বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিশেষ প্রতিবেদন

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ‘নৌকা’ আওয়ামী লীগের জন্য শাঁখের করাত!

ছবি : সংগৃহীত

সংঘাত এড়ানোর ভাবনা থেকেই ২০১৬ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন সংশোধন করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের ব্যবহার শুরু হয়। দলের ভেতর স্বস্তিতো আসেইনি বরং উল্টো দলের ভেতর বিভেদ সৃষ্টি করে দিচ্ছে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন এমনটাই মনে করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।

সারাদেশের ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৭৯টি। মেয়াদ উত্তীর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভাগুলোতে চলছে নির্বাচন। গত ২১ জুন প্রথম ধাপে ২০৪টি এবং ২০ সেপ্টেম্বর ১৬০ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় ধাপে ৮৪৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১১ নভেম্বর। তৃতীয় ধাপে ১ হাজারটি ইউপি’র ভোট হয় ২৮ নভেম্বর এরপর চতুর্থ ধাপে ২৬ ডিসেম্বর ৮৪০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হবে।  

প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ২০৪টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৪৮টিতেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেছেন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র থেকে ৪৯ জন এবং তিনটি বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে বাকি ৭ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন।

নৌকা প্রতীকে জয়ী ১৪৮জন প্রার্থীর মধ্যে ১২০ জন সরাসরি ভোটে এবং বাকী ২৮ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। স্বতন্ত্রদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। এবারের নির্বাচনে দলগতভাবে বিএনপি অংশ নেয়নি।

১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হয় ৮৪৬টি ইউপির নির্বাচন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন ১০০০। তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ১ হাজার ৮টি ইউপির নির্বাচন। এ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন ৪২৬ জন অপরদিকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে বিজয়ী হয়েছেন ৪৪৫ জন। অর্থাৎ এখানে নৌকার প্রতীকের চেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা বেশি।

প্রতিটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনেই নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থীদের ছড়াছড়ি। দলীয় প্রতীক না জুটলেই বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। নৌকাকে ডুবাতে দলীয় নেতারাই আটঘাট বেঁধে রাজনীতির মাঠে নেমেছে বলে জানিয়েছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা। 

দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করায় নির্বাচনী ব্যবস্থা কতটুক শক্তিশালী হলো এমন প্রশ্ন করা হলে স্থানীয় শাসন বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘এটা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। অনেক বলেছি আর কথা বলব না।’

দলের হাই কমান্ডের নির্দেশের পরেও কেনো এতো বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছে এমন প্রশ্ন করা হলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছে তারা রাজনীতির অভিলাষ থেকেই হচ্ছে। দলের সিদ্ধান্তের চেয়ে ব্যক্তি স্বার্থজনিত সিদ্ধান্ত তাদের কাছে বড়। এজন্য বিদ্রোহী হচ্ছে।’

‘দল তো সবাইকে মনোনয়ন দিতে পারবে না, একজনকেই দিতে হবে। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত অবশ্যই সকলকে মেনে চলতে হবে। মেনে না চললে দলের সিদ্ধান্তের সাথে বিদ্রোহ করল বা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করল এটিই ধরে নেয়া হবে, তার জন্য যে শাস্তি সেটিই বিবেচিত হবে। যারা বিদ্রোহী হবে সেই শাস্তি সবার ব্যাপারেই প্রযোজ্য,’ যোগ করেন তিনি।

বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ঢাকাপ্রকাশকে জানান নির্বাচনে সবগুলো রাজনৈতিক দল যদি অংশ গ্রহণ করতো সেক্ষেত্রে হয়তো বিষয়টি একটু ভিন্ন রকম হতো।

‘সেখানে একটি প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ নির্বাচন হতো, তীব্র প্রতিযোগীতামূলক নির্বাচন হতো সেই ক্ষেত্রে কিন্তু আমাদের দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা হয়তো কমে আসতো। এখানে প্রতিযোগীতামূলক বিরোধী দল মাঠে না থাকার কারণে অনেকে নির্বাচন করার উৎসাহ পাচ্ছে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবং প্রতিযোগীতামূলক নির্বাচন করার জন্য দরকার হলো সকলের অংশগ্রহণ,’ তিনি বলেন। 

বিদ্রোহী প্রার্থী দলের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলের মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে, যেহেতু প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলো অফিসিয়ালি অংশগ্রহণ করছে না, আন-অফিসিয়ালি অংশগ্রহণ করছে ফলে একটু বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। আবার যদি পুরোপুরি দমন করি তাহলেও বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন পড়ে গেছি শাখের কড়াতের মধ্যে আছি এদিকও কাটে ওদিকেও কাটে। বিদ্রোহী হওয়াও কারাপ। তাই নির্বাচন শেষ হলে দল থেকে স্ট্যাডি হওয়া উচিত।’

স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে শুরু থেকেই মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। তবে সেই বাণিজ্যে কারা কীভাবে লেনদেন করেছে তার কোনো তথ্য প্রমাণ নেই। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলে যারা জনপ্রিয় তাদের নাম কেন্দ্রে না পাঠিয়ে অর্থ লেনদেন এর ফলে অপেক্ষাকৃত কম জনপ্রিয় লোকের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়। তাতে ওই ইউনিয়নে নৌকা বঞ্চিত প্রার্থীরাই নৌকার বিপক্ষে লড়াই করছে।

প্রতিটি সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্যদের অনুসারীদের একটি দল থাকে। সংসদ সদস্যরা চান তাদের অনুসারীরাই দলীয় মনোনয়ন পাক। অন্যদিকে জেলা উপজেলা পর্যায়ের সভাপতি সেক্রাটারিদের পছন্দ অপছন্দের প্রার্থীদের একটি গ্রুপ থাকে। ফলে অনেক সময় জেলা উপজেলা থেকে যে তালিকা দেয়া হয় সেই তালিকা কেন্দ্রে মূল্যায়িত হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য জেলা উপজেলা নেতাদের মধ্যে পৃথক গ্রুপিং এর কারণে ডুবছে নৌকা। সংসদ সদস্যদের পছন্দের প্রার্থী না থাকলেই পেছন থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে নৌকা ডুবিয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বিভেদ দূর করতে না পারলে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন কেন্দ্রিয় নেতারা।

 

এসএম/এমএমএ/

 

 

Header Ad
Header Ad

খুলনায় ছাত্র-জনতার উচ্ছ্বাস, বুলডোজারের আঘাতে মাটিতে মিশে গেল ‘শেখ বাড়ি’

ছবি: সংগৃহীত

খুলনার ময়লাপোতা এলাকায় ‘শেখ বাড়ি’ নামে পরিচিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র আজ (বুধবার) রাতে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের আহ্বানে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা সেখানে জড়ো হয়ে বাড়িটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং সিটি করপোরেশনের দুটি বুলডোজার দিয়ে বাড়িটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনকারীরা শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এর আগে গত ৪ আগস্ট ‘শেখ বাড়ি’তে প্রথম দফায় আগুন লাগানো হয়। সেদিন বাড়িটি খালি থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর আবারও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানো হয়। একসময় যেখান থেকে খুলনা অঞ্চলের আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হতো, আজ সেটির অস্তিত্ব ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলো।

প্রসঙ্গত, ‘শেখ বাড়ি’ ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচার মালিকানাধীন। এ বাড়িতে তাঁর চাচাতো ভাই, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সোহেল উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন পরিবারের সদস্য বসবাস করতেন। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে এ বাড়ি দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা ছিল।

বুলডোজার চালানোর সময় ছাত্র-জনতার বিপুল উচ্ছ্বাস লক্ষ করা যায়। তাঁদের দাবি, বৈষম্যমূলক রাজনৈতিক শাসনের প্রতীক হয়ে উঠেছিল এই বাড়ি, তাই এটিকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করাই ছিল তাঁদের লক্ষ্য।

Header Ad
Header Ad

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল, বুলডোজার ছাড়াই গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল নেমেছে। আজ বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে, সন্ধ্যা ৮টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা জড়ো হয়। তারা স্লোগান দিতে দিতে জাদুঘরের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ভাঙচুর শুরু করে। বিক্ষোভকারীরা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ জাদুঘরের বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করে।

নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার ঘোষণার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভকারীরা শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল ভাষণের বিরোধিতা করে এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

বিক্ষোভের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২' নামে একটি কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়, যেখানে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানায়। তবে, বুলডোজার ছাড়াই তারা নিজ হাতে ভাঙচুর চালায়।

এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও বিক্ষোভকারীদের থামাতে ব্যর্থ হয়। বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে পরিচিত, যেখানে তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হওয়ার আগে বসবাস করতেন।

Header Ad
Header Ad

আমরা কী করলাম, সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে : প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা কী করলাম বা করলাম না- ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেটি দিয়ে আমাদের বিচার করবে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. ইউনূস বলেন, দেশের রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে এবং এর ভিত্তিতেই সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। তিনি আরও বলেন, "এটি জাতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ। আমি জাতির পক্ষ থেকে কমিশনের দুই চেয়ারম্যানসহ সকল সদস্যকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।"

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "এই দুটি প্রতিবেদন দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলবে। আপনি দরিদ্র, মধ্যবিত্ত বা ধনী যেই হোন না কেন, এই সংস্কারের প্রভাব থেকে কেউই বাদ যাবেন না।"

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, "কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে নাগরিকরা তাদের প্রকৃত অধিকার ফিরে পাবেন। আমরা যেন সত্যিকারের নাগরিক হিসেবে মর্যাদা পাই, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।"

সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জনগণ, রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, "যাতে সবাই মনে করতে পারে, এখানে প্রকৃত সত্য বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীদের বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে। আমাদের তো পণ্ডিত হতে হবে না এটি বোঝার জন্য, কারণ প্রতিদিনই আমরা নানা অবিচারের শিকার হই।"

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, "সংস্কার কমিশনের কাজ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এটি বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বিশ্বের দরবারে এটি তুলে ধরতে হলে এর ইংরেজি অনুবাদ করা প্রয়োজন।"

কমিশনের সদস্যদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, "আপনাদের প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা ও গবেষণার সংমিশ্রণে এই প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দলিল হয়ে থাকবে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা কী করলাম বা করলাম না, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের সেই কাজের জন্যই বিচার করবে। তারা প্রশ্ন করতে পারে, আপনারা তো পেয়েছিলেন, তাহলে বাস্তবায়ন করেননি কেন? কারণ, সবকিছু তো বইয়ের পাতায় লেখা আছে। এই কাজ জাতির জন্য এক মূল্যবান স্মারক হয়ে থাকবে।"

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খুলনায় ছাত্র-জনতার উচ্ছ্বাস, বুলডোজারের আঘাতে মাটিতে মিশে গেল ‘শেখ বাড়ি’
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল, বুলডোজার ছাড়াই গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা
আমরা কী করলাম, সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে : প্রধান উপদেষ্টা
হাসিনার বিচারের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: তারেক রহমান
মুক্তিপনের প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাকে কুড়াল দিয়ে কোপালেন আ'লীগের কর্মিরা
খুব দ্রুতই জবি ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে: ছাত্রদল সভাপতি
বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী
নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ
চুয়াডাঙ্গায় সার কাণ্ডে বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতা বহিষ্কার
আজ বন্ধুর সাথে গোসল করার দিন
২ আলাদা বিভাগসহ দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস
হাসিনার লাইভ প্রচারের আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবজিবাহী পিকআপ খাদে, চালকসহ নিহত ৩
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  
এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব