শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫ | ২২ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ঝুঁকির মুখে এজেন্ট ব্যাংকিং

এখন দেশব্যাপী জনপ্রিয় ও লেনদেনের সহজ একটি মাধ্যমের নাম এজেন্ট ব্যাংকিং। সারাদেশে ২৫টি ব্যাংকের ১৪ হাজারের বেশি এজেন্ট আছেন। এদের আওতায় প্রায় এক কোটি ৬১ হাজার অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এর মাধ্যমেই একেবারে গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে যাচ্ছে ব্যাংকিং সেবা। বর্তমানে এসব অ্যাকাউন্টে বিপরীতে আমানত ২৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। আর এজেন্ট ব্যাংকিং চালু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত রেমিট্যান্সও এসেছে প্রায় লাখ কোটি টাকা। ঋণ দেওয়ার পরিমাণও প্রায় আট হাজার কোটি টাকা।

কিন্তু প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের দোড়গোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া এজেন্ট ব্যাংকাররা এখন গভীর সংকটের মুখোমুখি। আছেন নানা ঝুঁকিতে। দেশব্যাপী এজেন্ট ব্যাংকের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতির মত ঘটনা। সেই ঝুঁকি নিয়েও এজেন্ট ব্যাংকাররা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এখন আবার মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে খোদ ব্যাংকগুলোই। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালাকে উপেক্ষা করে গ্রামাঞ্চলে যেসব এলাকায় এজেন্ট ব্যাংকিং ভালো হচ্ছে সেসব এলাকায় ব্যাংকের শাখা, উপ-শাখা খুলতে তৎপর একাধিক ব্যাংক। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ এজেন্টরা। তারা প্রতিকার চেয়ে শরণাপন্ন হয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের প্রায় ১১ হাজার শাখার অনুমোদন দিয়েছে। এর ৫২ শতাংশ শহর এলাকায় এবং ৪৮ শতাংশ গ্রামীণ এলাকায়। তারপরও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকিং সুবিধা না পৌঁছায় সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান নজর দেন কীভাবে সবাইকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনা যায়। বিষয়টি আমলে নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৩ সালে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে ব্যাংকিং সুবিধায় আনতে বিভিন্ন ব্যাংককে অনুমোদন দেয়। আর তাতেই গত এক দশকে পাল্টে গেছে চিত্র।

সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত ৩০টি ব্যাংককে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘গাইডলাইনস ফর এজেন্ট ব্যাংকিং অপারেশন ইন বাংলাদেশ’ নামে একটি গাইডলাইন তৈরি করে। এই গাইডলাইনে এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালনার বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ সব নির্দেশনার একটি হচ্ছে, লেনদেনে করতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিত সময় মতো। তবে ব্যাংক যদি মনে করে কোনো রিস্ক নেই তাহলে সময় কম-বেশি হতে পারে। ক্যাশ জমা ও উত্তোলন থেকে শুরু করে এজেন্টরা কি কাজ করতে পারবে সেটি স্পষ্ট করা হয়েছে। এজেন্টরা কি করতে পারবে না সেটি উল্লেখ করে গাইডলাইনে বলা হয়েছে, কোনো ইউনিট ও মাস্টার এজেন্ট একাধিক ব্যাংকের এজেন্ট হতে পারবে না। বৈদশিক মুদ্রাও লেনদেন করতে পারবে না। ব্যাংকগুলোকে অবশ্যই গ্রামাঞ্চলে তিনটি আউটলেটের বিপরীতে শহরে একটা আউটলেটের অনুপাত মেইনটেইন করতে হবে।

সূত্র জানায়, ইউনিট (ব্যক্তি) ও মাস্টার (ব্যবসা প্রতিষ্ঠান) এজেন্টের মাধ্যমে সারাদেশে এই এজেন্ট ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। এসব এজেন্টের কাছে যে কেউ তাৎক্ষণিকভাবে যেমন আমানত রাখতে পারছেন তেমনি ঋণও নিতে পারছেন। শুধু তাই নয়, প্রবাসীরাও দেশে স্বজনের কাছে রেমিট্যান্স পাঠতে পারছেন।

বর্তমানে এজেন্ট ব্যাংকিং এতোটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে, ব্যাংকিং সময়ের পরও এজেন্টদের লেনদেন করতে হচ্ছে। ফলে ব্যাংককিং সময়ের পরও অনেক টাকা জমা হচ্ছে আউটলেটে। এই টাকা জমা রাখতে হচ্ছে এজেন্টদের নিজ দায়িত্বেই। আর তাতেই ঝুঁকি বাড়ছে। চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটছে।

নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভা এলাকা থেকে সম্প্রতি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এক কর্মীর কাছ থেকে ১৯ লাখ টাকা ছিনতাই হয়েছে। এজেন্ট থানার শরণাপন্ন হলে ৩৩ দিন পর পুলিশ চার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে। এভাবেই দেশের বিভিন্ন স্থানে অহরহ ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডাচবাংলা ব্যাংকের এজেন্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার বসিলা রোডের লাইভ ট্রেডার্সের মহিউদ্দিন হাওলাদার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘বাসাভাড়া, কর্মচারীদের বেতন সব কিছুই আমাদের দিতে হচ্ছে। শর্ত মেনেই এজেন্ট হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছি। কমিশনই আমাদের আয়ের উৎস। এক লাখে ২০০ টাকা কমিশন পাই। লেনদেন বেশি হলে লাভও বেশি হয়। কিন্তু অনেককে লাভে না এলেও ঝুঁকিতেই থাকতে হচ্ছে। নতুন যারা, তাদের লস করেই এ ব্যবসা করতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে ব্যাংকের লেনদেনের পর গ্রাহকের জমা করা টাকা নিয়ে। আমাদের রিস্কে তা রেখে দিতে হয়। এ সুযোগ নিয়ে অনেক জায়গায় ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি হচ্ছে। তখনই ঝামেলা হচ্ছে। তাই অনেকে ঝুঁকি মোকাবিলা করতে না পেরে এজেন্ট ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছে, বর্তমানে এ ব্যবসা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন লেগে থাকলে লাভে আসা সম্ভব। বর্তমানে ডাচ বাংকের ৬০০০ এজেন্ট। এদের অনেকের খারাপ অবস্থা। তবে লাভ করতে হলে অপেক্ষা করতে হবে। অন্যান্য ব্যবসার মতোই এখানেও ধৈর্য ধরে থাকতে হবে।'

অ্যাকাউন্টধারীর সংখ্যা দেড় কোটি ছাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে (জুন পর্যন্ত) দেখা গেছে, এজেন্ট ব্যাংকিং-এ অ্যাকাউন্টধারীর (হিসাবের নম্বর) সংখ্যা এক কোটি ৬০ লাখের বেশি দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ পাঁচটি ব্যাংকের হিসাব নম্বর। তাতে ব্যাংক এশিয়ার হচ্ছে ৫৩ লাখের বেশি বা ৩৩ শতাংশ, ডাচ বাংলা ব্যাংকের প্রায় ৩১ শতাংশ, ইসলামী ব্যাংকের ১৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ, আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকের ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ ও অগ্রণী ব্যাংকের ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

এ সব হিসাব নম্বরে আমানত জমা হয়েছে ২৮ হাজার ৮৫ কোটি টাকা। যা এক বছর আগে ছিল ২০ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা। এসব ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমানত হচ্ছে ইসলামী ব্যাংকের ৩৯ শতাংশের বেশি। এ ছাড়া ডাচ বাংলা ব্যাংকের ১৫ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়ার ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, আল আলাফা ব্যাংকের ১২ শতাংশ ও অগ্রণী ব্যাংকের ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ আমানত জমা হয়েছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে।

শুধু তাই নয়, ঋণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। ৯৭ দশমিক ৪১ শতাংশ ঋণ দিয়েছে পাঁচটি ব্যাংক। জুন পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা।

এরমধ্যে সর্বোচ্চ ঋণ দিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। ঋণের পরিমান ৬২ দশমিক শতাংশ। এ ছাড়া সিটি ব্যাংক ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়া ১২ দশমিক ৫০, ডাচ বাংলা ব্যাংকের ৫ দশমিক ৯১ ও আল আলাফা ব্যাংক ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ ঋণ দিয়েছে। এ ছাড়া এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে রেমিট্যান্সও পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। গত জুন পর্যন্ত প্রবাসীরা ৯৭ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৬৮ হাজার কোটি টাকা। করোনাকালেও রেমিটেন্স এসেছে ২৯ হাজার কোটি টাকার বেশি। ৯৭ শতাংশ রেমিট্যান্স এসেছে পাঁচটি ব্যাংকের মাধ্যমে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে প্রতিকার চেয়েছেন এজেন্টরা। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গত প্রায় এক দশকে ব্যাংক সেবায় রীতিমতো বিপ্লব ঘটেছে দেশে। এ কাজ করতে গিয়ে অনেক এজেন্ট ভল্ট নির্মাণ, আসবাবপত্র, ল্যাপটপ কেনার জন্য লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগও করেছেন। কিন্তু ব্যাংকগুলো এখন এজেন্টদের বাদ দিয়ে উপ-শাখা বা শাখা স্থাপন করছে। তাদের আউটলেট অন্যত্র সরিয়ে নিতে বলছে।

এ ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের ধামরাই বাজারের এজেন্ট জিন্নাত ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘প্রায় ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ঝুঁকি ও ভোগান্তি সহ্য করে এ পর্যায়ে এসেছি। এলাকায় ভালো পরিচিতি লাভ করেছি। কিন্তু ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অফিস থেকে গত ১ মার্চ চিঠি দিয়ে আউটলেট ধামরাই থেকে অন্য স্থানে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছে। তিনি বলেন, এতে আমি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব।

এমনতাবস্থায়, বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।কারণ এটা এজেন্ট ব্যাংকিং নীতিমালা ও নৈতিকতা বিরোধী। তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তা থাকলে সব সময় লেনদেনে সমস্যা নেই। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংক সময় ছাড়া লেনদেন করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অনেক এলাকায় ছিনতাইকারীরা এজেন্টদের টাকা লুট করে নিচ্ছে।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন,‘বর্তমানে এজেন্টদের লেনদেনে কোনো ঝুঁকি নেই। কারণ প্রতি আউটলেটে ভল্ট রয়েছে। দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুবই সজাগ। তা ছাড়া গ্রাহকের বীমা করা আছে। কোনো টাকা ছিনতাই হলে তারা বিমার আওতায় ক্ষতিপূরণ পাবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্যবসা বাড়লে সেখানে উপ-শাখা বা শাখা করা হবে এটাই স্বাভাবিক। এতে গ্রাহকরা আরও বেশি ও দ্রুত সেবা পাবে।’

ব্যাংকিং সময় ছাড়া লেনদেন করতে এজেন্টরা ঝুঁকিতে পড়ছে। বিকল্প কোনো পথ বের করা হবে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘এটা আমার আগে জানা ছিল না। তাই কিছু বলতে পারছি না। তবে সংশ্লিষ্ট পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের নিরাপত্তার জন্য কিছু করার সুযোগ থাকলে তা করা হবে।’

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

মার্কিন শুল্ক নিয়ে সন্ধ্যায় জরুরি মিটিং ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন শুল্ক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে একটি জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সভা আয়োজিত হবে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। সভায় অংশ নেবেন শীর্ষ বিশেষজ্ঞ, উপদেষ্টা ও কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, গত বুধবার বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এত দিন দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হতো।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের ৪০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি শিল্পে বড় ধরনের আঘাত আসতে পারে। এই ধাক্কা সামলাতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর পথ খোঁজা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ: পরীমনি বললেন ‘আমার হাতে সব প্রমাণ আছে’

অভিনেত্রী পরীমনি। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনি এখন একটি বিতর্কিত অভিযোগের শিকার। তার গৃহকর্মী পিংকি আক্তার পরীমনির বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে তিনি দাবি করেছেন, পরীমনি তার ওপর শারীরিক নির্যাতন করেছেন, বিশেষত এক বছরের মেয়ে সন্তানকে খাবার খাওয়ানোর ঘটনায়।

অভিযোগ দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি দ্রুত আলোচনায় আসে এবং সোশ্যাল মিডিয়া সহ গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়ে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলে পরীমনি ফেসবুক লাইভে আসেন। তিনি জানান, তার কাছে সব প্রমাণ রয়েছে, তবে তিনি সেগুলো প্রকাশ করতে চান না কারণ তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

অভিনেত্রী পরীমনি। ছবি: সংগৃহীত

লাইভে পরীমনি বলেন, “যদি আমার বিগত জীবনযাপন দেখেন, বুঝবেন যে আমি আমার স্টাফদের সঙ্গেই সময় কাটাই, তারা আমার পরিবার। এক গৃহকর্মী যার সাথে এক মাসও হয়নি, সে নিজের বিরুদ্ধে এমন দাবি করতেই পারে, তবে আমি বলব সে আমার গৃহকর্মী নয়।”

এছাড়া পরীমনি আরো জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে মিডিয়া তাকে 'মিডিয়া ট্রায়াল' করেছে এবং তা একেবারেই সঠিক নয়। তিনি বলেন, “যে কেউ যে কারও বিরুদ্ধে জিডি করলেই সেটা কি সত্যি হয়ে যাবে? প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তাকে দোষী সাব্যস্ত করা উচিত নয়।”

লাইভে আবেগপ্রবণ হয়ে পরীমনি আরও বলেন, “এত মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধ করুন, জনগণ আসলে পুরো একটা মিডিয়া।"

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) পিংকি আক্তার অভিযোগ করেন, পরীমনি তার মেয়ে সন্তানকে খাবার খাওয়ানোর সময় তাকে মারধর করেন, ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান এবং পরে ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে ডেকে আনেন। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।

এদিকে, পরীমনি জানিয়েছেন, তিনি আইনি ব্যবস্থা নেবেন এবং সমস্ত প্রমাণ আদালতের মাধ্যমে উন্মোচন করবেন।

Header Ad
Header Ad

যমুনা সেতু মহাসড়কে র‍্যাবের টহল জোরদার (ভিডিও)

যমুনা সেতু মহাসড়কে র‍্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

ঈদ-উল-ফিতরের ছুটি শেষে নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে ঘরমানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফেরা ও সড়কে ডাকাতিরোধে র‍্যাবের টহল টিম জোরদার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাতে মহাসড়কের এলেঙ্গা ও মির্জাপুরসহ গুরত্বপূর্ণ এলাকায় চেক পোস্ট বসিয়ে যাত্রীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি মহাড়কে চলাচলের সার্বিক খোঁজখবর নিচ্ছে র‍্যাব সদস্যরা।

এছাড়াও ডাকাতিরোধসহ জরুরি প্রয়োজনে যাতে র‍্যাবের যোগাযোগ করতে জরুরি মোবাইল নম্বরও সরবরাহ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে র‍্যাব- ১৪ এর ৩ নং কোম্পানী কমান্ডার মেজর কাওছার বাঁধন বলেন, ঈদের আনন্দ শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে তাদের একাধিক টহল টিম দায়িত্ব পালন করছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মার্কিন শুল্ক নিয়ে সন্ধ্যায় জরুরি মিটিং ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ: পরীমনি বললেন ‘আমার হাতে সব প্রমাণ আছে’
যমুনা সেতু মহাসড়কে র‍্যাবের টহল জোরদার (ভিডিও)
শরীয়তপুরে দু’পক্ষের তুমুল সংঘর্ষ, শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ
গরমে তৃষ্ণা মেটানোর বদলে ডিহাইড্রেটেড করবে যেসব পানীয়
পরকীয়া থেকে ফেরাতে না পেরে স্বামীকে হত্যা করলেন স্ত্রী
গাজায় প্রতিদিন ১০০ শিশু হতাহতের শিকার: জাতিসংঘ
আয়ারল্যান্ডের পাসপোর্ট বিশ্বসেরা, বাংলাদেশের অবস্থান ১৮১তম
ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে মানুষ, নেই যানজট ও ভোগান্তি
আইএমএফের প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসছে আজ
অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর কথা বলে ২৮ জনের ৩ কোটি আত্মসাৎ, ফেরত দেওয়ার দাবি
প্রশাসনে রেকর্ড সংখ্যক কর্মকর্তা ওএসডি, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে নতুন রেকর্ড
ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক আশার আলো তৈরি করেছে: মির্জা ফখরুল
সাভারে আবারও চলন্ত বাসে ডাকাতি, স্বর্ণালঙ্কারসহ মালামাল লুটপাট
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
এক দিনেই পাঁচ রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ড. ইউনূস
যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছর ৬৮২ ভারতীয়কে ফেরত পাঠিয়েছে
কাকে বিয়ে করলেন জনপ্রিয় অভিনেতা শামীম?
ঢাকার পথে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস
মানিকগঞ্জে বাঁশঝাড়ে কার্টনে মিললো তরুণীর লাশ