মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

জিরো টলারেন্সেও থামছে না ইয়াবার থাবা

ইয়াবার ভয়ংকর থাবা ক্রমেই গ্রাস করছে দেশের তরুণ ও যুবসমাজকে। উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীরাই এর বড় শিকার। একসময় গুলশান-বনানীর মতো অভিজাত এলাকার মাদকাসক্তদের কাছে ইয়াবার পরিচিতি ছিল দামি মাদক হিসেবে। কিন্তু বর্তমানে রাজধানীর পাড়া-মহল্লা, অলিগলি থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা এমনকি গ্রামাঞ্চলেও হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবা।

অথচ সরকার প্রধান থেকে শুরু করে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা বারবার মাদকের বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’র (শূন্য সহনশীলতা) কথা বললেও এখন পর্যন্ত মাদক ব্যবসা বিশেষ করে ইয়াবা ব্যবসার পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করলেও তেমন কোনো ফল আসেনি। এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, মাদক ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত তারা খুবই ক্ষমতাধর ব্যক্তি। কেউ রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী, কেউ প্রশাসনিকভাবে শক্তিশালী, কেউবা টাকায় শক্তিশালী। অভিযোগ আছে, কোথাও কোথাও প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও নানাভাবে মাদকের সঙ্গে জড়িত আছেন। এসব কারণে মাদকের বিরুদ্ধে জোরালো কোনো অভিযান দেখা যায় না।

অবশ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতারা সমাজের কেউকেটা হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে তেমন কিছু করা যায় না।

ইয়াবা যেভাবে জীবনশক্তি শেষ করছে

প্রথম প্রথম ইয়াবা সেবনের কারণে একজন শান্ত মানুষ হিংস্র হয়ে উঠে। আর দীর্ঘদিন সেবনের ফলে তার জীবনীশক্তি ক্ষয় হতে থাকে। শরীরে ঝিমুনি আসে। কর্মক্ষমতা হারায়। যৌন সক্ষমতা হারিয়ে যায়। দাম্পত্য জীবনে অশান্তি। বিচ্ছেদ ঘটে। দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ইয়াবা সেবনকারীদের নার্ভ বা স্নায়ুগুলো অচল হয়ে যায়। গোয়েন্দা তথ্য বলছে, দেশজুড়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের বিশাল সার্কেল গড়ে উঠছে। ইয়াবার এই ভয়ংকর থাবায় নতুন নতুন মুখ আসক্ত হচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে অসংখ্য পরিবার।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা নিয়মিত ইয়াবা সেবন করে তাদের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, নিদ্রাহীনতা, খিঁচুনি, মস্তিষ্ক বিকৃতি, রক্তচাপ বৃদ্ধি, অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন, হার্ট অ্যাটাক, ঘুমের ব্যাঘাত, শরীরে কিছু চলাফেরার অস্তিত্ব টের পাওয়া, অস্বস্তিকর মানসিক অবস্থা, কিডনি বিকল, চিরস্থায়ী যৌন-অক্ষমতা, ফুসফুসের প্রদাহসহ ফুসফুসে টিউমার ও ক্যান্সার হতে পারে।

একাধিক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ইয়াবাসেবনকারীর সংখ্যা ৮০ লাখেরও বেশি। সম্প্রতি প্রকাশিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা সাময়িকীর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মাদকাসক্তদের ৫৮ শতাংশেরও বেশি ইয়াবাসেবী।

গবেষকরা বলছেন, ২০০০ সালের পর থেকে দেশের অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা ইয়াবার প্রতি আসক্ত হতে থাকে। ওই সময়ে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে এই ট্যাবলেট আসতে শুরু করে। তারপর ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করে। একসময় খুব দ্রুততার সঙ্গে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

এখন দেশের অভিজাত এলাকা থেকে বস্তি, গ্রামগঞ্জ সর্বত্রই ইয়াবার বিস্তার ঘটেছে। বিশেষ করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই মাদক সেবনের প্রবণতা বেশি। এ ছাড়া বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, শিল্পী, মডেল, অভিনেতা, শিক্ষক-শিক্ষিকারাও জড়িয়ে গেছেন এই মরণ নেশায়।

