বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর শেষ কোথায়

রাজধানীর হাতিরঝিল থানা হেফাজতে সুমন শেখ ওরফে রুম্মন শেখের মৃত্যুর ঘটনার পর আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়টি। যদিও পুলিশ এই মৃত্যুর দায় কোনোভাবেই নিতে চাচ্ছে না।

তবে সাধারণ মানুষের অভিযোগ পুলিশ হেফাজতে কারো মৃত্যু হলে তেমন কোনো বিচার হয় না। পুলিশের অপরাধের শাস্তি হলে পুলিশ সদস্যরা এ সব বিষয়ে সতর্ক থাকতেন। আসামিদের প্রতি যত্নশীল হত। কিন্তু বিচার না হওয়ায় পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু বাড়ছে।

যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি নিষেধাজ্ঞার পর দেশে ক্রসফায়ারে ঘটনা কমে এসেছে। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে দুটি ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটেছে।

কিন্তু হেফাজাতে মৃত্যু থেমে নেই। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছর ২০২১ সালে ৫১টি ক্রসফায়ার ও ২৯টি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ক্রসফায়ার বাদ দিয়ে ২০২০ সালে হেফাজতে মৃত্যু ২৪টি, ২০১৯ সালে হেফাজতে মৃত্যু ৩২টি, ২০১৮ সালে ৫৪টি এবং ২০১৭ সালে ৩৫টি।

অবশ্য একাধিক গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, গত ৯ বছরে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে ৩২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই তথ্য মতে, ২০২০ সালে ১১ জন মারা গেছে। ২০২২ সালে মারা গেছে ৪৪ জন।

পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে নিষ্ঠুর নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে অনেক। কিন্তু বিচার চেয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন খুব কম সংখ্যক মানুষ।

২০১৩ সালে হেফাজতে নির্যাতন এবং মৃত্যু নিবারণ আইন প্রণয়ন করে। জাতিসংঘের নির্যাতন বিরোধী সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এই আইনটি প্রণয়ন করে।

এই আইন হওয়ার পর এখন পর্যন্ত মামলা হয়েছে মাত্র ১৯টি। বাংলাদেশের আদালতে ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর এ আইনে সর্বপ্রথম রায় প্রদান করা হয়। ২০১৪ সালে পুলিশের হেফাজতে জনি নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পাঁচ জন আসামির মধ্যে তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। অপর দু্ই জনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া ১৪টি মামলায় মামলা ত্রুটিপূর্ণ বলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।

যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে আটক, জিজ্ঞাসাবাদের শিকার এমন বেশ কয়েকজন বলেছেন যে, তারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কিন্তু কোনো মামলা করেননি।

কেউ কেউ জানিয়েছেন, নির্যাতিত হলে যে মামলা বা অভিযোগ করা যায়, সেটিই তারা জানেন না। আবার সচেতন ভুক্তভোগীরাও বলছেন, তারা জানলেও কতটা প্রতিকার পাবেন সে আশঙ্কায় এবং ভয়ে মামলা করতে রাজি হননি।

অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক মানুষ নির্যাতিত হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করে সেই মামলায় এ পর্যন্ত একটা বিচার হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করলে সেটা পুলিশই তদন্ত করে। যার ফলে পুলিশের অভিযোগ পুলিশরাই এড়িয়ে যায়। তা ছাড়া পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হলে তারা প্রথমে মামলা নিতে চায় না। অনেক ক্ষেত্রে চাপে পড়ে অথবা সরকারি চাপে মামলা নেয়। কিন্তু এসব মামলার বিচার হয় না। একারণে অনেক সময় সাধারণ মানুষের অভিযোগটি পুলিশের দিকেই থাকে।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, এ পর্যন্ত পুলিশের কোনো অপরাধে তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে দেখিনি। সাধারণ মানুষ যদি পুলিশের অপরাধের জন্য তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে দেখত তাহলে হয়ত পুলিশের প্রতি তারা কিছুটা আস্থা পেত। সাধারণ মানুষ দিন দিন একেবারেই পুলিশের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে কারণ পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২০ আগস্ট হাতিরঝিল থানায় পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয় সুমন শেখের (২৫)। তার স্ত্রী জান্নাত আক্তার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর আমার স্বামীকে অনেক নির্যাতন করা হয়। তার কাছ থেকে পুলিশ নাকি অনেক টাকা উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। পুলিশের নির্যাতনের কারণে আমার স্বামী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত বিচার চাই’।

অবশ্য পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আজিমুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘সুমন যখন আত্মহত্যা করে তখন ডিউটিরত পুলিশ সদস্যদের গাফিলতির বিষয়টি সিসিটিভি ফুটেছে উঠে এসেছে। সেই কারণে ২ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পরে আমরা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করব’।

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা আসলে ডিউটি অফিসার ও পুলিশের সেন্ট্রিদের গাফিলতির কারণে ঘটে। তারাই এটির দায়িত্বে থাকেন। যদি থানা হেফাজতে কোনো আসামির মৃত্যু হয় তাহলে ডিউটিতে থাকা পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিচার হয়। এদের বেতন ভাতা ইনক্রিমেন্ট বন্ধ হয়ে যায়, বরখাস্তও হতে পারে। তবে তাদের শাস্তি অবশ্যই হয়ে থাকে পুলিশের কানুনের মধ্যে।

