বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

জাতীয় পার্টি কি বিএনপির দিকে ঝুঁকছে?

ক্ষমতায় যেতে অস্থির হয়ে উঠেছে জাতীয় পার্টি। পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের ইতোমধ্যে বিএনপির সঙ্গে দরকষাকষি করছেন বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে। এর মধ্য দিয়ে কার্যত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে জাতীয় পার্টির।

এটা আরও পরিস্কার হয়ে উঠে সম্প্রতি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বানানোর জন্য স্পিকারকে চিঠি দেওয়ার পর।

এ নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের মধ্যে মতো পার্থক্য দেখা দিয়েছে।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দল গত ১ সেপ্টেম্বর একটি চিঠি দেয়। সেই চিঠিতে বেগম রওশন এরশাদকে বিরোধী দলীয় নেতার পদ থেকে সরিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাদেরকে বসানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। আগে থেকেই রওশন ও কাদেরের মধ্যে মতবিরোধ চলছিল। স্পিকারকে দেওয়া চিঠি সেই বিরোধে ঘি ঢেলেছে।

জিএম কাদের বর্তমানে সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতার দায়িত্ব পালন করছেন। শারীরিক অসুস্থতার জন্য জাতীয় সংসদের গত কয়েকটি অধিবেশনে অনুপস্থিত ছিলেন রওশন এরশাদ। তাই অধিবেশনে সমাপনী ভাষণে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে উপনেতা জিএম কাদেরই প্রতিনিধিত্ব করেন।

বিরোধী দলীয় নেতার এই অসুস্থতাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের উদ্দেশ্য সফল করতে মরিয়া জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের নেতারা। স্পিকারকে দেওয়া চিঠিতে ২৬ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ২২ জন স্বাক্ষর করেছেন। যারা জিএম কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দেখতে চান।

আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টি যখন সুসংগঠিত করার ডাক দিয়েছেন দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক তখনই বেঁকে বসেছেন জিএম কাদেরপন্থী সংসদ সদস্যরা। রওশন এরশাদ আগামী ২৬ নভেম্বর জাতীয় পার্টির কাউন্সিলের ডাক দিয়েছেন। সেই কাউন্সিলের মূল উদ্দেশ্য ছিল আগামী নির্বাচন জাতীয় পার্টি এককভাবে করবে নাকি কোনো জোটে যাবে-সেসব বিষয়ে আলোচনা করা ও কাউন্সিল থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া।

জাতীয় পার্টি সূত্রে জানা গেছে, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ বরাবরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রতি অনুগত। তাই যত কিছুই হোক তিনি আওয়ামী লীগ ছেড়ে যেতে নারাজ। বরং সংসদ সদস্যদের নিয়ে কীভাবে দরকষাকষি করা যায় সেই পরিকল্পনা করতেই কাউন্সিল করতে চেয়েছিলে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের কিছুদিন আগে চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। তার সেই সফরকে ঘিরে কানাঘুষা শুরু হয়েছে দলের ভেতর। দলের অনেক নেতাই মনে করেন তিনি চিকিৎসার জন্য নয়, বিশেষ কোনো কারণে বিদেশে যান। সেখানে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে তার একটি বৈঠকও হয়।

যদিও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সম্প্রতি ঢাকাপ্রকাশ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি পার্টির মহাসচিব, আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান বিদেশে গিয়ে বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করলে আমি জানব না?

তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে জাতীয় পার্টির কোনোদিনই মিত্রতা হবে না। বিএনপি জাতীয় পার্টিকে যত নির্যাতন করেছে তাদের সঙ্গে কখনো মিত্রতা হবে না।

এ বিষয়ে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘ম্যাডাম তো দলের ঐক্য ধরে রাখতেই কাউন্সিলের ডাক দিয়েছিলেন। এখন তো দেখছি তারা কাউন্সিলেই যেত চাচ্ছে না।’

রওশন এরশাদকে সরিয়ে জিএম কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতা করতে যারা স্বাক্ষর করেছে তারাই বলতে পারবেন কেন তারা স্বাক্ষর দিয়েছেন। বিষয়টা নিয়ে আমাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষকও কনফিউসড, আমরাও কনফিউসড।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা আছে তাদের নিয়েই তো কাউন্সিল করতে চেয়েছেন। খেলার কী আছে, আমি শুধু প্রধান পৃষ্ঠপোষকের চিঠি প্রকাশ করেছি। এখানে খেলার কিছু নেই।

তিনি বলেন, আপনি যদি ঘরে বসে বলেন বিএনপির দিকে গেলাম, আমি ঘরে বসে যদি বলি আওয়ামী লীগের দিকে গেলাম সেটা তো ঠিক না। সেটা পরিস্কার করার জন্যই প্রধান পৃষ্ঠপোষক কাউন্সিল ডেকেছেন। আগামী নির্বাচনে কী করা উচিত, জাতীয় পার্টির ভূমিকা কী হবে? নির্বাচনে আমরা এককভাবে অংশ নেব কি না এসব বিষয়ে আলোচনা করতেই কাউন্সিল ডাকা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কি তাহলে বিএনপির দিকে হাঁটছেন এমন প্রশ্নের জবাবে গোলাম মসীহ বলেন, ‘আমরাও দেখছি, তাদের স্টেটমেন্ট সব বিএনপি লাইনের স্টেটমেন্ট। তবে যাই করুক সেটার জন্যও তো সবার সঙ্গে আলাপ না করে হঠাৎ বললাম আমি বিএনপির দিকে গেলাম এটা তো হয় না। এজন্য তো দলের ম্যানডেট নিতে হয়। এটা তো কাউন্সিলে ঠিক হবে। তাদের (জিএম কাদের) স্টেটমেন্টগুলো তো তাদের লাইনেরই স্টেটমেন্ট।’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানকে বিরোধী দলীয় নেতা করতে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছে সেই চিঠিতে আপনাদের ২৬ জন সংসদ সদস্যের ২২ জনই স্বাক্ষর করেছেন। তার মানে বিরোধী দলীয় নেতা কি একা হয়ে গেলেন?

জবাবে মসীহ বলেন, পার্টি যদি থাকে তাতে তো সমস্যা হওয়ার কথা না। আমার বিশ্বাস পার্টি ম্যাডামের সঙ্গেই থাকবে। যেসব সংসদ সদস্যের কথা বলছেন তাদেরকে তো ম্যাডামই সংসদ সদস্য করেছেন। তারা আজকে আছে, দেখবেন অনেক সংসদ সদস্য গত সংসদে ছিলেন, এবার নাই।

গত ১৯ আগস্ট নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর ছেলে আবরার ইলিয়াসের বিয়ের অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের একই টেবিলে বসে দীর্ঘক্ষণ আলাপ করেন। এখান থেকে গুঞ্জনের সূত্রপাত।

এ ছাড়া কিছুদিন আগে জিএম কাদের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। ঠিক একই সময়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য মির্জা আব্বাসসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা সিঙ্গাপুরে অবস্থান করেন। দেশে ফেরার পথে জিএম কাদের ও মির্জা আব্বাস একই ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন। একই সময়ে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতাদের সিঙ্গাপুর সফর রাজনৈতিক অঙ্গনে নানান আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

জাতীয় পার্টি ও রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোচনা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বিএনপির সঙ্গে মিলে সরকার হটাতে চান। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান বলেও গুঞ্জন রয়েছে।

এদিকে এইচ এম এরশাদের দ্বিতীয় স্ত্রী বিদিশা এরশাদ দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি দাবি করেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের নন। তিনি অবৈধ চেয়ারম্যান। আগামী ৩ মাস পর তিনি আর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান থাকবেন না।

বিদিশা এরশাদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘জিএম কাদের, তিনি নিজে অবৈধ চেয়ারম্যান। তার নিজেরই বৈধতা নেই। তিনি বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ক্ষমতায় যেতে চান। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন।’

তা ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সরকারের কঠোর সমালোচনা করছেন এবং আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত জাতীয় পার্টি।

কিছুদিন আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘সুদসহ ঋণ পরিশোধ করতে গিয়েই শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হয়ে গেছে। ঋণ নির্ভরতার কারণে দেশের ব্যাংকে টাকা নেই। পরিচালন ব্যয় না কমালে ব্যাংক থেকে ঋণ করে বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে। এ কারণেই দেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে।’ 

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী

বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার জলেশ্বরীতলায় ‘লাইফ ওকে’ নামের এক পোশাক বিক্রির শো-রুম উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ৫০ টাকায় মিলবে টি-শার্ট এমন ঘোষণায় হুলস্থুল কান্ড ঘটেছে।

ছাড়ের খবরে আজ বুধবার সকালে শো-রুমটির সামনে এতো সংখ্যক মানুষ জড়ো হন যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। এছাড়াও শো-রুমটির বিক্রেতাদের মারপিটের শিকার হয়েছেন সস্তার ক্রেতারা।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান ‘লাইফ ওকে’ বগুড়ায় প্রথমবারের মতো তাদের আউটলেট খুলতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফেসবুক পেজে ঘোষণা দেয় ‘মাত্র ৫০ টাকায় টি-শার্ট, এক থেকে দেড়শ’ টাকার মধ্যে মিলবে শার্ট এবং আড়ইশ’ টাকায় পাওয়া যাবে এক্সপোর্ট ইউএসপোলো সোয়েটার।

এমন পরিস্থিতিতে সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন।। ছবি: সংগৃহীত

এমন ঘোষণায় আজ সকাল থেকে অগণিত নারী-পুরুষ শো-রুমটির সামনে ভিড় করেন। জনসমাগম এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে যে, পুরো জলেশ্বরীতলা এলাকা স্তব্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় রাস্তার যান চলাচল, লোকজনের চাপে আশেপাশের দোকানপাটও বন্ধ করতে বাধ্য হন ব্যবসায়ীরা, দেখা দেয় নিরাপত্তার শঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন।

সেনাবাহিনী আগত লোকজনকে রাস্তা থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন, এতে কাজ না হলে লাঠি চার্জ শুরু করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। দুই দফা লাঠি চার্জের পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে শো-রুমটি খুলে দেওয়া হয়। এর পরপরই আবারও লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এতে পরিস্থিতি আবারও নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়।

এমন পরিস্থিতিতে শো-রুমটির বিক্রেতারা ক্রেতাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারপিট করেন। পড়ে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে দ্রুত শো-রুমটি বন্ধ করে ভেতরে থাকা ক্রেতাদের বের করে দিয়ে আগামী সাতদিনের জন্য শো-রুমটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

 

Header Ad
Header Ad

নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আদাতলা সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তির নাম সিরাজুল ইসলাম (৪২)। তিনি সাপাহার উপজেলার উত্তর পাতাড়ী গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার আদাতলা ভারত সীমান্তের ৪৪/১-এস পিলার এলাকা থেকে সিরাজুল ইসলামকে ধরে নেওয়া হয়। সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী এজেলা খাতুন বিএসএফের বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন।

সিরাজুলের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় সিরাজুল আরও ছয়-সাতজনের সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে গরু আনতে যায়। রাত ৩টার দিকে আদাতলা সীমান্তের ৪৪/১-এস পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার নাইরকুড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের টহল সদস্যরা তাঁদেরকে ধাওয়া করে। এ সময় অন্যরা বাংলাদেশের সীমান্তে আসতে সক্ষম হলেও সিরাজুল বিএসএফ সদস্যদের হাতে ধরা পড়েন।

এ বিষয়ে বুধবর (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়ান ১৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সাদিকুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসুস্থ্য থাকায় সংশ্লিষ্ট আদাতলা সীমান্ত চৌকির (বিওপি) কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

কিন্তু আদাতলা বিওপি ক্যাম্প কমান্ডারের সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও কল রিসিফ না হওয়ায় তাঁর মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

তবে বিএসএফের হাতে আটক সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী এজেলা বলেন, সিরাজুল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তবে কোথায় যাচ্ছে তা বাড়িতে বলে যায়নি। রাত ৪টার দিকে তাঁর স্বামীর সাথে ভারতে গিয়েছিলো দাবি করে এলাকার কিছু ব্যাক্তি তাঁকে বলেন, সিরাজুলকে সীমান্ত এলাকা থেকে বিএসএফ সদস্যরা ধরে নিয়ে গেছে।

Header Ad
Header Ad

মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ

মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় মনসুর নামে এক ব্যক্তির পোষা বিড়াল হত্যার অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের বাসিন্দা আকবর হোসেন শিবলুর নামে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক মামলাটি গ্রহণ করে মোহাম্মদপুর থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

আজ পিপলস ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ারের পক্ষে নাফিসা নওরীন চৌধুরী এ মামলাটি দায়ের করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে মোহাম্মদপুরের মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের ৯ম তলার বাসিন্দা মনসুর নামে এক ব্যক্তির বিড়াল হারিয়ে যায়।

পরে ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আসামি আকবর হোসেন শিবলু বিড়ালটিকে এলোপাতাড়ি ফুটবলের মতো লাথি মারছেন। আসামির লাথির আঘাতে বিড়ালটির নিথর দেহ পড়ে থাকার পরও পা দিয়ে পিষ্ট করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী
নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ
চুয়াডাঙ্গায় সার কাণ্ডে বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতা বহিষ্কার
আজ বন্ধুর সাথে গোসল করার দিন
২ আলাদা বিভাগসহ দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস
হাসিনার লাইভ প্রচারের আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবজিবাহী পিকআপ খাদে, চালকসহ নিহত ৩
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  
এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব  
পটুয়াখালীতে বাংলাভিশনের সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম  
উত্তরবঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল বিক্রি বন্ধ
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ  
শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে কড়া বার্তা হাসনাত আবদুল্লাহর  
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আজ    
সুইডেনে স্কুলে বন্দুক হামলা নিহত ১০ জন