বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঝুঁকির মুখে এজেন্ট ব্যাংকিং

এখন দেশব্যাপী জনপ্রিয় ও লেনদেনের সহজ একটি মাধ্যমের নাম এজেন্ট ব্যাংকিং। সারাদেশে ২৫টি ব্যাংকের ১৪ হাজারের বেশি এজেন্ট আছেন। এদের আওতায় প্রায় এক কোটি ৬১ হাজার অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এর মাধ্যমেই একেবারে গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে যাচ্ছে ব্যাংকিং সেবা। বর্তমানে এসব অ্যাকাউন্টে বিপরীতে আমানত ২৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। আর এজেন্ট ব্যাংকিং চালু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত রেমিট্যান্সও এসেছে প্রায় লাখ কোটি টাকা। ঋণ দেওয়ার পরিমাণও প্রায় আট হাজার কোটি টাকা।

কিন্তু প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের দোড়গোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া এজেন্ট ব্যাংকাররা এখন গভীর সংকটের মুখোমুখি। আছেন নানা ঝুঁকিতে। দেশব্যাপী এজেন্ট ব্যাংকের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতির মত ঘটনা। সেই ঝুঁকি নিয়েও এজেন্ট ব্যাংকাররা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এখন আবার মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে খোদ ব্যাংকগুলোই। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালাকে উপেক্ষা করে গ্রামাঞ্চলে যেসব এলাকায় এজেন্ট ব্যাংকিং ভালো হচ্ছে সেসব এলাকায় ব্যাংকের শাখা, উপ-শাখা খুলতে তৎপর একাধিক ব্যাংক। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ এজেন্টরা। তারা প্রতিকার চেয়ে শরণাপন্ন হয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের প্রায় ১১ হাজার শাখার অনুমোদন দিয়েছে। এর ৫২ শতাংশ শহর এলাকায় এবং ৪৮ শতাংশ গ্রামীণ এলাকায়। তারপরও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকিং সুবিধা না পৌঁছায় সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান নজর দেন কীভাবে সবাইকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনা যায়। বিষয়টি আমলে নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৩ সালে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে ব্যাংকিং সুবিধায় আনতে বিভিন্ন ব্যাংককে অনুমোদন দেয়। আর তাতেই গত এক দশকে পাল্টে গেছে চিত্র।

সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত ৩০টি ব্যাংককে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘গাইডলাইনস ফর এজেন্ট ব্যাংকিং অপারেশন ইন বাংলাদেশ’ নামে একটি গাইডলাইন তৈরি করে। এই গাইডলাইনে এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালনার বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ সব নির্দেশনার একটি হচ্ছে, লেনদেনে করতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিত সময় মতো। তবে ব্যাংক যদি মনে করে কোনো রিস্ক নেই তাহলে সময় কম-বেশি হতে পারে। ক্যাশ জমা ও উত্তোলন থেকে শুরু করে এজেন্টরা কি কাজ করতে পারবে সেটি স্পষ্ট করা হয়েছে। এজেন্টরা কি করতে পারবে না সেটি উল্লেখ করে গাইডলাইনে বলা হয়েছে, কোনো ইউনিট ও মাস্টার এজেন্ট একাধিক ব্যাংকের এজেন্ট হতে পারবে না। বৈদশিক মুদ্রাও লেনদেন করতে পারবে না। ব্যাংকগুলোকে অবশ্যই গ্রামাঞ্চলে তিনটি আউটলেটের বিপরীতে শহরে একটা আউটলেটের অনুপাত মেইনটেইন করতে হবে।

সূত্র জানায়, ইউনিট (ব্যক্তি) ও মাস্টার (ব্যবসা প্রতিষ্ঠান) এজেন্টের মাধ্যমে সারাদেশে এই এজেন্ট ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। এসব এজেন্টের কাছে যে কেউ তাৎক্ষণিকভাবে যেমন আমানত রাখতে পারছেন তেমনি ঋণও নিতে পারছেন। শুধু তাই নয়, প্রবাসীরাও দেশে স্বজনের কাছে রেমিট্যান্স পাঠতে পারছেন।

বর্তমানে এজেন্ট ব্যাংকিং এতোটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে, ব্যাংকিং সময়ের পরও এজেন্টদের লেনদেন করতে হচ্ছে। ফলে ব্যাংককিং সময়ের পরও অনেক টাকা জমা হচ্ছে আউটলেটে। এই টাকা জমা রাখতে হচ্ছে এজেন্টদের নিজ দায়িত্বেই। আর তাতেই ঝুঁকি বাড়ছে। চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটছে।

নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভা এলাকা থেকে সম্প্রতি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এক কর্মীর কাছ থেকে ১৯ লাখ টাকা ছিনতাই হয়েছে। এজেন্ট থানার শরণাপন্ন হলে ৩৩ দিন পর পুলিশ চার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে। এভাবেই দেশের বিভিন্ন স্থানে অহরহ ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডাচবাংলা ব্যাংকের এজেন্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার বসিলা রোডের লাইভ ট্রেডার্সের মহিউদ্দিন হাওলাদার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘বাসাভাড়া, কর্মচারীদের বেতন সব কিছুই আমাদের দিতে হচ্ছে। শর্ত মেনেই এজেন্ট হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছি। কমিশনই আমাদের আয়ের উৎস। এক লাখে ২০০ টাকা কমিশন পাই। লেনদেন বেশি হলে লাভও বেশি হয়। কিন্তু অনেককে লাভে না এলেও ঝুঁকিতেই থাকতে হচ্ছে। নতুন যারা, তাদের লস করেই এ ব্যবসা করতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে ব্যাংকের লেনদেনের পর গ্রাহকের জমা করা টাকা নিয়ে। আমাদের রিস্কে তা রেখে দিতে হয়। এ সুযোগ নিয়ে অনেক জায়গায় ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি হচ্ছে। তখনই ঝামেলা হচ্ছে। তাই অনেকে ঝুঁকি মোকাবিলা করতে না পেরে এজেন্ট ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছে, বর্তমানে এ ব্যবসা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন লেগে থাকলে লাভে আসা সম্ভব। বর্তমানে ডাচ বাংকের ৬০০০ এজেন্ট। এদের অনেকের খারাপ অবস্থা। তবে লাভ করতে হলে অপেক্ষা করতে হবে। অন্যান্য ব্যবসার মতোই এখানেও ধৈর্য ধরে থাকতে হবে।'

অ্যাকাউন্টধারীর সংখ্যা দেড় কোটি ছাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে (জুন পর্যন্ত) দেখা গেছে, এজেন্ট ব্যাংকিং-এ অ্যাকাউন্টধারীর (হিসাবের নম্বর) সংখ্যা এক কোটি ৬০ লাখের বেশি দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ পাঁচটি ব্যাংকের হিসাব নম্বর। তাতে ব্যাংক এশিয়ার হচ্ছে ৫৩ লাখের বেশি বা ৩৩ শতাংশ, ডাচ বাংলা ব্যাংকের প্রায় ৩১ শতাংশ, ইসলামী ব্যাংকের ১৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ, আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকের ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ ও অগ্রণী ব্যাংকের ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

এ সব হিসাব নম্বরে আমানত জমা হয়েছে ২৮ হাজার ৮৫ কোটি টাকা। যা এক বছর আগে ছিল ২০ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা। এসব ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমানত হচ্ছে ইসলামী ব্যাংকের ৩৯ শতাংশের বেশি। এ ছাড়া ডাচ বাংলা ব্যাংকের ১৫ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়ার ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, আল আলাফা ব্যাংকের ১২ শতাংশ ও অগ্রণী ব্যাংকের ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ আমানত জমা হয়েছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে।

শুধু তাই নয়, ঋণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। ৯৭ দশমিক ৪১ শতাংশ ঋণ দিয়েছে পাঁচটি ব্যাংক। জুন পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা।

এরমধ্যে সর্বোচ্চ ঋণ দিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। ঋণের পরিমান ৬২ দশমিক শতাংশ। এ ছাড়া সিটি ব্যাংক ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়া ১২ দশমিক ৫০, ডাচ বাংলা ব্যাংকের ৫ দশমিক ৯১ ও আল আলাফা ব্যাংক ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ ঋণ দিয়েছে। এ ছাড়া এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে রেমিট্যান্সও পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। গত জুন পর্যন্ত প্রবাসীরা ৯৭ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৬৮ হাজার কোটি টাকা। করোনাকালেও রেমিটেন্স এসেছে ২৯ হাজার কোটি টাকার বেশি। ৯৭ শতাংশ রেমিট্যান্স এসেছে পাঁচটি ব্যাংকের মাধ্যমে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে প্রতিকার চেয়েছেন এজেন্টরা। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গত প্রায় এক দশকে ব্যাংক সেবায় রীতিমতো বিপ্লব ঘটেছে দেশে। এ কাজ করতে গিয়ে অনেক এজেন্ট ভল্ট নির্মাণ, আসবাবপত্র, ল্যাপটপ কেনার জন্য লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগও করেছেন। কিন্তু ব্যাংকগুলো এখন এজেন্টদের বাদ দিয়ে উপ-শাখা বা শাখা স্থাপন করছে। তাদের আউটলেট অন্যত্র সরিয়ে নিতে বলছে।

এ ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের ধামরাই বাজারের এজেন্ট জিন্নাত ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘প্রায় ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ঝুঁকি ও ভোগান্তি সহ্য করে এ পর্যায়ে এসেছি। এলাকায় ভালো পরিচিতি লাভ করেছি। কিন্তু ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অফিস থেকে গত ১ মার্চ চিঠি দিয়ে আউটলেট ধামরাই থেকে অন্য স্থানে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছে। তিনি বলেন, এতে আমি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব।

এমনতাবস্থায়, বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।কারণ এটা এজেন্ট ব্যাংকিং নীতিমালা ও নৈতিকতা বিরোধী। তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তা থাকলে সব সময় লেনদেনে সমস্যা নেই। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংক সময় ছাড়া লেনদেন করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অনেক এলাকায় ছিনতাইকারীরা এজেন্টদের টাকা লুট করে নিচ্ছে।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন,‘বর্তমানে এজেন্টদের লেনদেনে কোনো ঝুঁকি নেই। কারণ প্রতি আউটলেটে ভল্ট রয়েছে। দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুবই সজাগ। তা ছাড়া গ্রাহকের বীমা করা আছে। কোনো টাকা ছিনতাই হলে তারা বিমার আওতায় ক্ষতিপূরণ পাবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্যবসা বাড়লে সেখানে উপ-শাখা বা শাখা করা হবে এটাই স্বাভাবিক। এতে গ্রাহকরা আরও বেশি ও দ্রুত সেবা পাবে।’

ব্যাংকিং সময় ছাড়া লেনদেন করতে এজেন্টরা ঝুঁকিতে পড়ছে। বিকল্প কোনো পথ বের করা হবে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘এটা আমার আগে জানা ছিল না। তাই কিছু বলতে পারছি না। তবে সংশ্লিষ্ট পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের নিরাপত্তার জন্য কিছু করার সুযোগ থাকলে তা করা হবে।’

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত