বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জাতীয় পার্টি কি বিএনপির দিকে ঝুঁকছে?

ক্ষমতায় যেতে অস্থির হয়ে উঠেছে জাতীয় পার্টি। পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের ইতোমধ্যে বিএনপির সঙ্গে দরকষাকষি করছেন বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে। এর মধ্য দিয়ে কার্যত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে জাতীয় পার্টির।

এটা আরও পরিস্কার হয়ে উঠে সম্প্রতি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বানানোর জন্য স্পিকারকে চিঠি দেওয়ার পর।

এ নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের মধ্যে মতো পার্থক্য দেখা দিয়েছে।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দল গত ১ সেপ্টেম্বর একটি চিঠি দেয়। সেই চিঠিতে বেগম রওশন এরশাদকে বিরোধী দলীয় নেতার পদ থেকে সরিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাদেরকে বসানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। আগে থেকেই রওশন ও কাদেরের মধ্যে মতবিরোধ চলছিল। স্পিকারকে দেওয়া চিঠি সেই বিরোধে ঘি ঢেলেছে।

জিএম কাদের বর্তমানে সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতার দায়িত্ব পালন করছেন। শারীরিক অসুস্থতার জন্য জাতীয় সংসদের গত কয়েকটি অধিবেশনে অনুপস্থিত ছিলেন রওশন এরশাদ। তাই অধিবেশনে সমাপনী ভাষণে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে উপনেতা জিএম কাদেরই প্রতিনিধিত্ব করেন।

বিরোধী দলীয় নেতার এই অসুস্থতাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের উদ্দেশ্য সফল করতে মরিয়া জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের নেতারা। স্পিকারকে দেওয়া চিঠিতে ২৬ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ২২ জন স্বাক্ষর করেছেন। যারা জিএম কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দেখতে চান।

আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টি যখন সুসংগঠিত করার ডাক দিয়েছেন দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক তখনই বেঁকে বসেছেন জিএম কাদেরপন্থী সংসদ সদস্যরা। রওশন এরশাদ আগামী ২৬ নভেম্বর জাতীয় পার্টির কাউন্সিলের ডাক দিয়েছেন। সেই কাউন্সিলের মূল উদ্দেশ্য ছিল আগামী নির্বাচন জাতীয় পার্টি এককভাবে করবে নাকি কোনো জোটে যাবে-সেসব বিষয়ে আলোচনা করা ও কাউন্সিল থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া।

জাতীয় পার্টি সূত্রে জানা গেছে, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ বরাবরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রতি অনুগত। তাই যত কিছুই হোক তিনি আওয়ামী লীগ ছেড়ে যেতে নারাজ। বরং সংসদ সদস্যদের নিয়ে কীভাবে দরকষাকষি করা যায় সেই পরিকল্পনা করতেই কাউন্সিল করতে চেয়েছিলে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের কিছুদিন আগে চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। তার সেই সফরকে ঘিরে কানাঘুষা শুরু হয়েছে দলের ভেতর। দলের অনেক নেতাই মনে করেন তিনি চিকিৎসার জন্য নয়, বিশেষ কোনো কারণে বিদেশে যান। সেখানে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে তার একটি বৈঠকও হয়।

যদিও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সম্প্রতি ঢাকাপ্রকাশ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি পার্টির মহাসচিব, আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান বিদেশে গিয়ে বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করলে আমি জানব না?

তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে জাতীয় পার্টির কোনোদিনই মিত্রতা হবে না। বিএনপি জাতীয় পার্টিকে যত নির্যাতন করেছে তাদের সঙ্গে কখনো মিত্রতা হবে না।

এ বিষয়ে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘ম্যাডাম তো দলের ঐক্য ধরে রাখতেই কাউন্সিলের ডাক দিয়েছিলেন। এখন তো দেখছি তারা কাউন্সিলেই যেত চাচ্ছে না।’

রওশন এরশাদকে সরিয়ে জিএম কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতা করতে যারা স্বাক্ষর করেছে তারাই বলতে পারবেন কেন তারা স্বাক্ষর দিয়েছেন। বিষয়টা নিয়ে আমাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষকও কনফিউসড, আমরাও কনফিউসড।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা আছে তাদের নিয়েই তো কাউন্সিল করতে চেয়েছেন। খেলার কী আছে, আমি শুধু প্রধান পৃষ্ঠপোষকের চিঠি প্রকাশ করেছি। এখানে খেলার কিছু নেই।

তিনি বলেন, আপনি যদি ঘরে বসে বলেন বিএনপির দিকে গেলাম, আমি ঘরে বসে যদি বলি আওয়ামী লীগের দিকে গেলাম সেটা তো ঠিক না। সেটা পরিস্কার করার জন্যই প্রধান পৃষ্ঠপোষক কাউন্সিল ডেকেছেন। আগামী নির্বাচনে কী করা উচিত, জাতীয় পার্টির ভূমিকা কী হবে? নির্বাচনে আমরা এককভাবে অংশ নেব কি না এসব বিষয়ে আলোচনা করতেই কাউন্সিল ডাকা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কি তাহলে বিএনপির দিকে হাঁটছেন এমন প্রশ্নের জবাবে গোলাম মসীহ বলেন, ‘আমরাও দেখছি, তাদের স্টেটমেন্ট সব বিএনপি লাইনের স্টেটমেন্ট। তবে যাই করুক সেটার জন্যও তো সবার সঙ্গে আলাপ না করে হঠাৎ বললাম আমি বিএনপির দিকে গেলাম এটা তো হয় না। এজন্য তো দলের ম্যানডেট নিতে হয়। এটা তো কাউন্সিলে ঠিক হবে। তাদের (জিএম কাদের) স্টেটমেন্টগুলো তো তাদের লাইনেরই স্টেটমেন্ট।’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানকে বিরোধী দলীয় নেতা করতে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছে সেই চিঠিতে আপনাদের ২৬ জন সংসদ সদস্যের ২২ জনই স্বাক্ষর করেছেন। তার মানে বিরোধী দলীয় নেতা কি একা হয়ে গেলেন?

জবাবে মসীহ বলেন, পার্টি যদি থাকে তাতে তো সমস্যা হওয়ার কথা না। আমার বিশ্বাস পার্টি ম্যাডামের সঙ্গেই থাকবে। যেসব সংসদ সদস্যের কথা বলছেন তাদেরকে তো ম্যাডামই সংসদ সদস্য করেছেন। তারা আজকে আছে, দেখবেন অনেক সংসদ সদস্য গত সংসদে ছিলেন, এবার নাই।

গত ১৯ আগস্ট নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর ছেলে আবরার ইলিয়াসের বিয়ের অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের একই টেবিলে বসে দীর্ঘক্ষণ আলাপ করেন। এখান থেকে গুঞ্জনের সূত্রপাত।

এ ছাড়া কিছুদিন আগে জিএম কাদের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। ঠিক একই সময়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য মির্জা আব্বাসসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা সিঙ্গাপুরে অবস্থান করেন। দেশে ফেরার পথে জিএম কাদের ও মির্জা আব্বাস একই ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন। একই সময়ে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতাদের সিঙ্গাপুর সফর রাজনৈতিক অঙ্গনে নানান আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

জাতীয় পার্টি ও রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোচনা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বিএনপির সঙ্গে মিলে সরকার হটাতে চান। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান বলেও গুঞ্জন রয়েছে।

এদিকে এইচ এম এরশাদের দ্বিতীয় স্ত্রী বিদিশা এরশাদ দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি দাবি করেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের নন। তিনি অবৈধ চেয়ারম্যান। আগামী ৩ মাস পর তিনি আর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান থাকবেন না।

বিদিশা এরশাদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘জিএম কাদের, তিনি নিজে অবৈধ চেয়ারম্যান। তার নিজেরই বৈধতা নেই। তিনি বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ক্ষমতায় যেতে চান। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন।’

তা ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সরকারের কঠোর সমালোচনা করছেন এবং আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত জাতীয় পার্টি।

কিছুদিন আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘সুদসহ ঋণ পরিশোধ করতে গিয়েই শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হয়ে গেছে। ঋণ নির্ভরতার কারণে দেশের ব্যাংকে টাকা নেই। পরিচালন ব্যয় না কমালে ব্যাংক থেকে ঋণ করে বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে। এ কারণেই দেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে।’ 

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত