বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

২০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত প্রকল্পে অযৌক্তিক ব্যয়!

ইস্টার্ন রিফাইনারি

মাত্র ১৮৪ জনের বিদেশ প্রশিক্ষণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় আট কোটি টাকা! মিটিং খাতে ব্যয়ের প্রস্তাব রাখা হয়েছে সাড়ে চার কোটি টাকা! আপ্যায়ন, প্রচার বিজ্ঞাপনেও ব্যয় করা হবে চার কোটি টাকা। বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার কোটি টাকারও বেশি। বিভিন্ন ভবনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কিনতে ১৩৫ কোটি টাকা।

এ রকম আরও অনেকগুলো খাত আছে। সব মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ‘ইন্সটলেশন অব ইআরএল ইউনিট-২’ শীর্ষক এই প্রকল্পের প্রস্তাব নিয়ে ইতোমধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের বেশ কিছু বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশন সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে চেয়েছে।

অবশ্য বিশ্ব তথা দেশের অর্থনীতির এই কঠিন সংকটময় সময়ে সরকারের সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এরকম একটি বৃহৎ প্রকল্পের যৌক্তিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। যেখানে সরকার সবকিছুতে ব্যয় সংকোচন নীতি নিয়েছে সেখানে এরকম একটি প্রকল্পের চাপ কতোটা সামলাতে পারবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

জানা গেছে, অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ‘ইন্সটলেশন অব ইআরএল ইউনিট-২’ শীর্ষক প্রকল্পে (২০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প) অনেকগুলো খাতে অযৌক্তিক ব্যয় ধরা হয়েছে। বিশাল অংকের এই প্রকল্পে কোনো বিদেশি ঋণ না পাওয়ায় সম্পূর্ণ সরকারি অর্থে বাস্তবায়ন করার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) পক্ষে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও আগে তা করা হয়নি। বরং আমদানির নামে হরিলুট হয়েছে। আবার দেরিতে হলেও প্রস্তাবিত প্রকল্পটি গ্রহণ করতে গিয়ে সূক্ষ্মভাবে প্রকল্পের বিভিন্ন খাতে বেশি বেশি ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি মূলত সরকারি অর্থ লোটপাটের একটা প্রক্রিয়া।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম প্রস্তাবিত এই প্রকল্প সম্পর্কে ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, দেশের ভোক্তার জন্য যখন যা দরকার তা করা হয় না। পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করতে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। এই ব্যয়ের নামে সরকারি অর্থ লুণ্ঠন করা হচ্ছে। সময়ের কাজ সময়ে করা হয় না। অসময়েও যা করা হচ্ছে সেখানেও অর্থ লুটের পাঁয়তারা শুরু হয়ে গেছে। বর্তমানে দেশে যে সংকট তাতে এতো অর্থ ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইআরএল। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে তারা এ কাজ করার চেষ্টা করছে। এটা পরিকল্পনা কমিশনকে শক্ত হাতে ধরা দরকার। কারণ কোনো ফাঁকফোকর পেলে তারা হাতিয়ে নেবে দেশের অর্থ।’

প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. লোকমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন,‘ব্যবস্থাপনাগতভাবে কিছু সমস্যা থাকায় আগে প্রকল্পটি তৈরি করা সম্ভব হয়নি। আমি ২০২০ সালের জানুয়ারিতে এমডি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই ইআরএল এর বার্ষিক (ক্রুড প্রসেসিং) উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছি। এ জন্য দীর্ঘদিন আলাপ আলোচনা করে ভারতের ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডিয়া লিমিটেডসহ দুই প্রতিষ্ঠানকে কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি (সম্ভাব্যতা সমীক্ষা) করা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই এই প্রকল্পটি তৈরি করে অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। দেশি অর্থে এটা করা হবে। প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর প্রায় যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। ২৪ আগস্ট এর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি টেকনিক্যাল প্রকল্প। তাই বিদেশ থেকে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ নিতে হবে। ডিপিপিতে প্রথমে ৩৮৯ জন ধরা হলেও কাটছাঁট করে ১৮৪ জনকে বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য রাখা হয়েছে। পিইসি সভায় কিছু ব্যাপারে পরিকল্পনা কমিশন সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে চেয়েছে। এটা স্পষ্ট করা হবে, রিভিউ হবে। সংশোধন করে আবার পরিকল্পনা কমিশনে পাঠনো হবে।’