পুলিশের বিরুদ্ধে অনেক গাফিলতির অভিযোগ সাধারণ মানুষের। তারা বিচারও পান না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে অনেক বিচার হয়, অনেক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। একমাত্র এই বাহিনীর সদস্যদের যত বিচার হয়, অন্য কোনো সংস্থার সদস্যদের সেই বিচার হয় না বললেই চলে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, কোনো আসামি যদি পুলিশ হেফাজতে থাকেন, তাকে পুলিশ সদস্যরা কিভাবে রাখেন এবং তার খোঁজ-খবর কিভাবে নেন, সেই বিষয়টি মূলত অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। তার সঙ্গে পুলিশের আচরণটা কেমন হবে বা হচ্ছে- সেটা অনেকটা ভাবার বিষয়। এমনিতেই পুলিশের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ অনেক ধরনের অভিযোগ করেন। এসব অভিযোগ তো একদিনে তৈরি হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে এসব অভিযোগ তৈরি হয়েছে। তা ছাড়া পুলিশ সদস্যরা যদি কাউকে গ্রেপ্তার করেন, তাকে একটি মামলা দেয় এবং মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। এমন অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। অনেক সময় দেখা গেছে, পরিবার বাধ্য হয়ে মিথ্যা মামলা থেকে তাকে বাঁচানোর জন্য পুলিশকে টাকা দেয়। অর্থাৎ এটি স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। যার কারণে এই ধরনের অপরাধ সংগঠিত হয় এবং পুলিশ বিতর্কিত হয়।

তিনি বলেন, আসামি গ্রেপ্তারের পর থানায় তাকে ২৪ ঘণ্টার বেশি রাখার কোনো সুযোগ নেই। যদি থানায় ২৪ ঘণ্টার বেশি রাখা হয় তাহলে এটি অপরাধ। অনেক ক্ষেত্রে আসামিরা ২৪ ঘণ্টার বেশি থাকে, সেটারও অভিযোগ রয়েছে। তা ছাড়া একজন আসামিকে থানার যে জায়গাটায় রাখা হয় সেটি ভালোভাবে দেখে নেওয়া এবং ওই আসামির উপর নজর রাখা। মাঝেমাঝে গিয়ে খোঁজখবর নেওয়া এ সব পুলিশের আইনেও রয়েছে, তবে অনেক ক্ষেত্রে তা বাস্তবায়ন হয় না। দেখা গেছে, অনেক আসামি গ্রেপ্তারের পর শুধু খাবারের সময় তার খোঁজখবর নেওয়া হয়। যার কারণে অনেক সময় আসামিরা হতাশ থাকে এবং তারা আত্মহত্যা বা অন্যান্য দুর্ঘটনার পথ বেছে নেয়। পুলিশ যদি আসামিদের নজরে রাখে তাহলে আত্মহত্যা বা অন্য কোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে। আমাদের দেশের পুলিশ অনেক সময় তাদের দায়িত্ব অবহেলা করে যার কারণে এ সমস্ত দুর্ঘটনা ঘটে এবং পুলিশ প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

তৌহিদুল হক আরও বলেন, যে ব্যক্তি আইনের হেফাজতে মারা যায় তার পরিবারের বক্তব্য খেয়াল করলে দেখা যাবে, তাকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। বা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু একটা চাওয়া হয়েছে, যেটা স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। এমনকি হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়েছে। হেফাজতে মারা যাওয়ার পর সেই পরিবার ওই সমস্ত হুমকি-ধামকি গণমাধ্যমের সামনে বা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরেন। তখন পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠে আসে। আবার অনেক সময় দেখা গেছে, মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে সাধারণ মানুষ পুলিশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন বা তারা বিভিন্ন আন্দোলন করছেন। সাধারণ মানুষ এ বিষয়টিকে সত্য হিসেবে মেনে নেয় এবং তারা পুলিশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

তিনি বলেন, পুলিশ যদি সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে না পারে এবং সেবা দিতে অক্ষমতার পরিচয় দেয় তাহলে এর দায়ভার পুলিশকে নিতে হবে। এসব বিষয়ে পুলিশকে সতর্ক থেকে আসামিদের খেয়াল রাখতে হবে এবং বিভিন্ন স্বার্থ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই সংস্থাকে বের হয়ে আসতে হবে। তবেই এই সংকট অনেকটা নিরসন হবে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী

বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার জলেশ্বরীতলায় ‘লাইফ ওকে’ নামের এক পোশাক বিক্রির শো-রুম উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ৫০ টাকায় মিলবে টি-শার্ট এমন ঘোষণায় হুলস্থুল কান্ড ঘটেছে।

ছাড়ের খবরে আজ বুধবার সকালে শো-রুমটির সামনে এতো সংখ্যক মানুষ জড়ো হন যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। এছাড়াও শো-রুমটির বিক্রেতাদের মারপিটের শিকার হয়েছেন সস্তার ক্রেতারা।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান ‘লাইফ ওকে’ বগুড়ায় প্রথমবারের মতো তাদের আউটলেট খুলতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফেসবুক পেজে ঘোষণা দেয় ‘মাত্র ৫০ টাকায় টি-শার্ট, এক থেকে দেড়শ’ টাকার মধ্যে মিলবে শার্ট এবং আড়ইশ’ টাকায় পাওয়া যাবে এক্সপোর্ট ইউএসপোলো সোয়েটার।

এমন পরিস্থিতিতে সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন।। ছবি: সংগৃহীত

এমন ঘোষণায় আজ সকাল থেকে অগণিত নারী-পুরুষ শো-রুমটির সামনে ভিড় করেন। জনসমাগম এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে যে, পুরো জলেশ্বরীতলা এলাকা স্তব্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় রাস্তার যান চলাচল, লোকজনের চাপে আশেপাশের দোকানপাটও বন্ধ করতে বাধ্য হন ব্যবসায়ীরা, দেখা দেয় নিরাপত্তার শঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন।

সেনাবাহিনী আগত লোকজনকে রাস্তা থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন, এতে কাজ না হলে লাঠি চার্জ শুরু করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। দুই দফা লাঠি চার্জের পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে শো-রুমটি খুলে দেওয়া হয়। এর পরপরই আবারও লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এতে পরিস্থিতি আবারও নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়।

এমন পরিস্থিতিতে শো-রুমটির বিক্রেতারা ক্রেতাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারপিট করেন। পড়ে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে দ্রুত শো-রুমটি বন্ধ করে ভেতরে থাকা ক্রেতাদের বের করে দিয়ে আগামী সাতদিনের জন্য শো-রুমটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

 

Header Ad
Header Ad

নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার আদাতলা সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তির নাম সিরাজুল ইসলাম (৪২)। তিনি সাপাহার উপজেলার উত্তর পাতাড়ী গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার আদাতলা ভারত সীমান্তের ৪৪/১-এস পিলার এলাকা থেকে সিরাজুল ইসলামকে ধরে নেওয়া হয়। সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী এজেলা খাতুন বিএসএফের বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন।

সিরাজুলের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় সিরাজুল আরও ছয়-সাতজনের সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে গরু আনতে যায়। রাত ৩টার দিকে আদাতলা সীমান্তের ৪৪/১-এস পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার নাইরকুড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের টহল সদস্যরা তাঁদেরকে ধাওয়া করে। এ সময় অন্যরা বাংলাদেশের সীমান্তে আসতে সক্ষম হলেও সিরাজুল বিএসএফ সদস্যদের হাতে ধরা পড়েন।

এ বিষয়ে বুধবর (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়ান ১৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সাদিকুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসুস্থ্য থাকায় সংশ্লিষ্ট আদাতলা সীমান্ত চৌকির (বিওপি) কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

কিন্তু আদাতলা বিওপি ক্যাম্প কমান্ডারের সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও কল রিসিফ না হওয়ায় তাঁর মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

তবে বিএসএফের হাতে আটক সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী এজেলা বলেন, সিরাজুল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তবে কোথায় যাচ্ছে তা বাড়িতে বলে যায়নি। রাত ৪টার দিকে তাঁর স্বামীর সাথে ভারতে গিয়েছিলো দাবি করে এলাকার কিছু ব্যাক্তি তাঁকে বলেন, সিরাজুলকে সীমান্ত এলাকা থেকে বিএসএফ সদস্যরা ধরে নিয়ে গেছে।

Header Ad
Header Ad

মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ

মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় মনসুর নামে এক ব্যক্তির পোষা বিড়াল হত্যার অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের বাসিন্দা আকবর হোসেন শিবলুর নামে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক মামলাটি গ্রহণ করে মোহাম্মদপুর থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

আজ পিপলস ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ারের পক্ষে নাফিসা নওরীন চৌধুরী এ মামলাটি দায়ের করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে মোহাম্মদপুরের মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের ৯ম তলার বাসিন্দা মনসুর নামে এক ব্যক্তির বিড়াল হারিয়ে যায়।

পরে ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আসামি আকবর হোসেন শিবলু বিড়ালটিকে এলোপাতাড়ি ফুটবলের মতো লাথি মারছেন। আসামির লাথির আঘাতে বিড়ালটির নিথর দেহ পড়ে থাকার পরও পা দিয়ে পিষ্ট করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী
নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ
চুয়াডাঙ্গায় সার কাণ্ডে বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতা বহিষ্কার
আজ বন্ধুর সাথে গোসল করার দিন
২ আলাদা বিভাগসহ দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস
হাসিনার লাইভ প্রচারের আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবজিবাহী পিকআপ খাদে, চালকসহ নিহত ৩
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  
এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব  
পটুয়াখালীতে বাংলাভিশনের সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম  
উত্তরবঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল বিক্রি বন্ধ
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত আজ  
শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে কড়া বার্তা হাসনাত আবদুল্লাহর  
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় আজ    
সুইডেনে স্কুলে বন্দুক হামলা নিহত ১০ জন