যেভাবে প্রবেশ করছে ইয়াবা

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে থেকে জানা যায়, ইয়াবার সবচেয়ে বড় রুট হচ্ছে টেকনাফ সীমান্ত। এর বাইরে সমুদ্রপথে ইয়াবা ঢুকছে চট্টগ্রাম দিয়েও। ইয়াবা ছাড়া অন্যান্য মাদক ঢুকছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত দিয়েও। বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাসনাবাদ, তাকি, বশিরহাট, স্বরূপনগর, বাদুরিয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, বনগাঁও, পেট্রাপোল, হেলেঞ্চা, ভবানীপুর, রানাঘাট, অমৃতবাজার, বিরামপুর, করিমপুর, নদীয়া, মালদাহ, বালুরঘাট, আওরঙ্গবাদ, নিমতিতাসহ সীমান্ত সংলগ্ন প্রায় সব এলাকা থেকে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট এবং দিনাজপুর সীমান্ত দিয়ে মাদক ঢুকছে৷ ভারতের আসাম এবং মেঘালয়ের বাংলাদেশ ঘেঁষা এলাকাগুলোর একাধিক স্থান দিয়েও বিভিন্ন মাদক সহজেই বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ে বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত একাধিক বৈঠকে মাদক পাচাররোধে নানা কৌশল নিয়ে আলোচনা হলেও মাদকের প্রবেশ বন্ধ করা যায়নি। এসব বৈঠকে বলা হয়, বৃহত্তর যশোর সীমান্তে ৫০- ৬০টি এবং উত্তরাঞ্চলের ৬ জেলার ৭২ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ১০টি ইয়াবা প্রস্তুত ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা রয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে এই তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে। একাধিক বৈঠকে কারখানাগুলো দ্রুত বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানানোর পর বিএসএফের পক্ষ থেকে ডজনখানেক কারখানা বন্ধ করা হয় ৷ অন্যান্য কারখানা বন্ধের তাগাদা দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত সেগুলো বন্ধ হয়নি বলে জানা গেছে।

অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইয়াবার মতো মাদকের থাবা রুখতে শুধু সেবনকারী ও বহনকারীদের গ্রেপ্তার করলে হবে না। এতে কোনো সুফল আসবে না। কারণ তারা একেবারেই নিম্নপর্যায়ের মানুষ। জরুরি হচ্ছে মাদক ব্যবসার পৃষ্ঠপোষকদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। কিন্তু আমরা আজও ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রাঘববোয়ালদের কাউকে গ্রেপ্তার হতে দেখিনি।

ইয়াবার বিষয়ে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাবেক একজন মহাপরিচালক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, দেশে মাদকের ব্যবসার পেছনে কারা আছে। তাদের একটি তালিকা আমরা সরকারকে দিয়েছি। সেগুলো নিয়ে হয়তো কাজ করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল মো. কামরুল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব কাজ করছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হাফিজ আল আসাদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, পুলিশ যে অভিযানগুলো চালায় সেখানে ৫-৬ ধরনের মাদক পাওয়া যায়। সবচেয়ে ভয়াবহভাবে পাওয়া যায় ইয়াবা। যা মিয়ানমার থেকেই আসছে। বর্তমান দেশেও তৈরি হচ্ছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।

তিনি বলেন, এসব নিয়ে আমরা কাজ করছি। এর সঙ্গে কারা জড়িত? আশ্রয় বা প্রশ্রয়দাতা কারা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আশ্রয় বা প্রশ্রয়দাতা কারা সেটা নিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের এক সহকারী মহাপরিদর্শক নামপ্রকাশ না করার শর্তে ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, পুলিশ সব সময় ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক নির্মূলে কাজ করছে। তবে একেবারেই মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, ইয়াবা ও অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীর তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আছে। তারপরও ইয়াবা বা ভয়ংকর সব মাদকের বিস্তার বন্ধ হচ্ছে না।

অপরাধ বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, দেশের কিছু মানুষের সঙ্গে আশেপাশের দেশের মাদক ব্যবসায়ীদের সংযোগ আছে। সেটিকে তারা কাজে লাগিয়ে এদেশে ইয়াবা ও অন্যান্য মাদকের ব্যবসা করছে। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সমাজের উচ্চপর্যায়ের কিছু মানুষ। যার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য বা অন্য কোনো পেশাজীবী বা রাজনৈতিক সংগঠনের লোক। তা না হলে দেশে এভাবে মাদকের প্রভাব পড়ত না।

তিনি বলেন, মাদক থেকে দূরে রাখতে কিছু সেমিনার হয়। কিন্তু এতে তেমন ফল আসছে না। মাদকের পৃষ্ঠপোষকরাও হয়তো এসব সেমিনার বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পেছনে বিনিয়োগ করে। যারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকছে। যদি মাদকের আশ্রয়স্থল ও পৃষ্ঠপোষকদের আইনের আওতায় আনা না যায়, তাহলে কোনোভাবে মাদক নির্মূল করা সম্ভব না।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সমাজ বিজ্ঞানী শিরিন সুলতানা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, দেখা গেছে মাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সেমিনার করে লোক দেখানো হয়। সেসব জায়গায় বলা হয়, মাদকের সঙ্গে পৃষ্ঠপোষকদের গ্রেপ্তার করতে হবে এবং তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। কিন্তু এ পযর্ন্ত দেখলাম না যে, কোনো মাদক পৃষ্ঠপোষক গ্রেপ্তার হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ইয়াবা বা যেকোনো মাদকের সঙ্গে যদি কোনো রাজনৈতিক দল বা প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তাহলে মাদক নির্মূল করা কিছুটা হলেও সম্ভব।

এনএইচবি/এসজি

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সক্রিয় সদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এদের মধ্যে বাকি ৫ জন চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১টি অটো চার্জার ভ্যান এবং ১৯টি অটো চার্জার ভ্যানের ব্যাটারিসহ ১৫০ কেজি খুচরা যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহীর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ফারজানা হোসেন এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, জেলার পোরশা উপজেলার সোভাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল জব্বার (৪০) চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পাথরপূজার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে নুরুজ্জামান (৪০) এবং নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩০)।

গ্রেপ্তারকৃত চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সদস্যরা হলেন, জেলার মান্দা উপজেলার উত্তর কাঞ্চন গ্রামের আলম খানের ছেলে শহিদ খান (৩৪) একই গ্রামের পরেশ আলী মৃধার ছেলে কাওছার আলী মৃধা (২৪), উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের তমিজউদদীন মোল্লার ছেলে আব্দুল মতিন মোল্লা (৫০), কামারকুড়ি গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪২) এবং শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান মন্ডলের ছেলে আজিজুল মন্ডল(৬৪)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন বলেন, বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত অনুমানিক ৮ টার দিকে সাপাহার থানার নোচনাহার বাজার থেকে সাদিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক অটো চার্জার ভ্যান চালক তার নিজের অটো চার্জার ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে সাপাহার থানাধীন ইলিমপুর মোড় হইতে হরিপুর বাজারগামী রোডে ইলিমপুর ব্রীজের নিকট পৌছাতেই রাস্তার পাশে ওৎপেতে থাকা ০৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার অটো চার্জার ভ্যান থামিয়ে তাকে ভ্যান থেকে টেনে নামায় এবং তার গলার চাকু ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে পাশের আম বাগানে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে।

পরবর্তীতে তারা সাদিকুলের অটো চার্জার ভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অপর আরো একটি ঘটনায় একই ডাকাত দল গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পোরশা থানার সরাইগাছি - আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের মশিদপুর এলাকায় এক অটো চার্জার ভ্যান চালককে আটক করে। তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার অটো চার্জার ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এই দুই ঘটনায় পোরশা এবং সাপাহার থানায় আলাদা দুইটি মমলা হয়। মামলার পর থেকেই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবির) একটি বিশেষ টিম অভিযান অব্যাহত রাখে। গতকাল (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহী জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩ জন ডাকাত এবং চোরাই ভ্যানের মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত এমন ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফারজানা হোসেন আরও বলেন, গ্রেফাতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে মোহাম্মদ সেলিম (৩০) বহুল আলোচিত সাপাহার উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ হিল কাফি হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী। সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। এছাড়াও ডাকাত আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০ টি এবং ডাকাত নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪ টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুমন রঞ্জন সরকার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি ডিবি) আব্দুল মান্নানসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়াল সম্প্রতি এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। ‘ঘাতক’ ছবির শুটিং চলাকালে হাঁটুর মারাত্মক আঘাতের পর দ্রুত সেরে ওঠার জন্য তিনি নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।

রাকেশ পান্ডের সঙ্গে একটি দৃশ্যের শুটিং চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আঘাতের পর পরিচালক তিন্নু আনন্দ ও অভিনেতা ড্যানি দেনজোংপা তাকে দ্রুত মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে গভীর উদ্বেগে ছিলেন পরেশ রাওয়াল। তখনই প্রয়াত অ্যাকশন ডিরেক্টর বীরু দেবগণ তাকে পরামর্শ দেন প্রতিদিন সকালে নিজের মূত্র পান করার জন্য। বীরু দেবগণের যুক্তি ছিল, বহু যোদ্ধা শরীরের দ্রুত আরোগ্যের জন্য এমন পদ্ধতি অনুসরণ করতেন। পরেশ রাওয়াল সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি তখন এমন এক মানসিক অবস্থায় ছিলেন যে সুস্থতার জন্য যেকোনো কিছু করতে রাজি ছিলেন।

 

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টানা ৩০ দিন নিজের মূত্র পান করেন পরেশ। পরে চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চমকপ্রদ ফলাফল পান। চিকিৎসকদের মতে, তার চোট সারাতে যেখানে আড়াই মাস সময় লাগার কথা ছিল, সেখানে তিনি মাত্র দেড় মাসেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

বর্তমানে পেশাগত জীবনেও ব্যস্ত সময় পার করছেন পরেশ রাওয়াল। শিগগিরই তিনি প্রিয়দর্শনের পরিচালনায় নির্মিত হরর-কমেডি 'ভূত বাংলা' ছবিতে অক্ষয়কুমার ও টাবুর সঙ্গে অভিনয় করবেন। পাশাপাশি ‘হেরা ফেরি ৩’-তেও পুরনো সহ-অভিনেতা অক্ষয়কুমার ও সুনীল শেঠির সঙ্গে আবার পর্দা ভাগ করবেন।

 

Header Ad
Header Ad

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, "শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।" তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