বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

২০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত প্রকল্পে অযৌক্তিক ব্যয়!

ইস্টার্ন রিফাইনারি

মাত্র ১৮৪ জনের বিদেশ প্রশিক্ষণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় আট কোটি টাকা! মিটিং খাতে ব্যয়ের প্রস্তাব রাখা হয়েছে সাড়ে চার কোটি টাকা! আপ্যায়ন, প্রচার বিজ্ঞাপনেও ব্যয় করা হবে চার কোটি টাকা। বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার কোটি টাকারও বেশি। বিভিন্ন ভবনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কিনতে ১৩৫ কোটি টাকা।

এ রকম আরও অনেকগুলো খাত আছে। সব মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ‘ইন্সটলেশন অব ইআরএল ইউনিট-২’ শীর্ষক এই প্রকল্পের প্রস্তাব নিয়ে ইতোমধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের বেশ কিছু বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশন সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে চেয়েছে।

অবশ্য বিশ্ব তথা দেশের অর্থনীতির এই কঠিন সংকটময় সময়ে সরকারের সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এরকম একটি বৃহৎ প্রকল্পের যৌক্তিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। যেখানে সরকার সবকিছুতে ব্যয় সংকোচন নীতি নিয়েছে সেখানে এরকম একটি প্রকল্পের চাপ কতোটা সামলাতে পারবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

জানা গেছে, অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ‘ইন্সটলেশন অব ইআরএল ইউনিট-২’ শীর্ষক প্রকল্পে (২০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প) অনেকগুলো খাতে অযৌক্তিক ব্যয় ধরা হয়েছে। বিশাল অংকের এই প্রকল্পে কোনো বিদেশি ঋণ না পাওয়ায় সম্পূর্ণ সরকারি অর্থে বাস্তবায়ন করার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) পক্ষে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও আগে তা করা হয়নি। বরং আমদানির নামে হরিলুট হয়েছে। আবার দেরিতে হলেও প্রস্তাবিত প্রকল্পটি গ্রহণ করতে গিয়ে সূক্ষ্মভাবে প্রকল্পের বিভিন্ন খাতে বেশি বেশি ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি মূলত সরকারি অর্থ লোটপাটের একটা প্রক্রিয়া।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম প্রস্তাবিত এই প্রকল্প সম্পর্কে ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, দেশের ভোক্তার জন্য যখন যা দরকার তা করা হয় না। পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করতে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। এই ব্যয়ের নামে সরকারি অর্থ লুণ্ঠন করা হচ্ছে। সময়ের কাজ সময়ে করা হয় না। অসময়েও যা করা হচ্ছে সেখানেও অর্থ লুটের পাঁয়তারা শুরু হয়ে গেছে। বর্তমানে দেশে যে সংকট তাতে এতো অর্থ ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইআরএল। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে তারা এ কাজ করার চেষ্টা করছে। এটা পরিকল্পনা কমিশনকে শক্ত হাতে ধরা দরকার। কারণ কোনো ফাঁকফোকর পেলে তারা হাতিয়ে নেবে দেশের অর্থ।’

প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. লোকমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন,‘ব্যবস্থাপনাগতভাবে কিছু সমস্যা থাকায় আগে প্রকল্পটি তৈরি করা সম্ভব হয়নি। আমি ২০২০ সালের জানুয়ারিতে এমডি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই ইআরএল এর বার্ষিক (ক্রুড প্রসেসিং) উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছি। এ জন্য দীর্ঘদিন আলাপ আলোচনা করে ভারতের ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডিয়া লিমিটেডসহ দুই প্রতিষ্ঠানকে কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি (সম্ভাব্যতা সমীক্ষা) করা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই এই প্রকল্পটি তৈরি করে অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। দেশি অর্থে এটা করা হবে। প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর প্রায় যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। ২৪ আগস্ট এর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি টেকনিক্যাল প্রকল্প। তাই বিদেশ থেকে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ নিতে হবে। ডিপিপিতে প্রথমে ৩৮৯ জন ধরা হলেও কাটছাঁট করে ১৮৪ জনকে বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য রাখা হয়েছে। পিইসি সভায় কিছু ব্যাপারে পরিকল্পনা কমিশন সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে চেয়েছে। এটা স্পষ্ট করা হবে, রিভিউ হবে। সংশোধন করে আবার পরিকল্পনা কমিশনে পাঠনো হবে।’

ঠিকাদারের সঙ্গে মিটিংয়ের ব্যয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এটা আসলে ঠিক না। বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে হবে। এ জন্য বিভিন্ন লোকের সঙ্গে মিটিং করতে হবে। তাতে তো খরচ হবে।’

কঠিন সময়ে দেশিয় অর্থে এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী মনে করলে এর অনুমোদন দেবেন। না দিলে হবে না। আমরা আমাদের দিক থেকে সব প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত জ্বালানি তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে ইআরএল এর বার্ষিক (ক্রুড প্রসেসিং) উৎপাদন ক্ষমতা দেড় মিলিয়ন (১৫ লাখ) মেট্রিক টন। এই রিফাইনারিটি ৫০ বছরের পুরাতন। কিন্তু বর্তমানে দেশের পেট্রোলিয়াম পণ্যের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন। তাই পরিশোধন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও আমদানি নির্ভরতা কমাতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে একটি প্রকল্প তৈরি করে অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটির পতেঙ্গায় ইআরএলের খালি ৫৯ একর জায়গা ও লিজকৃত ৬৪ একর জমিতে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। তাতে বছরে তিন মিলিয়ন মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট স্থাপন করা হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ইআরএল-এর বার্ষিক ক্রুড প্রসেসিং ক্ষমতা সাড়ে ৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন হবে। দেশের জ্বালানি খাতে চাহিদা ও যোগানের মধ্যে ভারসাম্য আসবে। পরিবেশবান্ধব গ্যাসোলিন ও ডিজেল জ্বালানি উৎপাদন সম্ভব হবে।

এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে পাঁচ বছর। অর্থাৎ ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত।

প্রস্তাবিত এই প্রকল্পে বিদেশে প্রশিক্ষণের নামে প্রায় আট কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এই ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে এনে তা কমাতে হবে বলে সভায় পিআইসি জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, প্রকল্পের কেমিক্যাল, লুব্রিকেন্টে ২০২ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। কনস্ট্রাকশন সুপারভিশনেও ৪৯০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়। এ ছাড়া মোটরযান মেরামতে ৫০ লাখ টাকা ব্যয় অত্যধিক প্রতীয়মান হওয়ায় তা যৌক্তিক পর্যায়ে কমাতে বলা হয়েছে। প্রশাসনিক ও আবাসিক ভবনে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, টেলিযোগাযোগ খাতে দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে। যা অত্যধিক। প্রশাসিক ও আবাসিক ভবন নির্মাণেও অত্যধিক ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে। তাই এই ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে পুনঃনির্ধারণ করতে পরিকল্পনা কমিশন থেকে বলা হয়েছে।

প্রকল্প প্রস্তাবনায় ১২৩ একর জমিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা উল্লেখ হলেও মৌজা, দাগ, খতিয়ান নম্বর উল্লেখ করা হয়নি। আসলে কী পরিমাণ জমি লাগবে, এই বিষয়টিও স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, প্রকল্পের প্রধান প্রধান কাজ ধরা হয়েছে সাইট প্রিপারেশন, ডিটেইল ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রকিউরমেন্ট, কনস্ট্রাকশন (সিভিল ও মেকানিক্যাল) কাজ, পিডিবি থেকে ইলেকট্রিক্যাল লাইন স্থাপন এবং ন্যাচারাল গ্যাস সংযোগ স্থাপন।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী

বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার জলেশ্বরীতলায় ‘লাইফ ওকে’ নামের এক পোশাক বিক্রির শো-রুম উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ৫০ টাকায় মিলবে টি-শার্ট এমন ঘোষণায় হুলস্থুল কান্ড ঘটেছে।

ছাড়ের খবরে আজ বুধবার সকালে শো-রুমটির সামনে এতো সংখ্যক মানুষ জড়ো হন যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। এছাড়াও শো-রুমটির বিক্রেতাদের মারপিটের শিকার হয়েছেন সস্তার ক্রেতারা।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান ‘লাইফ ওকে’ বগুড়ায় প্রথমবারের মতো তাদের আউটলেট খুলতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফেসবুক পেজে ঘোষণা দেয় ‘মাত্র ৫০ টাকায় টি-শার্ট, এক থেকে দেড়শ’ টাকার মধ্যে মিলবে শার্ট এবং আড়ইশ’ টাকায় পাওয়া যাবে এক্সপোর্ট ইউএসপোলো সোয়েটার।

এমন পরিস্থিতিতে সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন।। ছবি: সংগৃহীত

এমন ঘোষণায় আজ সকাল থেকে অগণিত নারী-পুরুষ শো-রুমটির সামনে ভিড় করেন। জনসমাগম এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে যে, পুরো জলেশ্বরীতলা এলাকা স্তব্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় রাস্তার যান চলাচল, লোকজনের চাপে আশেপাশের দোকানপাটও বন্ধ করতে বাধ্য হন ব্যবসায়ীরা, দেখা দেয় নিরাপত্তার শঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন।

সেনাবাহিনী আগত লোকজনকে রাস্তা থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন, এতে কাজ না হলে লাঠি চার্জ শুরু করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। দুই দফা লাঠি চার্জের পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে শো-রুমটি খুলে দেওয়া হয়। এর পরপরই আবারও লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এতে পরিস্থিতি আবারও নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়।

এমন পরিস্থিতিতে শো-রুমটির বিক্রেতারা ক্রেতাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারপিট করেন। পড়ে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে দ্রুত শো-রুমটি বন্ধ করে ভেতরে থাকা ক্রেতাদের বের করে দিয়ে আগামী সাতদিনের জন্য শো-রুমটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

 

Header Ad
Header Ad

নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আদাতলা সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তির নাম সিরাজুল ইসলাম (৪২)। তিনি সাপাহার উপজেলার উত্তর পাতাড়ী গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার আদাতলা ভারত সীমান্তের ৪৪/১-এস পিলার এলাকা থেকে সিরাজুল ইসলামকে ধরে নেওয়া হয়। সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী এজেলা খাতুন বিএসএফের বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন।

সিরাজুলের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় সিরাজুল আরও ছয়-সাতজনের সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে গরু আনতে যায়। রাত ৩টার দিকে আদাতলা সীমান্তের ৪৪/১-এস পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার নাইরকুড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের টহল সদস্যরা তাঁদেরকে ধাওয়া করে। এ সময় অন্যরা বাংলাদেশের সীমান্তে আসতে সক্ষম হলেও সিরাজুল বিএসএফ সদস্যদের হাতে ধরা পড়েন।

এ বিষয়ে বুধবর (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়ান ১৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সাদিকুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসুস্থ্য থাকায় সংশ্লিষ্ট আদাতলা সীমান্ত চৌকির (বিওপি) কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

কিন্তু আদাতলা বিওপি ক্যাম্প কমান্ডারের সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও কল রিসিফ না হওয়ায় তাঁর মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

তবে বিএসএফের হাতে আটক সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী এজেলা বলেন, সিরাজুল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তবে কোথায় যাচ্ছে তা বাড়িতে বলে যায়নি। রাত ৪টার দিকে তাঁর স্বামীর সাথে ভারতে গিয়েছিলো দাবি করে এলাকার কিছু ব্যাক্তি তাঁকে বলেন, সিরাজুলকে সীমান্ত এলাকা থেকে বিএসএফ সদস্যরা ধরে নিয়ে গেছে।

Header Ad
Header Ad

মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ

মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় মনসুর নামে এক ব্যক্তির পোষা বিড়াল হত্যার অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের বাসিন্দা আকবর হোসেন শিবলুর নামে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক মামলাটি গ্রহণ করে মোহাম্মদপুর থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

আজ পিপলস ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ারের পক্ষে নাফিসা নওরীন চৌধুরী এ মামলাটি দায়ের করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে মোহাম্মদপুরের মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের ৯ম তলার বাসিন্দা মনসুর নামে এক ব্যক্তির বিড়াল হারিয়ে যায়।

পরে ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আসামি আকবর হোসেন শিবলু বিড়ালটিকে এলোপাতাড়ি ফুটবলের মতো লাথি মারছেন। আসামির লাথির আঘাতে বিড়ালটির নিথর দেহ পড়ে থাকার পরও পা দিয়ে পিষ্ট করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী
নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ
চুয়াডাঙ্গায় সার কাণ্ডে বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতা বহিষ্কার
আজ বন্ধুর সাথে গোসল করার দিন
২ আলাদা বিভাগসহ দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস
হাসিনার লাইভ প্রচারের আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবজিবাহী পিকআপ খাদে, চালকসহ নিহত ৩
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  
এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব  
পটুয়াখালীতে বাংলাভিশনের সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম  
উত্তরবঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল বিক্রি বন্ধ
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ  
শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে কড়া বার্তা হাসনাত আবদুল্লাহর  
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আজ    
সুইডেনে স্কুলে বন্দুক হামলা নিহত ১০ জন