ঠিকাদারের সঙ্গে মিটিংয়ের ব্যয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এটা আসলে ঠিক না। বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে হবে। এ জন্য বিভিন্ন লোকের সঙ্গে মিটিং করতে হবে। তাতে তো খরচ হবে।’

কঠিন সময়ে দেশিয় অর্থে এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী মনে করলে এর অনুমোদন দেবেন। না দিলে হবে না। আমরা আমাদের দিক থেকে সব প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত জ্বালানি তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে ইআরএল এর বার্ষিক (ক্রুড প্রসেসিং) উৎপাদন ক্ষমতা দেড় মিলিয়ন (১৫ লাখ) মেট্রিক টন। এই রিফাইনারিটি ৫০ বছরের পুরাতন। কিন্তু বর্তমানে দেশের পেট্রোলিয়াম পণ্যের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন। তাই পরিশোধন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও আমদানি নির্ভরতা কমাতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে একটি প্রকল্প তৈরি করে অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটির পতেঙ্গায় ইআরএলের খালি ৫৯ একর জায়গা ও লিজকৃত ৬৪ একর জমিতে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। তাতে বছরে তিন মিলিয়ন মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট স্থাপন করা হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ইআরএল-এর বার্ষিক ক্রুড প্রসেসিং ক্ষমতা সাড়ে ৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন হবে। দেশের জ্বালানি খাতে চাহিদা ও যোগানের মধ্যে ভারসাম্য আসবে। পরিবেশবান্ধব গ্যাসোলিন ও ডিজেল জ্বালানি উৎপাদন সম্ভব হবে।

এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে পাঁচ বছর। অর্থাৎ ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত।

প্রস্তাবিত এই প্রকল্পে বিদেশে প্রশিক্ষণের নামে প্রায় আট কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এই ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে এনে তা কমাতে হবে বলে সভায় পিআইসি জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, প্রকল্পের কেমিক্যাল, লুব্রিকেন্টে ২০২ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। কনস্ট্রাকশন সুপারভিশনেও ৪৯০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়। এ ছাড়া মোটরযান মেরামতে ৫০ লাখ টাকা ব্যয় অত্যধিক প্রতীয়মান হওয়ায় তা যৌক্তিক পর্যায়ে কমাতে বলা হয়েছে। প্রশাসনিক ও আবাসিক ভবনে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, টেলিযোগাযোগ খাতে দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে। যা অত্যধিক। প্রশাসিক ও আবাসিক ভবন নির্মাণেও অত্যধিক ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে। তাই এই ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে পুনঃনির্ধারণ করতে পরিকল্পনা কমিশন থেকে বলা হয়েছে।

প্রকল্প প্রস্তাবনায় ১২৩ একর জমিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা উল্লেখ হলেও মৌজা, দাগ, খতিয়ান নম্বর উল্লেখ করা হয়নি। আসলে কী পরিমাণ জমি লাগবে, এই বিষয়টিও স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, প্রকল্পের প্রধান প্রধান কাজ ধরা হয়েছে সাইট প্রিপারেশন, ডিটেইল ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রকিউরমেন্ট, কনস্ট্রাকশন (সিভিল ও মেকানিক্যাল) কাজ, পিডিবি থেকে ইলেকট্রিক্যাল লাইন স্থাপন এবং ন্যাচারাল গ্যাস সংযোগ স্থাপন।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত