শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশেষ প্রতিবেদন

তীব্র প্রতিবাদ সত্ত্বেও সরানো হচ্ছে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল

মুক্তিযুদ্ধকালীন যুদ্ধাপরাধসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুরাতন হাইকোর্ট ভবন থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সেজন্য এ ভবন সংলগ্ন খালি জায়গায় ইতোমধ্যে টিনশেড স্থাপনা প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে ‘তীব্র প্রতিবাদ’ জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিগণ, ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার দপ্তরের সব লোকবল, তদন্ত সংস্থার সমন্বয় দপ্তরসহ সব দপ্তরের কার্যক্রম পরিচালিত হবে নবনির্মিত এই স্থাপনায়। এক কথায় পুরোনো ভবনে আর কোন লোকবল থাকবে না। প্রসিকিউটরগণসহ চিফ প্রসিকিউটর দপ্তরের লোকবল এরমধ্যে নতুন স্থাপনায় দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করেছেন।

জানা গেছে, নতুন টিনশেড স্থাপনায় ট্রাইব্যুনালের বর্তমান এজলাসের আদলে আরেকটি এজলাস ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন এই টিনশেড স্থাপনা তৈরি হচ্ছে।

নতুন স্থাপনা বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের (ডিভিশন -৪) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহাবুবুর রহমান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। চাইলে সেখানে কাজ শুরু করা যাবে। এরমধ্যে প্রসিকিউশন সেখানে দাপ্তরিক কাজ শুরু করেছে।’

ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অমিত কুমার দে ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘গণপূর্ত অধিদপ্তরকে আমরা বলেছি, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ভবন থেকে সরতে চাচ্ছি।’

তাড়াতাড়ি কেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,  ‘এটি একটি পরিত্যক্ত ঘোষিত ভবন। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ভবন থেকে সরে যেতে হবে। সরকারও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।’

নতুন টিনশেড স্থাপনা, যেখানে সরানো হচ্ছে ট্রাইব্যুনাল

বিষয়টি নজরে আনলে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ’আমাদের বক্তব্য খুব পরিষ্কার। আমরা যেটি প্রথম থেকে বলে আসছি যে, আমাদের এই ট্রাইব্যুনালটি যেনতেন একটি ট্রাইব্যুনাল নয়… (সংযুক্ত অডিওতে সম্পূর্ণ বক্তব্য)’।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি বিশাল ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করছে এই বিচারের আয়োজন করে। পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে যে, আমাদের সীমিত সুযোগ, সীমিত রশদ নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার করতে পারছি। এই ভবনটির একটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে।’

তিনি বলেন, ‘নুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালকে যেমন জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়েছে, আমাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালও বিচার শেষে জাদুঘরে রূপান্তর করা হোক। নুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালও একটা ঐতিহাসিক ভবনে হয়েছিল।’

মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে অবসরে যাওয়া বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আমরা আগে এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করেছি। এখনও করব। এটি (পুরাতন হাইকোর্ট ভবন) একটি ঐতিহাসিক জায়গা হয়ে গেছে।’

ট্রাইব্যুনাল সরানোর উদ্যোগ আগেও নেওয়া হয়েছিল, সেই প্রসঙ্গ টেনে নির্মূল কমিটির শামসুদ্দিন চৌধুরী (মানিক) বলেন, ’ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আগেও আপত্তি ছিল, এখনও আপত্তি করবে। আমি আলাপ করব ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্যদের সঙ্গে।’

পূর্বের প্রসঙ্গ টেনে বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘আমরা তীব্র প্রতিবাদ করছি। ভবনের কোন অংশের মেরামত করার দরকার হলে সেটি করা হোক এবং বিচারটি এই ভবনেই করা হোক। কোনভাবেই এখান থেকে সরানো উচিৎ হবে বলে আমরা মনে করি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিচারপতি সিন্‌হা (সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্‌হা) এ রকম একটি উদ্যোগ নিয়েছিল। তখন আমরা বলেছিলাম, ট্রাইব্যুনাল সরাতে হলে আমাদের লাশের উপর দিয়ে সরাতে হবে।’

প্রসঙ্গত, এর আগে একবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুরাতন হাইকোর্ট ভবন থেকে সরাতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। তবে সেজন্য ভিন্ন কারণ উল্লেখ করা হয়েছিল।

বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্হা প্রধান বিচারপতি থাকাকালে ২০১৬ সালের ১৮ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে সর্বোচ্চ আদালত এলাকা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। উচ্চ আদালতে বিচারকদের স্থান সংকুলান করার উদ্দেশ্য উল্লেখ করে  চিঠিতে ওই বছর ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের পুরোনো ভবনটি হস্তান্তর করার জন্য 'নির্দেশক্রমে অনুরোধ' করা হয়।’

চিঠিতে বিষয়টি নিয়ে প্রধান বিচারপতি ও আইনমন্ত্রীর মধ্যে মৌখিক আলোচনার উল্লেখ ছিল। এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, আলাপ-আলোচনা করে ট্রাইব্যুনাল স্থানান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

'বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অনুকূলে পুরোনো হাইকোর্ট ভবনের দখল হস্তান্তর প্রসঙ্গে' শিরোনামে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘সুপ্রিম কোর্টে পর্যাপ্ত স্থানাভাবে বিচারপতিদের প্রয়োজনীয় চেম্বার ও এজলাসের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া স্থান সংকুলান না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক চেম্বার/অফিসের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘ভবিষ্যতে বিষয়টি আরও প্রকট হবে। জরুরি ভিত্তিতে এ সমস্যা দূর করতে পুরাতন হাইকোর্ট ভবন (ট্রাইব্যুনাল) সুপ্রিম কোর্টের বুঝে পাওয়া একান্ত অপরিহার্য।’

চিঠি দেওয়ার কয়েকদিন পর ২০১৬ সালের ২৭ আগস্ট  যুদ্ধাপরাধের বিচার বিলম্বিত করতে জামায়াতে ইসলামী নানা কৌশল নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির। তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নেওয়ার চিঠি তাদের ‘ষড়যন্ত্রের’ ফসল। সেজন্য তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্‌হাকে দোষ দিয়েছিলেন শাহরিয়ার কবির। তখন একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে অবসরে যাওয়া বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী এবং সংস্কৃতি সংগঠক কামাল লোহানী।

ওই দিন এক সংবাদ সম্মেলনে শাহরিয়ার কবির বলেছিলেন, ‘জামায়াতের একটি কৌশল হচ্ছে যতভাবে এটিকে (যুদ্ধাপরাধীদের বিচার) বিলম্বিত করা যায়। এর কারণ হচ্ছে জামায়াত আশা করছে, যে কোন সময় একটি ‘মিরাকল’ ঘটবে, সরকারের পতন ঘটবে এবং যারা জেলখানায় আছে তারা বেরিয়ে আসবে। এই কৌশল নিয়ে জামায়াত এগোচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ আমাদের কাছে অত্যন্ত ক্ষোভের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নিতে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে দেওয়া চিঠি।’

 

সম্মেলনে অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট সড়ক ভবনের যে জায়গাটি নিয়েছে তার আয়তন সুপ্রিম কোর্ট নতুন ভবনের আয়তনের প্রায় সমান। বিচারের এজলাস বসার জায়গা নেই বলে এটি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে এখন সেলুন, বিউটি পার্লার, জিমনেসিয়াম, ব্যাঙ্কোয়েট হল ও থাকার জায়গা। তাহলে আমাদের ধরে নিতে হবে, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের চেয়ে বিউটি পার্লার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটিই যদি ধারণা দেওয়া হয় তাহলে এর থেকে লজ্জার ও দুঃখের বিষয় বাংলাদেশে আর কিছু হতে পারে না।’

ওই চিঠি দেয়ার মাস কয়েক পর ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এর শেষ অবস্থা আমি বলতে পারব না। যতবার আদেশ পাব, ততবার আমি এটি পুনর্বিবেচনা করার জন্য বলব। সুপ্রিম কোর্ট যতবার চিঠি দেবে, ততবার আমি পুনর্বিবেচনার জন্য চিঠি দেব।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমাতায় আসার পরের বছর ২০১০ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্ট মাজার সংলগ্ন পুরোনো হাইকোর্ট ভবনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়। ওই ভবনে আইন কমিশন ও জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অফিস ছিল।

এমএ/এএন

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৭১ জন ফিলিস্তিনি। ইহুদিবাদী দেশটি এই সময়ে গাজায় ৩৪টি বিমান হামলা চালিয়েছে।

এখন পর্যন্ত এই সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার ৬০০ জনে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই হামলায় আহত হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা আনাদোলু এই তথ্য জানিয়েছে।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪টি বিমান হামলা চালিয়েছে। গাজা উপত্যকাজুড়ে নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে গাজার মিডিয়া অফিস বৃহস্পতিবার জানিয়েছে।

গাজার মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ইসরায়েলি সেনাবাহিনী চিকিৎসা ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলকে নিহতদের লাশ সরিয়ে নেওয়ার জন্য হামলাস্থলে পৌঁছাতে বাধা দিয়েছে এবং বিশেষ করে গাজা এবং উত্তর গাজায় রাস্তায় লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।”

“নৃশংস এই অপরাধের” জন্য মিডিয়া অফিস ইসরায়েলকে দায়ী করেছে এবং গণহত্যা বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে তাদের আইনি ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করার আহ্বানও জানিয়েছে তারা।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত
বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড