বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জিরো টলারেন্সেও থামছে না ইয়াবার থাবা

ইয়াবার ভয়ংকর থাবা ক্রমেই গ্রাস করছে দেশের তরুণ ও যুবসমাজকে। উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীরাই এর বড় শিকার। একসময় গুলশান-বনানীর মতো অভিজাত এলাকার মাদকাসক্তদের কাছে ইয়াবার পরিচিতি ছিল দামি মাদক হিসেবে। কিন্তু বর্তমানে রাজধানীর পাড়া-মহল্লা, অলিগলি থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা এমনকি গ্রামাঞ্চলেও হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবা।

অথচ সরকার প্রধান থেকে শুরু করে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা বারবার মাদকের বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’র (শূন্য সহনশীলতা) কথা বললেও এখন পর্যন্ত মাদক ব্যবসা বিশেষ করে ইয়াবা ব্যবসার পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করলেও তেমন কোনো ফল আসেনি। এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, মাদক ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত তারা খুবই ক্ষমতাধর ব্যক্তি। কেউ রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী, কেউ প্রশাসনিকভাবে শক্তিশালী, কেউবা টাকায় শক্তিশালী। অভিযোগ আছে, কোথাও কোথাও প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও নানাভাবে মাদকের সঙ্গে জড়িত আছেন। এসব কারণে মাদকের বিরুদ্ধে জোরালো কোনো অভিযান দেখা যায় না।

অবশ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতারা সমাজের কেউকেটা হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে তেমন কিছু করা যায় না।

ইয়াবা যেভাবে জীবনশক্তি শেষ করছে

প্রথম প্রথম ইয়াবা সেবনের কারণে একজন শান্ত মানুষ হিংস্র হয়ে উঠে। আর দীর্ঘদিন সেবনের ফলে তার জীবনীশক্তি ক্ষয় হতে থাকে। শরীরে ঝিমুনি আসে। কর্মক্ষমতা হারায়। যৌন সক্ষমতা হারিয়ে যায়। দাম্পত্য জীবনে অশান্তি। বিচ্ছেদ ঘটে। দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ইয়াবা সেবনকারীদের নার্ভ বা স্নায়ুগুলো অচল হয়ে যায়। গোয়েন্দা তথ্য বলছে, দেশজুড়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের বিশাল সার্কেল গড়ে উঠছে। ইয়াবার এই ভয়ংকর থাবায় নতুন নতুন মুখ আসক্ত হচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে অসংখ্য পরিবার।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা নিয়মিত ইয়াবা সেবন করে তাদের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, নিদ্রাহীনতা, খিঁচুনি, মস্তিষ্ক বিকৃতি, রক্তচাপ বৃদ্ধি, অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন, হার্ট অ্যাটাক, ঘুমের ব্যাঘাত, শরীরে কিছু চলাফেরার অস্তিত্ব টের পাওয়া, অস্বস্তিকর মানসিক অবস্থা, কিডনি বিকল, চিরস্থায়ী যৌন-অক্ষমতা, ফুসফুসের প্রদাহসহ ফুসফুসে টিউমার ও ক্যান্সার হতে পারে।

একাধিক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ইয়াবাসেবনকারীর সংখ্যা ৮০ লাখেরও বেশি। সম্প্রতি প্রকাশিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা সাময়িকীর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মাদকাসক্তদের ৫৮ শতাংশেরও বেশি ইয়াবাসেবী।

গবেষকরা বলছেন, ২০০০ সালের পর থেকে দেশের অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা ইয়াবার প্রতি আসক্ত হতে থাকে। ওই সময়ে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে এই ট্যাবলেট আসতে শুরু করে। তারপর ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করে। একসময় খুব দ্রুততার সঙ্গে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

এখন দেশের অভিজাত এলাকা থেকে বস্তি, গ্রামগঞ্জ সর্বত্রই ইয়াবার বিস্তার ঘটেছে। বিশেষ করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই মাদক সেবনের প্রবণতা বেশি। এ ছাড়া বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, শিল্পী, মডেল, অভিনেতা, শিক্ষক-শিক্ষিকারাও জড়িয়ে গেছেন এই মরণ নেশায়।

যেভাবে প্রবেশ করছে ইয়াবা

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে থেকে জানা যায়, ইয়াবার সবচেয়ে বড় রুট হচ্ছে টেকনাফ সীমান্ত। এর বাইরে সমুদ্রপথে ইয়াবা ঢুকছে চট্টগ্রাম দিয়েও। ইয়াবা ছাড়া অন্যান্য মাদক ঢুকছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত দিয়েও। বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাসনাবাদ, তাকি, বশিরহাট, স্বরূপনগর, বাদুরিয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, বনগাঁও, পেট্রাপোল, হেলেঞ্চা, ভবানীপুর, রানাঘাট, অমৃতবাজার, বিরামপুর, করিমপুর, নদীয়া, মালদাহ, বালুরঘাট, আওরঙ্গবাদ, নিমতিতাসহ সীমান্ত সংলগ্ন প্রায় সব এলাকা থেকে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট এবং দিনাজপুর সীমান্ত দিয়ে মাদক ঢুকছে৷ ভারতের আসাম এবং মেঘালয়ের বাংলাদেশ ঘেঁষা এলাকাগুলোর একাধিক স্থান দিয়েও বিভিন্ন মাদক সহজেই বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ে বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত একাধিক বৈঠকে মাদক পাচাররোধে নানা কৌশল নিয়ে আলোচনা হলেও মাদকের প্রবেশ বন্ধ করা যায়নি। এসব বৈঠকে বলা হয়, বৃহত্তর যশোর সীমান্তে ৫০- ৬০টি এবং উত্তরাঞ্চলের ৬ জেলার ৭২ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ১০টি ইয়াবা প্রস্তুত ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা রয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে এই তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে। একাধিক বৈঠকে কারখানাগুলো দ্রুত বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানানোর পর বিএসএফের পক্ষ থেকে ডজনখানেক কারখানা বন্ধ করা হয় ৷ অন্যান্য কারখানা বন্ধের তাগাদা দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত সেগুলো বন্ধ হয়নি বলে জানা গেছে।

অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইয়াবার মতো মাদকের থাবা রুখতে শুধু সেবনকারী ও বহনকারীদের গ্রেপ্তার করলে হবে না। এতে কোনো সুফল আসবে না। কারণ তারা একেবারেই নিম্নপর্যায়ের মানুষ। জরুরি হচ্ছে মাদক ব্যবসার পৃষ্ঠপোষকদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। কিন্তু আমরা আজও ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রাঘববোয়ালদের কাউকে গ্রেপ্তার হতে দেখিনি।

ইয়াবার বিষয়ে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাবেক একজন মহাপরিচালক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, দেশে মাদকের ব্যবসার পেছনে কারা আছে। তাদের একটি তালিকা আমরা সরকারকে দিয়েছি। সেগুলো নিয়ে হয়তো কাজ করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল মো. কামরুল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব কাজ করছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হাফিজ আল আসাদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, পুলিশ যে অভিযানগুলো চালায় সেখানে ৫-৬ ধরনের মাদক পাওয়া যায়। সবচেয়ে ভয়াবহভাবে পাওয়া যায় ইয়াবা। যা মিয়ানমার থেকেই আসছে। বর্তমান দেশেও তৈরি হচ্ছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।

তিনি বলেন, এসব নিয়ে আমরা কাজ করছি। এর সঙ্গে কারা জড়িত? আশ্রয় বা প্রশ্রয়দাতা কারা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আশ্রয় বা প্রশ্রয়দাতা কারা সেটা নিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের এক সহকারী মহাপরিদর্শক নামপ্রকাশ না করার শর্তে ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, পুলিশ সব সময় ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক নির্মূলে কাজ করছে। তবে একেবারেই মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, ইয়াবা ও অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীর তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আছে। তারপরও ইয়াবা বা ভয়ংকর সব মাদকের বিস্তার বন্ধ হচ্ছে না।

অপরাধ বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, দেশের কিছু মানুষের সঙ্গে আশেপাশের দেশের মাদক ব্যবসায়ীদের সংযোগ আছে। সেটিকে তারা কাজে লাগিয়ে এদেশে ইয়াবা ও অন্যান্য মাদকের ব্যবসা করছে। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সমাজের উচ্চপর্যায়ের কিছু মানুষ। যার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য বা অন্য কোনো পেশাজীবী বা রাজনৈতিক সংগঠনের লোক। তা না হলে দেশে এভাবে মাদকের প্রভাব পড়ত না।

তিনি বলেন, মাদক থেকে দূরে রাখতে কিছু সেমিনার হয়। কিন্তু এতে তেমন ফল আসছে না। মাদকের পৃষ্ঠপোষকরাও হয়তো এসব সেমিনার বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পেছনে বিনিয়োগ করে। যারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকছে। যদি মাদকের আশ্রয়স্থল ও পৃষ্ঠপোষকদের আইনের আওতায় আনা না যায়, তাহলে কোনোভাবে মাদক নির্মূল করা সম্ভব না।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সমাজ বিজ্ঞানী শিরিন সুলতানা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, দেখা গেছে মাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সেমিনার করে লোক দেখানো হয়। সেসব জায়গায় বলা হয়, মাদকের সঙ্গে পৃষ্ঠপোষকদের গ্রেপ্তার করতে হবে এবং তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। কিন্তু এ পযর্ন্ত দেখলাম না যে, কোনো মাদক পৃষ্ঠপোষক গ্রেপ্তার হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ইয়াবা বা যেকোনো মাদকের সঙ্গে যদি কোনো রাজনৈতিক দল বা প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তাহলে মাদক নির্মূল করা কিছুটা হলেও সম্ভব।

এনএইচবি/এসজি

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত