামলা দিলে তা অনলাইন সিস্টেমে চলে যায়। মামলা থেকে পার্সেন্টেজের কোনো সুযোগ নেই। জরিমানার টাকা সরাসরি সরকারের তহবিলে জমা হয়।

এসএন

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত