বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর শেষ কোথায়

রাজধানীর হাতিরঝিল থানা হেফাজতে সুমন শেখ ওরফে রুম্মন শেখের মৃত্যুর ঘটনার পর আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়টি। যদিও পুলিশ এই মৃত্যুর দায় কোনোভাবেই নিতে চাচ্ছে না।

তবে সাধারণ মানুষের অভিযোগ পুলিশ হেফাজতে কারো মৃত্যু হলে তেমন কোনো বিচার হয় না। পুলিশের অপরাধের শাস্তি হলে পুলিশ সদস্যরা এ সব বিষয়ে সতর্ক থাকতেন। আসামিদের প্রতি যত্নশীল হত। কিন্তু বিচার না হওয়ায় পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু বাড়ছে।

যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি নিষেধাজ্ঞার পর দেশে ক্রসফায়ারে ঘটনা কমে এসেছে। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে দুটি ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটেছে।

কিন্তু হেফাজাতে মৃত্যু থেমে নেই। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছর ২০২১ সালে ৫১টি ক্রসফায়ার ও ২৯টি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ক্রসফায়ার বাদ দিয়ে ২০২০ সালে হেফাজতে মৃত্যু ২৪টি, ২০১৯ সালে হেফাজতে মৃত্যু ৩২টি, ২০১৮ সালে ৫৪টি এবং ২০১৭ সালে ৩৫টি।

অবশ্য একাধিক গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, গত ৯ বছরে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে ৩২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই তথ্য মতে, ২০২০ সালে ১১ জন মারা গেছে। ২০২২ সালে মারা গেছে ৪৪ জন।

পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে নিষ্ঠুর নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে অনেক। কিন্তু বিচার চেয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন খুব কম সংখ্যক মানুষ।

২০১৩ সালে হেফাজতে নির্যাতন এবং মৃত্যু নিবারণ আইন প্রণয়ন করে। জাতিসংঘের নির্যাতন বিরোধী সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এই আইনটি প্রণয়ন করে।

এই আইন হওয়ার পর এখন পর্যন্ত মামলা হয়েছে মাত্র ১৯টি। বাংলাদেশের আদালতে ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর এ আইনে সর্বপ্রথম রায় প্রদান করা হয়। ২০১৪ সালে পুলিশের হেফাজতে জনি নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পাঁচ জন আসামির মধ্যে তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। অপর দু্ই জনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া ১৪টি মামলায় মামলা ত্রুটিপূর্ণ বলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।

যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে আটক, জিজ্ঞাসাবাদের শিকার এমন বেশ কয়েকজন বলেছেন যে, তারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কিন্তু কোনো মামলা করেননি।

কেউ কেউ জানিয়েছেন, নির্যাতিত হলে যে মামলা বা অভিযোগ করা যায়, সেটিই তারা জানেন না। আবার সচেতন ভুক্তভোগীরাও বলছেন, তারা জানলেও কতটা প্রতিকার পাবেন সে আশঙ্কায় এবং ভয়ে মামলা করতে রাজি হননি।

অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক মানুষ নির্যাতিত হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করে সেই মামলায় এ পর্যন্ত একটা বিচার হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করলে সেটা পুলিশই তদন্ত করে। যার ফলে পুলিশের অভিযোগ পুলিশরাই এড়িয়ে যায়। তা ছাড়া পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হলে তারা প্রথমে মামলা নিতে চায় না। অনেক ক্ষেত্রে চাপে পড়ে অথবা সরকারি চাপে মামলা নেয়। কিন্তু এসব মামলার বিচার হয় না। একারণে অনেক সময় সাধারণ মানুষের অভিযোগটি পুলিশের দিকেই থাকে।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, এ পর্যন্ত পুলিশের কোনো অপরাধে তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে দেখিনি। সাধারণ মানুষ যদি পুলিশের অপরাধের জন্য তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে দেখত তাহলে হয়ত পুলিশের প্রতি তারা কিছুটা আস্থা পেত। সাধারণ মানুষ দিন দিন একেবারেই পুলিশের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে কারণ পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২০ আগস্ট হাতিরঝিল থানায় পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয় সুমন শেখের (২৫)। তার স্ত্রী জান্নাত আক্তার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর আমার স্বামীকে অনেক নির্যাতন করা হয়। তার কাছ থেকে পুলিশ নাকি অনেক টাকা উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। পুলিশের নির্যাতনের কারণে আমার স্বামী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত বিচার চাই’।

অবশ্য পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আজিমুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘সুমন যখন আত্মহত্যা করে তখন ডিউটিরত পুলিশ সদস্যদের গাফিলতির বিষয়টি সিসিটিভি ফুটেছে উঠে এসেছে। সেই কারণে ২ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পরে আমরা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করব’।

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা আসলে ডিউটি অফিসার ও পুলিশের সেন্ট্রিদের গাফিলতির কারণে ঘটে। তারাই এটির দায়িত্বে থাকেন। যদি থানা হেফাজতে কোনো আসামির মৃত্যু হয় তাহলে ডিউটিতে থাকা পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিচার হয়। এদের বেতন ভাতা ইনক্রিমেন্ট বন্ধ হয়ে যায়, বরখাস্তও হতে পারে। তবে তাদের শাস্তি অবশ্যই হয়ে থাকে পুলিশের কানুনের মধ্যে।

পুলিশের বিরুদ্ধে অনেক গাফিলতির অভিযোগ সাধারণ মানুষের। তারা বিচারও পান না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে অনেক বিচার হয়, অনেক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। একমাত্র এই বাহিনীর সদস্যদের যত বিচার হয়, অন্য কোনো সংস্থার সদস্যদের সেই বিচার হয় না বললেই চলে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, কোনো আসামি যদি পুলিশ হেফাজতে থাকেন, তাকে পুলিশ সদস্যরা কিভাবে রাখেন এবং তার খোঁজ-খবর কিভাবে নেন, সেই বিষয়টি মূলত অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। তার সঙ্গে পুলিশের আচরণটা কেমন হবে বা হচ্ছে- সেটা অনেকটা ভাবার বিষয়। এমনিতেই পুলিশের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ অনেক ধরনের অভিযোগ করেন। এসব অভিযোগ তো একদিনে তৈরি হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে এসব অভিযোগ তৈরি হয়েছে। তা ছাড়া পুলিশ সদস্যরা যদি কাউকে গ্রেপ্তার করেন, তাকে একটি মামলা দেয় এবং মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। এমন অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। অনেক সময় দেখা গেছে, পরিবার বাধ্য হয়ে মিথ্যা মামলা থেকে তাকে বাঁচানোর জন্য পুলিশকে টাকা দেয়। অর্থাৎ এটি স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। যার কারণে এই ধরনের অপরাধ সংগঠিত হয় এবং পুলিশ বিতর্কিত হয়।

তিনি বলেন, আসামি গ্রেপ্তারের পর থানায় তাকে ২৪ ঘণ্টার বেশি রাখার কোনো সুযোগ নেই। যদি থানায় ২৪ ঘণ্টার বেশি রাখা হয় তাহলে এটি অপরাধ। অনেক ক্ষেত্রে আসামিরা ২৪ ঘণ্টার বেশি থাকে, সেটারও অভিযোগ রয়েছে। তা ছাড়া একজন আসামিকে থানার যে জায়গাটায় রাখা হয় সেটি ভালোভাবে দেখে নেওয়া এবং ওই আসামির উপর নজর রাখা। মাঝেমাঝে গিয়ে খোঁজখবর নেওয়া এ সব পুলিশের আইনেও রয়েছে, তবে অনেক ক্ষেত্রে তা বাস্তবায়ন হয় না। দেখা গেছে, অনেক আসামি গ্রেপ্তারের পর শুধু খাবারের সময় তার খোঁজখবর নেওয়া হয়। যার কারণে অনেক সময় আসামিরা হতাশ থাকে এবং তারা আত্মহত্যা বা অন্যান্য দুর্ঘটনার পথ বেছে নেয়। পুলিশ যদি আসামিদের নজরে রাখে তাহলে আত্মহত্যা বা অন্য কোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে। আমাদের দেশের পুলিশ অনেক সময় তাদের দায়িত্ব অবহেলা করে যার কারণে এ সমস্ত দুর্ঘটনা ঘটে এবং পুলিশ প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

তৌহিদুল হক আরও বলেন, যে ব্যক্তি আইনের হেফাজতে মারা যায় তার পরিবারের বক্তব্য খেয়াল করলে দেখা যাবে, তাকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। বা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু একটা চাওয়া হয়েছে, যেটা স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। এমনকি হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়েছে। হেফাজতে মারা যাওয়ার পর সেই পরিবার ওই সমস্ত হুমকি-ধামকি গণমাধ্যমের সামনে বা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরেন। তখন পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠে আসে। আবার অনেক সময় দেখা গেছে, মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে সাধারণ মানুষ পুলিশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন বা তারা বিভিন্ন আন্দোলন করছেন। সাধারণ মানুষ এ বিষয়টিকে সত্য হিসেবে মেনে নেয় এবং তারা পুলিশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

তিনি বলেন, পুলিশ যদি সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে না পারে এবং সেবা দিতে অক্ষমতার পরিচয় দেয় তাহলে এর দায়ভার পুলিশকে নিতে হবে। এসব বিষয়ে পুলিশকে সতর্ক থেকে আসামিদের খেয়াল রাখতে হবে এবং বিভিন্ন স্বার্থ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই সংস্থাকে বের হয়ে আসতে হবে। তবেই এই সংকট অনেকটা নিরসন হবে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত