বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কেন্দ্রীয় নেতারা হালুয়া রুটির ভাগ পেতে ব্যস্ত- অভিযোগ তৃণমূলের

নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন করতে মরিয়া বিএনপির ভরসা এখন তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে নেতা-কর্মীদের মাঠে নামার নির্দেশ দিয়েছে দলটি। গত ২২ আগস্ট থেকে দেশব্যাপী যে কর্মসূচি চলছে সেখানে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দলের হাইকমান্ড থেকে।

কিন্তু মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় নেতারা সরকারি দলের হালুয়া রুটির ভাগ পেয়ে আন্দোলনে রাজপথে নামতে গড়িমসি করে সময় অতিবাহিত করছেন। আবার তারা দলের পদ আঁকড়ে ধরে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন। অন্যদিকে তাদের পরিবারের সদস্য, যারা সরকারি চাকরিতে আছেন, তাদের সরকারের হয়রানির শিকার হওয়ার পথ বন্ধ রাখতে সক্ষম হচ্ছেন। সেজন্য নেতাদের আন্দোলনে আন্তরিকতা দেখা যায় না।

তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বলছেন, ঢাকা তথা কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক অবস্থান অরক্ষিত রেখে তৃণমূলে পিকনিক সফরে (সাংগঠনিক সফর) কার্যকর কোনো সফলতা আসবে না।

ছাড়া দলটির ভেতর-বাইরে সরব আলোচনায় হচ্ছে বিএনপি এই মুহূর্তে ক্ষমতায় যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই।

তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বলছেন, জেলা শহরগুলোতে অতীতে যে রকম আন্দোলন হয়েছে, তার তুলনা হয় না। কিন্তু আমরা দেখেছি ঢাকায় তেমন ভাবে কোনো আন্দোলন গড়ে উঠেনি। অদূর ভবিষ্যতে ঢাকার রাজপথ আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে উঠবে সেই সাংগঠনিক দক্ষতাও চোখে পড়ছে না। দায়িত্বশীল নেতারা কমিটি গঠনে আর্থিক সুবিধা পেতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন।

তারা অভিযোগ করে বলেন, কর্মসূচি ঘোষণা করে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি। আর সেই কর্মসূচি সফল করতে ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ঢাকায় ছুটে আসতে হয়। তৃণমূল নেতা-কর্মীরা না এলে ঢাকা মহানগরের অধিকাংশ নেতাদের কেউ রাজপথে বের হন না। অথচ তারাই কেন্দ্রে বসে থেকে দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন, জেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাচ্ছেন। তাহলে দায় কি শুধু তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের? বাস্তবতা হচ্ছে ঢাকায় যদি মানুষ আন্দোলন না দেখে, তবে কেউ রাজপথে আর বের হবে না। তৃণমূল থেকে নেতা-কর্মীদের যদি ঢাকায় এসে আন্দোলনে শরিক হতে হয় তাহলে এত এত কেন্দ্রীয় নেতাকে ঢাকায় বসিয়ে রেখে দলের লাভটা কোথায়? বরং সময়ের দাবি, কেন্দ্রীয় কমিটির আকার ছোট করে নেতাদের কর্মীতে রূপান্তর করতে হবে। নতুবা আন্দোলনে এই সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব হবে না।

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হুমায়ুন আহমেদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা যেকোনো আন্দোলনের জন্য জীবন বাজি রাখতে প্রস্তুত। কিন্তু কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটাতে না পারলে তৃণমূল দিয়ে কার্যকর আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হবে না, অতীতেও আন্দোলন সফল হয়নি।

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির নেতা মোকতার হোসেন তারা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে অতীতে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। শনিবারও (২৭ আগস্ট) আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা হামলার শিকার হয়েছি। কেন্দ্রীয় পর্যায় কোন ধরনের আন্দোলন চায় সেটা বুঝতে পারছি না। তাদের আন্দোলনের ধরন বুঝতে পারলে আমাদের মতো তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সুবিধা হতো।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আতাউল হক মিন্টু ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা তৃণমূল নেতা-কর্মীরা আন্দোলন সংগ্রামে পরীক্ষিত, নতুন করে পরীক্ষা দেওয়ার কিছু নেই। শনিবার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি পালনের সময় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। এখন মামলা হবে, আমরা আবারও পুলিশের হয়রানির শিকার হব। বার বার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উপর কর্মসূচি চাপিয়ে দেওয়াটা মাঝে মাঝে মনে হয়, এসব কর্মসূচি কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়মুক্তির কর্মসূচি নয় তো?

নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ফারদিন চৌধুরী রিমি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, শনিবার (২৭আগস্ট ) কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছি। কেন্দ্রঘোষিত এসব কর্মসূচির মাধ্যমে পাড়া মহল্লায় সংঘাতের আশঙ্কা থাকবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘বিএনপির সরকারবিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনে রাজধানীসহ তৃণমূল সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী অবস্থান জানান দিতে শুরু করেছে। সাংগঠনিক দুর্বলতা এখন খুব একটা নেই। ঢাকায় কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে তৃণমূল পর্যায়েও কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। ধারাবাহিকতায় তৃণমূলে কর্মসূচি শেষ করে আবারও ঢাকায় বড় ধরনের কর্মসূচি পালন করা হবে। ঢাকায় কর্মসূচি বাস্তবায়নে ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ঢাকায় ডেকে আনতে হয় না, অনেকে নিজ ইচ্ছায় কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে।’

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকাপ্রকাশ কে বলেন, ‘২০১৪ সালে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের যে আন্দোলন হয়েছে তা অতীতের সব আন্দোলনের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। তবুও সরকার রয়ে গেছে। এরশাদবিরোধী আন্দোলন ঢাকাবাসী দেখেছে, তৃণমূল দেখেনি। অথচ এরশাদকে পদত্যাগ করতে হয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘গ্রাম পর্যায়ে বিএনপির আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। সেই আন্দোলনে দলের বাইরে থাকা সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসতে শুরু করেছে। জনগণ এখন সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠছে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের একজন সদস্য ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘বিএনপির ক্ষমতায় আসা বহু দূরের বিষয়। ঢাকায় আন্দোলন করতে হবে। বিভাগীয় শহর থেকে আন্দোলন গড়ে উঠতে পারে। ঢাকা মহানগরকে মহাআনন্দে রেখে তৃণমূলে অহেতুক ছুটাছুটি করে কোনো লাভ হবে না।

তিনি বলেন, আমরা যত কথাই বলি না কেন; উপজেলা পর্যায়ের আন্দোলন কখনো সরকারকে পায় না। সরকারকে পায় কনসার্ন বডি আঘাতপ্রাপ্ত হলে। আমরা কোনোদিন থানা ঘেরাও দিচ্ছি না, পানির দাম বেড়েছে আমরা ওয়াসা ভবন ঘেরাও দেইনি। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে, আমরা বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করিনি, গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে, আমরা ঘেরাও করিনি। ইতোপূর্বে আমরা এই কাজগুলো করেছি। এই কনসার্ন বডিতে আঘাত করলে সরকারের লাগে।

এই নেতা আরও বলেন, ‘মুখে যত কথা বলা হোক বাস্তবতা হচ্ছে দলের প্রত্যেকটা লোকের চলার গতিবিধি নির্বাচনকেন্দ্রিক। সরকার পতনের ভাবনা তাদের নেই। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত দলের সমগ্র পর্যায় থেকে নেতা-কর্মীদের মধ্যে সরকার পতনের ভাবনা না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত কর্মসূচি দিয়ে কোনো লাভ হবে না। আন্দোলনের সফলতায় নির্ভর করে নির্বাচনের সফলতা। আন্দোলনে জয়ী হতে পারলে নির্বাচনে অনায়াসে জয়ী হওয়া যায়। কথায় আছে হুজুগে বাঙালি একদিকে যায়, তিন দিকে যায় না। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কর্মী পর্যায়ে ওই স্পিড আনা যাচ্ছে না। অনেকেই এমপি হওয়ার বাসনা নিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বসে আছে।’

তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, প্রেস ক্লাবের সামনে তিন হাজার লোক ধরে না। অথচ আমরা খুশিতে গদগদ হয়ে যাচ্ছি। বক্তার সামনে ৩০ ফিট রাস্তা এখন নেই। তাহলে মহানগরকে দুই ভাগ করে লাভ কী হলো? আর মহানগরের দুই নেতাকে নিয়ে এত লাফালাফি হচ্ছে কেন? তৃণমূল আন্দোলন অতীতে করেছে ভবিষ্যতেও করবে। কেন্দ্রের কাজ হলো কর্মসূচি দেওয়া, মনিটরিং করা। ইউনিটগুলো ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। সম্প্রতি দেখতে পেলাম কর্মসূচি পালনে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। কিন্তু সেই চিঠিতে ঢাকা মহানগরকে সম্পৃক্ত করা হয়নি। তাহলে হেড কোয়ার্টার মানে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কোনো কর্মসূচি থাকছে না?’

প্রসঙ্গত, গত ২২ আগস্ট থেকে তৃণমূলে কর্মসূচি পালনের নির্দেশনা দেওয়া হলেও মহানগরকে বাদ রাখা হয়েছে। দলের ভেতরেই প্রশ্ন উঠেছে- কেন, ঢাকায় কী ওয়ার্ড নেই? তাহলে ওয়ার্ড বলতে কী বুঝানো হয়েছে? গ্রামের ওয়ার্ডও ওয়ার্ড; ঢাকার ১৩৭টি ওয়ার্ডও তো ওয়ার্ড। এই প্রশ্ন উঠার পর বলা হলো, ঢাকা মহানগর নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে উপজেলায় কর্মসূচি দেওয়া হলো তাদের সঙ্গে কথা না বলে। তাহলে মহানগরে কর্মসূচি দিলে তাদের সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে কেন? তার মানে এইখানে সংগঠন রান করানোর মতো অবস্থায় নেই।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘বিএনপি এই মুহূর্তে যে কর্মসূচি পালন করছে তা শুধু ঢাকাবাসীর জন্য সীমাবদ্ধ নয়। জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশের মানুষের গণদাবিতে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার পতনে গণআন্দোলনের মাধ্যমে গণঅভূত্থানের ক্ষেত্র তৈরিতে দেশের মানুষকে সম্পৃক্ত করাই উদ্দেশ্য। কেননা আমি মনে করি শুধু ঢাকায় দাবি আদায়ে সোচ্চার হলেই সমাধান হবে না।’

এনএইচবি/এসএন

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত