শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

যে কারণে হুন্ডির প্রতি ঝোঁক প্রবাসীদের

সরকার বলছে হুন্ডির মাধ্যমে অবৈধপথে দেশে টাকা আনা বন্ধ করতে। এ জন্য সরকার প্রণোদনাও দিয়েছে আড়াই শতাংশ। কিন্তু বৈধপথে দেশে টাকা পাঠাতে গেলে নানান ঝক্কিঝামেলার কারণে নিরুৎসাহিত হন প্রবাসীরা। তার উপর আছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরতদের অসহযোগিতা।

এ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক বাংলাদেশি আছেন যাদের বৈধ কাগজপত্রের (আকামা) মেয়াদ শেষ হেয়েছে। তারা সেসব দেশে অবৈধ উপায়ে কাজ করে যে আয় করেন সেই অর্থ বাধ্য হয়ে তাদের হুন্ডির মাধ্যমেই পাঠাতে হচ্ছে। ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে অর্থ পাঠানোর সুযোগ তাদের সামনে থাকে না।

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৬ সাল থেকে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন এক কোটি ৩৩ লাখের বেশি লোক। এরমধ্যে সৌদি আরব প্রবাসী হচ্ছেন প্রায় ৩৩ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৮ শতাংশ, ওমানে প্রায় ১২ শতাংশ। বিশ্বের কমপক্ষে ১৬৮টি দেশ বসবাসকারী বাংলাদেশিরা এই সময়ে দেশে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৩৮ মিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন। তারমধ্যে ২০ শতাংশ রেমিট্যান্স এসেছে সৌদি আরব থেকে, ইউএসএ থেকে ১৬ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১২ শতাংশ, যুক্তরাজ্য থেকে এসেছে ১১ শতাংশ। বাকি রেমিট্যান্স বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থেকে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আর দেশে আসা রেমিট্যান্স বড় অংশই এসেছে ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো বিভিন্নভাবে তাদের সহায়তা করার কথা বললেও বাংলাদেশ ব্যাংকের এক জরিপ বলছে, বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়া শ্রমিকদের ৬২ শতাংশ অদক্ষ ও ৩৬ শতাংশ আধা দক্ষ। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় দেড় কোটি বাংলাদেশি শ্রমিক আছেন। এই অদক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমিকরা অনেকে ভিটেমাটি বিক্রি করে জীবন বদলের আশায় বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন। কিন্তু বৈধ কাগজপত্র না থাকায় অনেকেই দালালের খপ্পড়ে পড়ে। অনেকে আবার বৈধপথে গেলেও আকামার (বৈধ কাগজপত্র) মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় পড়েছেন বিপাকে। তারা বিভিন্ন কারণে আকামা নবায়ন করতে পারছেন না।

ফলে যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই তারা বাধ্য হয়ে লুকিয়ে বা গোপনে কাজ করে আয় করছেন। কিন্তু সেই অর্থ বৈধপথে পাঠাতে পারছে না। তাই তাদের হুন্ডির মাধ্যমেই দেশে স্বজনের কাছে টাকা পাঠাতে হয়। হুন্ডির মাধ্যমে আসায় তারা বেশি রেট পান।

এদিকে অনেকে বৈধপথে ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স পাঠালেও ব্যাংক থেকে তার স্বজনের কাছে তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয় না। প্রবাসীরা ফোন করে জানার পর তারা ব্যাংকে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় কাউন্টারে। এই টাকা পেলেও তা হুন্ডির রেটের চেয়ে অনেক কম। তাই সরকার রেমিট্যান্সে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করলেও তাতে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না প্রবাসীরা।

সৌদিপ্রবাসী এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘কোম্পানি ও ব্যক্তিগত আকামায় (কাজ করার অনুমতি) আমরা এ দেশে আসি। কিন্তু মেয়াদ শেষ হলেও দুতাবাসের কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায় না। অনেকে কফিলের প্রতারণা শিকার হন। এভাবে বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ প্রবাসীরা প্রতারণার শিকার হয়ে থাকি। আকামার মেয়াদ শেষ হওয়ায় বাধ্য হয়ে গোপনে কাজ করে থাকি। কিন্তু রেসিডেন্সিয়াল কার্ড (আইডি) না থাকায় ব্যাংকে যাওয়া যায় না। দেশে টাকা পাঠাতে হলে ব্যাংকে আইডি কার্ড লাগে। সেটি না থাকায় বাধ্য হয়েই হুন্ডির মাধ্যমেই টাকা পাঠাতে হয়। কিন্তু তাতে দেশে ডলার যায় না। তারপরও বেশি দর পাওয়া যায়।’

ইতালি প্রবাসী অপর একজনও জানান একই কথা। দূতাবাসের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা ভিটেমাটি বিক্রি করে বিদেশে আসলেও বিপদে পড়লে কাউকে পাওয়া যায় না। দূতাবাসের কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে যা আয় করি সেই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে পাঠাই। কিন্তু আমরা ডলার না দিলেও তার সমপরিমান অর্থ টাকায় হিসাব করে বাড়িতে অতি সহজে পৌঁছে যায়।

প্রবাসীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহিনের সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা যোগাযোগ করলে তিনি প্রথমে ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে কথা বলতে না চাইলেও পরে এসএমএস এর মাধ্যমে জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যাওয়া অনেককর্মী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন- এটা বস্তুনিষ্ঠ তথ্য নয়। কখনো কোনো কর্মী ভোগান্তির শিকার হলে এবং তা সংশ্লিষ্ট দেশের আমাদের মিশনকে জানালে বা মিশন কোনো সোর্স থেকে জানতে পারলে তার সুরাহা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়। অভিযুক্তের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বর্তমানে রেমিট্যান্সের ওপর আড়াই শতাংশ প্রনোদনা দেওয়াসহ বৈধ চ্যানেলকে আরও আকর্ষণীয় করা হয়েছে। বৈধ চ্যানেলকে আরও সহজ ও আকর্ষণীয় করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন প্রক্রিয়া সহজ করেছে। প্রবাসীদের বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রেরণে উৎসাহিত করার জন্য সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে।‘

এদিকে বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে আসে রেমিট্যান্স। কিন্তু তা পেতে হয়রানির শিকার হন প্রবাসীদের কাছের মানুষ। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এর চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘এটা এখন আলোচিত ইস্যু। তাই এই ব্যাপারে আমি কোনো কথা বলব না।’ পরে কিন্তু এবিবির বর্তমান বা সাবেক কোনো কর্মকর্তাই এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি।

প্রবাসীদের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘দেখেন, সাম্প্রতিক সময় থেকে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ডলারের সংকট চলছে। তাই ব্যাংকগুলোকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ (রেমিট্যান্স) যাতে দ্রুত তাদের আপনজন পেয়ে যান। কোনো প্রকারের হয়রানি করা চলবে না। তারপরও যদি কোনো ব্যাংক হয়রানি করে অভিয়োগ পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে নিজেদের ডলার দিয়ে আমদানি ব্যয় মেটাতে।‘

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দূতাবাসে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আছেন। তাদের দায়িত্ব প্রবাসীদের সহায়তা করা। প্রবাসীদের সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সংযুক্ত করার প্রয়োজন মনে করছি না। সব কাজের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক না। যার যে কাজ তাকে সেই কাজ করতে হবে। প্রবাসীদের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সঠিকভাবে, দায়িত্বশীলভাবে কাজ করলে তারা উপকৃত হবেন। প্রবাসীদেরও সচেতন হতে হবে। ডিজিটাল যুগে সব তথ্য পাওয়া খুব সহজ। তাই তাদের প্রয়োজনে আরও তৎপর হতে হবে প্রবাসীদের।’

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, গত এপ্রিল থেকে আমদানি ব্যয় খুবই বেড়ে গেছে। কিন্তু রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স সেভাবে আসছে না। অপরদিকে সৌদিআবরসহ মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ প্রবাসীরা বৈধ কাগজপত্রসহ বিভিন্ন জটিলতার জন্য ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন না। তারা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন। তাদের পাঠানো ডলারের বিনিময় হার বেশি ধরে দেশে টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দূতাবাস থেকে অদক্ষ ও আধাদক্ষ শ্রমিকরা সমস্যায় পড়লেও তেমন সহায়তা পান না। বাধ্য হয়ে তারা কষ্টের অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে অল্প সময়েই স্বজনের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এতে রেটও বেশি পাচ্ছেন। তাই ব্যাংকমুখী করতে দূতাবাসগেুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত করা হলে ব্যাংকিং সুবিধা বাড়বে। তাহলে বৈধপথে দেশে রেমিট্যান্স আসবে।

তারা আরও জানান, সম্প্রতি সময়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনও অনেক বেড়ে গেছে। তাই কিছু সময়ের জন্য ক্যাশ আউট নিয়ন্ত্রণও করা দরকার। তাহলে হুন্ডির রমরমা কারবার অনেক কমে যাবে।

এনএইচবি/এসএন

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত