বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ঝুঁকির মুখে এজেন্ট ব্যাংকিং

এখন দেশব্যাপী জনপ্রিয় ও লেনদেনের সহজ একটি মাধ্যমের নাম এজেন্ট ব্যাংকিং। সারাদেশে ২৫টি ব্যাংকের ১৪ হাজারের বেশি এজেন্ট আছেন। এদের আওতায় প্রায় এক কোটি ৬১ হাজার অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এর মাধ্যমেই একেবারে গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে যাচ্ছে ব্যাংকিং সেবা। বর্তমানে এসব অ্যাকাউন্টে বিপরীতে আমানত ২৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। আর এজেন্ট ব্যাংকিং চালু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত রেমিট্যান্সও এসেছে প্রায় লাখ কোটি টাকা। ঋণ দেওয়ার পরিমাণও প্রায় আট হাজার কোটি টাকা।

কিন্তু প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের দোড়গোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া এজেন্ট ব্যাংকাররা এখন গভীর সংকটের মুখোমুখি। আছেন নানা ঝুঁকিতে। দেশব্যাপী এজেন্ট ব্যাংকের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতির মত ঘটনা। সেই ঝুঁকি নিয়েও এজেন্ট ব্যাংকাররা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এখন আবার মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে খোদ ব্যাংকগুলোই। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালাকে উপেক্ষা করে গ্রামাঞ্চলে যেসব এলাকায় এজেন্ট ব্যাংকিং ভালো হচ্ছে সেসব এলাকায় ব্যাংকের শাখা, উপ-শাখা খুলতে তৎপর একাধিক ব্যাংক। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ এজেন্টরা। তারা প্রতিকার চেয়ে শরণাপন্ন হয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের প্রায় ১১ হাজার শাখার অনুমোদন দিয়েছে। এর ৫২ শতাংশ শহর এলাকায় এবং ৪৮ শতাংশ গ্রামীণ এলাকায়। তারপরও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকিং সুবিধা না পৌঁছায় সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান নজর দেন কীভাবে সবাইকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনা যায়। বিষয়টি আমলে নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৩ সালে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে ব্যাংকিং সুবিধায় আনতে বিভিন্ন ব্যাংককে অনুমোদন দেয়। আর তাতেই গত এক দশকে পাল্টে গেছে চিত্র।

সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত ৩০টি ব্যাংককে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘গাইডলাইনস ফর এজেন্ট ব্যাংকিং অপারেশন ইন বাংলাদেশ’ নামে একটি গাইডলাইন তৈরি করে। এই গাইডলাইনে এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালনার বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ সব নির্দেশনার একটি হচ্ছে, লেনদেনে করতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিত সময় মতো। তবে ব্যাংক যদি মনে করে কোনো রিস্ক নেই তাহলে সময় কম-বেশি হতে পারে। ক্যাশ জমা ও উত্তোলন থেকে শুরু করে এজেন্টরা কি কাজ করতে পারবে সেটি স্পষ্ট করা হয়েছে। এজেন্টরা কি করতে পারবে না সেটি উল্লেখ করে গাইডলাইনে বলা হয়েছে, কোনো ইউনিট ও মাস্টার এজেন্ট একাধিক ব্যাংকের এজেন্ট হতে পারবে না। বৈদশিক মুদ্রাও লেনদেন করতে পারবে না। ব্যাংকগুলোকে অবশ্যই গ্রামাঞ্চলে তিনটি আউটলেটের বিপরীতে শহরে একটা আউটলেটের অনুপাত মেইনটেইন করতে হবে।

সূত্র জানায়, ইউনিট (ব্যক্তি) ও মাস্টার (ব্যবসা প্রতিষ্ঠান) এজেন্টের মাধ্যমে সারাদেশে এই এজেন্ট ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। এসব এজেন্টের কাছে যে কেউ তাৎক্ষণিকভাবে যেমন আমানত রাখতে পারছেন তেমনি ঋণও নিতে পারছেন। শুধু তাই নয়, প্রবাসীরাও দেশে স্বজনের কাছে রেমিট্যান্স পাঠতে পারছেন।

বর্তমানে এজেন্ট ব্যাংকিং এতোটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে, ব্যাংকিং সময়ের পরও এজেন্টদের লেনদেন করতে হচ্ছে। ফলে ব্যাংককিং সময়ের পরও অনেক টাকা জমা হচ্ছে আউটলেটে। এই টাকা জমা রাখতে হচ্ছে এজেন্টদের নিজ দায়িত্বেই। আর তাতেই ঝুঁকি বাড়ছে। চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটছে।

নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভা এলাকা থেকে সম্প্রতি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এক কর্মীর কাছ থেকে ১৯ লাখ টাকা ছিনতাই হয়েছে। এজেন্ট থানার শরণাপন্ন হলে ৩৩ দিন পর পুলিশ চার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে। এভাবেই দেশের বিভিন্ন স্থানে অহরহ ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডাচবাংলা ব্যাংকের এজেন্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার বসিলা রোডের লাইভ ট্রেডার্সের মহিউদ্দিন হাওলাদার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘বাসাভাড়া, কর্মচারীদের বেতন সব কিছুই আমাদের দিতে হচ্ছে। শর্ত মেনেই এজেন্ট হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছি। কমিশনই আমাদের আয়ের উৎস। এক লাখে ২০০ টাকা কমিশন পাই। লেনদেন বেশি হলে লাভও বেশি হয়। কিন্তু অনেককে লাভে না এলেও ঝুঁকিতেই থাকতে হচ্ছে। নতুন যারা, তাদের লস করেই এ ব্যবসা করতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে ব্যাংকের লেনদেনের পর গ্রাহকের জমা করা টাকা নিয়ে। আমাদের রিস্কে তা রেখে দিতে হয়। এ সুযোগ নিয়ে অনেক জায়গায় ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি হচ্ছে। তখনই ঝামেলা হচ্ছে। তাই অনেকে ঝুঁকি মোকাবিলা করতে না পেরে এজেন্ট ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছে, বর্তমানে এ ব্যবসা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন লেগে থাকলে লাভে আসা সম্ভব। বর্তমানে ডাচ বাংকের ৬০০০ এজেন্ট। এদের অনেকের খারাপ অবস্থা। তবে লাভ করতে হলে অপেক্ষা করতে হবে। অন্যান্য ব্যবসার মতোই এখানেও ধৈর্য ধরে থাকতে হবে।'

অ্যাকাউন্টধারীর সংখ্যা দেড় কোটি ছাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে (জুন পর্যন্ত) দেখা গেছে, এজেন্ট ব্যাংকিং-এ অ্যাকাউন্টধারীর (হিসাবের নম্বর) সংখ্যা এক কোটি ৬০ লাখের বেশি দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ পাঁচটি ব্যাংকের হিসাব নম্বর। তাতে ব্যাংক এশিয়ার হচ্ছে ৫৩ লাখের বেশি বা ৩৩ শতাংশ, ডাচ বাংলা ব্যাংকের প্রায় ৩১ শতাংশ, ইসলামী ব্যাংকের ১৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ, আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকের ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ ও অগ্রণী ব্যাংকের ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

এ সব হিসাব নম্বরে আমানত জমা হয়েছে ২৮ হাজার ৮৫ কোটি টাকা। যা এক বছর আগে ছিল ২০ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা। এসব ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমানত হচ্ছে ইসলামী ব্যাংকের ৩৯ শতাংশের বেশি। এ ছাড়া ডাচ বাংলা ব্যাংকের ১৫ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়ার ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, আল আলাফা ব্যাংকের ১২ শতাংশ ও অগ্রণী ব্যাংকের ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ আমানত জমা হয়েছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে।

শুধু তাই নয়, ঋণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। ৯৭ দশমিক ৪১ শতাংশ ঋণ দিয়েছে পাঁচটি ব্যাংক। জুন পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা।

এরমধ্যে সর্বোচ্চ ঋণ দিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। ঋণের পরিমান ৬২ দশমিক শতাংশ। এ ছাড়া সিটি ব্যাংক ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়া ১২ দশমিক ৫০, ডাচ বাংলা ব্যাংকের ৫ দশমিক ৯১ ও আল আলাফা ব্যাংক ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ ঋণ দিয়েছে। এ ছাড়া এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে রেমিট্যান্সও পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। গত জুন পর্যন্ত প্রবাসীরা ৯৭ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৬৮ হাজার কোটি টাকা। করোনাকালেও রেমিটেন্স এসেছে ২৯ হাজার কোটি টাকার বেশি। ৯৭ শতাংশ রেমিট্যান্স এসেছে পাঁচটি ব্যাংকের মাধ্যমে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে প্রতিকার চেয়েছেন এজেন্টরা। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গত প্রায় এক দশকে ব্যাংক সেবায় রীতিমতো বিপ্লব ঘটেছে দেশে। এ কাজ করতে গিয়ে অনেক এজেন্ট ভল্ট নির্মাণ, আসবাবপত্র, ল্যাপটপ কেনার জন্য লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগও করেছেন। কিন্তু ব্যাংকগুলো এখন এজেন্টদের বাদ দিয়ে উপ-শাখা বা শাখা স্থাপন করছে। তাদের আউটলেট অন্যত্র সরিয়ে নিতে বলছে।

এ ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের ধামরাই বাজারের এজেন্ট জিন্নাত ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘প্রায় ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ঝুঁকি ও ভোগান্তি সহ্য করে এ পর্যায়ে এসেছি। এলাকায় ভালো পরিচিতি লাভ করেছি। কিন্তু ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অফিস থেকে গত ১ মার্চ চিঠি দিয়ে আউটলেট ধামরাই থেকে অন্য স্থানে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছে। তিনি বলেন, এতে আমি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব।

এমনতাবস্থায়, বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।কারণ এটা এজেন্ট ব্যাংকিং নীতিমালা ও নৈতিকতা বিরোধী। তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তা থাকলে সব সময় লেনদেনে সমস্যা নেই। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংক সময় ছাড়া লেনদেন করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অনেক এলাকায় ছিনতাইকারীরা এজেন্টদের টাকা লুট করে নিচ্ছে।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন,‘বর্তমানে এজেন্টদের লেনদেনে কোনো ঝুঁকি নেই। কারণ প্রতি আউটলেটে ভল্ট রয়েছে। দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুবই সজাগ। তা ছাড়া গ্রাহকের বীমা করা আছে। কোনো টাকা ছিনতাই হলে তারা বিমার আওতায় ক্ষতিপূরণ পাবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্যবসা বাড়লে সেখানে উপ-শাখা বা শাখা করা হবে এটাই স্বাভাবিক। এতে গ্রাহকরা আরও বেশি ও দ্রুত সেবা পাবে।’

ব্যাংকিং সময় ছাড়া লেনদেন করতে এজেন্টরা ঝুঁকিতে পড়ছে। বিকল্প কোনো পথ বের করা হবে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘এটা আমার আগে জানা ছিল না। তাই কিছু বলতে পারছি না। তবে সংশ্লিষ্ট পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের নিরাপত্তার জন্য কিছু করার সুযোগ থাকলে তা করা হবে।’

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী

বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার জলেশ্বরীতলায় ‘লাইফ ওকে’ নামের এক পোশাক বিক্রির শো-রুম উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ৫০ টাকায় মিলবে টি-শার্ট এমন ঘোষণায় হুলস্থুল কান্ড ঘটেছে।

ছাড়ের খবরে আজ বুধবার সকালে শো-রুমটির সামনে এতো সংখ্যক মানুষ জড়ো হন যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। এছাড়াও শো-রুমটির বিক্রেতাদের মারপিটের শিকার হয়েছেন সস্তার ক্রেতারা।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান ‘লাইফ ওকে’ বগুড়ায় প্রথমবারের মতো তাদের আউটলেট খুলতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফেসবুক পেজে ঘোষণা দেয় ‘মাত্র ৫০ টাকায় টি-শার্ট, এক থেকে দেড়শ’ টাকার মধ্যে মিলবে শার্ট এবং আড়ইশ’ টাকায় পাওয়া যাবে এক্সপোর্ট ইউএসপোলো সোয়েটার।

এমন পরিস্থিতিতে সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন।। ছবি: সংগৃহীত

এমন ঘোষণায় আজ সকাল থেকে অগণিত নারী-পুরুষ শো-রুমটির সামনে ভিড় করেন। জনসমাগম এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে যে, পুরো জলেশ্বরীতলা এলাকা স্তব্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় রাস্তার যান চলাচল, লোকজনের চাপে আশেপাশের দোকানপাটও বন্ধ করতে বাধ্য হন ব্যবসায়ীরা, দেখা দেয় নিরাপত্তার শঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন।

সেনাবাহিনী আগত লোকজনকে রাস্তা থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন, এতে কাজ না হলে লাঠি চার্জ শুরু করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। দুই দফা লাঠি চার্জের পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে শো-রুমটি খুলে দেওয়া হয়। এর পরপরই আবারও লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এতে পরিস্থিতি আবারও নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়।

এমন পরিস্থিতিতে শো-রুমটির বিক্রেতারা ক্রেতাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারপিট করেন। পড়ে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে দ্রুত শো-রুমটি বন্ধ করে ভেতরে থাকা ক্রেতাদের বের করে দিয়ে আগামী সাতদিনের জন্য শো-রুমটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

 

Header Ad
Header Ad

নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আদাতলা সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তির নাম সিরাজুল ইসলাম (৪২)। তিনি সাপাহার উপজেলার উত্তর পাতাড়ী গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার আদাতলা ভারত সীমান্তের ৪৪/১-এস পিলার এলাকা থেকে সিরাজুল ইসলামকে ধরে নেওয়া হয়। সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী এজেলা খাতুন বিএসএফের বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন।

সিরাজুলের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় সিরাজুল আরও ছয়-সাতজনের সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে গরু আনতে যায়। রাত ৩টার দিকে আদাতলা সীমান্তের ৪৪/১-এস পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার নাইরকুড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের টহল সদস্যরা তাঁদেরকে ধাওয়া করে। এ সময় অন্যরা বাংলাদেশের সীমান্তে আসতে সক্ষম হলেও সিরাজুল বিএসএফ সদস্যদের হাতে ধরা পড়েন।

এ বিষয়ে বুধবর (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়ান ১৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সাদিকুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসুস্থ্য থাকায় সংশ্লিষ্ট আদাতলা সীমান্ত চৌকির (বিওপি) কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

কিন্তু আদাতলা বিওপি ক্যাম্প কমান্ডারের সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও কল রিসিফ না হওয়ায় তাঁর মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

তবে বিএসএফের হাতে আটক সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী এজেলা বলেন, সিরাজুল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তবে কোথায় যাচ্ছে তা বাড়িতে বলে যায়নি। রাত ৪টার দিকে তাঁর স্বামীর সাথে ভারতে গিয়েছিলো দাবি করে এলাকার কিছু ব্যাক্তি তাঁকে বলেন, সিরাজুলকে সীমান্ত এলাকা থেকে বিএসএফ সদস্যরা ধরে নিয়ে গেছে।

Header Ad
Header Ad

মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ

মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় মনসুর নামে এক ব্যক্তির পোষা বিড়াল হত্যার অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের বাসিন্দা আকবর হোসেন শিবলুর নামে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক মামলাটি গ্রহণ করে মোহাম্মদপুর থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

আজ পিপলস ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ারের পক্ষে নাফিসা নওরীন চৌধুরী এ মামলাটি দায়ের করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে মোহাম্মদপুরের মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের ৯ম তলার বাসিন্দা মনসুর নামে এক ব্যক্তির বিড়াল হারিয়ে যায়।

পরে ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আসামি আকবর হোসেন শিবলু বিড়ালটিকে এলোপাতাড়ি ফুটবলের মতো লাথি মারছেন। আসামির লাথির আঘাতে বিড়ালটির নিথর দেহ পড়ে থাকার পরও পা দিয়ে পিষ্ট করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী
নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ
চুয়াডাঙ্গায় সার কাণ্ডে বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতা বহিষ্কার
আজ বন্ধুর সাথে গোসল করার দিন
২ আলাদা বিভাগসহ দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস
হাসিনার লাইভ প্রচারের আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবজিবাহী পিকআপ খাদে, চালকসহ নিহত ৩
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  
এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব  
পটুয়াখালীতে বাংলাভিশনের সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম  
উত্তরবঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল বিক্রি বন্ধ
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ  
শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে কড়া বার্তা হাসনাত আবদুল্লাহর  
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আজ    
সুইডেনে স্কুলে বন্দুক হামলা নিহত ১০ জন