শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বিশেষ প্রতিবেদন

তীব্র প্রতিবাদ সত্ত্বেও সরানো হচ্ছে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল

মুক্তিযুদ্ধকালীন যুদ্ধাপরাধসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুরাতন হাইকোর্ট ভবন থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সেজন্য এ ভবন সংলগ্ন খালি জায়গায় ইতোমধ্যে টিনশেড স্থাপনা প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে ‘তীব্র প্রতিবাদ’ জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিগণ, ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার দপ্তরের সব লোকবল, তদন্ত সংস্থার সমন্বয় দপ্তরসহ সব দপ্তরের কার্যক্রম পরিচালিত হবে নবনির্মিত এই স্থাপনায়। এক কথায় পুরোনো ভবনে আর কোন লোকবল থাকবে না। প্রসিকিউটরগণসহ চিফ প্রসিকিউটর দপ্তরের লোকবল এরমধ্যে নতুন স্থাপনায় দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করেছেন।

জানা গেছে, নতুন টিনশেড স্থাপনায় ট্রাইব্যুনালের বর্তমান এজলাসের আদলে আরেকটি এজলাস ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন এই টিনশেড স্থাপনা তৈরি হচ্ছে।

নতুন স্থাপনা বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের (ডিভিশন -৪) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহাবুবুর রহমান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। চাইলে সেখানে কাজ শুরু করা যাবে। এরমধ্যে প্রসিকিউশন সেখানে দাপ্তরিক কাজ শুরু করেছে।’

ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অমিত কুমার দে ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘গণপূর্ত অধিদপ্তরকে আমরা বলেছি, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ভবন থেকে সরতে চাচ্ছি।’

তাড়াতাড়ি কেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,  ‘এটি একটি পরিত্যক্ত ঘোষিত ভবন। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ভবন থেকে সরে যেতে হবে। সরকারও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।’

নতুন টিনশেড স্থাপনা, যেখানে সরানো হচ্ছে ট্রাইব্যুনাল

বিষয়টি নজরে আনলে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ’আমাদের বক্তব্য খুব পরিষ্কার। আমরা যেটি প্রথম থেকে বলে আসছি যে, আমাদের এই ট্রাইব্যুনালটি যেনতেন একটি ট্রাইব্যুনাল নয়… (সংযুক্ত অডিওতে সম্পূর্ণ বক্তব্য)’।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি বিশাল ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করছে এই বিচারের আয়োজন করে। পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে যে, আমাদের সীমিত সুযোগ, সীমিত রশদ নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার করতে পারছি। এই ভবনটির একটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে।’

তিনি বলেন, ‘নুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালকে যেমন জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়েছে, আমাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালও বিচার শেষে জাদুঘরে রূপান্তর করা হোক। নুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালও একটা ঐতিহাসিক ভবনে হয়েছিল।’

মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে অবসরে যাওয়া বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আমরা আগে এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করেছি। এখনও করব। এটি (পুরাতন হাইকোর্ট ভবন) একটি ঐতিহাসিক জায়গা হয়ে গেছে।’

ট্রাইব্যুনাল সরানোর উদ্যোগ আগেও নেওয়া হয়েছিল, সেই প্রসঙ্গ টেনে নির্মূল কমিটির শামসুদ্দিন চৌধুরী (মানিক) বলেন, ’ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আগেও আপত্তি ছিল, এখনও আপত্তি করবে। আমি আলাপ করব ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্যদের সঙ্গে।’

পূর্বের প্রসঙ্গ টেনে বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘আমরা তীব্র প্রতিবাদ করছি। ভবনের কোন অংশের মেরামত করার দরকার হলে সেটি করা হোক এবং বিচারটি এই ভবনেই করা হোক। কোনভাবেই এখান থেকে সরানো উচিৎ হবে বলে আমরা মনে করি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিচারপতি সিন্‌হা (সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্‌হা) এ রকম একটি উদ্যোগ নিয়েছিল। তখন আমরা বলেছিলাম, ট্রাইব্যুনাল সরাতে হলে আমাদের লাশের উপর দিয়ে সরাতে হবে।’

প্রসঙ্গত, এর আগে একবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুরাতন হাইকোর্ট ভবন থেকে সরাতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। তবে সেজন্য ভিন্ন কারণ উল্লেখ করা হয়েছিল।

বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্হা প্রধান বিচারপতি থাকাকালে ২০১৬ সালের ১৮ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে সর্বোচ্চ আদালত এলাকা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে আইন মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। উচ্চ আদালতে বিচারকদের স্থান সংকুলান করার উদ্দেশ্য উল্লেখ করে  চিঠিতে ওই বছর ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের পুরোনো ভবনটি হস্তান্তর করার জন্য 'নির্দেশক্রমে অনুরোধ' করা হয়।’

চিঠিতে বিষয়টি নিয়ে প্রধান বিচারপতি ও আইনমন্ত্রীর মধ্যে মৌখিক আলোচনার উল্লেখ ছিল। এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, আলাপ-আলোচনা করে ট্রাইব্যুনাল স্থানান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

'বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অনুকূলে পুরোনো হাইকোর্ট ভবনের দখল হস্তান্তর প্রসঙ্গে' শিরোনামে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘সুপ্রিম কোর্টে পর্যাপ্ত স্থানাভাবে বিচারপতিদের প্রয়োজনীয় চেম্বার ও এজলাসের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া স্থান সংকুলান না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক চেম্বার/অফিসের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘ভবিষ্যতে বিষয়টি আরও প্রকট হবে। জরুরি ভিত্তিতে এ সমস্যা দূর করতে পুরাতন হাইকোর্ট ভবন (ট্রাইব্যুনাল) সুপ্রিম কোর্টের বুঝে পাওয়া একান্ত অপরিহার্য।’

চিঠি দেওয়ার কয়েকদিন পর ২০১৬ সালের ২৭ আগস্ট  যুদ্ধাপরাধের বিচার বিলম্বিত করতে জামায়াতে ইসলামী নানা কৌশল নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির। তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নেওয়ার চিঠি তাদের ‘ষড়যন্ত্রের’ ফসল। সেজন্য তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্‌হাকে দোষ দিয়েছিলেন শাহরিয়ার কবির। তখন একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে অবসরে যাওয়া বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী এবং সংস্কৃতি সংগঠক কামাল লোহানী।

ওই দিন এক সংবাদ সম্মেলনে শাহরিয়ার কবির বলেছিলেন, ‘জামায়াতের একটি কৌশল হচ্ছে যতভাবে এটিকে (যুদ্ধাপরাধীদের বিচার) বিলম্বিত করা যায়। এর কারণ হচ্ছে জামায়াত আশা করছে, যে কোন সময় একটি ‘মিরাকল’ ঘটবে, সরকারের পতন ঘটবে এবং যারা জেলখানায় আছে তারা বেরিয়ে আসবে। এই কৌশল নিয়ে জামায়াত এগোচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ আমাদের কাছে অত্যন্ত ক্ষোভের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নিতে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে দেওয়া চিঠি।’

 

সম্মেলনে অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট সড়ক ভবনের যে জায়গাটি নিয়েছে তার আয়তন সুপ্রিম কোর্ট নতুন ভবনের আয়তনের প্রায় সমান। বিচারের এজলাস বসার জায়গা নেই বলে এটি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে এখন সেলুন, বিউটি পার্লার, জিমনেসিয়াম, ব্যাঙ্কোয়েট হল ও থাকার জায়গা। তাহলে আমাদের ধরে নিতে হবে, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের চেয়ে বিউটি পার্লার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটিই যদি ধারণা দেওয়া হয় তাহলে এর থেকে লজ্জার ও দুঃখের বিষয় বাংলাদেশে আর কিছু হতে পারে না।’

ওই চিঠি দেয়ার মাস কয়েক পর ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এর শেষ অবস্থা আমি বলতে পারব না। যতবার আদেশ পাব, ততবার আমি এটি পুনর্বিবেচনা করার জন্য বলব। সুপ্রিম কোর্ট যতবার চিঠি দেবে, ততবার আমি পুনর্বিবেচনার জন্য চিঠি দেব।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমাতায় আসার পরের বছর ২০১০ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্ট মাজার সংলগ্ন পুরোনো হাইকোর্ট ভবনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হয়। ওই ভবনে আইন কমিশন ও জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অফিস ছিল।

এমএ/এএন

Header Ad
Header Ad

সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া

ছবি: সংগৃহীত

সন্ত্রাসী তালিকা থেকে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী তালেবানের নাম বাদ দিলো রাশিয়া। দুই যুগেরও বেশি সময় পর বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত জানান দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় রীতিমতো একঘরে হয়ে থাকা তালেবানের জন্য এটি বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

গত বছর রাশিয়ার নতুন আইনে, কোনো সংগঠনকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেয়ার এখতিয়ার আদালতকে দেয়া হয়। সম্প্রতি তালেবানের সাথে সম্পর্ক গভীর করেছে মস্কো। সংগঠনটির প্রতিনিধিরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে অংশ নিতে একাধিকবার রাশিয়া সফর করেছে।

২০০৩ সালে তালেবানকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। ফলে রাশিয়ার সঙ্গে কোনও ধরনের যোগাযোগ ছিলো না সংগঠনটির। এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা ছিল ফৌজদারি অপরাধ।

তবে ২০২১ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করে তালেবান। এ ক্ষমতা শুধুমাত্র সরকার গঠন করাই নয়। বরং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘটে সম্পর্কের ইতি।

Header Ad
Header Ad

ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক

ছবি: সংগৃহীত

ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পেতে বহু বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে আসছেন বিজ্ঞানীরা। বিভিন্ন সময় সাফল্য কিছু পেলেও নিশ্চিতভাবে প্রাণের অস্তিত্ব আছে এমন অকাট্য প্রমাণ এখনও কোথাও পাওয়া যায়নি।

তবে এবারে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দূরবর্তী এক গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার ‘এযাবতকালের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ’ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

কে২-১৮বি (কেটু-এইটিনবি) নামক দূরবর্তী এই গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে বলে দাবী করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই গ্রহটি পৃথিবীর মতো সূর্যের চারপাশে নয়, বরং অন্য অন্য একটি স্টার বা নক্ষত্রের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে। অর্থাৎ এটি সৌরজগতের অংশ নয়। তাই কে২-১৮বি গ্রহটিকে বহির্গ্রহ (এক্সোপ্ল্যানেট) বলা যেতে পারে।

কেমব্রিজের গবেষকরা কে২-১৮বি নামক গ্রহটির বায়ুমণ্ডল নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা চালিয়ে এমন অণুর সন্ধান পেয়েছেন যা পৃথিবীতে কেবলমাত্র জীবন্ত প্রাণীরাই তৈরি করে থাকে। অর্থাৎ, বায়ুমণ্ডলে এই অণুর উপস্থিতির অর্থ হচ্ছে দূরবর্তী গ্রহটিতেও প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে। এমনটাই বিশ্বাস গবেষকদের।

নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে কে২-১৮বি গ্রহটির বায়ুমণ্ডলে জীবনের অস্তিত্ব সম্পর্কিত রাসায়নিক পদার্থের সন্ধান পাওয়ার এটি দ্বিতীয় ও সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ প্রমাণ। তবে গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আরও তথ্যের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন গবেষক দলটি এবং কয়েকজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী।

 

Header Ad
Header Ad

ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা

ছবি: সংগৃহীত

মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে সেদিন নাকানিচুবানি খেয়েছিল ব্রাজিল। বল দখল, গোলে শট কিংবা আক্রমণ—আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটিতে পেরে ওঠেনি সেলেসাওরা। ৪-১ ব্যবধানের বড় হারও এসেছিল। ওইদিনে ব্রাজিলের ভক্তদের সঙ্গে বিদ্বেষী ও বর্ণবাদমূলক আচরণ করেছিল আর্জেন্টাইনরা। সেই ঘটনার জল হয়ত গড়াতে যাচ্ছে বহুদূর!

মার্চের ২৫ তারিখের ওই ঘটনার জেরে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) ফিফার মাধ্যমে এএফএকে শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। সিবিএফ ইতোমধ্যে প্রমাণসমূহ প্রস্তুত করেছে বলে জানিয়েছে আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস।

গণমাধ্যমটি সিবিএফ এর বরাতে জানিয়েছে, সেলেসাওদের একজন ভক্তকে একজন আর্জেন্টাইন দর্শক ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা করেছে। সেই ঘটনাটি ওই দর্শক রেকর্ড করেন। লিওনেল মেসিদের অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এটি হতে পারে বড় প্রমাণ। টিওয়াইসি জানিয়েছে, এমন ঘটনার মাঝ দিয়ে গেছে আরও বেশ কিছু ব্রাজিলিয়ান দর্শক।

জুনের প্রথম সপ্তাহে চিলি ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে নামার আগেই ফিফার পক্ষ থেকে শাস্তি শুনতে পারে আর্জেন্টিনা। বারবার এমন বর্ণবাদী আচরণ হওয়ায় হয়ত ওই দুই ম্যাচে আর্জেন্টিনার দর্শকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। টিওয়াইসি জানিয়েছে, কলম্বিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠের ম্যাচে দর্শকশূন্য রেখেই খেলতে হতে পারে মেসি-লাউতারোদের। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

কদিন আগে ফিফার এমন শাস্তির মুখে পড়েছিল চিলি। ম্যাচ দেরিতে শুরু করার কারণে তাদের স্টেডিয়ামে দর্শকদের ৫০ শতাংশ ফাঁকা রাখতে নির্দেশ দিয়েছিল। দর্শকদের উগ্র আচরণের কারণে একই সমস্যায় পড়েছিল ব্রাজিল ও উরুগুয়ে।

তবে, ফিফা আপিল কমিটি শাস্তির মাত্রা ২৫ শতাংশে কমিয়ে এনেছে। একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে মাঠে দর্শকদের উপস্থিতির পরিমাণ আরও কমিয়ে আনা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
তোপের মুখে ওয়াক্‌ফ আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
নিজেকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার দাবিতে মামলা করলেন ফয়জুল করীম
ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিতের আহ্বান বাংলাদেশের
টাঙ্গাইলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কেন্দ্র সচিব ও পরীক্ষার্থীসহ আটক ৬
৭১ এর গণহত‍্যার জন‍্য ক্ষমা ও সম্পদ ফেরত দেয়া নিয়ে আলোচনায় সম্মত পাকিস্তান
এবার স্ত্রী রিয়া মনিকে তালাকের ঘোষণা দিলেন হিরো আলম
সাবেক এমপি বাহারের জমি-বাড়ি জব্দ, ২৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