শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশেষ প্রতিবেদন

তীব্র প্রতিবাদ সত্ত্বেও সরানো হচ্ছে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল

মুক্তিযুদ্ধকালীন যুদ্ধাপরাধসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুরাতন হাইকোর্ট ভবন থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সেজন্য এ ভবন সংলগ্ন খালি জায়গায় ইতোমধ্যে টিনশেড স্থাপনা প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে ‘তীব্র প্রতিবাদ’ জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিগণ, ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার দপ্তরের সব লোকবল, তদন্ত সংস্থার সমন্বয় দপ্তরসহ সব দপ্তরের কার্যক্রম পরিচালিত হবে নবনির্মিত এই স্থাপনায়। এক কথায় পুরোনো ভবনে আর কোন লোকবল থাকবে না। প্রসিকিউটরগণসহ চিফ প্রসিকিউটর দপ্তরের লোকবল এরমধ্যে নতুন স্থাপনায় দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করেছেন।

জানা গেছে, নতুন টিনশেড স্থাপনায় ট্রাইব্যুনালের বর্তমান এজলাসের আদলে আরেকটি এজলাস ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন এই টিনশেড স্থাপনা তৈরি হচ্ছে।

নতুন স্থাপনা বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের (ডিভিশন -৪) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহাবুবুর রহমান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। চাইলে সেখানে কাজ শুরু করা যাবে। এরমধ্যে প্রসিকিউশন সেখানে দাপ্তরিক কাজ শুরু করেছে।’

ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অমিত কুমার দে ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘গণপূর্ত অধিদপ্তরকে আমরা বলেছি, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ভবন থেকে সরতে চাচ্ছি।’

তাড়াতাড়ি কেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,  ‘এটি একটি পরিত্যক্ত ঘোষিত ভবন। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ভবন থেকে সরে যেতে হবে। সরকারও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।’

নতুন টিনশেড স্থাপনা, যেখানে সরানো হচ্ছে ট্রাইব্যুনাল

বিষয়টি নজরে আনলে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ’আমাদের বক্তব্য খুব পরিষ্কার। আমরা যেটি প্রথম থেকে বলে আসছি যে, আমাদের এই ট্রাইব্যুনালটি যেনতেন একটি ট্রাইব্যুনাল নয়… (সংযুক্ত অডিওতে সম্পূর্ণ বক্তব্য)’।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি বিশাল ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করছে এই বিচারের আয়োজন করে। পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে যে, আমাদের সীমিত সুযোগ, সীমিত রশদ নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার করতে পারছি। এই ভবনটির একটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে।’

তিনি বলেন, ‘নুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালকে যেমন জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়েছে, আমাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালও বিচার শেষে জাদুঘরে রূপান্তর করা হোক। নুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালও একটা ঐতিহাসিক ভবনে হয়েছিল।’

মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে অবসরে যাওয়া বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আমরা আগে এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করেছি। এখনও করব। এটি (পুরাতন হাইকোর্ট ভবন) একটি ঐতিহাসিক জায়গা হয়ে গেছে।’

ট্রাইব্যুনাল সরানোর উদ্যোগ আগেও নেওয়া হয়েছিল, সেই প্রসঙ্গ টেনে নির্মূল কমিটির শামসুদ্দিন চৌধুরী (মানিক) বলেন, ’ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আগেও আপত্তি ছিল, এখনও আপত্তি করবে। আমি আলাপ করব ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্যদের সঙ্গে।’

পূর্বের প্রসঙ্গ টেনে বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘আমরা তীব্র প্রতিবাদ করছি। ভবনের কোন অংশের মেরামত করার দরকার হলে সেটি করা হোক এবং বিচারটি এই ভবনেই করা হোক। কোনভাবেই এখান থেকে সরানো উচিৎ হবে বলে আমরা মনে করি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিচারপতি সিন্‌হা (সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্‌হা) এ রকম একটি উদ্যোগ নিয়েছিল। তখন আমরা বলেছিলাম, ট্রাইব্যুনাল সরাতে হলে আমাদের লাশের উপর দিয়ে সরাতে হবে।’

প্রসঙ্গত, এর আগে একবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুরাতন হাইকোর্ট ভবন থেকে সরাতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। তবে সেজন্য ভিন্ন কারণ উল্লেখ করা হয়েছিল।

বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্হা প্রধান বিচারপতি থাকাকালে ২০১৬ সালের ১৮ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে সর্বোচ্চ আদালত এলাকা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। উচ্চ আদালতে বিচারকদের স্থান সংকুলান করার উদ্দেশ্য উল্লেখ করে  চিঠিতে ওই বছর ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের পুরোনো ভবনটি হস্তান্তর করার জন্য 'নির্দেশক্রমে অনুরোধ' করা হয়।’

চিঠিতে বিষয়টি নিয়ে প্রধান বিচারপতি ও আইনমন্ত্রীর মধ্যে মৌখিক আলোচনার উল্লেখ ছিল। এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, আলাপ-আলোচনা করে ট্রাইব্যুনাল স্থানান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

'বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অনুকূলে পুরোনো হাইকোর্ট ভবনের দখল হস্তান্তর প্রসঙ্গে' শিরোনামে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘সুপ্রিম কোর্টে পর্যাপ্ত স্থানাভাবে বিচারপতিদের প্রয়োজনীয় চেম্বার ও এজলাসের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া স্থান সংকুলান না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক চেম্বার/অফিসের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘ভবিষ্যতে বিষয়টি আরও প্রকট হবে। জরুরি ভিত্তিতে এ সমস্যা দূর করতে পুরাতন হাইকোর্ট ভবন (ট্রাইব্যুনাল) সুপ্রিম কোর্টের বুঝে পাওয়া একান্ত অপরিহার্য।’

চিঠি দেওয়ার কয়েকদিন পর ২০১৬ সালের ২৭ আগস্ট  যুদ্ধাপরাধের বিচার বিলম্বিত করতে জামায়াতে ইসলামী নানা কৌশল নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির। তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নেওয়ার চিঠি তাদের ‘ষড়যন্ত্রের’ ফসল। সেজন্য তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্‌হাকে দোষ দিয়েছিলেন শাহরিয়ার কবির। তখন একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে অবসরে যাওয়া বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী এবং সংস্কৃতি সংগঠক কামাল লোহানী।

ওই দিন এক সংবাদ সম্মেলনে শাহরিয়ার কবির বলেছিলেন, ‘জামায়াতের একটি কৌশল হচ্ছে যতভাবে এটিকে (যুদ্ধাপরাধীদের বিচার) বিলম্বিত করা যায়। এর কারণ হচ্ছে জামায়াত আশা করছে, যে কোন সময় একটি ‘মিরাকল’ ঘটবে, সরকারের পতন ঘটবে এবং যারা জেলখানায় আছে তারা বেরিয়ে আসবে। এই কৌশল নিয়ে জামায়াত এগোচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ আমাদের কাছে অত্যন্ত ক্ষোভের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নিতে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে দেওয়া চিঠি।’

 

সম্মেলনে অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট সড়ক ভবনের যে জায়গাটি নিয়েছে তার আয়তন সুপ্রিম কোর্ট নতুন ভবনের আয়তনের প্রায় সমান। বিচারের এজলাস বসার জায়গা নেই বলে এটি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে এখন সেলুন, বিউটি পার্লার, জিমনেসিয়াম, ব্যাঙ্কোয়েট হল ও থাকার জায়গা। তাহলে আমাদের ধরে নিতে হবে, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের চেয়ে বিউটি পার্লার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটিই যদি ধারণা দেওয়া হয় তাহলে এর থেকে লজ্জার ও দুঃখের বিষয় বাংলাদেশে আর কিছু হতে পারে না।’

ওই চিঠি দেয়ার মাস কয়েক পর ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এর শেষ অবস্থা আমি বলতে পারব না। যতবার আদেশ পাব, ততবার আমি এটি পুনর্বিবেচনা করার জন্য বলব। সুপ্রিম কোর্ট যতবার চিঠি দেবে, ততবার আমি পুনর্বিবেচনার জন্য চিঠি দেব।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমাতায় আসার পরের বছর ২০১০ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্ট মাজার সংলগ্ন পুরোনো হাইকোর্ট ভবনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়। ওই ভবনে আইন কমিশন ও জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অফিস ছিল।

এমএ/এএন

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

অ্যন্টিগার পেস সহায়ক উইকেটে নতুন বলের বাড়তি সুবিধা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম সেশনে দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময় গড়াতেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক অ্যাথানেজকে। জুটি গড়ে দুজনের ছুটতে থাকেন শতকের পথে। কিন্তু দুজনের কারও প্রত্যাশা পূরণ হতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের শেষভাগে নার্ভাস নাইন্টিতে দুজনকে মাঠ ছাড়া করে প্রথম দিনের ইতি টানে বাংলাদেশ।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে। বৃষ্টি থামার পর আলোক স্বল্পতায় ৮৪ ওভার হওয়ার পরই দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা।

টস জিতে বোলিংয়ে নেমে মেডেন ওভারে শুরুটা ভালো করেন হাসান মাহমুদ। অন্যপ্রান্তে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও মেডেন ওভার নেন। উইকেটের দেখা না পেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার কার্লোস ব্রাথওয়েট ও লুইসকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন বাংলাদেশের দুই পেসার।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আনা হয় তাসকিন আহমেদকে। এই পেসারই প্রথম ব্রেকথ্রু দেন দলকে। ১৪তম ওভারে তাসকিনের অফ স্টাম্পে পড়ে একটু ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেছিলেন ব্রাথওয়েট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে পায়ে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। যদিও তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন ব্রাথওয়েট। তবে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি।

তিনে নেমে টিকতে পারেননি কেসি কার্টি। ডানহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন তাসকিন। উইকেটে আসার পর থেকেই তাড়াহুড়ো করছিলেন তিনি। তাসকিনের মিডল এবং লেগ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করার চেষ্টায় লিডিং এজ হয়ে মিড অনে থাকা তাইজুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন কার্টি।

২৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে পথ দেখান লুইস ও কেভম হজ। তবে হজ ২৫ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

এরপর বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে লুইস ও আথানজে জুটি। দুজনেই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। তবে সম্ভাবনা জাগিয়েও কেউই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি।

ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মিরাজের বলে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন লুইস। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। নব্বইয়ের ঘরে ২৬ বল আটকে থেকে আউট হন লুইস। ফলে ভেঙে যায় ২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি। ২১৮ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৯৭ রান করেন এই ওপেনার।

এর কিছুক্ষণ পরই ফিরেছেন আথানজেও। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি স্কুপের মতো খেলেছিলেন আথানজে। যদিও তেমন গতি না থাকায় তার ব্যাটে লেগে বল উপরে উঠে যায়। সহজ ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন। দশটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩০ বলে ৯০ রান আসে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটে। তিন রানের মধ্যে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে লড়াইয়ে ফেরার সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি