বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ | ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিশেষ প্রতিবেদন

তীব্র প্রতিবাদ সত্ত্বেও সরানো হচ্ছে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল

মুক্তিযুদ্ধকালীন যুদ্ধাপরাধসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুরাতন হাইকোর্ট ভবন থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সেজন্য এ ভবন সংলগ্ন খালি জায়গায় ইতোমধ্যে টিনশেড স্থাপনা প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে ‘তীব্র প্রতিবাদ’ জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিগণ, ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার দপ্তরের সব লোকবল, তদন্ত সংস্থার সমন্বয় দপ্তরসহ সব দপ্তরের কার্যক্রম পরিচালিত হবে নবনির্মিত এই স্থাপনায়। এক কথায় পুরোনো ভবনে আর কোন লোকবল থাকবে না। প্রসিকিউটরগণসহ চিফ প্রসিকিউটর দপ্তরের লোকবল এরমধ্যে নতুন স্থাপনায় দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করেছেন।

জানা গেছে, নতুন টিনশেড স্থাপনায় ট্রাইব্যুনালের বর্তমান এজলাসের আদলে আরেকটি এজলাস ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন এই টিনশেড স্থাপনা তৈরি হচ্ছে।

নতুন স্থাপনা বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের (ডিভিশন -৪) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহাবুবুর রহমান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। চাইলে সেখানে কাজ শুরু করা যাবে। এরমধ্যে প্রসিকিউশন সেখানে দাপ্তরিক কাজ শুরু করেছে।’

ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অমিত কুমার দে ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘গণপূর্ত অধিদপ্তরকে আমরা বলেছি, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ভবন থেকে সরতে চাচ্ছি।’

তাড়াতাড়ি কেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,  ‘এটি একটি পরিত্যক্ত ঘোষিত ভবন। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ভবন থেকে সরে যেতে হবে। সরকারও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।’

নতুন টিনশেড স্থাপনা, যেখানে সরানো হচ্ছে ট্রাইব্যুনাল

বিষয়টি নজরে আনলে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ’আমাদের বক্তব্য খুব পরিষ্কার। আমরা যেটি প্রথম থেকে বলে আসছি যে, আমাদের এই ট্রাইব্যুনালটি যেনতেন একটি ট্রাইব্যুনাল নয়… (সংযুক্ত অডিওতে সম্পূর্ণ বক্তব্য)’।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি বিশাল ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করছে এই বিচারের আয়োজন করে। পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে যে, আমাদের সীমিত সুযোগ, সীমিত রশদ নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার করতে পারছি। এই ভবনটির একটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে।’

তিনি বলেন, ‘নুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালকে যেমন জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়েছে, আমাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালও বিচার শেষে জাদুঘরে রূপান্তর করা হোক। নুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালও একটা ঐতিহাসিক ভবনে হয়েছিল।’

মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে অবসরে যাওয়া বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আমরা আগে এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করেছি। এখনও করব। এটি (পুরাতন হাইকোর্ট ভবন) একটি ঐতিহাসিক জায়গা হয়ে গেছে।’

ট্রাইব্যুনাল সরানোর উদ্যোগ আগেও নেওয়া হয়েছিল, সেই প্রসঙ্গ টেনে নির্মূল কমিটির শামসুদ্দিন চৌধুরী (মানিক) বলেন, ’ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আগেও আপত্তি ছিল, এখনও আপত্তি করবে। আমি আলাপ করব ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্যদের সঙ্গে।’

পূর্বের প্রসঙ্গ টেনে বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘আমরা তীব্র প্রতিবাদ করছি। ভবনের কোন অংশের মেরামত করার দরকার হলে সেটি করা হোক এবং বিচারটি এই ভবনেই করা হোক। কোনভাবেই এখান থেকে সরানো উচিৎ হবে বলে আমরা মনে করি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিচারপতি সিন্‌হা (সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্‌হা) এ রকম একটি উদ্যোগ নিয়েছিল। তখন আমরা বলেছিলাম, ট্রাইব্যুনাল সরাতে হলে আমাদের লাশের উপর দিয়ে সরাতে হবে।’

প্রসঙ্গত, এর আগে একবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুরাতন হাইকোর্ট ভবন থেকে সরাতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। তবে সেজন্য ভিন্ন কারণ উল্লেখ করা হয়েছিল।

বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্হা প্রধান বিচারপতি থাকাকালে ২০১৬ সালের ১৮ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে সর্বোচ্চ আদালত এলাকা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। উচ্চ আদালতে বিচারকদের স্থান সংকুলান করার উদ্দেশ্য উল্লেখ করে  চিঠিতে ওই বছর ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের পুরোনো ভবনটি হস্তান্তর করার জন্য 'নির্দেশক্রমে অনুরোধ' করা হয়।’

চিঠিতে বিষয়টি নিয়ে প্রধান বিচারপতি ও আইনমন্ত্রীর মধ্যে মৌখিক আলোচনার উল্লেখ ছিল। এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, আলাপ-আলোচনা করে ট্রাইব্যুনাল স্থানান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

'বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অনুকূলে পুরোনো হাইকোর্ট ভবনের দখল হস্তান্তর প্রসঙ্গে' শিরোনামে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘সুপ্রিম কোর্টে পর্যাপ্ত স্থানাভাবে বিচারপতিদের প্রয়োজনীয় চেম্বার ও এজলাসের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া স্থান সংকুলান না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক চেম্বার/অফিসের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘ভবিষ্যতে বিষয়টি আরও প্রকট হবে। জরুরি ভিত্তিতে এ সমস্যা দূর করতে পুরাতন হাইকোর্ট ভবন (ট্রাইব্যুনাল) সুপ্রিম কোর্টের বুঝে পাওয়া একান্ত অপরিহার্য।’

চিঠি দেওয়ার কয়েকদিন পর ২০১৬ সালের ২৭ আগস্ট  যুদ্ধাপরাধের বিচার বিলম্বিত করতে জামায়াতে ইসলামী নানা কৌশল নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির। তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নেওয়ার চিঠি তাদের ‘ষড়যন্ত্রের’ ফসল। সেজন্য তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্‌হাকে দোষ দিয়েছিলেন শাহরিয়ার কবির। তখন একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে অবসরে যাওয়া বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী এবং সংস্কৃতি সংগঠক কামাল লোহানী।

ওই দিন এক সংবাদ সম্মেলনে শাহরিয়ার কবির বলেছিলেন, ‘জামায়াতের একটি কৌশল হচ্ছে যতভাবে এটিকে (যুদ্ধাপরাধীদের বিচার) বিলম্বিত করা যায়। এর কারণ হচ্ছে জামায়াত আশা করছে, যে কোন সময় একটি ‘মিরাকল’ ঘটবে, সরকারের পতন ঘটবে এবং যারা জেলখানায় আছে তারা বেরিয়ে আসবে। এই কৌশল নিয়ে জামায়াত এগোচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ আমাদের কাছে অত্যন্ত ক্ষোভের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নিতে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে দেওয়া চিঠি।’

 

সম্মেলনে অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট সড়ক ভবনের যে জায়গাটি নিয়েছে তার আয়তন সুপ্রিম কোর্ট নতুন ভবনের আয়তনের প্রায় সমান। বিচারের এজলাস বসার জায়গা নেই বলে এটি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে এখন সেলুন, বিউটি পার্লার, জিমনেসিয়াম, ব্যাঙ্কোয়েট হল ও থাকার জায়গা। তাহলে আমাদের ধরে নিতে হবে, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের চেয়ে বিউটি পার্লার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটিই যদি ধারণা দেওয়া হয় তাহলে এর থেকে লজ্জার ও দুঃখের বিষয় বাংলাদেশে আর কিছু হতে পারে না।’

ওই চিঠি দেয়ার মাস কয়েক পর ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এর শেষ অবস্থা আমি বলতে পারব না। যতবার আদেশ পাব, ততবার আমি এটি পুনর্বিবেচনা করার জন্য বলব। সুপ্রিম কোর্ট যতবার চিঠি দেবে, ততবার আমি পুনর্বিবেচনার জন্য চিঠি দেব।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমাতায় আসার পরের বছর ২০১০ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্ট মাজার সংলগ্ন পুরোনো হাইকোর্ট ভবনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়। ওই ভবনে আইন কমিশন ও জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অফিস ছিল।

এমএ/এএন

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে এখন থেকে লাগবে পুলিশের অনুমতি

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগরে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির আগে এখন থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি ছাড়া রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির ফলে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।

মঙ্গলবার ডিএমপি সদর দপ্তর থেকে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দিনের বেলায় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির ফলে যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। অনেক সময় বিকল্প রাস্তা ছাড়াই খোঁড়াখুঁড়ি করা হয় এবং প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জায়গা কেটে ফেলা হয়। এছাড়া, ট্রাফিক সিগন্যাল ও নির্দেশনাসংবলিত সাইনবোর্ড না বসানো, খোঁড়াখুঁড়ির মাটি পাশের লেনে ফেলে রাখা, এবং রাস্তার দুই পাশেই একসঙ্গে খোঁড়াখুঁড়ি করার কারণে যান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।

ডিএমপি কর্তৃপক্ষ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

১. ডিএমপি সদর দপ্তরের অনুমতি ছাড়া রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করা যাবে না।
২. সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ নিষিদ্ধ।
৩. কাজ শুরু ও শেষ করার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে।
৪. খোঁড়াখুঁড়ির আগে-পরে ২০০ মিটারের মধ্যে ট্রাফিক নির্দেশনা ও সিগন্যাল লাইট স্থাপন করতে হবে।
৫. বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করতে হবে এবং যথাযথ সংখ্যক জনবল দিয়ে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
৬. কোনো অবস্থাতেই একই রাস্তার দুই পাশে একসঙ্গে খোঁড়াখুঁড়ি করা যাবে না।
৭. ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে রাতে খোঁড়াখুঁড়ি করতে হবে।
৮. সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শেষ করতে হবে এবং পরবর্তী তিন রাতের মধ্যে তা মেরামত করতে হবে।

ডিএমপি এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছে এবং নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এর আগে রমজান মাসে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ রাখার জন্যও ডিএমপি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল।

Header Ad
Header Ad

ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানাল জ্যোতির্বিদ্যা গ্রুপ

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দশক পার হওয়ার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই জ্যোতির্বিদ্যা গ্রুপ রোজার ঈদের সম্ভাব্য তারিখ প্রকাশ করেছে।

বুধবার (১২ মার্চ) খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আরব আমিরাতে আগামী ৩০ মার্চ শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাবে। এর ফলে ৩১ মার্চ দেশটিতে ঈদুল ফিতর পালিত হতে পারে।

জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র জানিয়েছে, চাঁদ দেখার বিষয়টি স্থানীয় কমিটি অথবা অফিসিয়াল চাঁদ দেখা কমিটিকে জানাতে হবে। আমিরাতে ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যসহ আমিরাতে ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর পালিত হলে এবারের রমজান ৩০টি রোজা পূর্ণ হবে। এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রমজানের চাঁদ দেখা যাওয়ায় ১ মার্চ থেকে দেশটিতে রমজান মাস শুরু হয়।

খালিজ টাইমস জানিয়েছে, আমিরাতের চাঁদ দেখা কমিটি আগামী ২৯ মার্চ শাওয়াল মাসের চাঁদ অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করবে। ওইদিন দেশটিতে ২৯তম রোজা পালিত হবে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে রমজানে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, ১০ টাকায় ইফতার পাচ্ছেন সুবিধাবঞ্চিতরা

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

রমজান মাস উপলক্ষে টাঙ্গাইলের শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন ও যুবদের জন্য ফাউন্ডেশন এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে। সমাজের অবহেলিত ছিন্নমূল ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জন্য মাত্র ১০ টাকায় ইফতার সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে।

বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে টাঙ্গাইল পৌর শহরের জেলা সদর রোডের ইসলামী পাঠাগারের সামনে এই ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ইফতারের মধ্যে রয়েছে খেজুর, মুড়ি, ছোলা, পিয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, জিলাপী ও এক বোতল খাবার পানি।

দরিদ্র মর্জিনা বেগম বলেন, “গরীব হওয়ায় ভালো ইফতার করতে পারি না। আজ ১০ টাকায় ইফতার কিনেছি। প্রতিদিন এমন আয়োজন করা উচিত।” শারীরিক প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক আসলাম মিয়া জানান, “আমি প্রতিদিন ঠিকমত ইফতার করতে পারি না। এত খাবার ১০ টাকায় পেয়ে খুব খুশি।”

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মুঈদ হাসান তড়িৎ জানান, “সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরা যেন বিনা সংকোচে ১০ টাকায় ইফতার কিনতে পারেন, এজন্যই আমাদের এই উদ্যোগ। ইতোমধ্যে আমরা ইফতার বিক্রি শুরু করেছি। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে এমন আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, মাদ্রাসা, এতিমখানা, দুর্গম চর ও বস্তিতেও ইফতার আয়োজন করা হবে এবং ঈদের আগে দুস্থ পরিবারের মাঝে ঈদ বাজার বিতরণ করা হবে। সমাজের বিত্তবানদের এই মহতী উদ্যোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে এখন থেকে লাগবে পুলিশের অনুমতি
ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানাল জ্যোতির্বিদ্যা গ্রুপ
টাঙ্গাইলে রমজানে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, ১০ টাকায় ইফতার পাচ্ছেন সুবিধাবঞ্চিতরা
হজযাত্রীর সর্বনিম্ন বয়স নির্ধারণ করে দিল সরকার
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
টাঙ্গাইলে মুখে লাল কাপড় বেঁধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল, ধর্ষকের কুশপুত্তলিকা দাহ
নওগাঁয় আগামী শনিবার খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল
অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো নির্বাচনই বিশ্বাসযোগ্য হবে না: জিএম কাদের
মসজিদে তিন জনকে কুপিয়ে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার
লক্ষ্মীপুরে রোজা না রাখায় প্রকাশ্যে কান ধরিয়ে ওঠ-বস, নেটিজেনদের ক্ষোভ
বিদেশ থাকা সত্ত্বেও কেন শেখ হাসিনার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা!
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
পাবনা-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী নিজামীপুত্র মোমেন, বাদ পড়লেন ডা. বাসেত
যুক্তরাষ্ট্রে হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর, ভারত ও মোদিকে গালি!
শুক্রবার এক লাখ রোহিঙ্গার সাথে ইফতার করবেন ড. ইউনূস ও গুতেরেস
কুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ, পরীক্ষা স্থগিত
লাকিকে গ্রেফতারসহ পাঁচ দাবিতে শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন
দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল
সারাদেশে বৃহস্পতিবার ২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে এনআইডি সেবা
আম্মার ভয়ে প্রেম করিনি, এখন আম্মাই বলে, তুমি খুঁজে আনো